Our User Product Reviews

ma sha allah onk valo vabe hate peyesi

অসাধারণ একটি বই

nice

My favourite character

Himi is one of my fav characters now..

প্রথমবারের মতো হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাস হিমু বই মোটামুটি ভালো লেগেছে ।

Onek din er iccha puron holo

অসাধারণ!! ইশ্ একবার যদি সত্যিকারে হিমুকে দেখতে পেতাম!!!

এক কথায়' অসাধারন

বইটি অনেক সুন্দর এবং বইয়ের কোয়ালিটিও অনেক অনেক ভালো।

amar jibon er pora one of the best book . ak bosha te pore sys korsi boi ta . khub i sundor akta boi

বই টা সুন্দর ছিল

অসম্বব সুন্দর একটি বই

not bad. prices should be less,

joss

অসাধারণ বই। পরে ভালো লাগছে

best book

Good

Excellent book!

??

অসাধারণ একটি বই হিমু সিরিজের অন্যতম ।হিমু সিরিজের প্রতিটি বইয়ের পড়ারমত এটা অনেক ভালো লাগছে ।

হিমু হুমায়ূন আহমেদ এর এক অনন্য সৃষ্টি। মিসির আলির পর হিমু চরিত্র টিই আমায় বেশি মুগ্ধ করেছে। হিমু মিসির আলির থেকে সম্পুর্ণ আলাদা এক মানুষ। তার জগতে লজিকের থেকে ম্যাজিকই বেশি। প্রকৃতির সাথে তার অদ্ভুত মিল।এমন এক চরিত্র আপনাকে অবশই মুগ্ধ করবে ।

অসাধারণ

কিছু বইয়ের রিভিউ হয় না। হিমু হচ্ছে সেরকম। হিমু পড়ার পর প্রত্যেকেই জীবনে একবার হলেও হিমু হতে চাইবে, আমারও করে। কিন্তু সবাই যে হিমু হতে পারে না। হিমু হতে গেলে মহামানব হতে হবে। সেটা কি সবাই হতে পারে? হ্যাপি রিডিং।

বইটি সম্পর্কে বলার কিছুই নেই । অত্যাধিক মজার । হিমু সর্বদাই চমত্কার ।।

The orders was good.

That's wast nice books..❣

ভালো

darun........

অনেক সুন্দর এবং নানান ধরনের চরিত্রের মানুষের পরিচয় দেয় এমন এক উপন্যাস।

হিমু এমন একটি চরিত্র যা আমাকে সবসময় ভাবায়।। হুমায়ূন আহমেদের এক অনবদ্য সৃষ্টি হিমু।।হিমু যখনই পরি কেন জানি আমার মন ভালো হয়ে যায়।। কতবার পরেছি তা মনে রাখতে পারি না।কারন এই উপন্যাস যতবার পড়ি প্রকৃতির সাপেক্ষে ততবারই নতুন লাগে।। প্রতিটি চরিত্র মনের মধ্যে একটা জায়গা করে নেয়।। একটাই কথা মনে হয় পড়া শেষে কেন শেষ হলো,আমি যে এখনো হিমুর জগতে আটকে আছি।।

সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।

I read, actually listened to, Himu after so many years again. It’s still amazing even though when I read it the first time I was just a college boy. I don’t know how to explain Humayun Ahmed’s early writing and its impact on me. Here is a try. As I am reading it, I see that I can go back to my college time in a time machine. When I stop reading I am back in my current reality! Not sure if it explains how I feel now. But again I am sad that this amazing writer is no more amongst us. Let me just stop here otherwise I may keep writing the whole night without actually saying anything meaningful.  © Ashik Uzzaman

খুব ভালো লেখনির একটা বই।খুব ভালো লাগলো বইটি পড়ে।

“অনেক দিন পর আবার ‘হিমু’ গল্পটা পড়লাম... খারাপ লাগার মতো একটা লাইনও চোখে পড়লো না... হয়তো এর কারন হুমায়ূন স্যারের প্রতি ভালোবাস! গল্পের শুরু হয় এষা নামের একটি মেয়ের সাথে হিমুর পরিচয় দিয়ে, সেই সুবাদে মোরশেদ সাহেবের সাথে হিমুর দেখা! মোরশেদ সাহেব একটা রোগে ভুগছেন, সাথে মানষিক ভাবে মাথাটা গেছে! অন্য দিকে হিমুর বন্ধু ইয়াদ, বোকা টাইপের মানুষ এবং অনেক অর্থ সম্পদশালী! হিমু তাকে গাধা বলে ডাকায় সে আহত! হিমুর প্রতি অন্ধভক্তি থেকেই সে একটা পরিকল্পনায় নামে, ভিক্ষুক হয়ে যায়! তাদের সাথে বসবাস করতে থাকে! ইদায়ের স্ত্রী নীতু চেষ্টায় থাকে ইয়াদ ফিরে আসবে, কিন্তু আসে না! হিমুর কাজই মানুষকে বিভ্রান্ত করা! ... এদিকে আবার এষা আর মোরশেদ সাহেবের ডিভোর্স হয়ে যায়! এষা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়, হিমু তাকে ভবিষ্যত বানী বলে- তার যাওয়া হবে না!! শেষ পর্যন্ত যেতে পারে কিনা... উপন্যাসের শেষ অংশে পাঠকরা জানতে পারবেন! আশা করছি বইটি পড়ার পর আমার মতই আপনিও মুগ্ধ হবেন!!

হিমুকে নিয়ে লিখা কোনো উপন্যাস শেষে যদি কোনো খারাপ লাগা কাজ করে থাকে, তা আমার ক্ষেত্রেই এটাই যে "হিমু বা তাঁকে ঘিরে ঘটনাগুলো কাল্পনিক কেন?"। এই হিমু আসক্তির কারণেই আমি যে কত মানুষের মাঝেই তাঁর ছায়া খুঁজে বেড়াতাম.. হাহাহা! এই চরিত্রটার মাঝে একটা ব্যাপার ছিলো বটে, তাঁর যেই আকর্ষণ ধরে রাখবার ক্ষমতা লেখক ঢেলে ঢেলে দিয়েছেন, তা থেকে লেখক নিজেও মুক্তি পান নি। হুমায়ূন আহমেদ একজন যুক্তিবাদী মানুষ অথচ তাঁর মতো মানুষের উপরেও তার এই সৃষ্ট যুক্তিহীন চরিত্র প্রভাব ফেলতে সক্ষম, সেখানে পাঠকরা প্রভাব মুক্ত থাকবে, তা কী করে হয়? বইপোকাদের একবার হলেও পড়ে দেখবার মতো হিমু সিরিজের এই "হিমু" উপন্যাসটি। সময় বের করে ঝটপট বইটি অর্ডার করে পড়ে ফেলুন, রকমারি পণ্য বরাবরই সন্তোষজনক।

হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়েন অথচ হিমু সিরিজের বই পড়েননি এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে না। হিমু সিরিজের বই মানেই অন্য রকম ভাল লাগা। একটি পাগলাটে ছেলে, যাকে কেউ মহাপুরুষ মনে করেতো অন্য কেউ মনে করে ভবঘুরে। কী যে একটা ধারণা নিয়ে ঘুরে ছেলেটা সে নিজেই জানে না। যখন যা করতে মন চায় তাই করে ফেলে। সামনে পিছে চিন্তা করার বালাই নেই তার। হঠাৎ রাতে খালি পায়ে রাস্তায় একা একা হাটতে মন চাইলতো বের হয়ে গেল। কোন চিন্তা নেই। অসাধারণ একটি বই।

'হিমু' আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের "হিমু" সিরিজের প্রথম বই। এটা আমি পড়ি প্রায় ২০১৬-১৭ ইং এর কোনো এক সময়ে। বইটা পড়ে অনেক মজা পেয়েছি বিশেষত হিমু ক্যারেক্টরের কারণে। তখন থেকে হিমুর প্রতি মায়া জন্মে। পরবর্তীতে আরও অনেক বই পড়েছি। যখন হিমু পড়ি তখন সজাগ থাকি কারণ হিমুর মাধ্যমে কোনো না কোনো তথ্য পাবোই; যা হবে খুবই ইন্টারেস্টিং। যেহেতু এ বই দিয়েই আমার শুরু তাই "হিমু" সিরিজের 'হিমু' বইটা আমার জন্য বিশেষ।

হুমায়ুন আহমেদের হিমু চরিত্রটি অনেক ভালো লাগে। হিমু চরিত্রটি অসাধারণ একটি চরিত্র। যতোই পড়া যায় ততোই ভালো লাগে। এই বইটি ছোট বড় সবার কাছে প্রিয় একটি বই। হিমু চলাফেরা কথাবার্তা সবকিছুই ভালো লাগে। এমন একটি বই প্রকাশ করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

হিমু,হুমায়ূন আহমেদের এক অদ্ভুত সৃষ্টি। হিমুর যুক্তিহীন, রহস্যময় জগৎ একজন যুক্তিবাদীকেও আকর্ষণ করে। হুমায়ূন আহমেদের এই সৃষ্টি এতোটাই আকর্ষণীয় যে, বাস্তব জীবনেও অনেকেই হিমু হতে চাই। হিমুকে নিয়ে লিখা বইয়ের ভেতর ময়ূরাক্ষী ও দরজার ওপাশে পড়েছিলাম আগে। যতই পড়ি ততই সার্টিফিকেট পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো হিমালয় অর্থাৎ হিমুর প্রতি আকর্ষণটা বেড়ে যাচ্ছে। এই বইয়ে মূলত হিমুকে মহাপুরুষ বানানোর জন্য তার বাবার কাজ কর্ম, হিমুর ভবিষ্যৎ বানী কাকতালীয়ভাবে মিলে যাবার কিছু কাহিনী ফুটে উঠেছে। যেমন- মোরশেদ ও এষার ডিভোর্সের পরেও এষা আমেরিকায় যেতে না পেরে মোরশেদের কাছে ফিরে আসা।

কি নাম বললেন আপনার, হিমু?’ ‘জ্বি, হিমু।’ ‘হিম থেকে হিমু?’ ‘জ্বি-না, হিমালয় থেকে হিমু। আমার ভাল নাম হিমালয়। ‘ঠাট্টা করছেন?’ ‘না, ঠাট্টা করছি না।’ আমি পাঞ্জাবির পকেট থেকে ম্যাট্রিক সার্টিফিকেট বের করে এগিয়ে দিলাম। হুমায়ন আহমেদের অমর সৃষ্ট চরিত্র হিমুকে নিয়ে তার লেখা তৃতীয় উপন্যাস ‘হিমু’। প্রকাশকাল ১৯৯৩। হিমুকে জানেনা বা হিমুকে নিয়ে লেখা বই কোন বইপোকা পড়েনি এটা মানা খুবই কষ্টকর হবে আমার জন্য। প্রথম দুই উপন্যাসের মতই এই উপন্যাসেও আমরা দেখতে পাই হিমুকে হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে রাস্তায় হাঁটতে, বাদলের বাবা বা হিমুর খালুর সাথে বাক্যালাপ করতে, অদ্ভুত সব কান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে। পড়তে পড়তে আমি হিমুর মায়ায় পড়ে গিয়েছি বারবার। বারবার শুধু নিজেকে হিমুর জায়গায় কল্পনা করেছি। আর মনে মনে চেয়েছি হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে রাস্তায় হেঁটে উল্টাপাল্টা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার মজা উপভোগ করতে। বইপোকাদের জন্য আদর্শ একটি বই।

বইটি পড়তে পড়তে, হিমু চরিত্রে আমি ঢুকে গিয়েছিলাম, নিজেকে হিমু ভাবতে শুরু করেছি । বই শেষ হবার পর ঘোর কেটেছে। হিমুর বন্ধু ইয়াদের অদ্ভুত কার্যকর্মগুলো আমার বেশ ভালো লাগছে। এ গল্প পড়ে ভিক্ষুকদের নিয়ে নতুন করে অনেক কিছু জানলাম। তবে গল্পের শেষ টা কেমন জানি অসম্পূর্ণ বোধ হলো। কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছে করছে। এই যেমন: হিমুকে কি কুকুরগুলা আসলেই আক্রমণ করেছিল? ইয়াদের শেষে কি হল? মোরশেদ সাহেব কি এয়ারপোর্ট গিয়েছিলেন? জানার খুবই ইচ্ছে।

গল্পের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিলাম

joss

বুক রিভিউ: "হিমু" "প্রিয় মুখ কিছুদিন পরপর দেখতে হয়। মানুষের মস্তিষ্কে অপ্রিয়জনদের ছবি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। সুন্দর ছবি কোনো এক বিচিত্র কারণে কখনো সাজয় না। যে জন্য চোখ বন্ধ করে প্রিয়জনের চেহারা কখনোই মনে করা যায় না"। হিমু সিরিজের সবগুলো বই খুব পছন্দের আমার।

Himu wears a yellow panjabi that does not have a pocket and lives like a vagabond or a gypsy. He walks barefoot on the streets of Dhaka without certain destination. He does not have a job and, therefore, no source of income. He prefers the life of a beggar than that of a hard worker, often praising begging. However, Himu walks endlessly – never using any form of transportation. The charterer is decidedly eccentric and unorthodox in outlook. A very interesting book.

সুন্দর বই

good book

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-হিমু লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৭৪ মূল্য-১২০ প্রতীক প্রকাশনা ...... কি নাম বললেন আপনার, হিমু? জ্বি হিমু হিম থেকে হিমু জ্বি না হিমালয় থেকে হিমু। আমার ভাল নাম হিমালয়। এতক্ষনে হয়তো বুঝতে পারছেন, আমি কিন্তু হিমুর কথাই বলেছিলাম। বইপোকাদের মধ্যে হিমু কে চিনেন না এমন পাঠক পাওয়া যাবে না । বাংলাসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ । আর তার তৈরি অন্যতম একটা চরিত্র হলো হিমু। হিমু এক রহস্য মানব। যাকে পাঠকের পক্ষে কখনো উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। ময়ূরাক্ষীর মধ্য দিয়ে লেখক হিমু কে আমাদের মাঝে এনেছিলেন। যে পুরো মিসির আলীর উল্টো। কোন যুক্তির ধার ধারে না । সে নিজের খেয়াল মতো অবস্থান করে। নিজের খুশিতে ঘোরাফেরা করে। নিজের মতোই তার পথ চলা। যেখানে কোন সঙ্গী কে প্রয়োজনবোধ করে না। আমরা হুমায়ূন ভক্ত রা ইচ্ছা করেই তার পথের সঙ্গী হতে চাই। কেন না তাতে আমাদের ভালো লাগে।তার একটু খানি প্রশ্রয়ে নিজেদেরকে আমরা খুব সৌভাগ্যবান মনে করি। উপন্যাসের প্রথম দিকে তাকে এষা নামে একটি মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। হিমুর ভাষায়, সে তাদের কোন একটা সাহায্য করায়, তারা ঠিক এর প্রতিদান না দিতে পেরে কিছু টা সংকোচ বোধ করছে। কি সেই উপকার পাঠক না হয় বইয়ের পাতায় দেখবেন। তাকে প্রশ্ন করা হলো, তার কাজ কি? হিমু খুব সাবলীল ভাবে উত্তর দিলো, সে একজন পরিব্রাজক। হাটা তার কাজ। উত্তর শুনে এষার কপালে ভাজ পড়লো। বসার ঘরে বসে কিছু একটা ভেবে বের করে ফেলল, বাড়িতে চা পাতা নেই। আর তাই সে এষা কে প্রশ্ন করলো।কথা শুনে এষার কপালের ভাজ বিস্তৃত হলো। হিমু বসে বসে ঘরের চিত্র গুলো পুরো তার চোখে ভাসাতে থাকলো। এষা পড়াতে যেতে চাইলেও সে বসে থাকল। এষা তখন টিভি ছেড়ে দিলো। কিন্তু টিভিতে কিছু আসছিলো না। তবুও হিমু খুব আগ্রহ নিয়ে টিভি দেখতে থাকলো। যাই হউক অনেকের কাছে হিমু ক্ষমতাধর ব্যক্তি , মহাপুরুষ কিংবা সাধু সন্ন্যাসী টাইপের যারা ভবিষ্যৎবাণী করতে পারে। ।কিন্তু কারো কাছে হিমু একে বারে বাউন্ডুলে ফালতু টাইপ । হিমুর সব থেকে প্রিয় কাজ চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্তিত করা। উপন্যাসে অনেক চরিত্র তাকে খুব বেশী ভালোবাসে এমনকি ভক্তি করে অন্ধের মতো।তার মধ্যে ইয়াদ একজন। আবার কারো কাছে হিমু বিরক্তিকর একটা জিনিস। তেমন একজন হলেন নীতু। এমন কি আমার আম্মুর কাছেও। মেয়ের বই গুলো তো দেখতে পারেই না। সেই সাথে লেখক এবং চরিত্র গুলোরও গুষ্ঠী উদ্ধার করতে মহিলা এক পায়ে খাড়া। হিমু চরিত্র টা ঘোলা। তাকে কখনো বুঝা যায়, আবার কখনো আয়ত্বের একেবারে বাইরে থাকে । তাকে বিশ্বাস করলেও ঠকতে হয় আবার অবিশ্বাস করেও পারা যায় না। তার কথা গুলো মূলত সত্যও না আবার মিথ্যাও না। তার একটা অমানুষিক গুন হলো মানুষের প্রচন্ড ভালোবাসা উপেক্ষা করা।যা সাধারন মানুষের মাঝে নেই। এদিক থেকে বলতে গেলে মহাপুরুষ পর্যায়ে। তার বাবার স্বপ্ন ছিলো তাকে মহাপুরুষ বানানো। তার জন্য জন্মের পর থেকে তিনি বহুৎ চেষ্টা করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে হিমু একেবারে মহাপুরুষ এর কাছাকাছি। এবং সে দিক দিয়ে তার বাবার ইচ্ছা পুরোপরি ব্যর্থ হয়নি। কিন্তু আবার সফলও হয়নি। সকল পাঠকের কাছে হিমু এক রহস্যময় চরিত্র। যা কোন ভেদ করা সম্ভব নয়। সে চলবে তার আপন গতিতে।

‘হিমু’ হুমায়ূন আহমেদের সাড়া জাগানো চরিত্রগুলোর একটি। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় বই থেকে হয়ত কোন চরিত্র উঠে এসেছে, কিন্তু হুমায়ুন স্যারের বইগুলো সবসময় খুবই ব্যতিক্রমধর্মী। এখানে দেখা গেছে বই থেকে চরিত্র নয়, বরং এই হিমু চরিত্রকেই কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে এই বইটি। ‘হিমু’ বইটি প্রধানত হিমু নামের এক খামখেয়ালি যুবককে কেন্দ্র করেই লেখা হয়েছে। জার প্রধান কাজ হচ্ছে হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে খালি পায়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো। শুধু বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনের কাছেই নয়, তার পরিচিত অর্ধপরিচিত অনেকের কাছেই সে এক অতি আপনজন! কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে নানা রকম আধ্যাত্মিক ক্ষমতাও আছে এই হিমুর মধ্যে! আমি এই বইটি পড়তে পড়তে অনেক সময় দেখা গেছে নিজেকেই কল্পনা কল্পনা করছি এই কল্পিত হিমু চরিত্রে। কল্পনায় কখনো হয়ে উঠেছি এক সাধারণ ভবঘুরে যুবক, কখনো হয়েছি এক সাহায্যপরায়ণ বন্ধু, কখনো হয়েছি রূপা নামের এক রূপবতী তরুণীর প্রেমিক! মোট কথা এই উপন্যাস পড়তে গিয়ে আমি নিজেই যেন হয়ে উঠেছি বারবার এই উপন্যাসেরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই হিমু নামের রহস্যময় যুবকটিতো সহজেই আমার মন জয় করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

Eccentricity without limits . . .Himu has this weird tendency of breaking his limits in every novel, and this also surprise you in the same way. From the very first scene with Esha to the last being in the hospital after being attacked by two dangerous dogs, nothing truly surprise him, but its the other way round. He keeps on shocking and surprising you, sometimes with deep awe! Doses of irony in between, there is a strange resemblance and similarity between the characters of Morshad and Iyaad . . . . who seemed much more unpredictable than Himu in this story, with Iyaad being reason for most of the comic punch-lines. Also the character of the shopkeepers from the daily domestic store or the Bhaater Hotel deserves a mention who fails to measure Himu and his charisma and in a way play to his tune. The third series in the book and so much variety till now. . . Looking forward. . :)

হিমু বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। হিমু একজন বাউন্ডুলে ধরনের যুবক। তার পোশাক ও গেট-আপ কিছু কিছু মানুষের কাছে বিরক্তিকর । উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না। হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। “হিমু” উপন্যাসের কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি- “আমার যেহেতু কখনোই কোনো তাড়া থাকে না—আমি বসলাম। রাত ন’টার মতো বাজে। এমন কিছু রাত হয়নি—কিন্তু এ বাড়িতে মনে হচ্ছে নিশুতি। কারো কোনো সাড়াশব্দ নেই। বুড়ো মনে হয় এই ফ্ল্যাটের নয়। পাশের ফ্ল্যাটের। এষা আমার সামনে বসে আছে। তার চোখে অবিশ্বাস এবং কৌতুহল একসঙ্গে খেলা করছে। সে অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছে, আবার জিজ্ঞেস করতে ভরসা পাচ্ছে না। আমি তাদের কাছে নিতান্তই অপরিচিত একজন। তার দাদীমা রিকসা থেকে পড়ে মাথা ফাটিয়েছেন। আমি ভদ্রমহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে মাথা ব্যান্ডেজ করে বাসায়ে পৌঁছে বেতের সোফায় বসে আছি।এদের কাছে এই হচ্ছে আমার পরিচয়। আমি খানিকটা উপকার করেছি। উপকারের প্রতিদান দিতে না পেরে পরিবারটা একটু অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে।ঘরে বোধহয় চা-পাতা নেই। চা-পাতা থাকলে এতক্ষণে চা চলে আসত। প্রায় আধঘণ্টা হয়েছে। এর মধ্যে চা চলে আসার কথা। আমি বললাম, আপনাদের বাসায় চা-পাতা নেই, তাই না? এষা আবারো হকচকিয়ে গেল।বিস্ময় গোপন করতে পারল না। গলায় অনেকখানি বিস্ময় নিয়ে বলল, না, নেই। আমাদের কাজের মেয়েটা দেশে গেছে। ওই বাজার-টাজার করে। চা-পাতা না থাকায় আজ বিকেলে আমি চা খেতে পারিনি। /‘আমি কি চা-পাতা এনে দেব?’/ ‘না না, আপনাকে আনতে হবে না। আপনি বসুন। আপনি কী করেন?’/ ‘আমি একজন পরিব্রাজক।’/ ‘আপনার কথা বুঝতে পারছি না।’/ ‘আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াই।’/ এষা তীক্ষ্ণ গলায় বলল, আপনি কি ইচ্ছা করে আমার প্রশ্নের উদ্ভট উদ্ভট জবাব দিচ্ছেন?’/ আমি হাসিমুখে বললাম, যা সত্যি তাই বলছি।সত্যিকার বিপদ হল—সত্যি কথার গ্রহণযোগ্যতা কম। যদি বলতাম, আমি একজন বেকার, পথে-পথে ঘুরি, তা হলে আপনি আমার কথা সহজে বিশ্বাস করতেন।’/ ‘আপনি বেকার নন?’/ ‘জ্বি-না। ঘুরে বেড়ানোই আমার কাজ। তবে চাকরিবাকরি কিছু করি না। আজ বরং উঠি?”

ভাল

One of my favorite character 'HIMU'

This is really a nice book.

হিমু বইটি হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা হিমু সিরিজের তৃতীয় বই । হুমায়ূন আহমেদ এর সেরা সৃষ্টি হল হিমু চরিত্র ।হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় একজন লেখক ।আমার মতে তিনি একজন রহস্যময় মানুষ । আর তার মতোই তার সৃষ্ট চরিত্র গুলো ও রহস্যময় । যখন হিমুর বই গুলো পড়ি মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে হিমু হয়ে যেতে । খালি পায়ে হাঁটব , পরনে থাকবে হলুদ পাঞ্জাবী । রাতে ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখব( জঙ্গল নাই)।

অসাধারন

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা হিমু,খামখেয়ালি বেকার একজন যুবক যার আচরণ কিছুটা অজাগতিক,বিষ্ময়কর। বয়স ২৫-৩০ এর কাছাকাছি। দেখতে তেমন কোনো সুদর্শন পুরুষ নয় বরং তার পোশাক বরই অদ্ভুত। হিমুর আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। বেশিরভাগ মানুষ ই নাম শুনে হতচকিয়ে যায় তাই হিমু সবসময় তার বার্থ সার্টিফিকেট সাথে রাখত। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব। তার একটি মহাপুরুষ তৈরির স্কুল ছিল যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু। সাধারণত হিমুর পরনে সবসময় পকেটবিহীম হলুদ পাঞ্জাবি থাকতো। ঢাকার পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। মাঝে মাঝে তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। সে যাই বলে হয়ে যায়। সে বলেছিলো মজনু মিয়া দুইদিন হোটেলে আসবেন না আসেও নি, ডক্টর সাহেবের ছোট মেয়ের হাত পুড়ে গিয়েছে কিন্তু এইসবের একটা ও হিমু আগে থেকে জানত না। কিন্তু হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা কখনো স্বীকার করে না। হিমুর আচার আচরণ খুবই বিভ্রান্তিকর। যেমনটা সে এষার পড়ার রুমে বিনা অনুমতিতে ঢুকে যেয়ে করেছিলো। এছাড়া হঠাৎ মোরশেদ সাহেবের বাসার জন্য রওনা দিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে। এবং এই বিভ্রান্ত করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। উপন্যাসটি তে কিছু চরিত্র হিমু কে মহাপুরুষ হিসেবেই মানে এদের মধ্যে হিমুর খালাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র রয়েছে যারা হিমুকে পীর ফকির আলীম ভাবে। হিমু প্রায় অদ্ভুত কাজ করত।চেনাজানা মানুষের কথা শুনতে খামখেয়ালি বিপরীত এ অজানা মানুষের কাহিনী জেনে নেওয়া। যেটা উপন্যাসের এষা ও তার স্ত্রীর ক্ষেত্রে করেছিলো। হিমুর জীবনযাপন অনেক অদ্ভুত। তার জীবন অনেকটা বাউন্ডুলে ধরনের। সে মেসে মাঝে মাঝে রাস্তায় ও পার্কেও রাত কাটায়। তার প্রধান কাজ রাস্তায় ঘুরে বেরানো । তার কোনো পেশা নেই। সে খায় একটা "মজনু মিয়ার ভাত মাছের হোটেল" এ। হিমুর বেশকিছু বিত্তবান আত্মীয় রয়েছে। হিমু প্রায়ই তার বিত্তবান আত্মীয়দের কাছ থেকে উপহার এবং অর্থসাহায্য পায়। হিমু উপন্যাসেও তার এক বিত্তবান বন্ধু ইয়াদের কথা ও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ব্যাক্তিত্ব হিমু স্বতন্ত্র ব্যাক্তিত্বের অধিকারী। সে প্রায়ই যুক্তি-বিরোধী মতানুসারে আচরণ করে, এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং তার এরকম অযৌক্তিক ব্যাক্তিত্বের কারণে সে অনেক সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। হিমুর একজন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আছে, যার নাম রূপা। যাকে ঘিরে হিমুর উপন্যাসে অজানা রহস্যময়তা আবর্তিত হয়। সে হঠাৎ হঠাৎ রূপার সাথে দেখা করতে যেতো তার মতে "প্রিয় মুখ কিছুদিন পরপর দেখতে হয়"। হূমায়ুন আহমেদের শ্রেষ্ঠ চরিত্রের মধ্যে অন্যতম হল হিমু। প্রতি পর্বে পর্বে এই রহস্যময় উপন্যাসটি পড়ে আশ্চর্য হয়ে উঠতে আপনি বাধ্য!

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা সবসময়ই অসাধারণ ।

সবার মুখে শুনে শুনেই আসলে হিমুর জগতে আমার আগমন । শুধু একটা কথাই বলতে পারি,''হুমায়ুন আহমেদের'' অনবদ্য এক সৃষ্টি হচ্ছে ''হিমু'' । এখন আমার একটা ইচ্ছা- পুরো ''হিমু সমগ্র'' পড়ে ফেলা ।

বইয়ের নামঃহিমু লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃপ্রতীক প্রকাশনা সংস্থা মূল্যঃ১৪১টাকা আমি হিমু বইটি অনেকবার পড়েছি । এটি এখনও আশ্চর্যজনক যদিও আমি যখন প্রথমবার পড়ি তখন যেমন অনুভূতি পেয়েছিলাম ঠিক তেমনি অনুভূতু এখনও পড়লে পাই। আমি জানি না কীভাবে হুমায়ূন আহমেদের প্রাথমিক লেখা আমার উপর এর এতো প্রভাব করে তা আমি ব্যাখ্যা করতে পারিনি।বইটি পড়ার সময় মনে হয় যেনো হিমুর সময়ে ফিরে যাই। আমি যখন পড়া বন্ধ করি তখন আমি আমার বর্তমান বাস্তবতায় ফিরে আসি।বইটি আশ্চর্য অনুভূতি জাগায়। যারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখনির স্বাদ গ্রহন করতে চান তাদের এ বইটি একবার হলেও পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।

I want to be like Himu

হুমায়ূন আহমেদ পড়েছেন আর হিমু পড়েননি এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে না । কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিকের কোন সৃষ্টিকে যদি একক ভাবে মনে রাখতে হয় তবে সেটা হিমু । হৃদয়গ্রাহী হিমুকে কোনভাবেই উপেক্ষা করার সুযোগ নেই । গল্পের জাদুকর তাঁর জাদুকরী ছোঁয়ার ষোল আনা ঢেলে দিয়ে 'হিমু' লিখেছেন । হিমু কে ? কী তার ক্ষমতা ? আদৌ কি বাস্তবে কোন হিমু আছে ? নাকি লেখকের খেয়ালী মনের কল্পনা ? হিমু, রহস্য মানব । যে কিনা লজিকের ধার ধারে না । যাকে নিয়ে তার চারপাশের মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয় । কারো কাছে হিমু অতিন্দ্রীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি , মহাপুরুষ কিংবা সাধু সন্ন্যাসী গোত্রীয় যার প্রতিটি ভবিষ্যৎবাণী বাস্তবে রূপ নেয় । আবার কারো কাছে হিমু হল বাউন্ডুলে এক স্বত্তা । যার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নেই । চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলাই যার কাজ । কেউ হিমুকে খুব বেশী ভালোবাসে , অন্ধের মত ভক্তি করে আবার কারো কাছে হিমু বিরক্তিকর প্রাণি বিশেষ । হিমু এমন এক স্বত্তা যে একই সঙ্গে চেনা আবার একেবারেই অচেনা । যে কখনই সত্য কথা বলে না আবার মিথ্যা কথা বলে না । প্রচন্ড ভালোবাসা উপেক্ষা করার মত ঐশ্বরিক ক্ষমতা যার আছে । যে তার বাবার স্বপ্ন অর্থাৎ সন্তানকে মহাপুরুষ বানানোর চেষ্টা পুরোপরি ব্যর্থ করেনি আবার সফলও করেনি । মানুষের উপকার করেই যে সটকে পড়ে , ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগটা যে দেয় না । একেকজনের কাছে হিমু একেক রকম । আমার কাছে হিমু এমন এক রহস্যমানব যার চারপাশের রহস্যের জাল গুটিয়ে ফেলা যাবে না । যেখানে হিমুর স্রষ্টা হিমুর যুক্তিহীন রহস্যময় জগতকে নিজেই উন্মোচন করতে পারেন নি ,সেখানে আমার মত ক্ষুদ্র পাঠক কীভাবে পারবে ? কিছু চরিত্র থাক না রহস্যের আড়ালে , ক্ষতি কী ?