Our User Product Reviews

আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদ এর প্রথম বই। বেশ মজার।

দারুন একটি বই। I love this,, Thanks Rokomari

An excellent book❤️ of my favourite author Humayun Ahmed❤️

রকমারি রিভিউঃ বইঃ হিমু মামা। লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনীঃ অবসর প্রকাশনা সংস্থা। মূল্যঃ ১৫০ টাকা। পৃষ্ঠাঃ ৮০। ‘হিমু মামা’ বইটি হিমু সিরিজের কোনো বই না। কারণ এই বই হিমুকে নিয়ে লেখা হয়নি। শুভ্র নামের এক ছেলে, যে হিমু হচ্ছে তার কিঞ্চিৎ বিষয় নিয়ে এই বই। কিন্তু পরিবার তার এই হিমু হওয়া মেনে নিতে পারছে না। তাই নিয়েই লেখা। হিমু মানেই পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে খালি পায়ে রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো এক যুবক। কিন্তু এখানে লেখা শুধুমাত্র বাড়ির ভিতরেই সীমাবদ্ধ। বইটি শুভ্রর ভাগ্নে টগর, যে ক্লাস সিক্সে পড়ে, তার পারস্পেক্টিভ থেকে লেখা হয়েছে। ভালোই।

as a humayun sir fan, these books are really fantastic.

good books

অসম্ভব সুন্দর একটা বই???

হিমু নাই কিন্তু আছে

kisu kisu boi thake zegulo pora suru korle sesh na kora porrzonto uthte mon chay na. himu series er sob boi er great example.

হিমুর বাবার উপদেশগুলো আমার অবাক লাগতো। অপূর্ব লাগতো। আর এই বইতে হিমুর বাবার সব উপদেশগুলোই আছে।

❤️❤️❤️

সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।

আমি তখন ক্লাস এইটে, যখন এই বই প্রথম পড়ি। হিমু সম্পর্কে প্রথম পড়া উপন্যাসই "হিমু মামা"। বয়স এবং সময় সাপেক্ষে তা বেশ ভালোই লেগেছিলো তখন, মজার একটি বই! একেকজনের কান্ডকারখানাগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাসানোর রেশ ধরে রাখে। শিশু কিশোরদের উপহার দেবার মতো যথোপযুক্ত একটি বই "হিমু মামা", এমনকি বড়রাও পড়লে আশা করি ভালো লাগবে।

হুমায়ুন আহমেদ স্যারের রেখে যাওয়া অসাধারন কীর্তি গুলো তিনি না থাকা স্বত্তেও আমাদের কাদিঁয়ে যাচ্ছে। স্যার আপনি জান্নাতে যাবার জন্য যা যা করতে হয় এই দুনিয়ার জীবনে তা কতটুকু করেছেন আমি জানিনা।তবুও আল্লাহ পাককে বলতে হে আল্লাহ আপনি এই মানুষটার জীবনের সমস্ত গুনাহ্ মাফ করে তাকে জান্নাতবাসি করুন।

Don't get deceived. Though it is one of the himu novel series, himu doesn't appear here at all. There are some typical Himu-like characters, but not himu. The narrator, who is a seventh grade kid, finds his uncle behaving in a way which he calls being himu. Many funny incidents take place throughout the novel. I have it say I liked the book.

বইয়ের নামঃহিমু মামা লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅবসর প্রকাশনা সংস্থা মূল্যঃ১৩২টাকা হুমায়ূন আহমেদ এর সম্ভবত এটি হিমু সিরিজের একমাত্র বই যা হিমুর উপরে নেই। এটিতে হিমুর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মতামতগুলির সাধারণ যাদুবিদ্যার স্পর্শ আছে তবে হিমু নেই৷ তবে কিছু মনে করবেন না, ছয় স্তরের ছেলে পাঠকদের পুরো গল্পে ব্যস্ত রাখে যা বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তির মাঝে প্রচুর হাসি-হাসি তৈরি করে।সুন্দর একটা গল্প। চমক আছে রসিকতা আছে, জীবনবোধ আছে।হিমু অবশ্য না থেকেও আছে।শুভ্র নামের একটা ছেলের হিমু হওয়ার চেষ্টার গল্প হিমু মামা।আমার পড়া সেরা একটি বই।

Amazing

এটাই ছিল আমার প্রথম হিমু।মানে আরকি প্রথম হিমু কে জানা???তারপরই এক একে অন্যন্য বই গুলা পড়তে শুরু করি। তবু্ও এই বইই হিমুর অন্যগুলোর মধ্যে অধিক ভালো।

Amazing

boi ta akdin ar modde paisi

হুমায়োন আহাম্মেদের প্রথম বই পড়া এইটা আমার (হিমু মামা)এই বইটা পড়ার পর থেকে বই পড়ার প্রতি আমার একটা নেশার জন্ম হয়। খুব ভালো লেগেছিলো তোখন বইটা পড়ে।

একজন বালকের হিমু হওয়ার গল্প নিয়ে তৈরি হিমু মামা, টগরের মামা শুভ্র হিমু হয়ে যায়, তাকে টগর হিমু মামা বলে ডাকে, সে চৌবাচ্চায় লবন মিশিয়ে বসে থাকে, তার এই আচারন এ সবাই বিরক্ত হয়ে যায় তবে আবার অনেকে তার প্রতি আসক্ত হয়ে যায়......

টগর এর ছোট মামা শুভ্র। সে হিমু সাজে নিজেকে সাজিয়েছে। সারাদিন সে হেটে বেরায়। তার আচরণ নিয়ে সবাই চিন্তিত। সে চৌবাচ্চায় লবন পানি নিয়ে চৌবাচ্চায় থাকা শুরু করে। হিমু মামা ও টগর এর মজার কাজ নিয়ে লিখা বইটি।

বইটি সুন্দর

It's not Himu series . But here a man who is a fan of Himu . He behaves like Himu . So he is known as 'Himu mama' to his nephew . Here something about Himu's attitude , culture . But Himu mama has to face lots of difficulties to do Himu culture

জীবন বদলে দেয়া বই, হুমায়ুনআহমেদ স্যারের প্রথম বই পড়া, তারপর বাকিটা ইতিহাস স্যার আপনি বেচে থাকবেন আমাদের হ্রদ মাঝারে ??

This is not a story of Himu, i.e. Himalay whom we know. Instead it is the story of an ordinary guy(who is also brilliant), Subhro, who aims to be Himu . . . . and how different incidents break-out through his household due to his decision and actions. Most of the story is covered from the viewpoint of a small boy, Togor, Subhro's nephew. It felt great to read what it is like to become Himu from an ordinary background, and the chaos it triggers is nothing less than hilarious. Apart from Subhro, Togor also seemed acting in a way Himu acts. In fact, he does much more what Himu does, creating chaos and confusion among people. His way matches much more like Himu. Togor is always on the run to neutralize his paap-n-punya and even maintains the records in a separated copy. We see his mother, the masterchef bent on feeding each family member with her terrible delicacies, his "dadiya", with her 'paan-chechuni' and stories of ghosts and peer-fakirs, his sister Neelu and her childish behaviour of getting certain things by admitting things she didn't even commit. We see his angry-headmaster and the so-called-gadha-psychiatrist, both of whom made me really made laugh out loud hard! This story is such a laugh-riot! All the time there was a smile on my lips, mostly due to the tricks of Togor and the confusion caused by it. In philosophical terms, this story has little to offer. Even Himu's(here Subhro's) hard-hitting-truth seemed to cause a comic element that added to laughter and taking it in a lighter way, like the water-treatment and aim-or-life. I really enjoyed this!! Recommended for a SUPER-LAUGH-RIOT!! © Soumyabrata Sarkar

হিমু মামা বইটি হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা হিমু সিরিজের একটি বই । হুমায়ূন আহমেদ এর সেরা সৃষ্টি হল হিমু চরিত্র । সে এক রহস্যময় মানুষ । পাঠক যখন এই হিমু সিরিজের বই গুলো পড়ে তখন সে প্রতিটি সময়ে অনুভব করতে পারে । কি জানি ঘটবে এইবার । আমি নিজে খুব আগ্রহ নিয়ে বই তা পরেছি । আমর বাক্তিগত ভাবে খুব ভালো লেগেছে । তবে এই বইটি নতুন হিমু কে নিয়ে । টগর এর মামা হিমু হয়ে যায় । তার বারির সবাই মনে করে সে পাগল হয়ে গেছে তাই ডাক্তার নিয়ে আশা হয় ।এক সময় ডাক্তার ই নতুন হিমু র সাথে পানির মধ্যে বসে থাকে । হিমু কি ভাবে হওয়া যায় ? বইটি পরলে আশা করা যায় যে রাস্তাটা পাবেন ।

এখানে শুভ্র- কে হিমু হতে চায় হিসেবে দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা যারা হিমু এর বইগুলো পরেছি তারা সবাই হিমু হতে চাই।♥

হিমু নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে হলুদ পকেটহীন পাঞ্জাবি পড়া এক যুবক, যে রাত-বিরাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় উদ্দেশ্যহীনভাবে, যে সারাক্ষণ জ্ঞানের আলাপ করে- এই ধরনের অনেক কিছু। টগরদের বাড়ির লোকজনেরও ঠিক এমনই ধারণা হিমু সম্পর্কে। কিন্তু টগর! সে কে? টগর হলো এই বইয়েরই প্রধান চরিত্রের একজন। টগরদের বাড়িতে আজ সন্ধ্যার পর বিচারের আয়োজন করা হয়েছে। টগরের ছোট মামা শুভ্রকে ছেচা দেয়া হবে। আর এই বিচার সভার আয়োজক টগরের বড় চাচা হাইকোর্টের প্রাক্তন উকিল চৌধুরী আজমল হোসেন। টগরদের বাড়ির যাবতীয় বিচার তিনিই করেন। তার কথার উপর বাড়ির একজনই কথা বলতে পারেন। তিনি হলেন টগরের দাদী। টগরের ছোট মামা ঘোষণা করেছেন এখন থেকে তার নাম শুভ্র না হিমু। টগর যেন তাকে হিমু মামা বলে ডাকে। এই কথা জানাজানি হওয়ার পরই শুরু হলো বাড়িতে তুলকালাম কাণ্ড। বাড়ির কেউ জানে না, আসলে হিমু কি? শুধু জানে, হিমুরা হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে ঘুরে বেড়ায়, সারাক্ষণ তারা জ্ঞানের আলাপ করে, কোন অপরাধ করে মিষ্টি করে হাসে, সবচেয়ে বড় কথা রাত-বিরাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। শুভ্র যেন এই পথে না যায়, সেজন্যই বড় চাচা তাকে শাস্তি দিবে বলে ঠিক করেছেন। পরেরদিন দেখা যায়, শুভ্র চৌবাচ্চার পানিতে ডুবে আছে শুধু গলাটা বের করে। হিমু হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টায় আছে শুভ্র। যদি সে হিমু হতে পারে তাহলে তো সে ভবিষ্যৎও বলে দিতে পারবে সবার! এদিকে টগরদের বাড়িতে শুরু হয়েছে ভৌতিক কিছু কাজকর্ম। বড় চাচার জন্য প্লেটে রাখা কলা হটাৎ করে উধাও, আবার ঘরের এক জিনিস অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে একা একাই। কিন্তু এ কি করে সম্ভব? একদিকে শুভ্রের হিমু হওয়া নিয়ে চিন্তা অন্যদিকে এই ভৌতিক যন্ত্রণা সবমিলিয়ে অতিষ্ঠ টগরদের বাড়ির লোকজন! সেইসব মজার গল্প নিয়েই লেখা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের "হিমু মামা" বইটি!!!

Mohaiminul Waheed Ayon ‎বইপোকাদের আড্ডাখানা (Boipokader Addakhana) রিভিউ -[২] বইয়ের নাম -হিমু মামা লেখক - হুমায়ূন আহমেদ পৃষ্ঠা সংখ্যা -৮০ পৃষ্ঠা প্রকাশকাল - বইমেলা ২০০৪(প্রথম) -জানুয়ারি ২০১৪(দশম) প্রকাশক - অবসর প্রকাশনা সংস্থা প্রচ্ছদ - ধ্রুব এষ মুল্য -১২৫টাকা রিভিউ - বইটা পড়ার আগে ভাবছিলাম , বইটা হিমুকে নিয়ে লেখা। কিন্তু আসলে বইটা শুভ্র নামের এক কিশোরের হিমু হওয়ার গল্প নিয়ে। বইটাতে আরেকটা প্রধান চরিত্র টগর। মুলত টগরের দিক থেকে গল্পটা দেখা হয়েছে। গল্পে টগরের লেখা ডায়েরির কিছু অংশ আছে। টগরদের বাড়িতে আজকে একজনকে ছেচা দেওয়া হবে। ছেচা দিবেন টগরের বড় চাচা,চৌধুরী আজমল হোসেন। একসময় হাইকোর্টে ওকালতি করতেন। এখন করেন না। তিনি টগরদের বাড়িতে প্রধান বিচারক। টগরদের বাড়ির যেকোনো অন্যায়ের বিচার তিনি করে থাকেন। তার কথার উপর কথা বলার সাহস কারো নেই। শুধু একজনের আছে,তিনি টগরের দাদিয়া। আজ যাকে ছেচা দেওয়া হবে সে টগরের ছোট মামা। তার নাম শুভ্র। যে অপরাধের কারণে শুভ্রকে আজ সন্ধ্যায় শাস্তি দেয়া হবে তা হলো,গত বুধবার সকাল এগারোটায় হলুদ পাঞ্জাবি পরে সে হিমু হয়ে গেছে। টগরকে ডেকে বলেছে এখন থেকে আমাকে ছোট মামা ডাকবি না। হিমু মামা ডাকবি। বাড়ির প্রায় কেউ ভালো ভাবে জানে না হিমু হওয়া ব্যাপার টা আসলে কি? শুধু এটুকু জানে ,যারা হিমু হয় তাদের খালি পায়ে হাটাহাটি করতে হয়। হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পড়তে হয়। বেশির ভাগ সময় জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলতে হয়। আর কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে মিষ্টি করে হাসতে হয়। শাস্তি কি দেওয়া হয়েছিলো তা বইটা পড়লেই জানতে পারবেন। টগরের একটা গোপন জায়গা আছে। গোপন জায়গার খবর এবাড়িতে কেউ জানে না। সিড়ি ঘরের সঙ্গে বাথরুমের ফলস সিলিং হলো টগরের গোপন জায়গা। জায়গা টা পরিষ্কার করে টগর থাকার উপযোগী করেছে। অনেক কিছু নিয়ে এসেছে এখানে। একটা বাক্সও আছে। বাক্সটার নাম "THIEF BOX" অর্থাৎ চোরবাক্স। এবাক্সে টগর কিছু চুরি করা জিনিস অল্প কিছুদিনের জন্য রাখে। আবার কিছুদিন পর বাড়ির একজায়গায় রেখে আসে। চোরবাক্সে একটা হিসাব রাখার খাতা আছে। খাতাটায় পাপ-পুণ্যের হিসাব রাখা হয়। সে দিনে যত পাপ করে যত পুণ্য করে সব এখানে লিখে রাখে। যাতে পাপ বেশি না হয়ে যায়। কিছু পাপ পুণ্যের হিসাবও দেখানো হয়েছে। বইটা পড়লেই সেগুলো বুঝতে পারবেন। পরের দিন দেখা গেলো শুভ্র পুরোপুরি হিমু হওয়ার জন্য কলঘরের হাউজে পানি ভর্তি করে সেই পানিতে গলা পর্যন্ত ডুবে বসে আছে। গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকলে হিমু হওয়ার যাবে। আর হিমু হতে পারলে ভবিষ্যৎ বলে পারবে। টগরদের বাড়িতে কিছু ভৌতিক ঘটনা ঘটছে। যেমন -তাদের বাড়িতে একজায়গার জিনিস অন্য জায়গায় চলে যায়। বড়চাচার খাবার জন্য রাখা কলা উধাও হয়ে যায় পড়ে থাকে খালি কলার খোসা। বাড়ির কেউ কেউ মনে করে এগুলা ভুতের কাজ। আবার কেউ মনে করে এটা মানুষেরই কাজ। আসলে এটা কার কাজ বই টা পড়লেই বুঝতে পারবেন। টগরকে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য একজন স্যার আসে। নাম রকিবউদ্দিন ভূইয়া। তিনিও শুভ্রর সাথে কলঘরে গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে বসে আছেন। পানির ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য পানিতে লবন দেওয়া হয়েছে। শুভ্রর এই ঘটনা শুনার পর অনেক আত্মীয় এসেছেন তাকে দেখতে। শেষ পর্যন্ত কি হয় বইটা পড়লেই জানতে পারবেন। বইটাতে আমার রেটিং -৪/৫ ব্যাক্তিগত মতামত - কারো যদি হিমু হওয়ার ইচ্ছা থাকে বইটা পড়তে পারেন। তবে শুভ্রর মতো চৌবাচ্চার পানিতে তিন দিন থাকতে পারবেন কিনা বলা মুশকিল। বই টা পড়ে এটুকু বুঝেছি হিমু হওয়া আসলে অনেক কঠিন। যে কেউ হিমু হতে পারে না। ধন্যবাদ হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে আমাদের এমন একটা বই দেওয়ার জন্য

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ হিমু মামা লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ অবসর প্রকাশনা সংস্থা প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী,২০০৪ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ পৃষ্ঠাঃ ৮০ মুদ্রিত মুল্যঃ ১২৫ রেটিংঃ ৫/৫ #রিভিউঃ টগর ক্লাস সিক্সে পড়ুয়া একটি ছেলে। ভীষণ চঞ্চল এবং দুষ্ট প্রকৃতির। নিজের বাসায় তাঁর একটি গোপন জায়গা আছে। সেখানে সুন্দর করে সাজানো আছে গুজবামের ১০টি বই, হ্যারি পটারের ২টি বই, বোতল, চিপস, বালিশ। পাপ-পুন্যের একটি খাতাও আছে। যেখানে সে তাঁর নিজের পাপ-পুন্যগুলো লিখে রাখে। আরও আছে একটি “চুরির বাক্স”। সেখানে কোন জিনিস চুরি করে এনে অল্প কিছুদিন লুকিয়ে রাখে। তবে সে চোর নয় কিন্তু। মজা পাওয়ার জন্যে এসব করে। কি অদ্ভুত তাইনা? টগরের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও কিন্তু তাঁর মতই অদ্ভুত। তাঁর মা এমন সব আইটেম রান্না করেন যা কেউ কখনো খায়নি,শোনেনি পর্যন্ত! ঝাল রসগোল্লা, মিষ্টি গরুর কালিয়া, ঝাল আপেল ডেজার্ট, মুরগির মাংসের মিষ্টি কাবাব, মিষ্টি চটপটিসহ হাবিজাবি আইটেম বানিয়ে সকলকে খাওয়ায়। টগরের দাদিয়া, সে সারাটা দিন শুয়ে কাটায় লেপ গায়ে দিয়ে। সেই লেপে আছে অনেক টাকা। তাই তাঁর ঘরে কারো প্রবেশ একদমই পছদ করেননা। তাঁর বড় চাচাকে বাসার সবাই ভয় পায়। এমনকি বাসার ফার্নিচারগুলোও। তিনি টগরদের বাড়ির যে কোন অন্যায়ের বিচার করে থাকেন। দাদিয়া ছাড়া আর কারো বড় চাচার মুখের উপর কথা বলার সাহস নেই। আরও আছে বাবা, বড় বোন নিলু যার মাথায় কোন বুদ্ধি নেই,সে ঝগড়াটে স্বভাবের। একদিন সন্ধ্যাবেলা, তাঁদের বাসায় ধুন্ধুমার কাণ্ড হবে। কারন, ছেঁচা দেয়া হবে একজনকে। সে ভয়ঙ্কর কাজ করেছে। ছেঁচা দেবার জন্যে আয়োজন চলছে সকাল থেকে, আনুষ্ঠানিক শাস্তিতো তাই। যাকে ছেঁচা দেওয়া হবে সে হচ্ছে টগরের ছোটমামা শুভ্র। কারন সে হলুদ পাঞ্জাবি পরে হিমু হয়ে গেছে। নাম অবধি পাল্টে ফেলল নিজের। কিছু ছেলে আছে যারা শিক্ষাজীবনে কোনদিন ফার্স্ট না হয়ে থাকতে পারেনা। শুভ্র এমনই ছেলে। আর তাঁর মাথায় কিনা হিমু হবার ভূত চাপল! শুভ্র হিমু হবার পর থেকেই এই অদ্ভুত পরিবারের অদ্ভুত কর্মকাণ্ডগুলো আরও বেড়ে গেল। কারণ, শুভ্র হিমুর মত জীবনযাপন করতে শুরু করেছে। আর হিমুকে তো সকলেই চিনেন। তাঁর কর্মকাণ্ডগুলো সকলেরই জানা। এরপর কি ঘটতে লাগল ঐপরিবারে? জানতে হলে পড়তে হবে এই অসাধারণ বইটি। কেননা এই অদ্ভুত পরিবারের অদ্ভুত কর্মকাণ্ডগুলো একসাথে জড়ো করে হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন “হিমু মামা”। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ যদিও বইয়ের ক্যাটাগরিতে বলা আছে কিশোর উপন্যাস কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এ-বই বড়দেরও পাঠ-উপযোগী। তাছাড়া শুভ্র হিমুকে অনুকরণ করতে গিয়ে যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয় তা হুমায়ুন আহমেদের বর্ণনায় হয়ে ওঠেছে চমকপ্রদ। সুতারাং, ছোট-বড় সকলে “হিমু মামা” না পড়লে কিন্তু মজা মিস হয়ে যাবে অনেক কিছু। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/1208/হিমু-মামা

হিমু সিরিজ যারা পড়েছেন তারা হয়তো জানবেন- হিমু হওয়াটা সহজ কোন কাজ নয়! “হিমু মামা” গল্পে একজন হিমু হবার চেষ্টা করেছে! কিশোর বয়সে যারা তারা গল্পটা পড়ার সময় প্রতিটা অংশে এতোটা মজা পাবে তা বলে শেষ করা যাবে না! প্রতিটা চরিত্র এতটাই মজার যা আমাদের বাস্তব জীবনে সঙ্গে মিলে যায়, বইটি পড়ার আগে পর্যন্ত সেটা রিয়ালাইজ করা সম্ভব না! “গল্পে টগরের মামা (শুভ্র) হিমু হতে চায়, কিন্তু হিমু হওয়াটা টগরের পরিবারের কাছে নেহাতই অপরাধমুলক পাগলামী বলে মনেহয়, সেজন্য তাকে আয়োজন করে শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করা হয়! এমন হওয়াতে টগরের মনেও হিমু হবার ইচ্ছে জাগে!! গল্পটি কিশোর বয়সের ছেলে মেয়েদের জন্য উপযুক্ত! বইটি পড়ে তারা পাপপুণ্যের হিসাবটুকু শিখে যাবে! ? বইটি পড়ার পড় কেনো জানি মনে হিমু হবার ইচ্ছে জাগে! হয়তো আপনারও জাগবে! হিমু হতে পারলে জীবনটা অন্যরকম লাগত! আমিও হিমু হবার চেষ্টা করে যাচ্ছি! কে জানে? হয়তো কোন একদিন হিমু হতে পারবো, হয়তো বা পারবো না...!!

this book contains typical himu characteristic,so people like me love this..

বই: হিমু মামা লেখক: হুমায়ূন আহমেদ ক্যাটাগরি: শিশু কিশোর সাহিত্য প্রকাশনী: অবসর প্রকাশনা সংস্থা পৃষ্ঠা: ৮০ মূল্য: ১৩২ টাকা রিভিউ: টগর সিক্স স্ট্যান্ডার্ডে পড়ে। তাদের পরিবারে বাবা, মা, ছোট বোন নীলু, বড় চাচা, দাদিয়া আর ছোট মামা। টগরের দুইটা খাতা আছে। একটাতে সে পাপ পূন্যের হিসাব রাখে। সে জানে ফেরেশতারা পাপ পূন্যের হসাব রাখছে। সেও রাখে। একটা পাপ করলে আরেকটা পূণ্য করে সমান সমান করে নেয়। তাহলে আর পাপ থাকে না। আরেকটা খাতায় সে বাড়ির সকলের সম্পর্কে লিখে রেখেছে। দাদিয়া, নীলু, বড় চাচা, মা সবার নামে লিখে রেখেছে। টগরদের বাসায় মাঝে মাঝেই অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। কখনো দাদিয়ার নকল দাত কখনো বা নীলুর বই হারিয়ে যায়। আবার কখনো খাবার হারিয়ে যায়। সেসব আবার ফেরত পাওয়া যায় তবে অদ্ভুত সব জায়গায়। দাদিয়ার ধারনা জীন ভুতের আছড় পড়ছে তাই এমন হচ্ছে। টগরের মা সারাদিন বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট রেসেপি তৈরির করেন আর সবাইকে খাওয়ান। এই রেসিপিগুলো নিয়ে বাবার সাথে তার প্রায় ঝগড়া হয়। বাড়ির প্রধান কর্তা বড় চাচা চৌধুরী আজমল হোসেন। একসময় হাই কোর্টে ওকালতি করতেন। বাড়ির সব বিচার তিনিই করেন। ছোট মামা শুভ্র। সে প্রতি বছর এক্সামে ফার্স্ট হয়। টগরের ধারণা সে ফার্স্ট না হয়ে থাকতে পারে না। তার সবচেয়ে বড় গুণ সে ট্যারা হতে পারে। অনেক্ষন থাকতে পারে। টগরও চেষ্টা করছে। কিন্তু ছোট মামার মত হয় না। ছোট মামা হিমু হবেন। এ জন্য নাকি কঠিন অধ্যবসায় প্রয়োজন। গলা পানিতে ডুবে থেকে জোছনা দেখতে হয়। গলা পর্যন্ত মাটিতে গর্ত করে জোছনা দেখতে হয়। গালি পায়ে হাটতে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা অকারণে বসে থাকতে হয়। হলুদ পাঞ্জাবি পরে ঘুরতে হয়। অনেক নিয়ম। টগরের ইচ্ছে সেও বড় হয়ে হিমু হবে। কিন্তু বড়দের ধারণা হিমু হওয়া বড় কোন অপরাধ। তাই বড় চাচা ছোট মামার বিচার সভার আয়োজন করবেন। কিন্তু বড় চাচা জানল কেমন করে ছোট মামা হিমু হবে? টগর বলে বড় চাচার স্পাই আছে। সে নাকি নাকি বাড়ির সব কথা বড় চাচার কানে গিয়ে বলে দেয়। বিচারের সময় ছোট মামা বড় চাচাকে যুক্তি দিয়ে অনুমতি নেন পানিতে নামার। চৌবাচ্চা পানি দ্বারা পূর্ন করা হয়। ছোট মামা পানিতে নামেন। খাওয়া, বই পড়াও সেখানেই হয়। এরপর ঘটনাচক্রে কয়েকদিনের মধ্য টগরের স্যার রফিকউদ্দিন ভুইয়া যিনি খুব কড়া রকমের মানুষ, তিনিও নেমে পড়েন পানিতে। একে একে সংবাদ পত্রিকা, আত্মীয় স্বজন সবাই খবর পেয়ে দেখতে আসে হিমু হওয়া। তারপর? ছোট মামা কি পারবে হিমু হতে? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন হুমায়ূন আহমেদের লেখা- "হিমু মামা"। পাঠ প্রতিক্রিয়া: অসাধারণ একটা বই। হিমু সিরিজের একমাত্র বই যেখানে হিমু নেই। এখানে হিমু শুধুই একটি কাল্পনিক চরিত্র। খুবই মজার একটা গল্প। টগরদের বাসার অদ্ভুত কর্মকান্ড সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। সবচেয়ে মজা পেয়েছি সাইকিয়াট্রিস্ট আসার পরে রফিকউদ্দিন সাহেবের সাথে তার কথোপকথনটা। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫

আচ্ছা হিমু হতে হলে কি বড় হতে হয় ? অনেক বড় ? নাকি ছোটরাও হিমু হতে পারে ? কীভাবে হিমু হতে হয় ? আমি জানি না । তবে টগরের হিমু মামা জানে। টগর স্ট্যান্ডার্ড সিক্সে পড়ে । অতি ভালো ছেলে তবে দুষ্টুর শিরোমনি আর কি ! আজ সন্ধ্যায় টগরদের বাসায় ধুন্ধুমার কান্ড হবার কথা আছে । টগরের ছোটমামা অর্থাৎ শুভ্রকে ছেঁচা দেওয়া হবে । ছেঁচা দিবেন টগরের বড় চাচা চৌধুরী আজমল হোসেন । শুভ্র ভয়ানক অন্যায় করে ফেলেছে । বুধবার সকাল এগারোটায় হলুদ পাঞ্জাবি পরে হঠাৎ করেই সে হিমু হয়ে গেছে । শুভ্র ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছে । খুব ভালো ছাত্র । টগর তার মামার খুব ভক্ত । মামার কাছ থেকে এখন সে ট্যারা হওয়ার ট্রেনিং নিচ্ছে । টগরের মামা খুব ভালো ট্যারা হতে পারে । টগরদের বাসায় বাবা-মা , দাদিয়া , বড় চাচা , ছোট মামা আর ছোটবোন নিলু থাকে । বাসার সবার কান্ডকারখানা পড়লে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে । টগরের মা নানা রকম স্পেশাল আইটেম রান্না করেন । তবে সেগুলো খেতে বিদঘুটে হয় বলে বাসার কেউ খেতে পারে না । বড় চাচাকে বাসার সবাই ভয় পায় । তিনি টগরদের বাড়ির যে কোন অন্যায়ের বিচার করে থাকেন । দাদিয়া ছাড়া আর কারো বড় চাচার মুখের উপর কথা বলার সাহস নেই । দাদিয়া খুব ভালো । বাচ্চাদের খুবই আদর করেন । টগরের ধারণা তার স্ট্যান্ডার্ড সেভেনে পড়া বড় বোন নিলুর মাথায় কোন বুদ্ধি নেই , সে ঝগড়াটে স্বভাবের । ও টগর সম্পর্কে তেমন কিছুই তো বলা হল না । টগরের একটা গোপন জায়গা আছে । সিঁড়িঘরের সঙ্গের যে বাথরুম সেটার ফলস সিলিং হল টগরের গোপন জায়গা । thief box নামের একটা বাক্সে ছুরি করা জিনিস সে অল্প কিছু দিনের জন্য লুকিয়ে রাখে । তারপর যথাস্থানে ফেরত দেয় । পাপ-পুণ্যের হিসাব রাখার জন্য তার একটা খাতা আছে । টগর সারাদিন কী কী পাপ-পুণ্য করেছে তার হিসাব এই খাতায় লিখে রাখে । তার ধারণা দুষ্টুমি করলে পাপ হয় আবার ভালো কাজ করলে পাপ কাটা গিয়ে পুণ্য হয় । একারণেই দুষ্টুমি করলে ভালো কাজ করে পাপ কেটে দেয় । সন্ধ্যার পর বিচার শুরু হলে জানা গেল হিমু হওয়ার জন্য শুভ্র ছাদে মাটি তোলার জন্য লোক রেখেছে । বড় চাচা বিচার সভায় ঠিক করলেন শুভ্র কেন হিমু হতে চায় এটা নিয়ে তাকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে । প্রতিবেদন বড় চাচার কাছে জমা দিয়েই শুভ্র হিমু হওয়ার তপস্যা পুরোপুরি শুরু করে দিল । চৌবাচ্চার পানিতে গলা ডুবিয়ে বসে থাকা শুরু হল । ব্যাস , ওমনি চারদিকে নানা মজার ঘটনা ঘটতে লাগল । টগরের দুষ্টুমির মাত্রাও বেড়ে গেল , বাসায় নানা রকম অদ্ভূত ঘটনা ঘটা শুরু হল কিন্তু বড়রা সেগুলোর কিছুই ধরতে পারে না । টগরের রাগী গৃহশিক্ষক রকিব উদ্দিন ভূঁইয়া ও একসময় শুভ্রর সাথে পানিতে নেমে গেলেন । শুভ্রর চিকিৎসা করার জন্য নিয়ে আসা হল সাইকিয়াট্রিস্ট শামসুক হক পিএইচডি কে । ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার জন্য শুভ্র পানি থেকে উঠে পড়ল । বোকা সাইকিয়াট্রিস্ট শুভ্র ভেবে তিন ঘন্টা চৌবাচ্চায় কাটিয়ে দিলেন রকিব স্যারের সাথে আর বাসার সবাই তাকে গাধার বাচ্চা বলে গালি দিল । এদিকে এই ক'দিনে টগর ট্যারা হওয়া সিখে গেল । স্কুলের সবাই তাকে এখন ডাকে ট্যারা টগর । মূলত ছোটদের বই হলেও ছোট বড় নির্বিশেষে সকলেরই এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলের মত বই । ছোট বন্ধুরা হিমু মামা না পড়লে কিন্তু মজা মিস হয়ে যাবে ।