User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
কেউ বাচ্চাদের বা নিজের গুরুজনদের এই বই রেফার করে বা উপহার দিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারেন। কারন, বইটিতে kissing বুথ, তারপর হুমায়ুন আহমেদ Las Vegas এ থাকা অবস্থায় Top less resturent ( সেখানকার waitress রা কোনো শার্ট, ব্রা, গেঞ্জি কিছুই পড়ত না) তাদের বুক সম্পর্কে হুমায়ুন আহমেদের মন্তব্য ইত্যাদি.... বইটা আমি পড়ে, আমার ছোট ভাই-বোনদের থেকে লুকিয়ে রেখেছিলাম। সহজ বাংলায় বেশ ভালো পরিমাণে অশ্লীলতা থাকায় বইটা আমি পরিহার করার পরামর্শ দেই।
Was this review helpful to you?
or
Mind blowing book.
Was this review helpful to you?
or
The book "Hotel Graver Inn" explores late Humayun Ahmed's time at North Dakota State University while he was doing his Ph.D in Quantum Chemistry . He had a wonderful time there through both ups and downs - a must-read for those who wish to know, imagine & feel the North Dakota of 1980s .
Was this review helpful to you?
or
মনের তৃপ্তি মেঠায়
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
ভা
Was this review helpful to you?
or
গুড।
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে হুমায়ুন আহমেদ খুবই মজার ছলে তাঁর আমেরিকা থাকাকালীন কিছু মজার ঘটনা তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Was this review helpful to you?
or
Fabulous
Was this review helpful to you?
or
faltu
Was this review helpful to you?
or
Hotel Graver Inn is a travel book written by Bangladeshi novelist Humayun Ahmed. He describes some of his experiences while living in Fargo City, USA, to earn a Ph.D. The book also mentions some of Humayun Ahmed's family life and his book contains a wealth of jokes. It was first published in Kakali Publications on August 7. The cover was drawn by Obaydul Islam. In the book Hotel Graver Inn, Humayun Ahmed continuously mentions the events of his life while staying in America. From Going, America to return. Hotel Graver Inn, Life at Dunbar Hall, Bangladesh Night, The Kissing Booth, The first snowfall, Mother, In this house, Marathon Kiss, Las Vegas, Sheila was born, The bird, In the camp, Comes by name, etc are the discussed topic of the book Hotel Graver Inn Humayun Ahmed. If you read the book, you will know the fantastic facts of Humayun’s life in America.
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের এই "হোটেল গ্রেভার ইন" বইটিকে কী ধরণের বই বলব? আত্মজীবনী মূলক বই? নাকি ভ্রমণকাহিনী নির্ভর বই? নাকি নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে কল্পনায় বানানো গল্প? হুমায়ূন আহমেদ অবশ্য নিজেই এর সমাধান দিয়েছেন। এটাকে তিনি তার স্মৃতিকথা বলেই আত্ম স্বীকৃতি দিয়েছেন। হোটেল গ্রেভার ইন বইটিতে তিনি তার প্রথমবার দেশের বাহিরে গিয়ে আমেরিকার জীবনের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন। হতাশ হইনি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিণী গুলতেকিন কে নিয়ে লেখা চমৎকার একটি বই, যাদের হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে তারা অবশ্যই এ বইটি পড়তে পারেন
Was this review helpful to you?
or
বই : হোটেল গ্রেভার ইন। লেখক : হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনী : কাকলী প্রকাশনী। প্রথম প্রকাশ : ১৯৮৯। মূল্য : ১০০টাকা। #আলোচ্য_বিষয় বইটা স্যারের প্রবাস জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি কথা দিয়ে সাজানো। খন্ড খন্ড কিছু গল্প,কিছু অনুভূতি যা থেকে স্যার সম্পর্কে আমরা একটু আধটু ধারণা পেতে পারি। অনেকের কাছেই মনে হতে পারে এ আর এমন কি! সাধারণ স্মৃতি মাত্র! কিন্তু এই সাধারণ স্মৃতিকথা টুকুন যিনি অসাধারণ করে তুলেছেন সে হুমায়ূন আহমেদ। প্রথম বিদেশ যাত্রার অনুভূতি, হোটেলে একা একা থাকার কষ্টকর জীবনের গল্প! ছোট ভাই কর্তৃক ডলার পাঠানোর ঘটনা! যে কিনা বড় ভাইয়ের আগেই পিএইচডি করতে আমেরিকায় গিয়েছিল, সেই ভাইয়ের লিখা এত সুন্দর অথচ তার প্রাপ্য সম্মান না পাওয়াতে বড় ভাইয়ের আক্ষেপ! স্ত্রী কে লিখা দীর্ঘ চিঠি! যে চিঠি পড়ে স্যারের স্ত্রী গুলতেকিন এইচ.এস.সি পরীক্ষা ফেলেই স্বামীর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। প্রথম সন্তানের পিতা হবার অনুভূতি! প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, খুনসুটি, প্রেম! কী নেই এই বইয়ে? যে স্ত্রী স্বামীর কষ্টের কথা শুনে সব ছেড়ে সুদূর আমেরিকায় চলে আসে, কাজের চাপে তার সাথেই ঝগড়া বাধিয়ে বসেন। ঘরে ছেড়ে চলে যাবার পরেও নির্বিকার বসে ভাবেন,কই আর যাবে? এমনি নির্লিপ্ততা শুধু এমন প্রতিভাবানরাই হতে পারে। কারণ সাধারণ মানুষ কখনো এমন হয় না, হতে পারে না। কিন্তু দুই দিনেও স্বামী সন্তানের কাছে ফিরে না এসে,উকিলের মাধ্যমে ডিভোর্সের খবর গুলতেকিন! স্যার এবার উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন। কিন্ত পর দিন সকালবেলা বলা নেই কওয়া নেই বাড়ি ফিরে স্যারকে চমকে দেন। বাড়ি ফিরে এমন ভাবে চা করে এনে স্যারকে দেন যেনো কিচ্ছুটি হয়নি কখনো। এত সাধারণ কথা গুলিই অসাধারণ জাদুময় ভঙ্গিমায় বর্ণনা করেছেন গল্পের জাদুকর। এই জাদুকর যেখানেই গিয়েছেন তিনি জয় করেছেন শত শত মানুষের হৃদয়। হয়ত তার লেখার মতই ছিল তার কথা বলার ধরণ, যা তার চারপাশের মানুষকে মুগ্ধ করেছে, সম্মোহিত করেছে, বিভোর করেছে ভালোবাসায়। রেস্টুরেন্ট এর বেয়ারা থেকে শুরু করে বাড়িওয়ালী, ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকের, প্রতিবেশীর আর বন্ধুবান্ধবের তো বটেই, সবাই তাকে ভালোবেসে আপন করে নিয়েছে অল্পতেই । ঝুলি ভরে দিয়েছে স্নেহ আর মমতায়। তিনি তার কথার জাদু কলমের সাহায্যে সুনিপুণ ভাবে তুলে ধরেছেন, জাদুকরী ভাষার মর্মস্পর্শী বর্ণনায় জয় করে নিয়েছেন কোটি কোটি পাঠকের হৃদয়। আর হৃদয়মাঝে শক্ত করে গেঁথে দিয়েছেন তার বিজয় পতাকা। এই বইয়ের বেশ কিছু অংশ আগেও পড়েছি। কোথায় পড়েছি কবে পড়েছি তা যেমন জরুরী নয়। মনেও নেই। মনে রাখার প্রয়োজন ও নেই। ???বই হোক ভালোবাসার প্রতীক???
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ হোটেল গ্রেভার ইন(হার্ডকভার) লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ কাকলী প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ ওবায়দুল ইসলাম পৃষ্ঠাঃ ৮০ মুদ্রিত মুল্যঃ ১০০৳ বইয়ের ধরনঃ জীবনী,স্মৃতিচারণমূলক #রিভিউঃ বাংলা কথাসাহিত্যের এক অমূল্য রত্নবিশেষ হুমায়ুন আহমেদ। পড়াশোনার একপর্যায়ে পিএইচডি করতে তিনি আমেরিকায় গমন করেন। দীর্ঘ ছয় বছর কাটান সেখানে। তার কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা অভিজ্ঞতা তিনি পাঠকদের কাছে তুলে ধরেন “হোটেল গ্রেভার ইন” বইয়ে। একদিকে বইটিকে যেমন লেখকের আত্মজীবনী বললে ভুল হবে না, অন্যদিকে ভ্রমণকাহিনী বললেও বিশেষ ক্ষতি নেই। তিনি তার স্মৃতিকথাগুলো গল্পাকারে এমন করে বলেছেন পড়ে মনে হতে পারে রূপকথার কোন কাহিনী। কিন্তু সবই ছিল বাস্তব ঘটনার আলোকে লেখা। বইয়ের প্রতিটা গল্পকে সুন্দর করে চ্যাপ্টারভিত্তিক সাজানো হয়েছে। পাঠকদের সুবিধার জন্যে চ্যাপ্টারের সূচিটা দিলাম- সূচীপত্রঃ হোটেল গ্রেভার ইন, ডানবার হলের জীবন, বাংলাদেশ নাইট, কিসিং বুথ, প্রথম তুষারপাত, জননী, এই পরবাসে, ম্যারাথন কিস, লাস ভেগাস, শীলার জম্ম, পাখি , ক্যাস্পে, নামে কিবা আসে যায়। বইয়ের ভেতরে রসদ যা আছে তা পাঠকদের জন্যে তোলা রইল। সবশেষে বলা যায় যে, বইটি নিঃসন্দেহে ভালো। আর হুমায়ুন আহমেদের লেখার স্টাইল নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। বিশেষ করে ভাষার কারুকার্য কোনো ভাবেই উপেক্ষা করার মতো নয়। কিছু কিছু অংশে হাস্যরস ও কৌতুকের প্রবেশ বইটির আবেদনকে আরো তীব্র করেছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, লেখকের এই অনবদ্য সৃষ্টি পাঠকের মনে সাড়া দেবেই। সে হিসেবে বইটির রেটিং আমার কাছে ৫/৫। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/1229/হোটেল-গ্রেভার-ইন
Was this review helpful to you?
or
নিকোলাই গোগল থেকে সৈয়দ মুজতবা আলী –বিখ্যাত লেখকদের বেশির ভাগেরই দেখেছি দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা আছে। শুনেছি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহও “চাঁদের অমাবস্যা”র গ্রামীণ পটভূমি ফুটিয়ে তুলেছিলেন ফ্রান্সে বসে। শেকড় থেকে দূরে অন্য এক জগতে যখন ইন্দ্রিয়গুলো আরও সচেতন আরও সূক্ষ হয়ে ওঠে তখন সাধারন দেখাটাও আর সাধারন থাকে না, উপলব্ধি গুলোকেও হয়ত আরও নিপুণভাবে শব্দরূপ দেয়া যায়। আর এই ব্যাপারটাই তাদের লেখনীতে নিয়ে আসে নতুন মাত্রা। প্রবাসী লেখক যেন তাই আমাদের আরও কাছের মানুষ, তার দেখার চোখ দিয়ে যখন অদেখাকে দেখছি যেন আরও ভাল লাগছে। প্রিয় লেখক ও কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদও মুগ্ধ করলেন প্রবাস জীবন নিয়ে তার লেখা “হোটেল গ্রেভার ইন” বইতে। নাম শুনেই মনে হয়েছিল এ বুঝি লেখকের ভাললাগার কোন হোটেলের গল্প। কিন্তু না, প্রথম অধ্যায়েই ভুল ভাংল। পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের উদ্দেশ্যে লেখক পাড়ি জমান আমেরিকার ডাকোটা রাজ্যে। সেখানে প্রথম যে হোটেলটিতে ওঠেন সেটিই হোটেল গ্রেভার ইন। তবে নামে হোটেল হলেও এটি মূলত ছাত্রাবাস। সতেরো বছর বয়সী স্ত্রী গুলতেকিনকে বাড়িতে ফেলে এলেন, তার গর্ভে তাদের প্রথম ভালবাসার ফুল। প্রতিদিন সেই একই ফ্রেঞ্চটোস্ট খেয়ে দিন পার করতে করতে মোটামুটি যখন আমেরিকাকে বেশ ভালই অপছন্দ করে ফেলেছেন ঠিক তখনই তিন ওয়েট্রেস তরুনী তাঁর ধারনাই পালটে দিল নতুন এই দেশটির ব্যাপারে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে শুন্য থেকে কি করে একশ হাঁকালেন সে ঘটানারও উল্লেখ আছে এ বইতে। বাংলাদেশ নাইট অংশটা পড়ে রাশভারী পাঠকের মুখেও হাসি ফুঁটবে। পুরো বইয়ের সবচেয়ে মর্মস্পর্শী অধ্যায় বোধহয় “জননী”। পৃথিবীজুড়ে মায়েরা বুঝি একই রকম হন। মাতৃস্নেহের স্বাদও একই, শুধু দেশ ও জাতিভেদে মায়েদের একেক রূপ আমরা দেখতে পাই। শিলার জন্ম তার প্রবাস জীবনে অন্যতম হাসি-আনন্দের ঘটনাগুলোর একটি। অপরদিকে প্রবাস কখনও মানুষকে এমন কিছু করতেও প্রেরণা যোগায় যা হয়ত দেশে বসে ভাবা যায় না – এই কথাটি বলতে চেয়েছেন “এই পরবাসে” প্রসঙ্গে এসে। “কিসিং বুথ”, “ম্যারাথন চুমু” বা “লাস ভেগাস” এর কথা পড়তে পড়তে অপর একটি সংস্কৃতির নানা দিকের প্রতি লেখকের বিস্ময় দেখতে পাই। একে বিস্ময় বলছি এই কারনে যে এই লেখাগুলো পড়লে কেউ বলতে পারবে না হুমায়ূন আহমেদ এই অসামঞ্জস্যতাকে নিন্দা করেছেন বরং এটা বলাই ভাল যে এই বৈসাদৃশ্য তাঁর চোখে এক ধরনের বৈচিত্রই। আবার তাঁর কাছে অদ্ভূত ঠেকে কি করে একই আমেরিকানরা যারা ছোট্ট একটি পাখিকে কত যত্নে তার দলে ফিরিয়ে দেয় তারাই কিনা মাই-লাই হত্যাকান্ড চালায় আর হিরোশিমা-নাগাসাকিতে বোমা ফেলে। তবে এই বৈপরীত্য কি প্রত্যেক জাতিরই বৈশিষ্ট নয়? এক তরফা ভাল বা খারাপ কি কাউকেই আমরা বলতে পারব? আমেরিকান জীবনযাত্রার প্রভাব প্রবাসী জীবনে না পড়ে পারেই না! গ্রীস্মের ছুটিতে রোদে পুড়ে কালো হয়ে “ক্যাম্প” ফেরত আমেরিকানদের দেখাদেখি লেখকও শখ করেন ক্যাম্পিংয়ের। “নামে কি বা আসে যায়” এই লিখাটা সম্ভবত ইচ্ছে করেই লেখক সবশেষে রেখেছেন। আমেরিকানরা কিছুতেই লেখকের নাম ঠিকমত বলতে পারত না - সবার দৌড় ছিল এই হামাদ, মায়ান আর হাকু পর্যন্তই! লেখকের মতে এরা বিদেশীদের নাম ইচ্ছে করেই ঠিক উচ্চারণে বলতে চায় না। নিজের নামের উচ্চারণ শুদ্ধিকরণের ব্যাপারটার যেন শেকড়ে ফেরার একটা রূপক মাত্র। তাই বইয়ের শেষে এসে আমরা প্রবাস ঘুরে ফের যেন যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখানেই গিয়ে দাঁড়াই। “হোটেল গ্রেভার ইন” হুমায়ূন আহমেদের প্রবাস জীবনের স্মৃতিমালা। বরাবরের মতই তিনি দক্ষ গল্প বলিয়ের পারদর্শীতায় তার আমেরিকা প্রবাসের টুকরো টুকরো ঘটনা গুলো লিখেছেন এই বইতে। এ যেন পাঠকের সাথে লেখকের একান্ত আলাপচারিতা, যেন চায়ের টেবিলে লেখকের সাথেই বসে তার আমেরিকান জীবনের নানান সুখ-দুঃখ আর হাসি-কান্নার গল্প শোনা। তাই বলতে হবে বইটি দীর্ঘ প্রবাস জীবনের হাজারো ঘটনার মধ্য থেকে চূনী-পান্না বেঁছে তৈরী করা এমন একটি মালা যা লেখকের অভিজ্ঞ মনের সাথে পাঠকের আনকোরা মনের মিল করে দেয়।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। তাঁর লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলোও অত্যন্ত রসাত্মক ও সুখপাঠ্য। ’হোটেল গ্রেভার ইন’ ও সেইরকম এক ভ্রমণ কাহিনী ও স্মৃতিকথা যা পাঠকের কাছে বেশ তুমুলভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। এই বইটির একটি বিশেষত্ব হচ্ছে- বিদেশে ঘটে যাওয়া স্মরণীয় কিছু ঘটনাকে নিয়ে বইটি লেখা হলেও তার পাশাপাশি জন্মভূমির প্রতি লেখকের টানটাও ভালোভাবে বোঝা যায় বইটি পড়লে। চলুন বইটির সূচীপত্র ঘুরে আসি- হোটেল গ্রেভার ইন /ডানবার হলের জীবন /বাংলাদেশ নাইট /কিসিং বুথ /প্রথম তুষারপাত /জননী / এই পরবাসে /ম্যারাথন কিস /লাস ভেগাস /শীলার জম্ম /পাখি /ক্যাম্পে /নামে কিবা আসে যায়। ১৯৭৭ সালে লেখক হুমায়ূন আহমেদ লেখাপড়া করার জন্য আমেরিকায় যান। উনার কাছে বিদেশ ভ্রমন করার চেয়ে ভ্রমন কাহিনী পড়তে বেশি ভাল লাগে। কিন্তু কি আর করার এ যে ভাগ্যের লিখন। অন্যদিকে তার ১৭ বছর বয়সের স্ত্রী গর্ভবতী!! দেশে সতেরো বছর বয়সী প্রথম সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে রেখে দেশের বাইরে আসায় লেখকের গ্লানিবোধ পাঠককেও আবেগে আপ্লুত করবে।আর এ নিয়েই বইয়ের গল্পের শুরু। "হোটেল গ্রেভার ইন" এই গল্পটি বইটির প্রথম গল্প। হোটেল গ্রেভার ইন মূলত একটি হোটেলের নাম। এই হোটেলটি তার মালিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য দান করে গিয়েছেন। আর তার মধ্যেই লেখকের থাকার ব্যবস্থা হয়। হোটেলের সব কিছুতেই একটা পুরনো পুরনো ভাব আছে যা হয়তো হোটেল কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাকৃত। তার মধ্যেই কাটতে থাকে আমেরিকায় থাকা অবস্থায় হুমায়ূন আহমেদের এর প্রথমকার দিন গুলো। কিন্তু মন কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছেনা এই পরিবেশের সাথে। তাহলে, তাহলে কি চলে যেতে হবে এখানটা ছেড়ে? নাকি কোন এক ভালবাসার কোমল পরশ সেই ছটফট করা মনকে শান্ত করে দিবে আর তার পাশাপাশি নিয়ে যাবে স্বপ্ন পূরনের একধাপ আগে!! লেখকের ইউনিভার্সিটিতে জীবন সংক্রান্ত স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা পরবর্তী অধ্যায় "ডানবার হলের জীবন"। আমেরিকায় বাংলাদেশীদের উৎসব বিষয়ক লেখা "বাংলাদেশ নাইট"। ল্যাবরেটরি বন্ধ করে হোটেলে ফিরে আসার সময় অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা অধ্যায় "প্রথম তুষারপাত"। আমেরিকায় লিভারেল নামে একজনের মায়ের ভালবাসা নিয়ে লিখেছেন "জননী" অংশে। এভাবেই এগিয়ে যায় বইটি। লেখকের নাম উচ্চারণ নিয়ে স্থানীয়দের মজার গল্প , ডঃ গ্লাসের সাথে নাম বিষয়ক মজার গল্প নিয়ে লেখা শেষ অধ্যায় "নামে কিবা আসে যায়"।
Was this review helpful to you?
or
অবাক হলেও সত্য, ঘুণে ধরা পশ্চিমা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় তারা মরিয়া! এমনকি আমাদের আধুনিক সমাজও এসব নষ্ট সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় অকাতরে অর্থ বিলাচ্ছে! ভ্যালেন্টাইন্স ডে, সুন্দরী প্রতিযোগিতা, নাটক এবং সিনেমার মাধ্যমে তারা উপমহাদেশীয় সভ্য সমাজে অসভ্যতা আর অশ্লীলতা ছড়িয়ে যাচ্ছে! আল্লাহ মুহাফিজ।
Was this review helpful to you?
or
josss ekta boi u should must read
Was this review helpful to you?
or
ভাল বই
Was this review helpful to you?
or
Interesting book to read. Funny stories about university life of a desi boy in bidesh.
Was this review helpful to you?
or
Outstanding
Was this review helpful to you?
or
চমতকার প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা, কাহিনী পড়ে মনে হয় স্বশরীরে সেখানে উপস্থিত আছি।
Was this review helpful to you?
or
হোটেল গ্রেভার ইন লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ কাকলী প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ ওবায়দুল ইসলাম পৃষ্ঠাঃ ৮০ মুল্যঃ ১০০৳ ধরনঃ স্মৃতিচারণ/জীবনী/ ভ্রমণকাহিনী কিছু ছোট গল্পের সমন্বয়ে এই বই...। না গল্প না , লেখকের জীবনের কিয়দাংশ............। * হোটেল গ্রেভার ইন * ডানবার হলের জীবন * বাংলাদেশ নাইট * কিসিং বুথ * প্রথম তুষারপাত * জননী * এই পরবাসে * ম্যারাথন কিস * লাস ভেগাস * শীলার জম্ম * পাখি * ক্যাস্পে * নামে কিবা আসে যায়, এইত এই ক’টি গল্পের মিশালী...। কাহিনী সংক্ষেপঃ হুমায়ূন আহমেদ। অনেক কষ্টে করা পড়াশোনার একপর্যায়ে পিএইচডি করতে তিনি আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ পান । বেশ কিছু বছর কাটান সেখানে। সেটা ১৯৭৭ সালের কথা............।। মাত্র ২০ ডলার হাতে নিয়ে পাড়ী দিয়েছিলেন আমেরিকার পথে............ তার কাটানো বেশ কিছু মুহূর্ত, নানা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা তিনি পাঠকদের কাছে তুলে ধরেন “হোটেল গ্রেভার ইন” বইটিতে। দেশে সতেরো বছর বয়সী প্রথম সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে রেখে দেশের বাইরে আসায় লেখকের গ্লানিবোধ পাঠককেও আবেগে আপ্লুত করবে।আর এ নিয়েই বইয়ের গল্পের শুরু। "হোটেল গ্রেভার ইন" এই গল্পটি বইটির প্রথম গল্প। হোটেল গ্রেভার ইন মূলত একটি হোটেলের নাম। এই হোটেলটি তার মালিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য দান করে দেন, ৩০৯ নাম্বার রুমে আছে একজন ভূত.........। লেখক কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না সে দেশে, নিজের দেশে চলে যাওয়ার জন্য সে অস্থির.........। আমেরিকাবাসীর একটা মজার কথা শেয়ার করেছেন, একদিনের “হানি” আরেকদিনের “হেমলক” ..অর্থকষ্টে থাকা লেখক দিনের পর দিন “ফ্রেঞ্চ টোষ্ট” খেয়ে থেকেছেন.........।। .একদিন ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে, যখন মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাথে তার যোগাযোগ হয়।। আরো কত ছোটবড় স্মৃতি আছে।প্রতিটা শিরোনামের পেছনের গল্প অন্য রকম, যেমন আমেরিকায় লিভারেল নামে একজনের মায়ের ভালবাসা নিয়ে লিখেছেন "জননী" অংশে। এভাবেই এগিয়ে যায় বইটি। লেখকের নাম উচ্চারণ নিয়ে শেষ অধ্যায় "নামে কিবা আসে যায়"। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ যেহেতু এটি একটি জীবনী বলা চলে সেহেতু এটির লেখনী নিয়ে মন্তব্য করাটা বেশ শক্ত............ একজন লেখকের জীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ কিছু মানুষকে উৎসাহ যেমন দেবে, তেমন সাহস জোগাবে...। লেখা আজ থেকে ৪০ বছর আগেকার............... কিন্তু পড়ে মনে হবে, আরে এটা আজকের গল্প নয় তো?? তবে লেখা পড়ে মনে হবে আমেরিকার মানুষ গুলো কে আমরা অনেক নির্দয় কিংবা নির্মম ভাবি, অতটা এরা হয়ত না .........।। বাবার মৃত্যুর পড়ে অনেক সংগ্রাম করে লেখক আমেরিকা অবধি পৌঁছান............... তার ও তার পরিবারের সবাই প্রাপ্য সম্মান কতটা পেয়েছেন জানিনা, তবে বোধকরি আর বেশি পাওয়ার কথা ছিল তাদের.........।। রেটিংঃ ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
একজন মানুষ যে তার জীবনের গল্প এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তা এই বই না পরলে কখনই বুঝতে পারতাম না।
Was this review helpful to you?
or
One of the best Humayun Ahmed is this one. One true legend of Bangladesh. Proud to be a fan of him. This book is one of his master piece. Loved the book. Amazing writing. Amazing story Line. Loved it. All of it.
Was this review helpful to you?
or
শুদ্ধ আবেগের উপন্যাস আর অদ্ভুত অনুভূতির গল্প পরম মমতায় কালো অক্ষরের জালে বন্দী করাই যার স্বভাবজাত ক্ষমতা, সেই হুমায়ূন আহমেদের আর একটি ক্ষমতা তাকে সমান জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। সেটি হলো ভ্রমণকাহিনী এবং স্মৃতিকথা জাতীয় রচনা। ছোটগল্প আর অসংখ্য উপন্যাস লেখার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন বেশ কয়েকটি ভ্রমণকাহিনী, যাতে তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ রসিকতা আর আবেগের মিশেলে তুলে ধরেছেন সেই সব দিনের শহর, মিথ আর তার জীবনের গল্পগুলো। "হোটেল গ্রেভার ইন" তাঁর প্রথম দেশের বাইরের ভ্রমণ কাহিনী। আমেরিকার নর্থ ডাকোটায় যখন তিনি পিএইচডি করতে যান, তারপর তাঁর সেখানকার অভিজ্ঞতা- অনুভূতির পাতাবন্দী সংকলন "হোটেল গ্রেভার ইন"। সমগ্র বইটি ভিন্ন আমেজ এবং বহুমাত্রিক ব্যাঞ্জনার ১৩টি আলাদা শিরোনামে ভাগ করা হয়েছে। 'এলেম নতুন দেশে' বাক্যটি দিয়ে শুরু হয়েছে বইটির প্রথম অধ্যায়- "হোটেল গ্রেভার ইন"। ভোর চারটায় ডাকোটা রাজ্যের হেক্টর এয়ারপোর্টে নামার মাধ্যমে লেখা এগিয়েছে। দেশে সতেরো বছর বয়সী প্রথম সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে রেখে দেশের বাইরে আসায় লেখকের গ্লানিবোধ পাঠককেও আবেগে আপ্লুত করবে। ইউনিভার্সিটি থেকে দশ কিলোমিটার দূরের হোটেল গ্রেভার ইন এ শুরু হয় তার দিনযাপন। তাঁর পাশের রুমের নব্বই বছরের বুড়ির অদ্ভুত কার্যকলাপ, 'বিফ এন্ড বান' রেষ্টুরেন্টে প্রথমে নিঃসঙ্গ পরে আবেগময় পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়া তিন তরুণীর ঘটনা পাঠক ভালোবাসা নিয়ে পড়বে। ইউনিভার্সিটিতে তাঁর ক্লাশ এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা পরবর্তী অধ্যায় "ডানবার হলের জীবন"। কোর্স টিচার মার্ক গর্ডনের সাথে তার সাবজেক্ট নিয়ে জটিলতা, প্রথম পরীক্ষায় জিরো এবং এরপর সাফল্যের গাঁথা এই অধ্যায়। মোরহেড ষ্টেট ইউনিভার্সিটির মিজানুল হকের সাথে আমেরিকায় বাংলাদেশীদের নিয়ে উৎসব বিষয়ক লেখা "বাংলাদেশ নাইট"। আগত অতিথিদের সম্মানে খিঁচুড়ি রান্না নিয়ে উদ্ভূত জটিলতা এবং পরিশেষে এর অপ্রত্যাশিত সমাধান পাঠককে আবেগে ভেজাবে। স্প্যানিশ-আমেরিকান ছাত্রীর 'কুইন' নির্বাচিত হয়ে নীল তিমিদের বাঁচাতে অর্থ সংগ্রহের জন্য আয়োজিত প্রোগ্রাম নিয়ে লেখা মজার অংশ "কিসিং বুথ"। ল্যাবরেটরি বন্ধ করে হোটেলে ফিরে আসার সময় অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা অধ্যায় "প্রথম তুষারপাত"। নিজের মা ছাড়াও যে জীবনে অন্য কেও 'মা' হয়ে আসে তার স্মৃতি হাতড়েছেন "জননী" অংশে। ছোটবেলায় সিলেটে থাকার সময় এরকম একজনের ভালবাসা এবং কাকতালীয় ভাবে আমেরিকায় লিভারেল নামে এরকম একজনের মাতৃ ভালবাসা গভীর আবেগে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রবাসে নিঃসঙ্গ জীবন এবং তারপর স্ত্রী গুলতেকিনের হঠাত করে আমেরিকা চলে আসার পরের মুগ্ধময় গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে "এই পরবাসে" শিরোনামের অংশটি। লেখকের এক ছাত্রের টার্ম ফাইনালের আগে তার বান্ধবীর সাথে তাদের বাবা-মার উপস্থিতিতে চুমুতে বিশ্বরেকর্ড গড়ার গল্প "ম্যারাথন কিস"! মেজ মেয়ে শীলার জন্মের চোখ ভেজানো স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা "শিলার জন্ম" অংশটি। সামান্য একটি আহত পাখিকে কুড়িয়ে পাওয়ার পর আমেরিকানদের উচ্ছ্বাস এবং অকল্পনীয় কার্যকলাপ নিয়ে লেখা "পাখি" অধ্যায়টি। অন্য আমেকানদের মত লেখকের নিজেরও শহর থেকে দূরে পাহাড়ি জায়গায় সাতদিন সপরিবারে ক্যাম্পিং করে থাকার গল্প নিয়ে লেখা "ক্যাম্প"। লেখকের নাম উচ্চারণ নিয়ে স্তানীয়দের জটিলতা , ডঃ গ্লাসের সাথে নাম বিষয়ক মজার কান্ড এবং অদ্ভূত নাম নিয়ে লেখা শেষ অধ্যায় "নামে কিবা আসে যায়"। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রবাস জীবনের গল্পগুলি পরম মমতায় তুলে এনেছেন "হোটেল গ্রেভার ইন"এ। যার প্রতিটি অংশে পাঠক লেখকের সাথে ঘুরবে সূদুর নর্থ ডাকোটায়। ভূমিকায় লেখক নিজেই বলেছেন- "আমার তু্চ্ছ স্মৃতিকথা যে পাঠকদের এত ভাল লাগবে তা আগে বুঝতে পারি নি। আমার ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো-এ আলো আমি কোথায় রাখব?"
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন সাহেবের সব লেখাই একটা আরেকটার চেয়ে সেরা। তবুও যদি "আমার প্রিয় হুমায়ূন" নামে কোন তালিকা করি তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেখানে হোটেল গ্রেভার ইন থাকবে। আমার বই, মুভি এগুলা রিভিশন দিতে ভাল লাগে না। কিছু ব্যতিক্রমের মধ্যে হোটেল গ্রেভার ইন। সেই ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত, মাত্র ৮০ পৃষ্ঠার এই বইয়ে লেখকের প্রবাসী জীবনের গল্প আছে মোট ১৩টি। তিনি আমেরিকার নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইডি করতে গিয়ে সেদেশে ছিলেন সাত বৎসর। সেসময়ের নানা ঘটনা নিয়েই এই বই। প্রথম দিকে ইউনিভার্সিটি থেকে তার থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল ক্যাম্পাস থেকে ১০কিলো দূরে থাকা "হোটেল গ্রেভার ইন"-এ। তাই বইয়ের নাম এসেছে কোথা থেকে যা বোঝাই যায়। হুমায়ূন আহমেদ যে কতোটা শক্তিশালী লেখক সে সম্পর্কে ধারণা পাই আমি "বাংলাদেশ নাইট" নামের গল্পটা পড়ে। দেশপ্রেমে উন্মাদ এক ছাত্র মিজানের গল্প, লেখক আর মিজান মিলে উদ্ভট খিচুড়ি রান্নার গল্প পড়ে আমার অট্টহাসি শুনে আম্মা রুমে এসে দেখে আমার চোখে পানি! মাত্র ৫ পৃষ্ঠায় পাঠককে একবার হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দেওয়ায় আবার ইমোশনাল করে ফেলার মত শক্তি এই লোকের লেখা ছিল... সেদিন এক বন্ধু বলসিল সে নাকি তিনগোয়েন্দার পড়া আমেরিকার সাথে নিজ চোখে দেখা আমেরিকা মিলিয়ে নেয় বারেবার। জানিনা সে যোগ্যতা আছে কী না তবে কোন দিন আমেরিকা যাইতে পারলে আমি তা হুমায়ূন আহমেদের চোখ দিয়ে দেখব নিশ্চিত! পারলে খুঁজে বের করব - হোটেল গ্রেভার ইন।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ বইটিকে একাধারে আত্মজীবনীমূলক বই এবং ভ্রমণকাহিনী বলা যায়। ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ বইটিতে লেখকের আমেরিকা থাকাকালীন সময়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। লেখক উচ্চশিক্ষার্থে প্রায় ছয় বছর আমেরিকা ছিলেন। তাঁর জীবনের সেই ছয় বছরে তিনি বিভিন্ন বিষয় দেখেছেন। তাঁর জীবনের সে সব কথা এই বইয়ে উঠে এসেছে। সে হিসেবে ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ একটি আত্মজীবনীমূলক বই। আবার লেখক আমেরিকা থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেছেন। সে সব ভ্রমণের গল্পও এই বইয়ে নানাভাবে এসেছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ একটি ভ্রমণকাহিনী। হুমায়ূন আহমেদ আমেরিকা গিয়ে প্রথম যে হোটেলে ওঠেন সেটার নাম ‘হোটেল গ্রভার ইন’। সেই হোটেলের নাম অনুসারেই এই বইয়ের নামকরণ করা হয়েছে। লেখক আমেরিকা গিয়েই বেশ নিঃসঙ্গতায় ভুগতে শুরু করেন। সেই কথা বইয়ের প্রথমেই উঠে এসেছে। এবং পুরো বই জুড়েই বারবার লেখকের দেশের প্রতি টানের কথা, দেশের জন্যে ভালোবাসার কথা উঠে এসেছে। পুরো ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ বইটিকে কতগুলো পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে যেমন আছে লেখকের গবেষণাপত্র নিয়ে লাস ভেগাসে যাওয়ার কথা, তেমনি আছে লেখক কন্যা শীলার জন্মকথা। আবার বিদেশ-বিভূঁইয়ে গিয়ে লেখকের এক বিচিত্র মহিলার সাথে দেখা হয়েছিলো, যিনি লেখককে প্রায় মায়ের ভালোবাসা দিয়েছলেন। সে গল্প উঠে এসেছে বইটির ‘জননী’ পরিচ্ছেদে। মোটকথা বলা যায়, লেখকের ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ বইটি হল আমেরিকা থাকাকালীন তাঁর বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সমন্বয়। ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ বইয়ে আমরা আমেরিকানদের সংস্কৃতি, তাদের আচার-আচরণ সম্পর্কেও বেশ ভালো ধারণা পাই। তারচেয়ে বড় কথা এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে ছোট ছোট গল্পের ছলে, অত্যন্ত সাবলীলভাবে। এই বইটি পড়ার সময় পাঠকের মনে হবে তিনি নিজেই যেন আমেরিকাতে চলে গেছেন, লেখকের পাশে দাঁড়িয়ে প্রথম তুষারপাত দেখছেন। অসাধারণ এই বইটি আমার ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে।