মুক্তগদ্য হলো বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ গদ্যধারা, যেখানে লেখার ধরন ছন্দময় হলেও এটি কবিতা কিংবা ছন্দবদ্ধ গদ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রথাগত গদ্যের কাঠামো ভেঙে লেখকের চিন্তা, অনুভূতি এবং কল্পনাকে স্বাধীনভাবে প্রকাশের সুযোগ করে দেয়। মুক্তগদ্য মূলত আবেগনির্ভর, কাব্যিক রূপ এবং ভাবগাম্ভীর্যে সমৃদ্ধ।
"হায়াতের এপিট ওপিট" বইটিতে আপনি গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে— স্বাধীনচেতা রঙ তুলিতে মানব জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি ঘটে যাওয়া ঘটনাচক্রের চিত্রাঙ্কন চোখের সামনে ভাসতে দেখবেন।
আপনি বইটি পড়তে গিয়ে কখনো নায়লনের হ্যামকে শুয়ে শুয়ে বিভূতিভূষণের আরণ্যকে ডুবে যাবেন কখনো বা জোনাথন সুইফটের গালিভারস ট্রাভেলস-এ নিজেকে হারাবেন।
কখনো বা আপনি শহুরে কোলাহল আর কংক্রিটের বাইরে এসে নিজেকে লাউফুল, বিলাতি আর পুঁইয়ের শাখায় নুইয়ে পড়তে দেখবেন।
আপনি যদি কাকভেজা কৃষকের কাদামাটির ঘ্রাণ পরখ করে দেখতে চান, বইটি আপনার জন্যই।
আপনি যদি সময়ের কফিনে জীবন গলাধঃকরণ হওয়ার চিত্রায়িত ছাপ দেখতে উৎসুক হোন, "হায়াতের এপিট ওপিট" আপনাকে সেই রূপ দেখাতে বদ্ধপরিকর। কখনো বা মুয়াজ্জিনের সুরে ভেসে আসবে কারো মউতের খবর কখনো বা বিষণ্ণ ঘনঘোর মুহুর্তে ঝিঁঝি পোকার আওয়াজের সাথে আবছা আলোয় সুনসান নীরবতা নেমে আসবে গোরস্থান জুড়ে।
কখনো বা শেয়ালের হাঁকডাক আর কুকুরের আর্তনাদে সমাপ্তি ঘটবে শেষকৃত্যের যাবতীয় আয়োজন।
প্রস্ফুটিত যুবকের প্রতিবাদী বুক বুলেটের সামনে গর্জে উঠবে বারংবর।
মনা, দিলু হারেজ দের কাগজের পতন ভেসে বেড়াবে উন্মুক্ত আকাশ জুড়ে।
শরতে পরিযায়ী পাখিদের সাথে কতশত বুনোহাঁসের সখ্যতা গড়ে উঠবে মধুমতীর চরে!
গত রাতে "মা" মরা ছেলেটির দুঃখ গুলো, গেরস্তের শেষ সম্বল গাভী দুটির বানের জলে ভেসে যাওয়ার বিলাপের সুরে একাকার হবে।
গাঁজা উপত্যকায়, ফিলিস্তিনি শিশুর বুক চিঁড়ে এফোঁড়ওফোঁড় হওয়া বুলেটের পাল্টা জবাব দেখবে গোটা পৃথিবী; কেবল লেখক নিজে থাকবেন না।
একটি পূর্ণাঙ্গ মানব জীবনের যাবতীয় ঘটনা প্রবাহ ২৭ টি মুক্তগদ্য আকারে "হায়াতের এপিট ওপিট" বইটিতে সাজানো হয়েছে, যা একবসাতেই শেষ করতে আপনি বাধ্য হবেন ইন-শা-আল্লাহ।