ভূত রহস্য (হার্ডকভার)

‘ভূত রহস্য’ বইয়ের কিছু অংশঃ
লেখক হওয়া সহজ নয় পাছে কথা বলে ফেলি এই ভয়ে লালু আমার দিকে ফিরে ঠোঁটে আঙুল রাখল। শিল্পীরা এমনিতেই ভীষণ খেয়ালি হয়, বিশেষ করে যারা রঙ-তুলির কারবার করে, মানে ছবি আঁকে। পান থেকে চুন খসলেই তাদের মেজাজের রঙ নাকি চটে যায়। ওর মানিকদা জাতিশিল্পী, আর্ট কলেজের সোনার মেডেল পাওয়া আর্টিস্ট, সব সময় রঙে চুর হয়ে আছেন, একটু বেগড়বাঁই হলেই কেস পস্তাবে, তখন হাতে পায়ে ধরেও আর বাগানো যাবে না। এত সব শোনার পরে আমিও খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম, কারণ ওর মানিকদাই আমার প্রথম এবং শেষ আশ্রয়। উনি বেঁকে বসলেই আমার ভরাডুবি, একেবারে কুলে এসে।
আমি কাঠের পুতুলের মতো আড়ষ্ট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। লালু পর্দা তুলে ভেতরে উকি মারল। জষ্টি মাসের ঝিমধরা দুপুর। ছুটির দিন। পুরনো আমলের বিশাল বাড়িটা গোলা পায়রার মতো নাক ডাকাচ্ছে। লালু হাতছানি দিয়ে আমাকে কাছে ডাকল, তারপর খুশিচাপা গলায় বলল, “তোর ফোরটিন পুরুষের ভাগ্যি….