User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
===== কাহিনী/বইয়ের সার-সংক্ষেপ ===== তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে কিন্তু জার্মানির বার্লিন শহরে বড় হওয়া ছোট্ট ব্রুনোর কাছে তার দুনিয়া হলো তাদের বাড়ি, শহরের অলি-গলি, স্কুল, তার খেলার সাথী, বাবা-মা ও তার একমাত্র শত্রু বড় বোন গ্রেটেল! কিন্তু হঠাৎই একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে সে দেখলো তার শখের সব জিনিসপত্র গোছগাছ করে প্যাকেট করা হচ্ছে; কারণ তাদের খুব শীঘ্রই এই সাজানো-গোছানো বাড়িটিকে ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে হবে! মনে একরাশ দুঃখ আর অভিমান নিয়ে ছোট্ট ব্রুনো ও তার পরিবারের সবাই মিলে বাবার বদলী হওয়া নতুন এক জায়গায় এসেই তার মন আরোও বেশি খারাপ হয়ে গেল! কারণ এখানে নেই কোন প্রতিবেশী, নেই বাজার ও দোকান-পাট, নেই মানুষের ব্যস্ততা আর কোলাহল; আর সবচেয়ে বড় কথা তার সমবয়সী কোন খেলার সাথীই নেই। তার মনটা কষ্টে ভরে গেল যখন দেখলো এই বাড়িটি তাদের আগের বার্লিনের বাড়িটির চেয়ে অনেক ছোট এবং এখানে অপ্রত্যাশিত নতুনকিছু আবিষ্কারের কিছুই নেই! তবে ব্রুনোর একদিন ভুল ভাঙ্গলো যখন সে তার ঘরের জানালা দিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশে সম্পূর্ণ নতুন কিছু এবং অপ্রত্যাশিত দৃশ্য দেখলো। সে বুঝতেই পারলো না যে খুব শীঘ্রই সে তার জীবনের সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত আবিষ্কারটি করতে চলেছে। ===== পাঠ প্রতিক্রিয়া ===== 2য় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা বিখ্যাত, অসাধারণ আর হৃদয়স্পর্শি করা মানবিক গল্প 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস'। যুদ্ধের অস্থির আর ঘোলাটে পরিবেশ বইয়ে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। যুদ্ধের ক্ষতিকর দিক ও তৎকালীন সার্বিক পরিবেশ শিশুদের মনে কী বাজেভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তার উৎকৃষ্ট ও দৃশ্যমান বাস্তব এক ছবি এঁকেছেন লেখক এখানে। শিশুর অবুজ মন উঁচু-নিচু, জাত-পাত, ধনী-গরীব এসব বোঝে না। বোঝে না রাজনীতি ও যুদ্ধ কৌশলের মার-প্যাঁচ। কিন্তু দিন শেষে বেঁচে থাকলে এর অসহ্য স্মৃতির যন্ত্রণা তাকেই সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। বইয়ের কাহিনী দারুণ ছিলো, সেটা বলাই বাহুল্য। আর অনুবাদ বেশ প্রাঞ্জল লেগেছে আমার কাছে। প্রোডাকশনঃ কভার ডিজাইন খুব সুন্দর লেগেছে। বইয়ের পেপার কোয়ালিটি, ফন্ট সাইজ এবং বুক বাইন্ডিং আমার কাছে ভালো লেগেছে। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৮.৫/১০।
Was this review helpful to you?
or
Heart Touching Book দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা বইটি এক কথায় হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর বই।
Was this review helpful to you?
or
Nice book...
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটা গল্প।
Was this review helpful to you?
or
বইটা শেষ পর্যন্ত পড়ার পর পাঠকের মন দুইভাগে ভাগ হয়ে যাবে। একটা ভাগে কাজ করবে তীব্র মায়া আর কষ্ট এবং আরেকটা ভাগে থাকবে নৃশংসতার প্রতি চরম ঘৃণা।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখনি এবং গল্পটা।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ। শেষ করার পর অনেকক্ষণ মন খারাপ করে বসেছিলাম।
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ হলেও খুবই ভাল লাগার মত একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো
Was this review helpful to you?
or
Very good
Was this review helpful to you?
or
জোস একটা বই
Was this review helpful to you?
or
দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস বইটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা। বইটির মূল ক্যারেক্টার ছোট্ট বালক ব্রুনো। ব্রুনো নিজের চারপাশে চেনা পৃথিবীর মধ্যে অজানাকে জানার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠছে। ব্রুনো নিজেদের বসবাসের স্থানটিকে আবিষ্কারের জগত বানিয়ে ফেলে। একদিন সে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে জানতে পারলো তারা এই জায়গা ছেড়ে নতুন জায়গায় চলে যাচ্ছে, প্রথমে ব্রুনো ভেবেছিল তার কোন অপরাধের কারনে হয়তো তাকে এই জায়গা থেকে নতুন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু না পরে সে জানতে পারে তার বাবার চাকরির বদলির কারনে তাদের নতুন জায়গায় যেতে হচ্ছে। নতুন জায়গায় গিয়ে খুবই হতাশ হলো সে। যতদূর চোখ যায় কাঁটাতারের বেড়ায় ঘেরা পুরোটা জায়গা। খেলার কোনো সঙ্গি নেই। একদিন সে ডোরাকাটা পায়জামা পরা এক ছেলেকে দেখতে পেল। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বন্ধুত হয়ে গেল। কিন্তু এর শেষ পরিণতি কি হতে চলছে তার জানা নেই। বইটি একটি হৃদয়স্পর্শি করা মানবিক গল্প। পাঠকের কোমল হৃদয়কে ছুয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ আর হৃদয়স্পর্শি মানবিক গল্প জেমস বয়েনের 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস'। সব বয়েসীদের উপযোগী বইটি যে কোন কোমল হৃদয়কে ছুঁয়ে দেবে, আবেগাপ্লুত করে তুলবে গভীর মমতায়। আমি এখন দ্বিধায় পরে গিয়েছি সিনেমাটা বেশী ভালো না বইটা!
Was this review helpful to you?
or
owesome book. i have just read it. Bruno is really an interesting character . i think all readers will like it very much . so , please red it. it will touch your heart. সালমান হক is also a good translator. thank him very much . i have also read his many books. like his writings. i ever tell a book worm to read this book.
Was this review helpful to you?
or
Boi porata amar shokh-er o valolagar bisoy . Sai shokh o valo laga hote amra gore tulesi amader office library . Thanks Rokomari amader sokol boi thik quality te ena dewar jonno . And aro thanks alokito bangladesh gorar proyash newar jonno . Thanks the all team member of Rokomari .
Was this review helpful to you?
or
আমার সবসময় এই ধরনের গল্প, উপন্যাস পড়তে ভালো লাগে যেখানে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। তবে কথা দিচ্ছি আপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই আপনাকে ব্রুনের চরিত্রে নিয়ে যাবে। গল্প সম্পর্কে কিছুই বলবো না শুধু জানিয়ে রাখতে চাই, সময় নিয়ে পড়তে বসবেন কারণ একবারে শেষ না করে উঠতে পারবেন না! আমি এই বইটা রকমারি থেকে এতটা আগ্রহ নিয়ে কিনেছিলাম যে পরিচিত পিওন আঙ্কেল বাসায় দিয়ে যাবার পরই পড়া শেষ। তাই, আমার মতো আপনিও বইটা সার্চ দিয়ে তবে কিনতে আসেন তবে বলবো, নিশ্চন্তে অর্ডার করুন।
Was this review helpful to you?
or
**বুক রিভিউ** নাম:- দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস মূল লেখক:- জন বয়েন অনুবাদ:-সালমান হক প্রকাশক:-বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল:-জানুয়ারি ২০১৭ পৃষ্ঠা:- ১৪৪ মূল্য:- ১৪০/= দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লিখা একটি গল্প, শুধু গল্প না বিশেষ কিছুর...... কারন এতে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই..... যুদ্ধের ময়দানে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ কিংবা লাশের পর লাশ ছেঁয়ে যাওয়া নেই..... নয় বছরের ছোট্ট ব্রুনো বাস করে বার্লিনে।নিজের বেস্টফ্রেণ্ড আর দাদা-দাদি নিয়ে দিনগুলো কেটে যাচ্ছিলো বেশ। কিন্তু, ছোট্ট ব্রুনো ভেবে পায় তার বাবা কি কাজ করে! শুধু দেখে ফিটফাট মেডেল লাগানো চমৎকার ইউনির্ফম পড়তে আর দেখে তার বাবার অফিসে সৈন্যদের আসতে। একদিন অবাক হয়ে দেখলো বাড়ির সবকিছু গোছগাছ হচ্ছে! মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ব্রুনোর..... বদলি হলো বাবার আর বাড়ি ছাড়তে হবে সবার! বেস্টফ্রেণ্ডরা, দাদা-দাদি সবাইকে ছেড়ে যেতে হবে কোথায়? নতুন জায়গায় গিয়ে হতাশ হলো ব্রুনো। বার্লিনের চাকচিক্য তো নেই ই তাদের বাড়ির অাশেপাশে কোনো বাড়িই নেই! খেলার বন্ধু নেই, হেঁটে বেড়ানোর জায়গা নেই অাছে কাঁটাতারে ঘেরা বিশাল এক এলাকা, সেখানে ছোট ছোট খড়ের ঘর আর বিরক্তিকর কিছু সৈনিক। ছোট্ট ব্রুনোর মনে প্রশ্ন জাগে ঐ কাঁটাতারে জায়গা অমন কেন,ডোরাকাটা পায়জামা পরিহিত মানুষগুলোই বা কে! একদিন সব জবাব মিললো। মিললো প্রাণের বন্ধু.... সেই ডোরাকাটা পায়জামা পরিহিতদের একজন ছোট্ট শুমেল। দুইজনের মাঝে সেই কণ্টক প্রাচীর। কিন্তু এই বন্ধুত্বের পরিণতি কি জানে না কেউ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লিখা এই গল্পটি খুবই সাদামাটা একটি নভেলা। খুব একটা বিশেষত্ব নেই কিন্তু আছে উপলব্ধি । সেই উপলব্ধি এতোটাই তীব্র আর হৃদয়স্পর্শী চোখ ভিজে যায়। অনুবাদকের অন্যান্য বইগুলো পড়েছি সেগুলোর তুলনায় এটা একেবারেই ভিন্নরকম একটা কাজ। একে তো আলাদা জনরা দ্বিতীয়ত হৃদয়স্পর্শী এক কাহিনীর উপস্থাপনা। মোটেই সহজ কাজ নয়,বেশিরভাগটাই দেখা যায় অনেক ভালো বই বাজে অনুবাদের জন্য বিরক্তিকর হয়ে যায়।শুকরিয়া এটির ক্ষেত্রে তেমনটি হয় না। অনুবাদক তার কাজে বেশ ভালোভাবেই উৎড়ে গেছেন। তার বাকি তিনটি কাজের চেয়ে এটা অনেক বেশি পরিপূর্ণতা পেয়েছে। রেটিং :- ৪.২৫/৫ বাতিঘরের বইয়ে তুলনামূলক বানান ভুল/ছাপা উঠে নি এমনটা কমই দেখেছি আগে কিন্তু এই বইটির ছাপা আর পাতা দুটিই বেশ ভালো হলেও ৩/৪বানান ভুল এবং বেশ অনেকগুলোই প্রিন্টিং মিসটেক ছিলো। এদুটি বরাবরই বিরক্তিকর এটা জিনিস আশা করি "বাতিঘর" একটু সচেতন হবে এদুটি বিষয়ে। হ্যাপি রিডিং ?
Was this review helpful to you?
or
Name : The Boy in the Striped Pajamas. Author : John Boyne. Genres : Historical Fiction, Young Adult, World War 2, Holocaust. !!!Heart touching story!!!
Was this review helpful to you?
or
'ছোট্ট কিন্তু বিস্ময়কর একটি বই।' 'যুদ্ধ আর নৃশংসতার কাব্যিক এক উপস্থাপন।' গার্ডিয়ান এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের মন্তব্য দিয়েই শুরু করলাম। . সত্যিই তাই। কাব্যিক উপস্থাপন। ঘটনা অল্প কিন্তু এর প্রভাব বড় পরিসরের। . আমি সাধারণত থ্রিলারপ্রেমী পাঠক। রহস্য, অ্যাকশন, ক্রাইম - এসবই বেশি ভাল লাগে। তারপরও - এই বইটা শেষ করার পর চোখ কিছুটা ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। জানিনা সেটা কাহিনীর কারণে নাকি শেষ রাতের ঘুমের প্রভাবে! . কাহিনীর মূল চরিত্র ব্রুনো। বাচ্চা একটি ছেলে। কাহিনীটাও তার মনের বিরুদ্ধে যাওয়া এক সিদ্ধান্তের সাথে। তবে, বাচ্চা হলেও ব্রুনো তার প্রতিবাদ বন্ধ রাখেনি। সে তার মত করেই প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু, সে তো বাচ্চাই তাই আর ধোপে টিকেনি তার প্রতিবাদ। . শৈশব থেকে বেড়ে উঠা জায়গা, সঙ্গীদের ছেড়ে চলে যেতে হল অন্য জায়গায়। সেখানে গিয়েও একাকী। যাওবা তার এক বড়বোন আছে - সে শুধু নামেই বড় বোন। বেচারার কষ্টই। তারপরও নিজের ব্যক্তিত্ব ত্যাগ করেনি। বাচ্চা বয়সেও এই ব্যক্তিত্ব ধরে রাখাটায় বেশ মুগ্ধ হয়েছি আমি। . ভাই-বোনের কথোপকথন - অর্থ বের করার জায়গাগুলো বেশ ভালো লেগেছে। 'অনির্দিষ্টকাল মানে তিন সপ্তাহ' গ্রেটেলের এই উক্তিটা মারাত্নক। এটা শুনে আবার ব্রুনোও স্বস্তি পেয়েছিল। কারণ সে ভাবছিলো অনির্দিষ্টকাল হয়তো 'এক মাসের' মত হবে - সেইখানে 'তিন সপ্তাহ' তো খারাপ কিছু না। হাহাহা! আসলে ব্রুনো-গ্রেটেলের অংশটায় স্মৃতিকাতর হয়ে গিয়েছিলাম। ঐ বয়সে আমরা দুই ভাই মিলেও তো কম 'থিউরি' বানাইনি। সেটারই প্রতিফলন দেখলাম যেন বইয়ে। . এরপর কাহিনীতে যুক্ত হলো শুমেল নামের এক ছেলে। ব্রুনোর বয়েসীই। শুরু হল তাদের বন্ধুত্বের গল্প। আক্ষরিক অর্থেই গল্প। কারণ, তারা গল্পই করতো শুধু। ব্রুনো তার গল্পের কথা বলতো, তার পূর্বের বাসার সম্পর্কে বলতো; আর শুমেল বলতো তার দিকের কথা। এমন করে করেই তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে লাগলো। প্রায় প্রতিদিনই হত তাদের গল্প। শেষ পর্যন্ত তাদের বন্ধুত্বের এই গভীরতা এবং ব্রুনোর সরলতার জন্যই আমার চোখ ঝাপসা হতে বাধ্য হয়েছে। . এই ছোট গল্পটায় আসলে অনেকগুলো দিক ফুঁটে উঠেছে। বন্ধুত্ব, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট করুণ দুঃখগুলো, এবং [আরো অনেক কিছু যেইগুলো এই মুহুর্তে লেখার মত ভাষা পাচ্ছিনা (সত্যি কথা হইলো, ভুইলা গেছি)] . এখন আসি লেখনী নিয়ে। যেহেতু অনুবাদ পড়েছি - তাই এটার লেখনী নিয়েই বলছি। আমার আসলে ইদানিং এক রোগ সৃষ্টি হইছে - যত লেখাই পড়ি, সবগুলোতেই মনে হয় - এই লেখনীটা হয়তো আরো ভাল করা যেত - সেটা হোক মৌলিক বা যৌগিক মানে অনুবাদ যাই ই। যার কারণে লেখনীর কোন মানদন্ড ধরতে পারিনা। তাই যে লেখার ক্ষেত্রে 'আরো ভাল করা যেত' অনুভূতিটা কম কাজ করে - সেটাকেই ভাল হিসেবে ধরে নিই। তবে, সত্যি বলতে - আমি যদি আগে থেকে না জানতাম এটা অনুবাদ বই - তাহলে, এটাকে মৌলিক হিসেবেই ধরে নিতাম। অনুবাদক নিশ্চিতভাবেই ভাল কাজ দেখিয়েছে অনুবাদে। . তারপরও - একটা বিষয় ধরছি। মূল বইয়ে ব্রুনোর বন্ধু নাম ছিল 'শ্মুয়েল'। কিন্তু অনুবাদে এটা হয়েছে 'শুমেল'। এটা ভুল নাকি ইচ্ছাকৃত তা জানিনা - তবে, পড়ার সময় 'শ্মুয়েল' থেকে 'শুমেল' উচ্চারণ করাটা বেশি প্রাঞ্জল ছিল। এছাড়া 'Fuhrer' কে 'ফিউরসাহেব'-এ রূপান্তর করাটাও প্রশংসার দাবিদার। অনেকদিন পর অনুবাদ পড়ে সন্তুষ্টি পেয়েছি আমি। . বানানের ব্যাপারে বললে - আমার রিভিউয়েই তো বানান ভুলের ছড়াছড়ি। আমি আর কী বানান ভুল ধরবো! তারপরও - অলিখিত নিয়ম অনুসারে বলে দেই - টুকটাক কিছু বানান ছাড়া কোন তেমন কোন ভুল ছিল না। . কাহিনী সংক্ষেপঃ প্রতিক্রিয়ায় কাহিনী সংক্ষেপ দেওয়া বাধ্যতামূলক কিনা জানি না। তারপরও যদি দরকার লাগে তাই কপি মেরে দিলাম। 'স্কুল শেষে বাসায় ফিরতেই ছোট্ট ব্রুনো দেখল সবাই গোছগাছ করছে, বাবার বদলি হয়ে গেছে, অন্য কোথাও যেতে হবে তাদেরকে। নতুন জায়গায় গিয়ে খুবই হতাশ হলো সে। খেলার কোন সঙ্গি নেই। যতদূর চোখ যায় কাঁটাতারের বিশাল বেড়ায় ঘেরা পুরোটা জায়গা। ওপাশের সবকিছুকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রেখেছে সেই কণ্টক প্রাচীর। কিন্তু চুপ করে বসে রইল না ব্রুনো। অজানাকে জানার জন্যে খুঁজতে থাকলো উপায়। ডোরাকাটা পায়জামা পরা এক ছেলের সাথে দেখা হলো তার, কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে গেল বন্ধুত্ব। কিন্তু‘ সেটার পরিণতি কি হবে তা তার জানা নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা জন বয়েনের দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস একটি অসাধারণ আর হৃদয়স্পর্শি করা মানবিক গল্প। যে গল্প পাঠকের কোমল হৃদয়কে ছুঁয়ে যাবে, উপলব্ধি করতে বাধ্য করবে যুদ্ধের নৃশংসতা।'
Was this review helpful to you?
or
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা জেমস বয়েন এর লেখা একটি বই| একটি নয় বছরের ছেলে ব্রুনো যে জানেনা যুদ্ধের মানে কি | সরল মনে বন্ধুত্ব করে নেয় ডোরাকাটা পায়জামা পরা এক ছেলের সাথে | এই বন্ধুত্ব নিয়ে লেখা এবং সালমান হক এর প্রাঞ্জল অনুবাদে একটি অসাধারণ হৃদয়স্পর্শী গল্প যা পাঠকের কোমল হৃদয় ছুঁয়ে যেতে বাধ্য !
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক নির্মম কাহিনী সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
One of the best books I've read
Was this review helpful to you?
or
ভালোই লাগলো।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া অনুবাদ বইগুলোর মধ্যে সেরা একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদটা অনেক সুন্দর হয়েছে...
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর বইঃ দ্য বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামাস লেখকঃজন বয়েন অনুবাদঃসালমান হক প্রকাশনীঃ বাতিঘর ধরনঃশিশু কিশোর মুল্যঃ১৫০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপঃ স্কুল থেকে ফিরে ব্রুনো দেখলো তার মা বোন সবাই প্যাকিং এ ব্যাস্ত।।। এটা দেখে ব্রুনো একটু অবাক হয়ে গেলো। পরে যখন সে শুনলো তারা এখন আর এই জায়গা তে থাকবেনা চলে যেতে হবে অন্য কোন নতুন পরিবেশে,তার মন খারাপের অবকাশ শুরু হলো। সে আরো বেশী কষ্ট পেল যখন সে জানতে পারলো নতুন জায়গা তে সে তার দাদা দাদী কেও নিয়ে যেতে পারবেনা। তাদের বাড়িটার দিকে তাকিয়ে আর প্রিয় বন্ধুদের কথা মনে করে ব্রুনোর ভেতরটা কষ্টে হু হু করে উঠলো।। কিন্তু বাবার বদলির জন্য তাদেরকে অবশেষে জায়গা পরিবর্তন করা লাগলো। নতুন বাড়ি তে এসে আবারও ব্রুনোর মন খারাপ হয়ে যায়। এই বাড়িটা তার একদম ই অপছন্দের হয়ে ওঠে।। অনেক নালিশ তার এই বাড়ি নিয়ে, এমন কি সে যে বাইরে গিয়ে একটু কারো সাথে খেলাধুলা করবে সেই অবকাশ ও নেই কারন আশেপাশে যতদুর চোখ যায় শুধু মরুভুমি।। তার উপর সামনেই আছে একটা কাটা তারের ব্যাড়া। ব্যাড়া দেখে ব্রুনোর অনেক ইচ্ছা করে ঐ পাশের জগত টা কেমন দেখার জন্য কিন্তু ওরকম কোন সুযোগ পায়না সে, বাবার কড়া আদেশ এর জন্য। ব্রুনো সবসময় জানার আগ্রহ অনেক বেশী। তাই সে নতুন পরিবেশে এসেও তার এই স্বভাব বদলায়না। আশেপাশের সবকিছুকে জানার জন্য, বিকেলের অবসর সময় কাটানোর জন্য একদিন দুপুরবেলার আহার শেষ করার পরপর ই সবাই যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলো তখন সে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এবং কাটা তারের ব্যাড়ার পাশ দিয়ে সামনে এগোতে থাকে যেন ফিরে আসতে সুবিধা হয়। এভাবে কয়েকদিন সে অনেকদূর পর্যন্ত হেটে বেড়ানোর পর একদিন তার বয়সি এক ছেলেকে আবিস্কার করলো কাটা তারের অপরপাশে।। ছেলেটাকে ব্রুনো দেখলো অপর পাশে বসে থাকতে। দেখে সে একটু অবাক হলো বটে কিন্তু খুশিও কম হলোনা।। ছেলেটির কাছে এগিয়ে গিয়ে তার কাছে তার নাম জিজ্ঞেস করলো এবং অনেক কথা বললো একসাথে।। এভাবে প্রতিদিন আসা যাওয়া করতে করতে একসময় কাটা তারের ওপাশের ছেলে শুমেল এর সাথে ব্রুনোর বন্ধুত্ব টা অনেক ভালো জমে গেল। এভাবে যখন তাদের বন্ধুত্বের গল্পটা এগিয়ে যাচ্ছিলো ধীরে ধীরে ব্রুনো জানতে পারে ওপারের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা সাথে শুমেলের।। এগুলো তার মনকে নাড়া দেয়।। আর শুমেলের প্রতি তার মায়া বাড়তে থাকে।। কিন্তু কি হয় সবশেষে?? এই বন্ধুত্ব এগোবে তো?? আর বেড়ার ওপারে যারা বসবাস করে তারা কারা?? কি তাদের পরিচয়?? আর দুঃখ গুলো কেমন?? ব্রুনো এই বন্ধুত্বের কবলে পড়ে অন্য কোন সমস্যার সম্মুখীন হবে না তো?? আর ব্রুনোর পরিবার কি কখনো জানতে পারবে এই নতুন বন্ধু সম্পর্কে?? পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ গল্পটি পড়ে আমার মধ্য প্রচন্ড রকমে একটা হাহাকার কাজ করছিলো। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে কিছু মানুষের নৃশংসতার কাহিনী শুনে একরকম কাপুনি অনুভব হচ্ছিলো। পুরো গল্পটা মন ছুয়ে গেছে। আর কিছু মানবিক বিষয় কে লেখক তার কলমের জাদুতে দেখিয়ে দিয়েছেন। আশা করি প্রত্যেকের ভালো লাগবে বইটি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ চতুর্থ পর্বঃ ০২ বইঃ দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস। লেখকঃ জন বয়েন অনুবাদকঃ সালমান হক প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ১৪৪ মুদ্রিত মূল্যঃ ১৪০ টাকা প্রচ্ছদঃ ডিলান প্রথম প্রকাশঃ জানুয়ারি ২০১৭ . ||রিভিউ|| #কিছুকথাঃ "দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস" নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার তালিকায় এক নম্বর স্থান দখল করে, সেই সাথে সারাবিশ্বে অর্জন করে অকুণ্ঠ প্রশংসা। 'মিরাম্যাক্স' এই উপন্যাস নিয়ে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহি একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে কয়েক বছর আগে। জন বয়েনের এই উপন্যাসটি এককোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে আর অনুদিত হয়েছে বিশ্বের ৫১ টি ভাষায়৷ . #কাহিনী_সংক্ষেপ স্কুল থেকে ফিরে ছোট ব্রুনো দেখলো তাদের জিনিসপত্র প্যাকিং করা হচ্ছে। হঠাৎ ব্রুনোর পেটে মোচড় দিয়ে উঠলো। ব্রুনো জানতে পারলো বাসাটা ছেড়ে তাদের চলে যেতে হবে অন্য কোথাও। এই বাড়ি তাদের নিজের তবুও অন্য কোথাও যেতে হবে কেনো তা জানতে চাইলো ব্রুনো। মা বললেন তার বাবার জরুরী কাজের জন্যই যেতে হবে। ছোট ব্রুনো কিন্তু জানে না তার বাবা আসলে কি কাজ করে। তার বন্ধুদের বাবারা কে কি কাজ করে তা জানলে ও বুঝলেও ব্রুনো তার নিজের বাবার কাজ সম্পর্কে কিছুই জানে না। শুধু জানে তার বাবার সুন্দরমতো একটা ইউনিফর্ম আছে। কিছুক্ষণ বাদে ব্রুনো জানতে পারলো শুধু এই বাড়ি নয় এই বার্লিন শহর ছেড়েই ওদের যেতে হবে। কথাটা শুনে ওর নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। বার্লিন ছাড়ার কথা শুনেই ব্রুনোর বন্ধুদের কথা মনে পড়ে গেলো। কার্ল, ড্যানিয়েল ও মারটিন ব্রুনোর বেস্ট ফ্রেন্ড। ওদের ছেড়ে অন্য কোথাও থাকার কথা কল্পনাও করতে পারে না ব্রুনো। ওদের ছাড়া ব্রুনো একা একা থাকবেই বা কিভাবে। কিন্তু তবুও কিছুই করার নেই ব্রুনোর। বার্লিন ছেড়ে যেতেই হবে। কারণ ব্রুনোর বাবার কাজটা ভীষণ জরুরী। ছোট ব্রুনোর মন খারাপ হলেও কিছুই করার ছিল না। বার্লিন ছাড়তে হলো ওদের। নতুন জায়গাতে ব্রুনোর মোটেও মন টিকলো না। নতুন জায়গায় তার বয়েসী কেউ নেই। এত বড় জায়গা অথচ একজনও তার বয়েসী নেই। বাড়ির ভেতরেই সময় কাটে ব্রুনোর। ঘরের জানালা দিয়ে শুধু কাঁটাতারের বেড়ায় চোখে পড়ে ব্রুনোর। ব্রুনোর মনে অজানা এক রহস্য উঁকি দিতে থাকে। আর সেই আগ্রহ থেকেই এক সকালে কাঁটাতারের বেড়া ধরে দৌড়াতে লাগলো সে। অবশ্য ব্রুনোর ভাষায় এটা অভিযান। কারণ ব্রুনোর বড় হয়ে অভিযাত্রি হবার শখ আছে। সেই চিন্তা থেকেই ব্রুনোর এই অভিযান। অভিযান করেই একদিন ব্রুনো আবিষ্কার করলো তার বয়েসী এক ছেলেকে। ডোরাকাটা একটা পায়জামা পড়ে আছে ছেলেটা। কিন্ত সে কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশে আছে। ছেলেটির নাম জানল সে। ছেলেটির নাম শুমেল। ব্রুনো আর শুমেলের বন্ধুত্ব হলো অল্প কদিনেই। কিন্ত কমবয়সী ব্রুনো হয়তো জানে না তা কতটা বিপদজনক তার জন্য। শুমেলের সাথে বন্ধুত্ব হওয়াতে ব্রুনো কতটা বিপদে পড়লো আর শেষ পরিণতিটা কি হলো তা জানতে হলে আপনাকে পাঠ করতে হবে জন বয়েনের "দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস।" . পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ একটি হৃদয় স্পর্শ করা গল্প তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। গল্পটা যে এতটা আহত করবে তা ভাবি নি। তবে সত্যিই এটা অসাধারণ এক মানবিক গল্প। আমার কেনো জানি বারবার মনে হচ্ছে বইয়ের শুরুতে লেখা টমাস জেফারসনের বিখ্যাত উক্তিটার কথা। "যেকোন যুদ্ধে নির্যাতিতদের মত নির্যাতনকারীরাও চরম শাস্তি ভোগ করে।" টমাস জেফারসনের এই একটি উক্তিই যেনো পুরো বইয়ের সারমর্ম। আমি মুগ্ধ আর বিস্মিত এই ভেবে যে লেখক কতটা সূক্ষভাবে এই গল্পের প্লটটা তুলে ধরেছেন পাঠকের কাছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা কোনো অসাধারণ গল্প উপভোগ করতে চাইলে জন বয়েনের এই বইটি নিঃসন্দেহে আমি সবাইকে সাজেস্ট করবো। লেখক জন বয়েনের লেখার প্রশংসা না করে পারছি না৷ যদিও তাঁর লেখা এই একটি বই-ই আমি পড়েছি। আর তাতেই যেনো আমি এই লেখকের লেখার প্রেমে পড়ে গেছি। কি অসাধারণ তার লিখনশৈলী। যেন জাদুমন্ত্র করে রেখেছিল পুরো বইটিতে। আর শেষটা যে মানুষের মানবিকতাকে কতটা নাড়িয়ে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা নেই। অনুবাদক সালমান হকের লেখা অনুবাদ এর আগেও বেশ কয়েকটা পড়েছি। তার অনন্য অনুবাদ দক্ষতার জন্যই আমরা যারা বাংলা ভাষাভাষী পাঠক আছি তারা এই অসাধারন বইটি উপভোগ করতে পেরেছি। অবশ্য সালমান হক আমার প্রিয় অনুবাদকে পরিণত হয়েছে। তাঁর আগামী দিনের কাজগুলোর জন্য আমার শুভকামনা থাকবে সবসময়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখা এই বইটি না পড়ে থাকলে পড়ুন। আর অনুভব করুন এক মানবিক বিষয় যা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন অত্যন্ত নিঁখুতভাবে। হয়তো বা বইটি আপনারও হৃদয়গ্রাহি হয়ে উঠবে। আর আপনিও মনের ভেতরে তৈরি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে হয়তো বলবেন 'সত্যিই বইটা অসাধারন ছিল।' . ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৮/৫ _______নিষাদ নিনিত
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস মূল : জন বয়েন অনুবাদ : সালমান হক প্রকাশক : বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল : জানুয়ারি, ২০১৭ ঘরানা : ঐতিহাসিক উপন্যাস পৃষ্ঠা : ১৪৪ প্রচ্ছদ : ডিলান মুদ্রিত মূল্য : ১৪০ টাকা ছোট্ট ব্রুনো একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে দেখলো জোরেশোরে গোছগাছের কাজ চলছে পুরো বাসায়। বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে কোথাও যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই। তারপর সে জানতে পারলো, বার্লিনের সুবিশাল এই বাসাটা ছেড়ে তাদের পুরো পরিবারকে পাড়ি জমাতে হবে সম্পূর্ণ আলাদা এক জায়গায়। স্বাভাবিক ভাবেই ভয়াবহ মন খারাপ হলো নয় বছর বয়সী এই বালকের। ফিউরি সাহেবের (ফুয়েরার হিটলার) অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ব্রুনো'র সেনাকর্মকর্তা বাবাকে কমান্ড্যান্ট পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তাই দেশমাতৃকা'র প্রতি দায়িত্ব (!) পালনের জন্যই তাঁকে সপরিবারে পাঠানো হলো আউট-উইথ নামের এক জায়গায়, যেটা মূলত একটা ক্যাম্প হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিলো। মন খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সেখানকার নিরানন্দ পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলো ব্রুনো। নিজের ঘরের জানালা দিয়ে কাঁটাতারের ওপারে অদ্ভুত সব মানুষদের দেখতে পেতো ছোট্ট ব্রুনো। তাদের সবার পরনে থাকতো ডোরাকাটা পায়জামা আর টুপি। মুখ শুকনো করে মাটির দিকে তাকিয়ে ঘুরে বেড়ানো মানুষ গুলোকে দেখে শিশুমনে নানা প্রশ্নের উদয় হতো তার। আর এসবের উত্তর খোঁজার জন্য সে বারবার নিজের বড় বোন গ্রেটেল (যার মাথা খারাপ বলে মনে করে ব্রুনো), তার মা আর পরিচারিকা মারিয়াকে নানা প্রশ্ন করতো সে। বন্ধুহীন ঐ আউট-উইথে হঠাৎ করেই এক বন্ধুর দেখা পেয়ে গেলো ব্রুনো। কাঁটাতারের ওপাশে মানবেতর জীবনযাপন করা সেই ছেলেটা তারই সমবয়সী। নাম শুমেল। নিস্তরঙ্গ জীবনটা তরঙ্গায়িত হয়ে উঠলো ওদের দুজনেরই। কাঁটাতারের এপারে ব্রুনো আর ওপারের বাসিন্দা শুমেল দু'জন দু'জনের অকৃত্রিম বন্ধুতে পরিণত হলো। অকৃত্রিম বন্ধুত্ব ছাপিয়ে 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস' উপন্যাসে পাঠক অনুভব করবেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অতলস্পর্শ করা ভয়াবহতা। জার্মান আর ইহুদি জাতি'র হাস্যকর বিভেদ আরো একটা বার ভাবতে বাধ্য করবে মানুষের তথাকথিত সভ্যতার অস্তিত্ব সম্পর্কে। নিষ্পাপ দুটো ছেলে, যারা সমস্ত জাতিভেদের ঊর্ধ্বে, তাদের গল্পের শেষটা চোখের কোণ ভিজিয়ে দেবে আপনার অজান্তেই। ব্যক্তিগত মতামত : একজন উচ্চপদস্থ জার্মান সেনাকর্মকর্তা'র ছেলে আর কাঁটাতারের ওপাশে বসবাসরত এক ওয়ার ভিকটিম বালকের বিপরীতমুখী দুই জগতের গল্প এক মলাটে বন্দি করে পাঠকের মুখোমুখি করেছেন লেখক জন বয়েন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লিখিত ছোট কলেবরের এই উপন্যাস কাহিনি'র গুণে হয়ে উঠেছে দারুন মর্মস্পর্শী। অদ্ভুত এক বিষাদবোধ বুকে বেঁধে এই রিভিউটা লিখতে বসেছি। পাঠকের ভেতরটা স্পর্শ করে যাওয়া এক জিনিস আর তার ভেতরটা ওলটপালট করে যাওয়া আরেক জিনিস। 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস' পড়ার পর আমার ক্ষেত্রে এই দ্বিতীয়টাই ঘটেছে। স্তব্ধতা নিয়ে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। মানসিক ভাবে অসুস্থ একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত রোষের শিকার হওয়া পুরো একটা জাতি'র নিদারুণ কষ্ট আমার ভেতরের ঘৃণাটাকে আবারো উস্কে দিয়েছে। ঘৃণাটা নিন্দিত একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের জন্য। ঘৃণাটা তার সৃষ্টি করা গেস্টাপো বাহিনী'র জন্য। ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে অযুত নিযুত আবর্জনার নিচে আজ যাদের বাস। 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস' আমাকে ভিন্নরকম এক পাঠ অভিজ্ঞতা দিয়েছে। এটাকে আমি 'কষ্টের চাদরে মোড়া ভালো লাগা' ছাড়া আর কোন বিশেষণ পাচ্ছিনা বিশেষায়িত করার জন্য। ছোট্ট ব্রুনোর চোখে জন বয়েন আমাকে দেখিয়েছেন তৎকালিক জার্মান সেনাবাহিনী'র অযৌক্তিক আর অসুস্থ ইহুদি বিদ্বেষী চিত্র। অনুবাদক সালমান হক নিক পিরোগের হেনরি বিনস সিরিজ বাংলায় অনুবাদের জন্য বিখ্যাত। তবে 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস' তাঁর প্রথম কাজ। যদিও বইটা বাতিঘর থেকে পরেই প্রকাশিত হয়েছে। বেশ কিছু প্রিন্টিং ও বানান জনিত ভুলভ্রান্তি থাকার পরেও অনুবাদক ভালো কাজ দেখিয়েছেন। পড়তে গিয়ে বড় ধরণের হোঁচট অন্তত খাইনি। ডিলান সাহেবের প্রচ্ছদ ভালো ছিলো। তবে এই বইটার বাঁধাই আমার মানসম্মত মনে হয়নি। সবশেষে 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস' উপন্যাসে ব্যবহৃত টমাস জেফারসনের একটা উক্তি দিয়ে রিভিউয়ের ইতি টানবো। "যেকোন যুদ্ধে নির্যাতিতদের মতো নির্যাতনকারীও চরম শাস্তি ভোগ করে" এই উক্তির শানে নযুল বইটা পড়লেই পাঠক অনুধাবন করবেন। হ্যাপি রিডিং। রেটিং : ৫/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
এখনো পর্যন্ত অনেক লেখককে দেখেছি যারা বন্ধুত্ব বাধনের প্রেম, ভালোবাসা, আবেগ এসব নিয়ে এগিয়ে যায়! কিন্তু জন বয়েন এই বইটিতে বন্ধুত্ব বাঁধনের মাধ্যমে মানুষকে যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানান দিতে চেয়েছেন! যুদ্ধর কারণে ঠিক কি হতে পারে? কতটা কষ্ট ভোগ করতে হতে পারে এই যুদ্ধের জন্য! সেটাই লেখক অনুধাবন করাতে চেয়েছেন এই গল্পের মাধ্যমে! প্রথমেই বাড়ি বদল! বার্লিনের পাচ তলার বড়, প্রিয়, চিরচেনা বাড়ি ছেড়ে আউট-উইথ নামক একটি নির্জন বাড়িতে উঠা! তিনজন বেস্ট ফ্রেন্ডকে ছেড়ে একাকিত্বের প্রবল কষ্টময় রাত কাটানো! আর বোন গ্রেটেলের সাথে তিক্তময় ঝগড়া তো আছেই! এত্ত একাকিত্বের মাঝে কি থাকা যায়? আদৌ কি এমন পরিবেশে বসবাস করা সম্ভব? কিন্তু ব্রুনো মানিয়ে নিচ্ছিলেন ঠিকঠাক ভাবে। কারণ, তার বাবার নির্দেশ! তার বাবা জার্মানির প্রধান সেনাপতিদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ। তাকে সবাই ডাকে, সম্মানিত উপাধি 'কমান্ড্যন্ট' বলে। আর কটলার হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানব ব্রুনোর চোখে! তার বোন গ্রেটেলের সাথে কথা বলতে দেখলে কটলারকে সে মারতে ইচ্ছা করে! এমন একাকিত্বে ব্রুনো জানালা দিয়ে দেখল কাঁটাতারের বেড়া! ওপাশে ডোরাকাটা পাজামা, টুপি পরিহিত অসংখ্য অসহায় শিশুর কোমল চেহারা দেখতে পেয়ে তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানার একটা কৌতুহল জাগল ব্রুনোর মনে! সেই কৌতুহল আরও বেশী জাগিয়ে দিল সবজি কাটুয়া পাভেলের মায়া! হঠাৎ মনে পড়ল বার্লিনের বাসার পিছনের সেই পাগল 'ফ্রান্জ রোলারকে" তার রয়েছে এক করুন ইতিহাস! যা পড়ে পাঠকের শরীর শিউরে উঠবে ক্ষণিকের জন্য! কি সেই দৃশ্য? বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়েই দেখে নিতে পারেন!একদিন অভিযানে বের হলো ব্রুনো। কাঁটাতারের ওপাশের এক ছোট্ট, রোগা বালকের সাথে পরিচয় ব্রুনোর। ঐ বালকের নাম "শুমেল" তাদের দুজনের সংখ্যা বাচক দিক দিয়ে যেই আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে তা তাদের বন্ধুত্ব গড়তে অধিক সহায়ক ভুমিকা পালন করে! শুমেলের অতীতের ইতিহাস, এখানে আসার করুন অভিজ্ঞতা সবকিছু শেয়ার করতে লাগলো ব্রুনোর সাথে! হঠাৎ একদিন তাদের বাড়ির পার্টির গ্লাস পরিষ্কার করার দায়িত্ব পড়ল শুমেলের উপর! সেই দিনে শুমেলের উপর ব্রুনোর যেই মানসিক একটি নির্যাতন করল নিজের অজান্তেই, তা মনে পড়লেই চোখ বেয়ে পানি আসে ব্রুনোর! কিন্তু তার কিছুই করার ছিল না! কিন্তু শুমেলের কাছে ব্রুনো আবার ফিরে গেল কিভাবে? কোন দৃষ্টি কোন থেকে শুমেল তার প্রিয় বন্ধু ব্রুনোকে ক্ষমা করল? চলতে লাগলো বন্ধুত্বের মিষ্টিময়, অসাধারণ দিন গুলো! ব্রুনো ভুলে যেতে লাগলো তার আগের তিন বেস্ট ফ্রেন্ডের কথা। প্রতিদিন কাঁটাতারের বেড়ার নিকট দুজনের গল্প! একজন অন্যজনের আসার জন্য দাড়িয়ে থাকা! কিন্তু হঠাৎ বাধল এক বিপত্তি! আগামী কিছু দিন পর ব্রুনোর চলে যাওয়ার কথা বার্লিনের সেই আগের চিরচেনা বাসায় কিন্তু বার্লিনের মন খারাপ! প্রিয় বন্ধুকে কিভাবে ছেড়ে যাবে সে? কিভাবে সে তার সকল কৌতুহল দুর করবে? সে কি আদৌ ওই কাঁটাতারের বেড়া বেধ করে ওই ডোরাকাটা পাজামা আর টুপি পড়ার রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে? নাকি তার বন্ধুত্বের বাঁধনের সুতোয় আটকে গিয়েছে ব্রুনো? লেখকের স্বার্থকতার এটাই! ব্রুনোকে নিয়ে আপনার সকল কৌতুহল দুর করতে বইটি পড়তে হবে।অসম্ভব ভালো লেগেছে বইটি শেষ করতে পেরে! যুদ্ধের কারণে একটা মানুষের, একটি পরিবারের কেমন ক্ষতি হতে পারে তা লেখক এই আবেগীয় গল্পের মাধ্যমে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন বলেই আমি মনে করি। তবে আমার মনে হয়েছে, মূল গল্পের ভিতর ঢুকতে লেখক একটু বেশিই দেরি করে ফেলেছেন! প্রথমেই বোরিং কিছু পৃষ্ঠা পড়লে মনেই হবে না যে এই গল্পের শেষে এতটা ইন্টারেস্টিং কিছু থাকতে পারে! বইটি কেমন তা বুঝাতে একটি লাইন যথেষ্ট আর তা হচ্ছে, "নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার তালিকায় এক নম্বর স্থান দখল করেছে এই বইটি" আর সময় নষ্ট না করে যুদ্ধের ভয়াবহতায় মানবতার নির্মম পরিহাস কতটা হতে পারে তা জানতে বইটি নিয়ে বসে পড়তে পারেন! গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি, পুরো বইটি শেষ করার পর এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করবে আপনার মধ্যে! সেই অসাধারন অনুভূতি পেতে আজই অর্ডার করুন রকমারিতে! আর অপেক্ষা করতে থাকুন নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার তালিকায় এক নম্বর স্থান দখল করা বইটি হাতে পাওয়ার জন্য!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই- দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপ্ড পাজামাস লেখক-জন বয়েন অনুবাদ- সালমান হক ধরন-কিশোর উপন্যাস পৃষ্ঠা-১৪৪ মূল্য-১৪০ প্রচ্ছদ-ডিলান প্রকাশ-২০১৭ বাতিঘর প্রকাশনী ...... বাচ্চা ছেলে ব্রুনো, যার চোখ জুড়ে পৃথিবী এক আবিস্কারের জায়গা। সব সময় নতুন নতুন আবিস্কার নিয়ে ব্যস্ত সে। ব্রুনো থাকে বার্লিনে তাদের বিশাল বাড়িতে। নিজের আবাসটাকেও সে ভাবে আবিস্কারের জগৎ। তার বাবা, সুন্দর ইউনিফর্ম অধিকারী বিশেষ একজন। যার কাছে ফিউরি পর্যন্ত আসা যাওয়া করেন। তার মা একজন লম্বা লালচুলো মহিলা। ব্রুনোর অনেক গুলো বন্ধু এখানে। হঠাং একদিন আবিস্কার করলো মারিয়া যে কিনা তাদের বাসায় কাজ করে। সে তার রুমে ঢুকে, তার সকল জিনিস এমন কি গোপনীয় যে গুলো তাতেও হাত দিচ্ছে। এ খবর মাকে জানানোর পর, তার মা তাকে জানান তারা এ বাসা ছেড়ে তার বাবার কাজে অন্য এক জায়গায় যাচ্ছে। আর সে কারনে মারিয়া সব কিছু প্যাকিং করছে। এত দিন যে বাবাকে নিয়ে তার গর্ব ছিলো, এই প্রথম তার উপর খুব রাগ হলো। কেন না, তার বাবার কাজের জন্যই এই পরিচিত পরিবেশ, প্রিয় বাড়ি, প্রিয় বন্ধুদের ছেড়ে যেতে হবে। সে খুব বিরক্ত হয়, তার বাবা কি এমন কাজ করে, কি কারনে তাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে হবে। এটা সে ভেবেই পায় না। এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ব্রুনোকে তার মা বললেন, নতুন জায়গায় গেলে সে নতুন নতুন জিনিস আবিস্কার করতে পারবে। কোন কৌশলেই যখন টলানো গেল না, তখন ব্রুনো সব সহ্য করলো। মনে মনে কিছু টা নিজেকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করলো। কিন্তু একি! নতুন জায়গা তাকে পুরাই নিরাশ করলো। নতুন বাসার চারদিকে তারকাটার বেড়া, আসে পাশে কোন ঘরবাড়ি নেই। এখানে, সে কই বন্ধু পাবে! খেলবেই বা কার সাথে? বিক্ষুব্ধ হয়ে একদিন কাটাতারের পাশে হাটতে গিয়ে, ব্রুনো অবাক হলো। কারণ, তারকাটার পাশেই ডোরাকাটা কাপড়ের অদ্ভূত পোশাক পরিহিত তারই সমবয়সী একটা বাচ্চা। খুশি হলো এই ভেবে যে, বন্ধু পাতানো যাবে। তারপর? তারপর শুরু হলো তাদের বন্ধুত্বের পথচলা। কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছিলো তাদের বন্ধুত্ব, এটাই হলো পুরো গল্প। কাটতারের বেড়া কতটা এক করেছিলো তাদের বন্ধুত্ব! জন বয়ানের রচিত "দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপ্ড পাজামাস" মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চিত্রপট।১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত বিস্তৃত এই যুদ্ধ। মানবসভ্যতার ইতিহাসে সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এমনকি এটাই সবথেকে বেশি সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ, যেখানে ৩০ টি দেশের ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশগ্রহন করে। নির্বিচারে গনহত্যা, হলোকস্ট , পারমানবিক অস্ত্রের প্রয়োগ প্রভৃতি ঘটনায় ৫ থেকে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এই পরিসংখ্যান থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, এই যুদ্ধ পৃথিবীর ইতিহাসে কতটা নৃশংসতম যুদ্ধ! তবে এই গল্পে কোন যুদ্ধ নেই, কোন অস্ত্রের চিহ্ন নেই। আছে যুদ্ধের তপ্ত ছোঁয়া । আছে নাৎসী বাহিনীর বর্বরতা। ক্যাম্প গুলোতে জগন্যভাবে নির্বিচারে ইহুদী নিদন। কিশোর ব্রুনো জানতে পারে এক ঘৃন্য সত্য, যা তার কাছ হতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো। ঠিক লুকিয়ে রাখা নয়, আচ্ছাদন দেওয়া। অনেকটা কুৎসিতের উপর মনোরমের ঝালর দেওয়ার মতো। শুধু কি ব্রুনোর চোখে? মোটেও না, তার মায়ের চোখেও ফুটে উঠেছিলো। এবং আমরা পাঠকরা তাদের চোখেই অনুধাবন করার চেষ্টা করেছি মাত্র, সেই যুদ্ধের লীলা। সামান্য একটা অংশই মাত্র। একটা বাচ্চা চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা এই গল্পকে, মোটেও বাচ্চাদের বই বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। কেন না এই গল্পে লেখক যা রূপায়িত করেছেন, তা হল এক কিশোরের চোখ দিয়ে এক যুদ্ধের নৃশংসতা! যা সংঘটিত হয়েছে বড় বড় দেশের বড় বড় মানুষ দ্বারা। ছোট ব্রুনো যুদ্ধ কি, সে তাই জানে না। অথচ মানুষের জন্য যুদ্ধ কতোটা নির্মম, লেখক এই কিশোর চোখ দিয়েই দেখাবার চেষ্টা করেছেন। ২০০৮ সালে The Boy in the Striped Pajamas নামে চলচ্চিত্র নির্মান করেন মিরাম্যাক্স। বিশ্বের ৫১ টি ভাষায় অনুবাদ হওয়া এই বই, বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন- সালমান হক। সালমান হকের অনুবাদ নিয়ে কিছু বলার নেই। কেন না তিনি অনুবাদে বেশ পরিপক্কই হয়েছিলেন থ্রি এম সিরিজেই । এই বইয়ে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ। জন বয়েন সম্পর্কে বলতে হয়, এত ছোট পরিসরে এরকম তীক্ষ্ণ সূচবিদ্ধ করবেন এটা আমি বুঝতে পারিনি। বাচ্চাদের মন খুবই নরম, সহজেই তারা একটা কিছুতে আকর্ষিত হয়। বড়দের থেকে, বাচ্চাদের মানবতা বোধ অনেক বেশি। এই গল্পে যতটা না ছাপ ফেলেছে এই যুদ্ধ, তার থেকে বেশি ছাপিয়ে উঠেছে বন্ধুত্বের নিদর্শন। বাতিঘরের উদ্দ্যেশে বলতে হয়, এখনো তাদের প্রিন্টিং মিস্টেক লক্ষনীয়। বইয়ের প্রচ্ছদও বেশ সুন্দর। সর্বোপরি , দ্বিতীয় যুদ্ধের আঁচ পেতে বইটি পাঠককে খুব বেশি সাহায্য করবে। রকমারি লিংক https://www.rokomari.com/book/125609/দ্য-বয়-ইন-দি-স্ট্রাইপ্ড-পাজামাস
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #Book_Review বইয়ের নামঃ দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস বইয়ের ধরণঃ ঐতিহাসিক উপন্যাস বইয়ের লেখকঃ জন বয়েন বইয়ের অনুবাদকঃ সালমান হক প্রচ্ছদঃ ডিলান প্রকাশকালঃ জানুয়ারি ২০১৭ প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ১৪৪ মূদ্রিত মূল্যঃ ১৪০ টাকা অনুবাদক পরিচিতিঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অনুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। থৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোক রয়েছে তার। নিক পিরোগের থ্রি এ এম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। উক্ত সিরিজটি সহ প্রখ্যাত জাপানি থৃলার-লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স’-এর অনুবাদ তার অন্যতম জনপ্রিয় কাজ। সার-সংক্ষেপঃ স্কুল শেষে বাসায় ফিরতেই ছোট্ট ব্রুনো দেখল সবাই গোছগাছ করছে, বাবার বদলি হয়ে গেছে, অন্য কোথাও যেতে হবে তাদেরকে। নতুন জায়গায় গিয়ে খুবই হতাশ হলো সে। খেলার কোন সঙ্গি নেই। যতদূর চোখ যায় কাঁটাতারের বিশাল বেড়ায় ঘেরা পুরোটা জায়গা। ওপাশের সবকিছুকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রেখেছে সেই কণ্টক প্রাচীর। কিন্তু চুপ করে বসে রইল না ব্রুনো। অজানাকে জানার জন্যে খুঁজতে থাকলো উপায়। ডোরাকাটা পায়জামা পরা এক ছেলের সাথে দেখা হলো তার, কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে গেল বন্ধুত্ব। কিন্তু এর পরিণতি কি হবে তা তার জানা নেই। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ সত্যি কথা বলতে কি, আবেগ ধরে রাখা দায়। অসাধারণ উপন্যাস। চমৎকার প্লট। এত সুন্দর লেখনী যে পড়ার পর বহুদিন পর চোখের কোণে জলে উপস্থিতি পেলাম। গল্পটা ছোট্ট ছেলে ব্রুনো ও তার বন্ধু শুমেলকে নিয়ে হলেও, লেখা হয়েছে মূলত বড়দের জন্যই। তাই এটিকে আর যাই হোক, শিশুতোষ বা কিশোরোপন্যাস বলা যাবে না। তবে আমি এটিকে পুরোপুরি বড়দেরও বলবো না। “দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস” আমার কাছে একটি প্রতিকী উপন্যাস মনে হয়েছে। যেখানে শিশু ব্রুনোর চোখে দিয়ে দেখানো হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নৃশংসতা। আলোচ্য বইয়ে সবই আছে। হিংসা, বিদ্বেষ, রাজনীতি, প্রতিহিংসা, যুদ্ধের নৃশংসতা। তবে এই সবকিছু ছাপিয়ে উঠে এসেছে এক অটুট ও পবিত্র বন্ধুত্বের গল্প। যে বন্ধুত্ব কোন ধর্ম মানে না, জাত মানে না। মানে না আন্তর্দেশীয় কলহ। লেখক জন বয়েন এর লেখা প্রথমবার পড়লাম। বেশ বাহুল্য বর্জিত অল্প কথার লেখা। তবে বর্ণনা কিছুটা বেশি ছিল। যার ফলে গল্প প্রথম ৫০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত একটু স্লো লেগেছে। তবে অনুবাদক সালমান হক সেই জায়গাটা কিছুটা পুশিয়ে দিয়েছেন। থ্রি এ এম সিরিজের অনুবাদ করতে করতে তাঁর হাত ইতোমধ্যেই যে বেশ ভালোভাবে পেকে গেছে তা বই পড়লেই বোঝা যায়। অনুবাদ যথেষ্ট সাবলীল ছিল। তবে কিছু জায়গায় ভাবানুবাদ লেগেছে। মনে হয়েছে এখানে আরো কিছু লেখা ছিল যা অনুবাদক তুলে ধরেন নি। একটা জায়গার কথা বলি, ওয়েটার পাভেল লেফটেন্যান্ট কটলারের গায়ে ওয়াইন ফেলে দেয়ার পর সে রেগেমেগে পাভেলকে কিছু একটা করে। কিন্তু সে কথা বইয়ে উল্লেখ নেই। বইয়ে লেখা আছে, “...এরপরে যে ঘটনাটি ঘটল তা একদ্মই অপ্রত্যাশিত আর বর্ণনার অযোগ্য। কিন্তু মা কিংবা বাবা কেউই লেফটেন্যান্ট কটলারকে থামালেন না...” ঘটনাটি কি ঘটলো তার উল্লেখ নেই। এখন সেটা অনুবাদক উল্লেখ করেন নি নাকি মূল বইতেই নেই তা জানিনা। তবে পাঠক হিসেবে জায়গাটিতে আমার খামতি লেগেছে। বইয়ের বানানেও ৩-৪টি জায়গায় ভুল ছিল। অবশ্য ওটাকে টাইপিং মিস্টেকই বলা ঠিক হবে। বইয়ের বাহ্যিক দিকটা বেশ সুন্দর। চমৎকার প্রচ্ছদ। বাইন্ডিং, ছাপা ও কাগজের মান ভালো। দামও সাধ্যের ভেতর। আর হ্যাঁ! ২০০৮ সালে বইটিকে নিয়ে হলিউডে একটি সিনেমাও তৈরী হয়। সিনেমাটিও বইটির মত খুব সুন্দর। সবশেষে এটাই বলতে চাই যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা জন বয়েনের দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস একটি অসাধারণ আর হৃদয়স্পর্শি করা মানবিক গল্প। যে গল্প পাঠকের কোমল হৃদয়কে ছুঁয়ে যাবে, উপলব্ধি করতে বাধ্য করবে যুদ্ধের নৃশংসতা। রেটিংঃ ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
ব্রুনো নয় বছরের কিশোর। বার্লিন শহরে সে তার পরিবারের সাথে থাকে। একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরেই দেখল সবাই আসবাবপত্র গোছগাছ করছে। তার বাবার বদলি হয়ে গেছে। সেই সাথে বাসাও বদল করতে হচ্ছে। নতুন জায়গায় গিয়ে খুবই হতাশ হলো ব্রুনো। বার্লিনে তার তিনজন বেস্ট ফ্রেন্ড রেখে আসছে। নতুন জায়গায় কোনো খেলার সাথি নেই। আশেপাশে কোনো প্রতিবেশিও নেই। ব্রুনোর ঘরের জানালা থেকে যতদূর চোখ যায় কাঁটাতারের বিশাল বেড়া দেখা যায়। এই বেড়া কতদূর পর্যন্ত তা ব্রুনো জানে না। এই বেড়া দিয়ে ওপারের ছোট ছোট কুড়ে ঘর, একই রকম ডোরাকাটা জামা পড়া লোকদের পৃথক করে রাখা হয়েছে। কিন্তু ওরা সবাই এমন একই রকম ডোরাকাটা পোষাক পড়ে কেন? ব্রুনোর বাবার মত সুন্দর ইউনিফর্ম পড়া লোকগুলো বেড়ার ওপাশে গেলেও ওপাশ থেকে কেউ এপাশে আসে না। ব্রুনোর কি চুপ করে বসে থাকলে হবে? সে তো অভিযাত্রি! একদিন অজানাকে খুজতে বের হয়ে পড়লো। বেড়ার পাশ ঘেটে হাটতে হাটতে বহুদুরে বেড়ার ওপাশে ডোরাকাটা পায়জামা পড়া এক ছেলের সাথে পরিচয় হলো। কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধুত্ব। কিন্তু ওরা একত্রে খেলতে পারতো না। দুইজন বেড়ার দুইপাশে বসে গল্প করতো। দুই বন্ধুর নিষ্পাপ কথাবার্তায় খুজে পাবেন মানবজাতির নৃশংসতা। আর যে দুই বন্ধু! এদের বন্ধুত্বের পরিণতি কি? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ বইটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা। অসাধারন একটা হৃদয়স্পর্শি বই। অনুবাদকের ভাষায়- "এমন কিছু বই থাকে যেগুলো পাঠক বয়ে বেড়ান জীবনভর।" এমনই একটা বই 'দ্য বয় ইন স্ট্রাইপড পাজামাস'। ছোট্ট একটা বই কিন্তু এর ভিতরে আছে যুদ্ধ ও নৃশংসতার উপস্থাপন। আছে মানবিকতা। যেকোনো পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। গল্পটা পড়ার পরে আপনার হয়ত মনে পড়বে আয়লানের কথা বা তার মত হাজারো মানুষের কথা। সালমান ভাইয়ের অনুবাদ বরাবরের মতই অসাধারন। সাবলিল অনুবাদ। মনেই হবে যে অনুবাদ পড়ছেন। এমন আরও অসাধারন বই অনুবাদ করে আমাদের হাতে পৌছে দিবেন, সেটাই কামনা। বইটার আর্থিক মূল্য কম কিন্তু মূল্য অনেক বেশি।
Was this review helpful to you?
or
‘দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস’ বইটির লেখক জন বয়েন । জন বয়েন ১৯৭১ সালে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে জন্মগ্রহন করেছেন । ট্রিনিটি কলেজ থেকে ইংরেজী-সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করার পরে ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর উপরে ডিগ্রি নিয়েছেন ইস্ট অ্যাঙ্গোলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে । তিনি এই পর্যন্ত ৯ টি উপন্যাস লিখেছেন যার মধ্যে দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস নিউইয়র্কে বেস্টসেলার হয়েছে । বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন সালমান হক । বইটি প্রকাশিত হয় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে । বইটির প্রকাশক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং এর প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান । বইটির মুল ব্রুনো নামে একটি ছেলে ও তার পরিবার । ব্রুনো স্কুল শেষ করে বাসায় ফিরে দেখে তার বাবার বদলি হয়ে গিয়েছে , এরপরে বাসায় ফেরার পরে দেখে বাসার সবাই তাদের সবকিছু গোছগাছ করে নিচ্ছে , ব্রুনো এতে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে কারন তার নতুন কোথাও যেতে হবে । নতুন জায়গা তে যাওয়ার পরে সে খুবই হতাশ হয়ে পরে , খেলার কোনো সঙ্গী নেই, শুধু যতোদুরে চোখ যায় শুধু দেখা যায় কাটাতারের বেড়া ,চারদিকেই ঘেরা, এরপরে সে অজানা কে জানার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে ও উপায় খুজতে থাকে । এর মধ্যে ডোরাকাটা পাজামা পড়া একটি ছেলের সাথে তার দেখা হয় । কিছুদিন এর মধ্যে তারা তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে । কিন্তু তাদের এই বন্ধুত্ব যে কোনদিকে যাবে সেই সম্বন্ধে তার ধারনা নেই , বইটি পড়লে পাঠকের হৃদয়ে অন্যরকম একটি অনুভুতি কাজ করবে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি তে লেখা বইটি সকলের কাছেই ভাল লাগবে বলে আশা করা যায় ।
Was this review helpful to you?
or
সেই লেভেল এর একটা বই।মান অনুযায়ী বইটির দাম তুলনামূলক কম?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই! সবাইকে আমি এই বই টা পরার উপদেশ দিব ♥
Was this review helpful to you?
or
ভাল অনুবাদ ।
Was this review helpful to you?
or
Good story
Was this review helpful to you?
or
An Excellent book. Everyone must read this book.
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই - দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস লেখক - জন বয়েন অনুবাদ - সালমান হক ঢ্রুব প্রকাশনী - বাতিঘর প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ - জানুয়ারি ২০১৭ প্রচ্ছদ - ডিলান মুদ্রিত মূল্য - ১৪০/- রেটিং - ৫/৫ অনুবাদ রেটিং - ৫/৫ ....... লেখক পরিচিতি - জন বয়েন ১৯৭১ সালে জন্ম নেয়া আইরিশ লেখক জন বয়েনের লেখাপড়া টিনিট্রি কলেজে। ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে। এছাড়া ইস্ট অ্যাঙ্গোলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি আছে ক্রিয়েটিভ রাইটিং নিয়ে। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ৯. যার মাঝে সবচে জনপ্রিয় 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস'। যা স্থান করে নিয়েছিল নিউইয়র্ক বেস্টসেলার লিস্টে। অনুবাদ করা হয়েছে ৫১ টি ভাষায়। নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। জন বয়েন নিয়মিত বুক রিভিউ লিখে যাচ্ছেন। সেই সাথে কাজ করেন সাহিত্য বিচারক হিসেবেও। অনুবাদক - সালমান হক সালমান হক। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে জনপ্রিয় কজন অনুবাদকের একজন। ঢাকায় বেড়ে ওঠা এই অনুবাদকের পৈত্রিক নিবাস সিরাজগঞ্জ। নিক পিরোগের 'হেনরি বিনস' সিরিজে তার সাবলীল অনুবাদ এরমাঝেই অসাধারণ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০১৭ সালেই বেরিয়েছে তার প্রথম মৌলিক থৃলার 'নিখোঁজকাব্য'। ..... রিভিউ - ১৯৩৪ সালের ১৫ই এপ্রিল জার্মানি আর পোল্যান্ডে জন্ম নেয় দুজন শিশু। ব্রুনো আর শুমেল। ব্রুনোর বাবা জার্মানির উচ্চপদস্থ সৈনিক। যার ঘরে এসেছিলেন স্বয়ং ফিউরো এডল্ফ হিটলার। অন্যদিকে শুমেলের বাবা একজন ঘড়ি নির্মাতা। যিনি হিটলারের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের শিকার। শুমেলকে আনা হয় কনসান্ট্রেশন ক্যাম্পে। আর সেই ক্যাম্পেই দায়িত্ব পান ব্রুনোর বাবা। নতুন ঘরে এসেই ব্রুনো পড়ে দারুণ বিপাকে। বার্লিনের কিছুই এখানে নেই। নেই কোন রাস্তা। বেরুবার জায়গা। অভিযানের সুযোগ। ৩ তলার বাড়িতে তার দম বন্ধ হয়ে আসতে থাকে। জানালা দিয়ে কেবল কাঁটাতারের বেড়া আর ডোরাকাটা জামা পড়া লোক দেখতেই দেখতেই ক্লান্ত সে। এরমাঝে একদিন সবার অলক্ষ্যে অভিযানে বের হয় ব্রুনো। আর সেদিনই তার প্রথম আবিষ্কার হয় শুমেল। এক কথা দুই কথা থেকে দুজনেই হয়ে যায় ভাল বন্ধু। একই জন্মদিন, একই পরিস্থিতি সবকিছুতে নিজেদের মিল পায় নয় বছরের দুটো বাচ্চা ছেলে। কিন্তু ব্রুনোর আক্ষেপ সে কখনো শুমেলের সাথে খেলতে পারেনি। ধীরে ধীরে কেটে যেতে থাকে অনেকটা দিন। মাঝে পেরিয়ে যায় অনেক ঘটনা। এক সন্ধ্যায় ব্রুনোর বাবার জন্মদিনের পার্টিতে কাজ পায় স্বয়ং শুমেল। ব্রুনো তাকে দেখে রীতিমতো অবাক হয়। তড়িঘড়ি করে এগিয়ে দেয় রুটি আর পনির। যদিও শুমেল ধরা পড়ে লেফটেন্যান্ট কটলারের কাছে। সে সময় ভয়ে বন্ধুত্ব অস্বীকার করে ব্রুনো। আর একটা নির্মম অত্যাচার সইতে হয় শুমেলকে। এর কিছুদিন পর একদিন কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশ থেকে শুমেল জানায় তার বাবাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। দুই বন্ধু সিদ্ধান্ত নেয় শুমেলের বাবাকে খোঁজার। জার্মান সেনার পুত্র ব্রুনো ডোরাকাটা জামার সাথে ঢুকে পড়ে ক্যাম্পে। কি হয় তাদের ভাগ্যে? এরপরের ঘটনার জন্য আছে জন বয়েনের 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস।' .... প্রতিক্রিয়া - পড়তে গিয়ে বারবার মনে আসছিল আনা ফ্রাংক এর কথা। ইহুদি হবার অপরাধে যাকে বরণ করতে হয়েছিল নির্মম মৃত্যু। শুমেলও তার শিকার। কিন্তু তার একজন জার্মান বন্ধু ছিল। যে চাইতো শুমেল ভাল থাকুক। শুমেল পেট ভরে খেতে পারুক। যার চাওয়া ছিল শুমেলের বাবা ফিরে আসুক। যুদ্ধ কারোরই কাম্য না। অত্যাচারী আর অত্যাচারিত - দুজনের জন্যই যুদ্ধ একটি বিভীষিকা। দুজন শিশুর কাছে বন্দী জীবন কত কষ্টের তার স্পষ্ট দর্পণ 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস।' লেখনী আর অনুবাদ দুটোই অসাধারণ। কিছু কিছু দূর্বল প্রিন্টিং মিস্টেইক থাকলেও তা পড়ার বাধা ছিল না। প্রচ্ছদে আবারো নিজেকে চিনিয়েছেন ডিলান। সবক্ষেত্রেই তাই বইটা শতভাগ সফল। রেটিং - ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
ছােট্ট ব্রুনাে স্কুল শেষে বাসায় ফিরতেই দেখল সবাই গোছগাছ করছে, বাবার বদলি হয়ে গেছে, অন্য কোথাও যেতে হবে তাদেরকে। নতুন জায়গায় গিয়ে-খুবই হতাশ হলো সে। খেলার কোন সঙ্গি নেই। যতদূর চােখ যায় কাঁটাতারের বিশাল বেড়ায় ঘেরা পুরোটা জায়গা। ওপাশের সবকিছুকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রেখেছে সেই কণ্টক প্রাচীর। কিন্তু চুপ করে বসে রইল না ব্রুনাে। অজানাকে জানার জন্যে খুঁজতে থাকলো উপায়। ডোরাকাটা পায়জামা পরা এক ছেলের সাথে দেখা হলো তার, কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে গেল বন্ধুত্ব। কিন্তু সেটার পরিণতি কি হবে তা তার জানা নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা জেমস বয়েনের দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপডা পাজামাস একটি অসাধারণ আর হৃদয়স্পর্শি করা মানবিক গল্প। যে গল্প পাঠকের কোমল হৃদয়কে ছুঁয়ে যাবে, উপলব্ধি করতে বাধ্য করবে যুদ্ধের নৃশংসতা।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি _বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা . ।। পাঠ প্রতিক্রিয়া ।। . বইয়ের নামঃ দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপ্ড পাজামাস মূল লেখকঃ জন বয়েন অনুবাদঃ সালমান হক প্রচ্ছদঃ ডিলান প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রথম প্রকাশঃ জানুয়ারি ২০১৭ পৃষ্ঠাঃ ১৪৪ মুদ্রিত মূল্যঃ একশত চল্লিশ টাকা মাত্র রেটিং : ৪/৫ . চমৎকার দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদটির দিকে একবার তাকিয়ে বইটির ফ্ল্যাপের দিকে চোখ যায় আমার। সদ্য হাইস্কুলে উন্নীত ভাগ্নীর জন্যই বইটি অর্ডার করে গতকাল হাতে পেয়েছি বইটা। বইটির সামনে পেছনে হাত বুলিয়ে পড়া শুরু করলাম... ... . মূল লেখকের সম্বন্ধে কিছু কথা দেয়া বইয়ের এক ফ্ল্যাপে। এতগুলো ভাষায় অনুদিত হবার পরে বাংলাতেও অনুবাদ করা হয়েছে বইটা। কেমন যেন গর্ব অনুভব হলো। বাংলায় অনুবাদের লেখকের পরিচিতির দিকে চোখ বুলিয়ে গর্বে আরও বুক ফুলে গেলো আমার। . এবার মূল গল্প পড়ার পালা। কাহিনীর খুব ক্ষুদ্র একটি ছাপ দেয়া আছে, বইয়ের বাইরেই। সেটায় চোখ বুলিয়ে দ্রুত প্রবেশ করলাম গল্পের শুরু তে। . ব্রুনো, ছোট্ট এক ছেলে, চারপাশের চেনা পৃথিবীর মধ্যে যে বইয়ে দেখা অজানাকে জানার ইচ্ছায় অভিযাত্রী হবার স্বপ্ন চোখে নিয়ে বেড়ে উঠছে, যার মনে সবসময়েই নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশা, যে কিনা নিজের বসবাসের স্থানটিকেই আবিষ্কারের জগত বলে ভাবে, সেই শিশুটি যখন জানতে পারে তার প্রিয় বন্ধু, প্রিয় বাড়ি ছেড়ে এমন কোথাও যেতে হচ্ছে যেখানে তার দাদা-দাদীকেও নেয়া হবে না, এমনকি কতদিনের জন্য ঠিক কী পরিবেশে যাচ্ছে তারও সদুত্তর মেলে না তখন কষ্টের বীজ দানা বাঁধতে শুরু করে বৈকি। বইটি পড়তে গিয়ে নিজের শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম যেন। আমার বাবার মত বদলির চাকরির কারণে এক জায়গায় কিছুদিন স্থায়ী হতে না হতেই, কিছু বন্ধু পেয়ে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা নিবিড় হতে না হতেই আরেক নতুন জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছি বরাবর। . অল্পবয়েসী বাচ্চাদের মধ্যে এমনিতেই অনেক জিজ্ঞাসা, অনেক সহজ শব্দের অর্থও তাদের কাছে দূর্বোধ্য। এর মধ্যে যখন নতুন অজানা পরিবেশে যেতে হয়, তখন তাদের মনে প্রশ্নের কোন কমতি থাকবার কথা নয়। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বইটি পড়তে পড়তে কাহিনীর সাথে একাত্মা হয়ে গেছি। কখনো হেসে উঠেছি আনমনেই। আবার কখনো ব্রুনোর পরবর্তী অবস্থার আশংকায় মনে হয়েছে ইস, ওর মা বোন বা বাসার কেউ যদি ওর গতিবিধি লক্ষ্য করতো তবে বেশ হতো। বইটি অর্ধেক পড়বার পরেই পেটের মধ্যে ভয় দানা বেঁধে উঠতে শুরু করেছে। না জানি শেষে কী হয়! খুব ইচ্ছে করেছে বলি, “ইস, ব্রুনো আর এগিয়ো না” । খুবই সহজ সরলভাবে ঘটনা এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আকর্ষণে টেনে নিয়ে গেছে বইটা বন্ধ করা পর্যন্ত। . দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা একটি অসাধারণ আর হৃদয়স্পর্শি মানবিক গল্প জেমস বয়েনের 'দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পাজামাস'। সব বয়েসীদের উপযোগী বইটি যে কোন কোমল হৃদয়কে ছুঁয়ে দেবে, আবেগাপ্লুত করে তুলবে গভীর মমতায়। বইটির পরতে পরতে যে বর্ণনা, তার মধ্যে দিয়ে মনের চোখে যেন অবলোকন করলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ভয়াবহতা। . যুদ্ধকালীন সময়ের শিশুমনের প্রভাব বেশ সুন্দরভাবে ফুঁটে উঠেছে এতে। অনুবাদক সালমান হক এর সুন্দর অনুবাদেরই ফসল এটি। তার অনুবাদ করা প্রথম বই পাঠ আমার। লেখকের জন্য অনন্ত শুভেচ্ছা। . শেষ করার আগে বাতিঘর প্রকাশনীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তাদের আরও অনেক বই আমি পড়েছি। কিন্তু এই বইটির কিছু কিছু স্থানে মূদ্রণজনিত সমস্যাটি মাঝেমাঝেই ভ্রু কুঞ্চিত করেছে এই পাঠককে। . ও হ্যাঁ, পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলছি, বইটি কি এখনো পড়েননি? এখনই ডুব দিন এই অসাধারণ বইটির পাতায় পাতায়। আমার মতন আবেগে ভাসবেন আপনিও- এই চ্যালেঞ্জ রইলো। . রকমারি লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/125609/