Our User Product Reviews

বইটা খুব খুব খুব সুন্দর।

অসম্ভব সুন্দর লেখনশৈলী। প্রচ্ছদটাও বেশ কালারফুল। কাল হাতে পেয়ে পড়ে ফেলেছি।

??

আজ পর্যন্ত আমার পড়া শ্রেষ্ঠ বই! এত চমৎকারভাবে যে নিজের অতিতকে বর্ণনা করা সম্ভব তা বোধহয় এই বইটি না পড়লে কখনো জানতেই পারতাম না! ৬ষ্ঠ কিংবা ৭ম শ্রেণিতে থাকতে আব্বা একটা বইমেলা থেকে বইটা কিনে এনেছিলেন আমার জন্য। তারপর থেকে কতবার যে বইটা পড়েছি তা গুনে শেষ করা যাবে না!!! এখনও মাঝে মাঝে সময় পেলেই বইটা নিয়ে কল্পনার জগতে ডুব দেই আমি!!!

ভাল বই

অসাধারণ একটা বই। কিছুটা আমার ছোটবেলার সাথে মিল রয়েছে??।

ভালো

Mutamuti

আমার পড়া প্রথম নন অ্যাকাডেমিক বই। খুবই সুন্দর বাস্তব গল্প?।

this book was awesome.

চমৎকার

The first one of Humayan Sir which i have been read and it inspires me to read more and more and more.

humayan ahmed somporke janar agroho cotobela thekei,,,,,ai boite onkta tar celebelar cittakorsok bisoyguloke futiya tulece,,,,,

Best ?

খুব ভালো বই।লেখক তার ছেলেবেলার কথা তুলে ধরেছেন। বইটি পড়ে ভালো লেগেছে।

If you haven’t read this book yet you don't know anything about Humayun Ahmed

That's an amazing book!

very good book

বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কালজয়ী কথাসাহিত্যিক হলেন হুমায়ুন আহমেদ , যাকে নিয়ে আজও মানুষের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন রয়েছে , তার ছোটবেলা নিয়েই তাই অনেকের জানতে ইচ্ছে করে ; কেমন ছিলেন তিনি , কি কি করতেন তিনি , কিভাবে তিনি ভাবতেন । তাদের জন্য এক কথায় বইটি আদর্শ । বইটি পড়ে অবশ্যই ভালো লাগবে সবার , ঠিক আমার যেমন লেগেছে ।

অসাধারন

হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনী মূলক বইগুলো একটার চেয়ে আরেকটা ইন্টারেস্টিং। তার জীবন কি আসলেই এত ইন্টারেস্টিং ছিল নাকি হুমায়ূন তার লেখার জাদুতে জীবনকে ইন্টারেস্টিং করে উপস্থাপন করেছেন সেটা এক বিরাট প্রশ্ন। এই বইয়ে তিনি তার শৈশবের প্রতিটি কথা পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে কেউ ভাল লাগেনি বলতে পারে না। এটা পড়েও আশা করি কেউ এমন কথা বলতে পারবে না।

Boi ta pore humayun sir er matter e onk kichu janlam... onek vlo laglo boita .. sobai ekbar holeo porben ei onurodh roilo....

হুমায়ুন আহমেদের মতো একজন লেখককে জানার জন্য সবারই কম বেশি আগ্রহ দেখা যাবে, এটাই স্বাভাবিক। সেটা যদি একদম তাঁর ছেলেবেলা সমন্ধে লেখা হয়, তাহলে সবার জন্য তা আরও বেশি আনন্দের বিষয়। কারণ, আমি নিজে নবম শ্রেণীর পড়ি, আমারও জানতে ইচ্ছে করে তিনি আমার বয়সে কি কি করতেন। হুমায়ুন আহমেদ রসিক একজন মানুষ ছিলেন- এ আমরা কম বেশি সবাই জানি(কারণ, হুমায়ুন পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর)। তো সেক্ষেত্রে হুমায়ুন আহমেদের লেখনী থেকে একটু হলে তাঁর- জীবন-যাপন/মেজাজ/রসিকতা সম্পর্কে ধারণা থাকবে সবার। সবশেষে হুমায়ুন আহমেদকে জানার জন্য 'না পড়লেই নয়' এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষর বহন করে বইটা। যারা হুমায়ুন আহমেদকে ভালোবাসে/পছন্দ করে(আর যারা এদুইয়ের মাঝে কোনটাই করে না)তাদের(ও) 'আমার ছেলেবেলা' পড়া উচিত। ধন্যবাদ। গভীর শ্রদ্ধা আপনার প্রতি হুমায়ুন আহমেদ স্যার। অনেক মিস করি। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন। আমিন।

হুমায়ুন আহমেদের " আমার ছেলেবেলা" গল্পগ্রন্থ থেকে পড়েছিলাম আমাদের নবম-দশম শ্রেণির একটি গল্প! সেখানে লেখকের ভাষায় ব্যবহৃত উপমা, রুপক আর খুব সুন্দর এক কাহিনি আমাকে পুরো বই পড়তে আগ্রহ জাগায়... এরপর খুব সুন্দর সময় নিয়ে বসলাম পড়তে। প্রতিটি কাহিনি সুখ-দুঃখ মিলিয়ে এক সুন্দর অভিজ্ঞতা। লেখক মনে করতেন পৃথিবীর সবাই ই তার মতো ঝাপসা দেখেন, বিষয়টা আমার জন্য সত্যিই অনেক রিলেটেড ছিলো। বইয়ের কাহিনি আমাদের অনেকের সাথেই রিলেটেবল। আমার অসাধারণ লেগেছে।

নিজের প্রিয় লেখকের শৈশবের না জানা গল্প, তার সম্মোহনী লেখনির স্বাদে ধিরে ধিরে জানতে পারা, এটা যেন সময়ের স্রোতে যাত্রার সমকক্ষ। সুন্দর লেখনি, সুখপাঠ্য এবং অত্যন্ত উপভোগ্য বই।

বইটি হুমায়ন আহমেদ এর ছোটবেলার সব মজার কাহীনি নিয়ে রচিত। হুমায়ন আহমেদ এর ক্লাস ২ তে থাকতে একটি মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া, নানাবাড়িতে কাটানো দিন, জগদলে বেঙ্গল টাইগার নামক কুকুর আমার এসব আমার মনে বিশেষভাবে দাগ কেটেছে। বইটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি আপনারা বইটি পড়বেন সবাই।

হুমায়ুনআহমেদ এর ছেলেবেলা সম্পর্কে সবার আগ্রহ রয়েছে। কেমন ছিল তার ছেলেবেলা এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খেলে পড়ে ফেলুন হুমায়ুন আহমেদএর 'আমার ছেলেবেলা' বইটি। এই বইটি রয়েছে তার ছেলেবেলার গল্প। তার ছেলেবেলার গল্প খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন। ভাইবোনদের সাথে খুনসুটি থেকে শুরু করে সুন্দরী সহপাঠি সবার কথাই বলেছেন তিনি।, 'আমার ছেলেবেলা" বইটিতে যেন অন্য হুমায়ুন স্যারকে আবিষ্কার করা যায়। হুমায়ুন আহমেদ আমাদের দিয়েছেন মিসির আলি, হিমু, শুভ্রদের। হলবিমুখ যখন হয়ে পরেছিল সবাই তখন একের পর এক সিনেমা তৈরী করেছেন। আর তার ছেলেবেলা কি পড়ে দেখতে চাইবেন না? অসম্ভব প্রতিভাবান মানুষটি তার ছেলেবেলায় কেমন ছিল তাই জানতে মাত্র ১৫৪ টাকা মূল্যের বইটি কিনে ফেলুন। আর হারিয়ে যান স্যারের ছেলেবেলা।

"আমার ছেলেবেলা" বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের অন্যতম হুমায়ুন আহমেদ নিজের শৈশব স্মৃতির উপর রচনা করেছেন। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরিবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। এই বইটি হুমায়ুন আহমেদ তার শৈশবের স্মৃতিকথা তুলে ধরেছেন। এই বরেণ্য লেখকের জন্মের পর তার বেলায় অদ্ভুত ধরণের ঘটনা ঘটে। তা জ্মের খবর পেয়ে তার নানা একমণ মিস্টির বন্দোবস্ত করে। তার দাদ ঋ্ছিল মৌলানা টাইপের ধর্মীয় মানুষ তার দাদা হুমায়ুনকে অসম্ভব ভলোবাসত। তার বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ একজন রহস্যময় পুরুষ। তার বাবা হুমায়ুন সহ তার অন্য পাঁচ ভাই-বোনের নাম বহুবার পরিবর্তন করেছেন। যার খেসারত হুমায়ুন ও তার ভাই-বোনদের দিতে হয়। তার মা আয়েশা ফয়েজ অত্যন্ত বুদ্ধিমতী ও সাহসী ছিলেন। এর কোন গুনই তার মায়ের শৈশবে ছিল না। ফলে তাকে উন্নতকরণে তাকে নানাবাড়ি পাঠানো হয়। হুমায়ুনের মাওতার বাবার মতো কিছুটা অদ্ভুত ছিলেন। এই বইয়ে হুমায়ুন আহমেদের শৈশব, তার বাবা-মার বৈবাহিক কাহিনী, তার প্রতি তার কিছু মামা-চাচার ভালোবাসা, তার ভাই-বোনদের স্মৃতি, তার অসম্ভব প্রিয় বন্ধুদের স্মৃতি ইত্যাদি তার এ বইয়ে পাঠকদের সুবিধার্থে তুলে ধরতে যথাসম্ভব চেষ্ট করেছেন। এ বইটার দ্বারা হুমায়ুন আহমদ সম্পর্কে অনেক আনন্দ-বেদনাদায়ক তথ্য পাওয়া যায়।

হুমায়ূন আহমেদকে যারা পছন্দ করে এবং তার সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহি তাদের জন্য এই বইটি হতে পারে সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয়। এই বইটিতে লেখক তার ছোটবেলার অনেক কথা অকপটে সামনে উপস্থাপন করেছেন। সবারই ছোটবলা অনেক মধুর হয়, অনেক আনন্দের হয়। অনেক, অনেক মজার স্মৃতি থাকে। হুমায়ূন আহমেদও তার বেতিক্রম নন। সাধারন কিছু স্মৃতি-কথা তার লেখার কারন অসাধারন ভাবে সামনে উঠে এসেছে।এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত একটি লেখা।

এই বই নিয়ে কিছু কথা বলব শুধু। এটার সার সংক্ষেপ কিংবা মতামত দেয়া আসলে সম্ভব না , কারন এটি জীবনী। একদিন হঠাৎ গল্পে গল্পে হুমায়ূন আহমেদ উনার মেয়ে কে তাঁর ছোটবেলার গল্প শোনাতে শুরু করেন। তাঁর জন্ম থেকে বেশ কয়েক বছর বয়েস পর্যন্ত তাঁর জীবনের কিছু ঘটনা এখানে লিপিবদ্ধ করা রয়েছে। তাঁর জন্ম নভেম্বরের এক সকালে। কারো মতে সেটি ছিল তীব্র শীতকাল। কেউ বা বলে অনেক ঝড়বাদলের দিনে তাঁর জন্ম। এদিকে তাঁর জন্মের কিছু দিনের মদ্ধ্যে টাইফয়েডে আক্রান্ত হন তাঁর মা আয়েশা ফয়েজ। এই বইটিতে আয়েশা ফয়েজ এর জীবনের প্রথম দিকের ছোট্ট কিছু অংশ তুলে ধরেছেন। যেমন আয়েশা প্রথম পরা উপন্যাস ছিল নৌকাডুবি। হঠাৎ করেই আয়েশা আর ফয়েজের বিয়ে হয়। অন্যদিকে খামখেয়ালি আর রহস্যময় বাবা ফয়েজুর রহমানের সব সন্তান গুলো বেশ অন্যরকম ভাবে গড়ে উঠেছে। মাঝরাতে , আয়েশা কে সাথে নিয়ে ঠান্ডা দীঘির জলে নামতে দ্বিতিয়বার ভাবেননি। অন্যদিকে, বিয়ের অনেক বছর পরে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম হয়। বাবা ভেবেছিলেন প্রথম সন্তান মেয়ে হবে, তাই মেয়েদের আনুষঙ্গিক অনেক কিছু কিনে রেখে দিয়েছিল। জন্মের পরে বেশ অনেক দিন মেয়ে সাজিয়ে রাখত তাঁর মা, ছোটবেলা বেশ কিছু ছবি বইটিতে পাবেন। ছোট্ট ব পড়তে সময় লাগবে না, কিন্তু অনেক কিছু জানতে পারবেন। কেমন ছিল কাজল নামের সেই ছেলেটির শৈশব। বাবার বদলির চাকরীর সুবাদে সারা দেশে কত জায়গা ঘুরেছেন, কত নিত্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমাদের সয়াব ছোটবেলা আমাদের কাছে যেমন স্মরণীয়, সেভাবে সবার কাছেই। অনেক স্মৃতি মনে থাকে, আবার অনেক স্মৃতি মনে থাকে না। বইটা পড়লে আপনি হাসতে থাকবেন, আবার একটু করেও মন খারাপ হবে, নিজের শৈশবের কথা, নিজের ছোটবেলা মনে পড়েই যাবে।

কারো শৈশব কী এতো সুন্দর হতে পারে? মনে হয় আমার শৈশব ও এতো সুন্দর ছিল যদিও কিছু মনে নেই ঠিকমতো।যাইহোক যখন আমি বইটি পড়ছিলাম তখন যেন আমি আমার শৈশবে ফিরে গেছি। গভীর আনন্দে মন আচ্ছন্ন হয়ে ছিল। পেছনের দিনগুলিতে ফিরে তাকাতে, সেইসব দিনের কথা স্মরণ করতে যে আনন্দ, রোমাঞ্চ অনুভূত হয় তা এ-বই পড়ে দিগুণ হয়ে যায়। বইটিতে লেখক বর্ণনা করেছেন তার সোনালী দিনগুলোর কথা, বাবা-মা, ভাইবোনদের সাথে কাটানো সময়গুলো। বাবার চাকরির বদলির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, সেখানে কাটানো শৈশব, মজার স্মৃতি, দুষ্টুমির কথাও আছে। তার দাদারবাড়ি- নানারবাড়ি স্মৃতিকথা আলাদা করে বর্ণনা করেছেন। বইটা সত্যিই টেনে নিয়ে যাবে তার রঙিন শৈশবে।

One of my best read autobiography ever. Just charmed me much. Anyone from any age can easyly have a taste of his childhood by reading this book. Also it gives us the concept of young Humayun. None could find Writer Humayun on this book, rather they must find young Humayun through this book. Its one of a great book of Sir. Just loving the describing method of him. So happy reading.

?

কারো শৈশব কী এতো সুন্দর হতে পারে? মনে হয় আমার শৈশব ও এতো সুন্দর ছিল যদিও কিছু মনে নেই ঠিকমতো।যাইহোক যখন আমি বইটি পড়ছিলাম তখন যেন আমি আমার শৈশবে ফিরে গেছি। গভীর আনন্দে মন আচ্ছন্ন হয়ে ছিল। পেছনের দিনগুলিতে ফিরে তাকাতে, সেইসব দিনের কথা স্মরণ করতে যে আনন্দ, রোমাঞ্চ অনুভূত হয় তা এ-বই পড়ে দিগুণ হয়ে যায়। হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সবার প্রিয়।সেই প্রিয় মানুষটির ছেলেবেলার কথা জানতে আপনাদের নিশ্চয় অনেক ইচ্ছা করে।বইটিতে লেখক বর্ণনা করেছেন তার সোনালী দিনগুলোর কথা, বাবা-মা, ভাইবোনদের সাথে কাটানো সময়গুলো। বাবার চাকরির বদলির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, সেখানে কাটানো শৈশব, মজার স্মৃতি, দুষ্টুমির কথাও আছে। তার দাদারবাড়ি- নানারবাড়ি স্মৃতিকথা আলাদা করে বর্ণনা করেছেন। বইটা সত্যিই টেনে নিয়ে যাবে তার রঙিন শৈশবে।

হুমায়ূন আহমেদ যিনি নিজের কল্পনা জগতের গল্প লিখে পাঠকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন,তাঁর নিজের জীবনের গল্পটা কেমন তা হয়তো অনেকেই জানতে চায়।হুমায়ন আহমেদ তাঁর নিজের জীবনের গল্পটাই বলেছেন ''আমার ছেলেবেলা'' বইতিতে।বাবার চাকরীর দরুন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বড় হয়ে উঠেছেন হুমায়ন আহ্মেদ।দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সাথে পরিচয়,প্রিয় মানুশ,প্রিয় বন্ধু পাওয়া এবং হারানোর অনেক গল্পই বলেছেন তিনি এই বইটিতে। উনার জীবনের গল্প অন্য যেকোনো মানুষের জীবনের গল্পকে হার মানাবে বলে আমার মনে হয়।জন্মের পর মায়ের কাছে থাকতে পারেননি অনেকটা শময়।সংসার চলতো অনেক কষ্টে।কিন্তু পারিবারিক এই সমস্যা উনার আনন্দে বাধা হয় নি। হূমায়ণ আহমেদ এই লেখাটি না পড়লে হয়তো অনেক বড় ভূল হবে।

Awesome!!!

হুমায়ূন আহমেদ । বাংলাদেশের জননন্দিত কিংবদন্তি কথাশিল্পী । তাঁর হারানো শৈশবও যেন তার জীবনের মত শতরঙে রঙিন । তাই তিনি লিখতে বসেছেন "আমার ছেলেবেলা "। বইটি তিনি তাঁর জন্মের মুহূর্তটির বর্ণনা থেকে শুরু করেছেন । তবে তিনি নাকি খুব চেষ্টা করেছিলেন যে নিজে তাঁর জন্মক্ষণটির কথা মনে করবেন ! তাঁর মায়ের বিভিন্ন কথা,ওনার মানসিক অসুস্থ্যতা এবং লেখকের একেবারে ছোট্টকাল থেকে বড় হবার কাহিনীও বইটিতে পাওয়া যায় । তবে বইটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুচ্ছেদ তিনি লিখেছেন তাঁর বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ কে নিয়ে । মানুষটা এতটাই খেয়ালী,এতটাই আবেগী ছিলেন যে হুমায়ূন আহমেদ নিজের বাবাকে যথার্থই বলেছেন -"জন স্টেইনবেকের উপন্যাস থেকে উঠে আসা এক রহস্যময় চরিত্র" । কতটা আবেগী হলে একজন মানুষ রাত ১২টার সময় তাঁর জীবনসঙ্গিনী কে নিয়ে দিঘীর টলটলে জলে নেমে অবগাহন করতে পারেন,কতটা খেয়ালী হলে একজন মানুষ তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিছক শখের বশে ঘোড়া কিনে আনতে পারেন তা জানা যায় এ বইটি পড়লে । যে জোছনা হুমায়ূন আহমেদকে সারাটাজীবন শুধু মুগ্ধই করেছে,যে জোছনার ফুল তিনি শুধু বারবার খুঁজেই গেছেন সেই জোছনার ফুল তিনি প্রথম শৈশবে কিভাবে খুঁজে পেলেন তাও বলে দিয়েছেন এ বইয়ে । প্রাণোচ্ছল ভাষায় বর্ণনা করেছেন কিভাবে তাঁর শৈশব ছিল বুদ্ধিদীপ্ত সব দুষ্টুমি আর চঞ্চলতায় ভরা । শৈশবে তাঁর কাছের কিছু চেনা পরিচিত মানুষ বা কাছের কিছু আপনজনের কথাও বইটিতে লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ । অন্যরকম একটা ভালবাসা দিয়ে লেখা শৈশবের স্মৃতিচারণমূলক এ বইটির মাঝে হারিয়ে গেলে একজন পাঠকের চোখের সামনে যেন ভেসে উঠবে কিংবদন্তি এক লেখকের হাজাররঙা শৈশবের একটা রঙিন চলচ্চিত্র ।

"আমার ছেলেবেলা" হুমায়ূন আহমেদ এর লিখা একটি স্মৃতিচারণামূলক বই । কাকলী প্রকাশনী হতে প্রকাশিত । হুমায়ূন আহমেদ এর ছেলেবেলার বিভিন্ন দারুন দারুন গল্প রয়েছে বইটিতে । হুমায়ূন আহমেদ বাবা একজন সরকারী চাকরিজীবী হওয়ায় তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরার সুযোগ পান । সেই সব স্থানের দারুন সব অভিজ্ঞতা এই বই এ রয়েছে ।

আমার কাছে হুমায়ূন আহমেদের লেখা মানেই অসাধারন।

Humayun Ahmed is my favourite writer.Like his other books,this one"Amar chelebela" is also favourite to me.Here the legendary writer Humayun ahmed has drawn the colorful,golden days of his childhood.This book will surely compell you to remember your childhood.After reading this book I again have admitted that "Old is gold."

আমার ছেলেবেলা বইটিতে লেখক তার নিজের শৈশব যেভাবে কেটেছে তা খুব ইন্টারেস্টিং ভাবে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ করেছেন শৈশবে তার পারিবারের অবস্থা সম্পর্কে। মা- বাবা, ভাই-বোন সবার কথাই উল্লেখ করেছেন। সিলেটে থাকাকালীন শুক্লাদি নামের এক মেয়ে তাকে 'ক্ষীরের পতুল' নামে একটি বই উপহার দেন। যা তার সাহিত্যের প্রথম পড়া বই। এর রেশ থেকেই সিলেটের মুসলিম সাহিত্য সংসদের সদস্য হওয়া। দূর মীরাবাজার থেকে হেঁটে হেঁটে গিয়ে পাঠাগারে বই পড়া এবং বাসায় নিয়ে আসা। এবং আস্তে আস্তে সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া। জানা যাবে তার রহস্যময় শৈশব সম্পর্কে। তার বন্ধু উনু। জগদলের সুখের দিন সম্পর্কে। যেভাবে কেটেছে এই রহস্যমানবের শৈশব সুখে দুঃখে!

হুমায়ুন আহমেদ আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। এই বইটি তে তার ছেলেবেলার অনেক বিচিত্র স্মৃতি তুলে ধরেছেন। অনেক আনন্দের মূহুর্ত যেমন আছে তেমনি অনেক কষ্টের স্মৃতি ও আছে। সবচেয়ে মনে দাগ কেটেছে পারুলআপার কাহিনি টা। অসম্ভব ভালো একটা বই। যারা বই তেমন পড়েন না তাদেরকে দিলেও তারা বইটি অনেক পছন্দ করবেন। সবাইকে পড়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। অনেক ভালো লাগবে বইটা পড়ে

“এক দুপুরে ভাত খেতে বসেছি। আমার মেজো মেয়ে কী-একটা দুষ্টুমি করায় মা’র কাছে বকা খেয়েছে। মুখ অন্ধকার করে ভাতের থালা সামনে নিয়ে বসে আছে। অনেক সাধাসাধি করেও তাকে খাওয়ানো যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত আমি বললাম, মা, তোমাকে আমি আমার ছেলেবেলার একটা গল্প বলব। গল্প গুনে তুমি যদি হেসে ফেলো তা হলে কিন্তু ভাত খেতে হবে। আমি গল্প শুরু করলম। সে প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগল না হাসার। শেষ পর্যন্ত খিলখিল করে হেসে ফেলে বলল, তুমি যদি তোমার ছেলেবেলার আরেকটা গল্প বল তা হলে ভাত খাব।” বইটির পটভূমি বুঝতেই পারছেন। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছুই নেই। তার শ্রেষ্ঠ লেখার মাঝে অন্যতম হল “আমার ছেলেবেলা”। অন্যান্যদের মত লেখকেরও ছিল ছেলেবেলা। কিন্তু কেমন ছিল তার ছেলেবেলা? কাটানো মুহূর্তগুলো? জানতে হলে পড়ুন।

Obviously you will love this book a lot for his unique writing style. Those descriptions... :)

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ আমার ছেলেবেলা লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনীঃ কাকলী প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯১ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ পৃষ্ঠাঃ ৯৫ মুদ্রিত মুল্যঃ ১৩৫৳ #রিভিউঃ জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছুই নেই। তার শ্রেষ্ঠ লেখার মাঝে অন্যতম হল “আমার ছেলেবেলা”। অন্যান্যের মত লেখকেরও ছিল ছেলেবেলা। কিন্তু কেমন ছিল তার ছেলেবেলা? কাটানো মুহূর্তগুলো? জানার জন্যে যখন আমি বইটি পড়ছিলাম তখন যেন আমি আমার শৈশবে ফিরে গেছি। গভীর আনন্দে মন আচ্ছন্ন হয়ে ছিল। পেছনের দিনগুলিতে ফিরে তাকাতে, সেইসব দিনের কথা স্মরণ করতে যে আনন্দ, রোমাঞ্চ অনুভূত হয় তা এ-বই পড়ে দিগুণ হয়ে যায়। বইটিতে লেখক বর্ণনা করেছেন তার সোনালী দিনগুলোর কথা, বাবা-মা, ভাইবোনদের সাথে কাটানো সময়গুলো। বাবার চাকরির বদলির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, সেখানে কাটানো শৈশব, মজার স্মৃতি, দুষ্টুমির কথাও আছে। তার দাদারবাড়ি- নানারবাড়ি স্মৃতিকথা আলাদা করে বর্ণনা করেছেন। বইটিতে হুমায়ুন ভক্তরা পাবেন তার ছোটবেলার ছবি এবং পারিবারিক ছবি। “আমার ছেলেবেলা” বইখানি এক গভীর মোহে আবিষ্ট করে রাখে। টেনে নিয়ে যায় পাঠকের রঙিন শৈশবে। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/1240/আমার-ছেলেবেলা

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই-আমার ছেলেবেলা লেখক-হুমায়ূন আহমেদ পৃষ্টা-৮৮ মূল্য-১৩৫ টাকা কাকলী প্রকাশনী রেটিং-৫/৫ .... হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। উনার মতো সফল কথাসাহিত্যিক আর হবে বলে মনে হয় না। উনার বানানো চরিত্র মিসির আলী, হিমু, শুভ্র এগুলো থেকে আমার লেখক এর প্রতি আগ্রহ ছিলো বরাবরই বেশি। আমি উনার যত বই উপন্যাস বহির্ভূত এবং শুধু মাত্র উনার সম্পর্কিত সেগুলো খুব বেশিই পছন্দ করতাম । বলতে হয় চরিত্র গুলোর প্রতি আমার কোন আকর্ষন কখনো হয়তো তীব্র ভাবে কাজ করে নি, কিন্তু লেখক এর প্রতি ছিলো অসম্ভব দূর্বলতা। যদিও সময়ে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে তবুও। বই এর শুরু টা বেশ সুন্দর। - একদিন লেখক এ মেজো মেয়ে দুপুরে খাবার টেবিলে কিছু একটা নিয়ে দুষ্টামি করছিলো, খেতে চাইতেছিল না ঠিক মতো। লেখক তাকে ডেকে বললেন, "আমি তোমাকে আমার ছেলেবেলার গল্প বলবো, যদি তুমি তা শুনে হেসে ফেলো তবে তোমার ভাত খেতে হবে।" মেয়ে রাজি হলো। লেখক বলা শুরু করলেন। অনেক চেষ্টা করেও সে হাসি আটকে রাখতে পারছিলো না। তখন তার বাবা কে বলল, "তুমি যদি তোমার ছেলেবেলা আর একটা গল্প বল তবে আমি ভাত খাব। " লেখক ভাবলেন উনার ছেলেবেলাটা লিখে ফেললে মন্দ হয় না। সেই থেকে শুরু উনার ছেলেবেলা লেখা। বিশ পচিশ পৃষ্টা লিখেও ফেললেন। অনেকে অনেক কথা বললেও উনার মেজো মেয়ে বলল, "আহা কি সুখের ছিলো তোমার ছেলেবেলা!" তাই তিনি পাঠক দের কিছু সুখের ভাগ দিতে পুরো লেখা টা শেষ করলেন। পুরো বইয়ে উনার বাবা মা এর বিয়ে থেকে শুরু করে সব লিখেছেন। লেখক এর পুরো ছেলেবেলা টা এখানে লিপিবদ্ধ। আমার এ পর্যন্ত সব থেকে বেশি যে বইটা পড়া হয়েছে তা হলো হুমায়ূন আহমেদ এর "আমার ছেলেবেলা"। আর কোন বইয়ে বোধ হয় আমি এত আকর্ষন বোধ করব না কখনো । একটা সময় ছিলো আমি প্রতিদিন পড়তাম, কেন জানি কখনো অরুচি আসেনি। একেক টা অংশ পড়ার সময় নতুন করে মজা পেতাম। পরীক্ষা সামনে পড়তে ইচ্ছা করছে না, কিন্তু এই বইয়ের কোন একটা কাহিনী পড়লেই আমার বোরিংনেস টা উধাও হয়ে যেতো। কম হলেও আমি এটা ৫০ বারের উপর পড়েছি। এর প্রতি টা লাইন আমার পরিচিত। এত পছন্দের বই টা একদিন আমার ছোট কাজিন কে দিয়ে দিতে হলো। অাজ ২ বছরের মতো বই টা আমার সংস্পর্শ থেকে দূরে। ভাগ্যক্রমে বাড়ি এসে এই বইটা পেলাম। আমার সেই বইটাই, একটু ছিড়েছে মলাট টা কিন্তু সেই আগের বইটা। যা ছিলো এক সময় কার আমার সঙ্গী। এই বইটা তে এমন কিছু আছে, যা আমার সেই বাচ্চা মনমানসিকতা টাকে পুরো আটকে রাখতো। তখন আমি লোকটাকে খুব হিংসা করতাম। এই বইটা পড়ে কখনো হেসেছিও, কখনো কেদেছিও। এর উৎসর্গে ছিলো, লেখক এর মামা। যিনি মাত্র খুব অল্প আয়ু নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আমি যখন প্রথম বই টা পাই, তখন বোধহয় সেভেনে বা এইটে পড়তাম। ঠিক কি উপায়ে যে বই টা পেয়েছিলাম তা আমার মনে নেই। কিন্তু উৎসর্গ এর লোক টাকে আমার হিংসা লাগতো। উনি বেঁচে নেই অথচ উনার জন্য কেউ লিখেছে। আমার জন্য কেউ কখনো লিখবে কি..! শেষের লাইন গুলো আমাকে বিষন্ন করে দিতো, লেখক এর মতো আমার ও ইচ্ছা করতো জোছনার ফুল হাতে নেওয়ার। আমিও কয়েক বার চেষ্টা করেছি। কিন্তু লেখক এর মতো হতাশ হয়েছি। আমিও উনার মতো এটা একবার ধরতে চাই, শুধু একবার। পৃথিবীর কাছে আমার এর চেয়ে বেশি কিছু চাইবার নেই। .... আমি জানি না এই বইটা পড়ার কেউ বাকি আছে কিনা। কিন্তু, আমার মনে হয় না প্রিয় লেখক হিসেবে উনার ছেলেবেলাটা, উনার প্রকৃতি টা কারো অচেনা থাকা উচিৎ।

জোৎস্না রাত।হুমায়ূন কোনো দুষ্টুমি করেছেন।তার শাস্তি হিসেবে বড়মানা তার পা ধরে উল্টোকরে ঝুলিয়ে রেখেছেন কুয়ার মুখে! আতকে উঠলাম।কতটা নির্মম ছিল আগেকার লোকেদের শাস্তিব্যবস্থা!যদি স্যারের কিছু হয়েযেত?তবে কি আমরা বইটা পড়তে পারতাম?নাকি আগুনের পরশমনি সিনেমা দেখতে পারতাম? কিচ্ছু পেতামনা। ওই অংশটুকুই মূলত স্যারের এই বইটার নিশ্ঠুরতম অংশ। হুমায়ুনের ছেলেবেলা কেমন ছিল,তার চিন্তাভাবনা ভাঙাগড়া কিভাবে হয়েছিল তার এক স্পস্ট রূপরেখা এই বইতে দৃশ্যমান।চোখে আঙ্গুলদিয়ে লেখক দেখিয়েছেন যে,বড়কিছু একদিনে গড়ে ওঠেনা।আজ যে চারাগাছ,কাল সে মহীরূহ হবে! আজকের গবেট কালকার শিক্ষিত!বারবার তা দেখিয়েছেন বইতে হুমায়ন।নিজেকে করেছেন ছোট বাচ্চা,মামামামির আপত্তিকর দৃশ্য তাই দেখেননি! চেনা হুমায়ূন বারবার স্মৃতিকাতর হয়েছেন এ বইয়ে।সঙ্গে হয়েছি আমি।মোহময়তার মাত্রা এতোটাই ছিল যে,এইপর্যন্ত বইটা আটবার পড়েছি!

অসাধারণ সাবলীল বর্ণনাভঙ্গির কারণে হুমায়ূন আহমেদের লেখা সবসমই সুখপাঠ্য হয়। আর হুমায়ূন আহমেদের একজন অন্ধ ভক্ত হিসেবে তাঁর লেখা আত্মজীবনী মূলক বইগুলোর প্রতি আমার একটা আলাদা আগ্রহ থাকে। তাই হুমায়ূন আহমেদের ছেলেবেলার গল্প নিয়ে লেখা ‘আমার ছেলেবেলা’ বইটি যখন পেলাম তখন এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। আর বইটি পড়া শেষ হওয়ার পর আমার প্রথম অনুভূতি হল, এতক্ষণ যেন একটা স্বপ্নময় জগতে ছিলাম। এখন সে জগত থেকে বের হয়ে এলাম। ‘আমার ছেলেবেলা’ বইয়ের শুরুতেই লেখক লিখেছেন, মানুষের খুব ছোটবেলার কথা মনে থাকে না জেনেও এই বই লেখার আগে তিনি তাঁর অতি শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন, বইটি যেন সম্পূর্ণ হয়। পরে অবশ্য তিনি তাঁর মা-সহ বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে শোনা কথা অনুযায়ী ও কিছুটা কল্পনার সাহায্য নিয়ে তাঁর জন্ম সময়ের কথা লিখেছেন বইয়ের একদম শুরুতেই। তারপর এসেছে তাঁর ভালোমানুষ বাবার প্রসঙ্গ। তাঁর বাবা কী রকম খেয়ালী মানুষ ছিলেন তা এখানে উঠে এসেছে। তাঁর বাবা সব-সময় মাসের বেতন পেয়েই অনেক টাকার বইপত্র কিনে ফেলতেন। আর বাকি টাকা তাঁর মায়ের হাতে দিতেন। পরে দেখা যেত, বইপত্র কিনার কারণে মাসের শেষে সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। তারপর লেখকের মায়ের প্রসঙ্গ এসেছে। আর লেখকের ছেলেবেলার গল্পগুলোর মধ্য সবচেয়ে জোরালো ভাবে এসেছে সিলেটর মীরাবাজারে থাকাকালীন এক রাতে মশারির মধ্যে জোছনার ফুল দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাবার কথা। লেখক সেই যে একবার জোছনার অপার্থিব সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হলেন, এরপর আজীবন তিনি এই সৌন্দর্যের উৎস অনুসন্ধান করে গেছেন। এর পরে একটা বেশ মজার গল্প আছে। লেখকের এক বন্ধুর মা সে বন্ধুকে বলেছিল, সে পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে তাকে একটা ফুটবল কিনে দিবে। এটা শুনে ফুটবলের লোভে তাকে পড়ানোর জন্যে হুমায়ূন আহমেদ উঠে-পড়ে লাগলেন। শেষে ফলাফল দিলে দেখা গেল, হুমায়ূন আহমেদ ফার্স্ট হয়েছেন। আর তাঁর সে বন্ধু যথারীতি ফেল। ফুটবল আর পাওয়া হল সেই দুঃখে লেখক ফার্স্ট হয়েও সেদিন কাঁদতে কাঁদতে বাসায় এসেছিলেন। এরকম লেখকের ছেলেবেলার অসংখ্য মজার টুকরো টুকরো গল্প ‘আমার ছেলেবেলা’ বইটিতে পাওয়া যাবে। বইয়ের শেষের দিকে লেখক তাঁর বাবার চাকরিসূত্রে কিছুদিন জগদলে থাকার সময়ের কথা বর্ণনা করেছেন। সেখানে লেখকেরা একটা পুরনো রাজবাড়িতে ছিলেন। আর তখন লেখকের সময় খুব ভালো কাটছিলো। কারণ, জগদলে কোন স্কুল না থাকায় পড়াশুনা করতে হচ্ছিলো না। এভাবে বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনার মধ্যে দিয়ে এই বইয়ের পাতায় পাতায় লেখকের পুরো শৈশবই জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ‘আমার ছেলেবেলা’ বইটি সব হুমায়ূন ভক্তেরই অবশ্যপাঠ্য বলে আমি মনে করি।

বইয়ের নাম :আমার ছেলেবেলা লেখক:হুমায়ূন আহমেদ প্রচ্ছদ:ধ্রুব এষ মূল্য:১২০ টাকা (মূদ্রিত) প্রথম প্রকাশ:ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ বাংলাদেশের সাহিত্যাকাশে ধ্রুবতারার মতোই জ্বলজ্বল করছেন, সেই মানুষটার নাম হুমায়ূন আহমেদ। যে মানুষটা মধ্যবিত্ত জীবনের কথাকতা সহজ সরল গদ্যে তুলে ধরে পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন।যে মানুষটা, মিসির আলি এবং হিমুর মতো দুইটা জনপ্রিয় চরিত্র সৃষ্টি করেছেন।যে মানুষটা একাধারে শিল্পী,সিনেমা পরিচালক,সঙ্গীত লেখক,যে মানুষটা ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বইপোকাদের তৃষ্ণা নিবারণ করে এসেছিলো।শুধু এই টুকুই নয়,যে মানুষটা আবার কেমিস্টিতে পিএচডি করেছে, যেই মানুষটার বই, বই- মেলায় বেস্ট সেলার'এর তালিকায় ছিলো।সেই রহস্যময়ী,জ্ঞানী ,প্রতিভাবান ব্যাক্তির ছোটবেলা সম্পর্কে কি জানতে চান? তাহোলে আপনাকে অবশ্যই, হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নিজে লেখা 'আমার ছেলেবেলা'পড়তে হবে।

হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সবার প্রিয়। সেই প্রিয় মানুষটির ছেলেবেলার কথা জানতে আপনাদের নিশ্চয় অনেক ইচ্ছে করে। আপনাদের সেই ইচ্ছে পূরণের সুযোগ হুমায়ূন আহমেদ করে গিয়েছেন। তাঁর ছেলেবেলা নিয়ে লেখা বইটির নাম হচ্ছে 'আমার ছেলেবেলা' । এই বইটিতে তিনি অকপটে শৈশবের ঘটনাগুলো লিখেছেন। এতে তাঁর মা,বাবা,ভাই-বোন, আত্মীয়দের কথা যেমনি এসেছে আবার ছোট বেলায় ভাল লাগা সুন্দরী সেই সহপাঠীর কথাও বলা হয়েছে অত্যন্ত রোমাঞ্চকরভাবে। বইটি যারা এখন ও পড়েন নি, পড়ে ফেলুন। ভাল লাগবে।