User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ছিলো
Was this review helpful to you?
or
Loved this one.. Super Thrilled 3
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালো একটা থ্রিলার বই
Was this review helpful to you?
or
রোমাঞ্চে গা শিউরে ওঠার মতো একটি বই অনীশ দাশ অপুকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি বই অনুবাদ করার জন্য
Was this review helpful to you?
or
মূল বই ৩১৬ পেজের, অার অনুবাদ ১৩৬ পেজ। পুরাই হাস্যকর। অর্ধেকেরও বেশি নাই করে দিছে!
Was this review helpful to you?
or
It is a great book. Ei boi ti pore ami onek ta goyenda mind er ekhon manush hoye gesi. Esarao no tor main character amake khub akrishto kre. R boi ti porar shomoy pathok er majhe ek tan tan uttejona kaj kre
Was this review helpful to you?
or
একবারে শেষ না করে ওঠা যায় না এমন বই।
Was this review helpful to you?
or
বই : দ্য নেকেড ফেস লেখক : সিডনি শেলডন অনুবাদক : অনীশ দাস অপু প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ ঘরানা : থ্রিলার পৃষ্ঠা : ১৩৫ মুদ্রিত মূল্য : ১৮০ টাকা জন হ্যানসনের মৃত্যু দিয়ে গল্পের শুরু। মৃত্যু তো না, খুন। নিউইয়র্কের বিখ্যাত সাইকোআ্যনালিস্ট জাড স্টিভেন্স এর রোগী ছিল হ্যানসন। তার ই চেম্বারের এক ব্লক দূরে পিঠে ছুরি খেয়ে মারা যায় সে। এতে জাডকে সন্দেহ করার তেমন কিছু ছিলনা। কিন্তু যখন সেই দিন বিকেলেই তার রিসেপশনিস্ট ক্যারোলকে তারই অফিসে এসিড দিয়ে ঝলসে নির্মমভাবে হত্যা করা হল, তখন সন্দেহের তীর জাডের দিকেই গেল। এর পেছনে ছিল ক্যারোলের কালো অতীত আর কিছুটা এই কেসের ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ম্যাকগ্রিভির ব্যক্তিগত বিদ্বেষ। জোরালো কোন প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়না, কিন্তু তদন্ত চলতে থাকে বেশ ভালভাবেই। আরেক ইনভেস্টিগেটিং অফিসার আ্যঞ্জেলি অবশ্য নিরপেক্ষভাবেই কাজ করছিল। এর মধ্যে ঘটে আরেক ঘটনা। গাড়ি চাপা দিয়ে কেউ মারতে যায় জাডকে। কিন্তু পুলিশ বিশ্বাস করেনা জাডের কথা, তাদের ধারণা এটা নিছকই একটা এক্সিডেন্ট। আরো কয়েকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে জাড। কিন্তু বেচারা পুলিশের কাছে কিছুই প্রমাণ করতে পারেনা উল্টে তার প্রতি ম্যাকগ্রিভির সন্দেহ বাড়তে থাকে। বেচারা জাড, মৃত্যুভয় পেয়ে বসে তাকে। একসময় সে নিজেও সন্দেহে পড়ে যায়, আসলেই কি কেউ তার পেছনে লেগেছে, নাকি সবটাই কল্পনা। সে নিজেই প্যারানোইআক(যে লোক ভাবে তাকে সবাই খুন করতে চাইছে) নয়তো? আসল ঘটনাটা কি? মুখোশের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসবে কার নেকেড ফেস? পাঠ প্রতিক্রিয়া: বইটা মোটামুটি লেগেছে। এতগুলো শেলডন পড়ে ফেলার পর দেখি, এটা তার প্রথম বই। বইটা অন্য বইগুলোর থেকে অনেক ছোট। একবসায় শেষ করে ফেলার মত। সবসময়ের মত শেষে বোমা ফাটিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাও আমার মনঃপূত হয়নি। কি জানি, তার ভাল লেখাগুলো পড়ে ফেলার ফলেও হতে পারে। থ্রিলারপ্রেমীরা পড়তে পারেন, কারণ আপনাদের ভাল লাগতেও পারে। আর যারা শেলডন এখনো পড়েননি তাদের জন্য ভাল সূচনা হতে পারে। রেটিং : ৭/১০
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ দ্যা নেকেড ফেস লেখকঃ শিডনি সিলডন রুপান্তরঃ অনীশ দাস অপু প্রকাশনীঃঅনিন্দ্য প্রকাশনী ধরনঃ থ্রিলার উপন্যাস মূল্যঃ১৮০ টাকা (রকমারি মূল্যঃ ১১৭ টাকা) . নিউইয়র্কের বিখ্যাত সাইকোঅ্যানালিস্ট জাড স্টিভেন্স। কলেজে শেষবর্ষের ছাত্র থাকাকালীন বিয়ে করেছিলেন জাড।বিয়ের প্রথম ক্রিসমাসের রাতে সন্তানসম্ভবা এলিজাবেথ গাড়ি- দূর্ঘটনায় মারা যায়। শোক ভুলতে কাজের মধ্যে ডুব দেন জাড, শীঘ্রি হয়ে হয়ে ওঠেন দেশের খ্যাতিমান সাইকোঅ্যানালিস্ট। . বিভিন্ন স্বভাবের অদ্ভূত সব রোগীর আগমন তার কাছে। লেসিংটন এভিন্যুতে লম্বা, রোগাপাতলা এক লোক, গায়ে হলদে বর্ষাতি, ক্রিসমাসের ভিড়ের সঙ্গে মিশে আপন মনে হেঁটে চলছিল। হলুদ বর্ষাতি পরিহিত ওই ব্যক্তিকে মানুষের পদচারণায় মুখর রাস্তায় পিঠে ছুরি মেরে খুন করা হলো। জানা গেলো, সে ছিলো ড. জাড স্টিভেন্সেরই রোগী। তার থেরাপি চলছিলো এবং প্রায় শেষের দিকে চলেও এসেছিলো। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ডিটেকটিভ ম্যাকগ্রিভি ও অ্যাঞ্জেলি তদন্তে নামলো। স্বাভাবিক ভাবেই ড. স্টিভেন্সের নাম উচ্চারিত হলো। আর তদন্তের স্বার্থে তার চেম্বারে হানা দিলো ডিটেক্টিভদ্বয়। তাদের প্রাথমিক প্রশ্ন উত্তরের পরের দিন খুন হলেন জাডের সেক্রেটারি ক্যারল রবার্টস। কারা যেনো ওর শরীর অ্যাসিড দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। খুনটাও হয়েছে জাডের অফিসে। এই দুটি খুনই জাডের জীবন বদলে দিলো। কিন্তু ম্যাকগ্রিভি তো আসল খুনী বাদ দিয়ে জাডের পিছনেই লেগে আছেন, কোন পুরোনো শত্রুতার জের ধরে নয়তো? এ্যান্জোলি যথাসম্ভব সাহায্য করতে চাইছে জাডকে, কিন্তু পারবে কি? জাডকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হলো। প্রতিবারেই ভাগ্য জোরে বেঁচে গেল জাড, কিন্তু কতদিন? প্রাইভেট ডিটেকটিভ মুডির সাহায্য নিলেন জাড কিন্তু তাকেও হত্যা করা হলো নির্মমভাবে। প্রাইভেট ডিটেকটিভ মুডি মারা যাওয়ার আগে জাডকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলেন কে থাকে মারতে চায় মুডি তার নামও জানিয়েছিলেন কিন্ত তারপর ও ম্যাকগ্রিভি বা আঞ্জেলি তাকে ধরতে পারেননি। #ডন ভিলটন এই নামই ফোনে জাডকে জানিয়েছিলেন মুডি। কে এই ডন ভিলটন? কেনইবা খুন করতে চায় সে জাডকে? এই নামের রহস্য আর খুনের রহস্য জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে টান টান উত্তেজনায় ভরা এই বইটি। . #লেখক_পরিচিতিঃ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক সিডনি শেলডন। তাঁর প্রথম বই ‘দ্য নেকেড ফেস’ -কে নিউইয়র্ক টাইমস অভিহিত করেছিল ’ বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস’ বলে। শেলডন যে ১৮টি থ্রিলার রচনা করেছেন তার প্রতিটি পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলারের মর্যাদা। তাঁর সবচেয়ে হিট রোমাঞ্চোপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- দ্য আদার সাইড অভ মিডনাইট, ব্লাড লাইন, রেজ অভ এঞ্জেলস, ইফ টুমরো কামস, দ্য ডুমসাযে কন্সপিরেসি, মাস্টার অব দ্য গেম, দ্য বেস্ট লেইড গ্ল্যানস, মোমোরিজ অভ মিডনাইট ইত্যাদি। তার লেখা দ্য নেকেড ফেস বইটি বাংলাতে অনুবাদ করে প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি অনুবাদ করেছেন অনীশ দাস অপু । প্রকাশিত হয় অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে । বইটির প্রকাশক আফজাল হোসেন । . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ আমার পড়া সিডনি শিলডনের প্রথম রহস্য উপন্যাস দ্যা নেকেড ফেস দুর্দান্ত রহসময়তায় ভরা একটি বই।প্রতিটি পেজেই টান টান উত্তেজনা ছিল। অসম্ভব ভাল লেগেছে পড়তে। আপনারা ও পড়ে দেখুন আশা করি ভাল লাগবে হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : দ্য নেকেড ফেস মূল : সিডনি শেলডন অনুবাদ : অনীশ দাস অপু ঘরানা : মিস্ট্রি/থ্রিলার প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ পৃষ্ঠা : ১৩৬ প্রচ্ছদ : হাসান খুরশীদ রুমী মুদ্রিত মূল্য : ১৮০ টাকা ড. জাড স্টিভেন্স। একজন বিখ্যাত সাইকো-অ্যানালিস্ট। একা মানুষ। নিজের কাজ ছাড়া কিছুই বোঝেনা। মানসিক সমস্যায় জর্জরিত রোগীদেরকে সাহায্য করা ও তাদের সিক্রেট গোপন রাখাই তার কাজ। এমন একজন মানুষ এবার পড়লো ভয়াবহ বিপদে। হলুদ বর্ষাতি পরিহিত এক ব্যক্তিকে মানুষের পদচারণায় মুখর রাস্তায় পিঠে ছুরি মেরে খুন করা হলো। জানা গেলো, সে ছিলো ড. জাড স্টিভেন্সেরই রোগী। তার থেরাপি চলছিলো এবং প্রায় শেষের দিকে চলেও এসেছিলো। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ডিটেকটিভ ম্যাকগ্রিভি ও অ্যাঞ্জেলি তদন্তে নামলো। স্বাভাবিক ভাবেই ড. স্টিভেন্সের নাম উচ্চারিত হলো। আর তদন্তের স্বার্থে তার চেম্বারে হানা দিলো ডিটেক্টিভদ্বয়। সবকিছু এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলে উপন্যাসটাও দীর্ঘায়িত হতোনা। ড. জাড স্টিভেন্সের রিসেপশনিস্ট ক্যারল রবার্টসকেও কে বা কারা নৃশংসতা'র সাথে খুন করে রেখে গেলো তারই চেম্বারে। এবার নড়েচড়ে বসলো হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট। ড. স্টিভেন্সের অ্যালিবাই চেক করা হতে লাগলো। ডিটেকটিভ ম্যাকগ্রিভি যেন আদাজল খেয়ে লাগলো সাইকো-অ্যানালিস্ট সাহেবের পেছনে। তাকে ফাঁসানোই যেন মূল কাজ হয়ে দাঁড়ালো। আর এসবের পেছনে রয়েছে অতীতের এক তিক্ত ঘটনা। ঘটনাপঞ্জি'র মোড় ঘুরে গেলো যখন ড. স্টিভেন্সের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠলো। কেউ একজন কোন ভাবেই চায়না, সে বেঁচে থাকুক। একটা সংঘবদ্ধ চক্র মরিয়া হয়ে লাগলো তার পেছনে। আর রহস্য আরো ঘনীভূত করতেই যেন দৃশ্যপটে আবির্ভূত হলো অ্যান নামের এক রহস্যময়ী সুন্দরী রমণী। জমে উঠলো শিকার ও শিকারি'র খেলা। ব্যক্তিগত মতামত : আমেরিকান থ্রিলার সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ হিসেবে খ্যাত সিডনি শেলডনের পাঠকপ্রিয় বই গুলোর মধ্যে 'দ্য নেকেড ফেস' অন্যতম। ছোট কলেবরের হলেও, থ্রিলার উপন্যাস হিসেবে এটা দারুন ভাবে সার্থক। প্রতিটা অধ্যায়েই পাঠককে টান টান উত্তেজনার মুখোমুখি করতে লেখক কোন কমতি রাখেননি। রহস্য আর উত্তেজনার এমন যুগপৎ সংমিশ্রণ 'দ্য নেকেড ফেস'-কে নিয়ে গেছে অন্যরকম উচ্চতায়। তবে বইটার ক্লাইম্যাক্স অঙ্কিত হয়েছে অত্যন্ত তাড়াহুড়া'র সাথে। যেন শেষ করার জন্য লেখকের দারুন তাড়াহুড়া ছিলো। অন্তত আমার তেমনটাই মনে হয়েছে। বাংলাদেশের অনুবাদ জগতের পরিচিত মুখ অনীশ দাস অপু'র অনুবাদ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। অসাধারণ অনুবাদ করেছেন তিনি। সেবা সুলভ সাবলীলতা সেবা'র বাইরেও সমুন্নত ছিলো। হাসান খুরশীদ রুমী'র প্রচ্ছদটাও মোটামুটি ভালো লেগেছে। রেটিং : ৪/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ-প্রতিযোগীতা। বই- দ্য নেকেড ফেস। লেখক- সিডনী শেলডন। অনুবাদ- অনীশ দাস অপু। ধরন- ক্রাইম থ্রিলার। পৃষ্ঠা- ১৩৬। প্রকাশনী- অনিন্দ্য। প্রধান চরিত্র- ড. জাড স্টিভেন্স, ডিটেকটিভ ম্যাকগ্রেভি, ডিটেকটিভ অ্যান্জেলি, নরম্যান জেড মুডি, অ্যান ব্লেক, জন হ্যানসন, ক্যারল রবার্টস, টেরি ওর্য়াশবার্ণ। সমকামী জন হ্যানসনের খুন হলেন ছুরি খেয়ে। সে ছিলো বিখ্যাত সাইকো অ্যানালিষ্ট জাড স্টিভেন্সের প্রধান একজন রোগী। এই সূত্র ধরেই জাডের কাছে হাজির হন ডিটেকটিভ ম্যাকগ্রেভি ও ডিটেকটিভ অ্যান্জেলি। তাদের প্রাথমিক প্রশ্ন উত্তরের পরের দিন খুন হলেন জাডের সেক্রেটারি ক্যারল রবার্টস। কারা যেনো ওর শরীর অ্যাসিড দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। খুনটাও হয়েছে জাডের অফিসে। এই দুটি খুনই জাডের জীবন বদলে দিলো। ডিটেকটিভ ম্যাকগ্রেভি খুনগুলোর জন্য জাডকে ফাসাতে চাইছে। কিন্তু কেনো? জাডের সাথে কি তার পুরোনো কোনো শত্রুতা আছে? তবে অ্যান্জেলিকে যথেষ্ট বন্ধুভাবাপন্ন পাওয়া যায়। সে সাহায্য করে জাডকে, তবে নিয়মের মধ্যে। কিন্তু নিয়ম কানুন ভেঙে জাডের ওপর হামলা হয়। অল্পের জন্য বেচে যায় জাড। বিশাল সন্দেহের তালিকায় অনেকের নাম জড়িয়ে পড়ে। সে ভাড়া করে শখের গোয়েন্দা নরমান মুডিকে। কিন্তু মুডি সত্যিটা জানার পরও বলে যেতে পারেনা জাডকে। তার আগেই মরে যায়। ততোদিনে জাডের সাথে সাথে ঝুকিতে পড়ে গেছে জাডের আরেক রোগীনি অ্যান ব্লেক যার প্রতি জাডের রয়েছে প্রগাড় দুর্বলতা। যেদিন এ্ই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় সেদিনই বিশ্বসাহিত্যের আকাশে জ্বলে ওঠে আরেকটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। এই নক্ষত্রের নাম সিডনী শেলডন। দ্য নেকেড ফেস সিডনী শেলডনের লেখা প্রথম উপন্যাস। প্রথম উপন্যাস দিয়েই আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি। থ্রিলার সাহিত্যে যোগ হয় এক শক্তিশালী প্রতিভাধর লেখকের পদচারণ। পাঠক ধরতেই পারবেন না কে জাডকে মারতে চাইছে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন কারণটা কি? বইটি লেখা হয়েছে অনেক আগে। ১৯৭০সালে। অর্থাৎ বইটির বয়স আমাদের দেশের বয়সের চেয়েও বেশী বলা যায়। বহু আগের লেখা এই বইটি তাই পড়ার সময় অনুভূতি ছিলো অন্যরকম। সিডনী শেলডন উপন্যাস লিখেছেন খুব কম। তার নিজস্ব লেখা উপন্যাসের সংখ্যা ১৯টি। বাকি কয়েকটি তিনি সর্ম্পূণ করে যেতে পারেননি। সেসব সর্ম্পূণ হয়েছে টিলি ব্যাগশ নামক এক ব্রিটিশ লেখিকার মাধ্যমে। টিলি ব্যাগশ যেসব উপন্যাসে পূর্ণতা দান করেছেন সেসবও অনুবাদ করেছেন। শিগ্রই সেসবের রিভিউ নিয়েও আসবো। আপাতত আসুন, সিডনী থ্রিলারে আমরা প্রবেশ করি। রেটিং- ৫.০০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
‘দ্য নেকেড ফেস’ বিশ্ববিখ্যাত থ্রিলার উপন্যাস লেখক সিডনী শেলডন এর লেখা অসাধারন একটি থ্রিলার । সিডনী শেলডন ১৯১৭ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহন করেন । তিনি একজন একাডেমী এ্যাওয়ার্ড বিজয়ী লেখক । সিডনি শিকাগোর, ইলিনয়ের সিডনে স্কেচটেলে জন্ম গ্রহণ করেন। ডেভার ইস্ট হাই স্কুল থেকে গ্রাজুয়েট হওয়ার পর, তিনি নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। তিনি তখন নাট্যদলে ছোট ছোট নাটক করতেন। তিনি ১৮টি থ্রিলার উপন্যাসের লেখক (যা ৩০০ মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রিত)। তিনি দুশোটির বেশি টেলিভিশন স্ক্রিপ্ট লেখেন। তিনি ২৫টি বড় সিনেমা এবং ৬টি নাটক তৈরি করেন। তার লেখা দ্য নেকেড ফেস বইটি বাংলাতে অনুবাদ করে প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি অনুবাদ করেছেন অনীশ দাস অপু । প্রকাশিত হয় অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে । বইটির প্রকাশক আফজাল হোসেন । নিউইয়র্কের বিখ্যাত সাইকোঅ্যানালিস্ট জাড স্টিভেন্স । হঠাৎ একদিন পিঠে ছুরি খেয়ে মারা গেল হ্যানসন। জাডের সেক্রেটারী ক্যারোলের সারা শরীরে এ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিল কে যেন, সীমাহীন নির্যাতনের মধ্যে মৃত্যু ঘটলো তার। দুজনের সাথেই যোগাযোগ ছিল জাডের। দুটো খুনের জন্যই সন্দেহ করা হলো জাডকে। লেফটনেন্ট ম্যকগ্রিভি আর ডিটেকটিভ এ্যান্জেলি এই কেসের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু ম্যাকগ্রিভি তো আসল খুনী বাদ দিয়ে জাডের পিছনেই লেগে আছেন, কোন পুরোনো শত্রুতার জের ধরে নয়তো? এ্যান্জোলি যথাসম্ভব সাহায্য করতে চাইছে জাডকে, কিন্তু পারবে কি? জাডকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হলো। প্রতিবারেই ভাগ্য জোরে বেঁচে গেল জাড, কিন্তু কতদিন? প্রাইভেট ডিটেকটিভ মুডির সাহায্য নিলেন জাড কিন্তু তাকেও হত্যা করা হলো নির্মমভাবে। কে আছে সবকিছুর পিছে ? কাহিনী কোনদিকে যাবে ? জানতে হলে পড়তে হবে আন্তর্যাতিক বেস্টসেলার উপন্যাস টি ।
Was this review helpful to you?
or
নিউইয়র্কের বিখ্যাত সাইকোঅ্যানালিস্ট জাড স্টিভেনসের কাছে বিভিন্ন স্বভাবের অদ্ভূত সব রোগীর সমাগম ঘটে। তাদের মধ্যে একজন সমকামী হ্যানসন, জাডের একজন পুরোনো রোগী। হঠাৎ একদিন হ্যানসন মারা গেল -পিঠে ছুরি খেয়ে। অন্যদিকে ক্যারলের সারা শরীর অ্যাসিড দিয়ে ঝলছে দিল কে যেন, সীমাহীন নির্যাতনের মধ্যে মৃত্যু ঘটল তার। নিউইয়র্কের বিখ্যাত সাইকোঅ্যানালিস্ট জাড স্টিভেন্স এদের দুজনকেই চেনে। এদের মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করা হল। লেফটনেন্ট ম্যকগ্রিভি আর ডিটেকটিভ এ্যান্জেলি এই কেসের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু ম্যাকগ্রিভি তো আসল খুনী বাদ দিয়ে জাডের পিছনেই লেগে আছেন, কোন পুরোনো শত্রুতার জের ধরে নয়তো? জাডকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হলো। প্রতিবারেই ভাগ্য জোরে বেঁচে গেল জাড, কিন্তু কতদিন? প্রাইভেট ডিটেকটিভ মুডির সাহায্য নিলেন জাড কিন্তু তাকেও হত্যা করা হলো নির্মমভাবে। অনুবাদকের পরিচয়/ অনীশ দাস অপু।জন্ম ৫ই ডিসেম্বর ১৯৬৯। জন্মস্থান : বরিশাল। পিতা প্রয়াত লক্ষ্মীকান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্সসহ এমএ করেছেন ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোঁক ছেলেবেলা থেকে। ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোঁকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্ল্যাসিক এবং অ্যাডভেঞ্চারধর্মী উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনূদিত গ্রন্থসংখ্যা ৮০-র বেশি। তিনি বেড়াতে ভালোবাসেন, তবে শহরের চেয়ে গ্রামই তাঁকে টানে বেশি। আড্ডা খুব একটা দেন না এ লেখক। অবশ্য অবসর খুব কমই মেলে তাঁর। যেটুকু অবসর পান ভালোবাসেন একমাত্র কন্যা পূজা পারমিতার সঙ্গে খুনসুটি করতে এবং কম্পিউটারে মেয়ের সঙ্গে মজার মজার কার্টুন দেখতে। যদি একটু বেশি অবসর মেলে বিশ্বসেরা হরর ছবিগুলো দেখেন, সঙ্গী করতে চান জীবনসঙ্গিনীকে। কারণ একা হরর ছবি দেখেতে ভয় লাগে অনীশের। কিন্তু তাঁর অর্ধাঙ্গিনী হরর ছবি মোটেই ভালোবাসেন না। তখন লেখককে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে একাই…। অনীশ লেখার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করেন। তবে লেখাই তাঁর মূল পেশা ও নেশা। তাঁর ভক্তদের জন্যে তিনি নিরলস অনুবাদ করে চলেছেন দুর্দান্ত থ্রিলার, গা-কাঁপানো হরর, চমপ্রদ সায়েন্স ফিকশনসহ আরও কত কী বই…! লেখকের পরিচয়/ সিডনি শেলডন । একজন অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী লেখক ছিলেন। তিনি বিখ্যাত হন যখন তিনি ৫০ বছর বয়স পূর্ণ করেন এবং তিনি সেরা-বিক্রয়কৃত উপন্যাস যেমন মাস্টার অফ দ্য গেম (১৯৮২), দ্যা আদার সাইড অফ দ্য মিডনাইট (১৯৭৩) এবং রেজ অফ অ্যাঞ্জেলস (১৯৮০) লিখতে শুরু করেন। তিনি হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ষষ্ঠ লেখক বিক্রেতা। দশ বছর বয়সে সিডনি প্রথম আয় করেন। তিনি একটি কবিতার জন্য ৫ ডলার পান। ডিপ্রেশনের মধ্যে, তিনি ভেটেনারি কাজ করতেন।তিনি ১৮টি থ্রিলার উপন্যাসের লেখক (যা ৩০০ মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রিত)। তিনি দুশোটির বেশি টেলিভিশন স্ক্রিপ্ট লেখেন। তিনি ২৫টি বড় সিনেমা এবং ৬টি নাটক তৈরি করেন।
Was this review helpful to you?
or
Hanson was killed fast- tasting a knife on riding. Someone burned Carol's whole body with acid, her death happened in unlimited torture. A famous psychoanalyst of New York, Jed Stevens, recognize both of them. He was made responsible for these death....... The formidable mystery-novel is Sidney Sheldon's first written book. New York Times called this book as the best thriller of the year. You read the book. You will be agreed with New York Times. Next book: The other side of midnight.
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৩ . পর্বঃ ০৩ বইঃ দ্য নেকেড ফেস লেখকঃ সিডনি শেলডন অনুবাদকঃ অনীশ দাস অপু প্রকাশনীঃ অনিন্দ্য প্রকাশ পৃষ্ঠাঃ ১৩৬ মুদ্রিত মূল্যঃ ১৮০ টাকা প্রচ্ছদঃ বিদেশী চিত্র অবলম্বনে হাসান খুরশীদ রুমী প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ঘরানাঃ মার্ডার মিস্ট্রি/থ্রিলার/রহস্যোপন্যাস . ||রিভিউ|| . ভূমিকাঃ "জীবন সরু সুতোর মতো। এক সেকেন্ড লাগে ছিঁড়ে যেতে।"-কথাটি দ্বারা সে ঠিক বুঝতে পারলো তার জীবন এখন হুমকির মুখে। কেউ তাকে খুন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে জানে না কেনো তাকে কেউ খুন করবে? এই রহস্য আমি উদঘাটন করেছি। এবার আপনার পালা। এক গভীর রহস্যের উপাখ্যানে তৈরি এই বইটির রিভিউয়ে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আমার উদ্দেশ্য আপনাকে আগ্রহী করে তোলা। কেউ একজনও আগ্রহ বোধ করলেই আমার স্বার্থকতা। . #কাহিনী_সংক্ষেপ পরপর দু'জন ব্যক্তি খুন হয়ে গেলো। একজনকে ছুরি মেরে হত্যা করা হলো। আরেকজনকে হত্যা করা হলো সারা শরীরে এসিড দিয়ে খুব নৃশংসভাবে। এই দুইজনের সাথেই ড. জাড স্টিভেন্সের যোগাযোগ ছিল। প্রথমজন ছিল জাডের একজন রোগী, নাম জন হ্যানসন। আর দ্বিতীয় জন ছিল জাডের অফিসের রিসেপশনিস্ট। তার নাম ক্যারল। ক্যারলকে রূপবতী একজন যুবতী বলা যায় নিঃসন্দেহে। প্রথমজন রোগী আর দ্বিতীয় জন নিজ অফিসের রিসেপশনিস্ট বলে জোড়া খুনের দায় এসে পড়লো ড. জাডের কাঁধে। ড. জাড স্টিভেন্স পেশায় একজন সাইকোঅ্যানালিষ্ট। নামডাক ভালোই আছে তার। কিন্তু পরপর দুইটা খুন করার জন্য ডিটেকটিভদের নজরে পড়লো ড. জাড। হোমিসাইড ডিভিশনের দুই ডিটেকটিভ একজনের নাম লেফটেন্যান্ট ম্যাকগ্রিভি ও অপরজনের নাম ফ্রাঙ্ক অ্যাঞ্জেলি। ড. জাড ডিটেকটিভদের কথা শুনেই কেমন নার্ভাস হয়ে পড়লো। জোড়া খুনের জন্য অন্য কাউকে যেমন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তেমনি ড. জাডকেও নির্দোষ ভাবার যেন অবকাশ মিলছে না। বর্তমানে ড. জাডের পরিচয় হলো সন্দেহমান একজন খুনি। কিন্তু কিছুদিন পরেই ড. জাড বুঝতে পারলো তাকেও খুন করার চেষ্টা চালাচ্ছে খুনি। আর যে বা যারা তাকে খুন করতে চাইছে তারাই খুন করেছে হ্যানসন আর ক্যারলকে। ড. জাড এটা নিশ্চিত কিন্তু কে বা কারা তাকে মারতে চাই এবং মোটিভ কি তাকে খুন করার তার কিছুই অনুধাবন করতে পারছে না। ম্যাকগ্রিভি আর অ্যাঞ্জেলিকে যেন সে বারবার 'দুষ্ট রাখাল আর নেকড়ের কাহিনী'-বলে চলেছে। হাজার ভেবেও সে তার শত্রুর সংখ্যা বের করতে পারছে না। হঠাৎ করে ড. জাড হয়ে পড়ে অন্যরকম। কে তাকে খুন করতে চাইছে আর এর পেছনে খুনির মোটিভ কি এসব যখন কিছুই জানা যাচ্ছিল না তখন সে নিজেকে কিছুটা পাগল ভাবা শুরু করলো। কিন্তু ড. জাড যদি পাগল না হয় তাহলে? সত্যিই কেউ খুন করতে চাই তাকে এটা মাথায় নিয়ে ড. জাড ছুটে গেলো এক প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের কাছে। তার নাম নরম্যান জেড মুডি। মাত্র কয়েকদিনের মাঝেই মুডি জেনে যায় কে ড. জাডকে মারতে চাই। ড. জাডকে সে যখন জানাতে চাইলো তখনই মুডিও খুন হয়ে গেলো। আরও একটি খুন হওয়াতে ড. জাড প্রায় উন্মাদ হয়ে উঠলো। কিন্তু মুডি মারা যাওয়ার আগে ফোনে একটা নাম বলেছিল ড. জাডকে। "ডন ভিনটন"। কিন্তু এই নামের কারও তথ্যই পাওয়া গেলো না। আশ্চর্য হলো ড. জাড। কে এই ডন ভিনটন। কেনোই বা তাকে মারতে চাই সে? আর কেনোই বা সে তার রোগী আর রিসেপশনিস্টকে খুন করলো? ড. জাড নিজেকে বাঁচানোর জন্য যেমন মরিয়া হয়ে উঠলো তেমনই খুনির মোটিভ জানার জন্যও হয়ে উঠলো মরিয়া। কিন্তু " ঘরের শত্রু বিভীষণ"- প্রবাদটা থাকলেও ড. জাড যেনো তা বেমালুম ভুলে গেলো। আর হোমিসাইড ডিভিশনের দুই ডিটেকটিভও যেনো ড. জাডের এই রহস্যের কিনারা করতে পারলো না। কিন্তু অবশেষে যা ঘটলো তা ঐ প্রবাদটাকেই মনে করিয়ে দেয়। ড. জাড কল্পনাও করে নি। কিন্তু এটা প্রথম থেকেই হোমিসাইড ডিভিশনের দুই জনের একজন আন্দাজ করতে পেরেছিলো। কে সে? ম্যাকগ্রিভি নাকি অ্যাঞ্জেলি? ড. জাড কি প্রাণে বাঁচতে পেরেছিলো? আর তাকে খুন করার মোটিভটা আসলে কি ছিল? আর ডন ভিনটনই বা কে? মুডি কি সত্যটা জেনেছিলো? এতো এতো রহস্যকে একসাথে উদঘাটন করার জন্য আপনাকে পাঠ করতে হবে অসাধারণ এই বইটি। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়া একটা তৃপ্তিকর ও সুখপাঠ্য বই বললেও কম বলা হবে। এই বইয়ের রহস্যটা যে এতোটাই আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল যেনো আমি তন্দ্রার মাঝে স্বপ্ন দেখছিলাম। আর সবকিছু যেনো তাড়াতাড়ি ঘটে গেলো। একের পর এক টুইস্ট আমাকে এতোটা আকৃষ্ট করেছে যে আমি চাইলেও জোড় করে বইটা পড়া বাদ দিতে পারি নি। বারবার একে ওকে সন্দেহ করতে করতে শেষটা যখন পড়ে ফেললাম তখন মনে হলো আহারে বেচারা ড. জাড। মানুষের জীবনে মৃত্যুর হুমকিটা যে কিরূপ তা উপলব্ধি করতে পেরেছি হাড়ে হাড়ে। বইটা যেনো আপনাআপনিই অবাক করা এক বিষ্ময়ের সাথে জড়িত। এক স্নায়ুযুদ্ধের সাথে যেতে হয়েছে। যতবার সন্দেহ হয়েছে ততবার বোকা বনে গেছি। নিজেকে তখন অধম আর মর্কট বলে মনে হয়েছে। লেখক সিডনি শেলডনের এটাই আমার প্রথম পড়া বই ছিল। আর কি কাকতালীয় ব্যাপার লেখকেরও এটাই লেখা প্রথম বই। আর সিডনি শেলডন যেন রহস্যোপন্যাসের জগতে এক শক্তিশালী নাম। এটুকু বুঝতে বিন্দুমাত্র দেড়ি লাগে নি। সিডনি শেলডনের লেখা প্রথম এই বইটিকে তাই বোধহয় নিউইয়র্ক টাইমসও বছরের সেরা রহস্যোপন্যাসে অভিহিত করেছিল। আমি যেনো কয়েক মুহূর্তেই পড়ে ফেললাম আর জেনে গেলাম সমস্ত রহস্যের মূল কি ছিল। আর আমিও যেনো ডিটেকটিভ হয়ে গিয়ে সবকিছু উদঘাটন করে ফেললাম। একজন পাঠক হিসেবে মনে হয় নি নিজেকে। মনে হয়েছে আমি নিজেই যেনো বইটির যে কোনো এক চরিত্র। সে চরিত্র লেখক হয়তো নিজেও লিখে নি বইটিতে। অনুবাদকের অনুবাদের দক্ষতা নিয়ে বলার কিছু নেই। অনুবাদের জগতে অনীশ দাস অপু এক শক্তিশালী নাম। বাংলা ভাষায় এমন অনুবাদক খুব কমই আছে যারা এত দক্ষতার সাথে অনুবাদ করে। পুরো বইটি জুড়ে যে রহস্যের জাল লেখক বিছিয়ে রেখেছিলেন তা বাংলা ভাষা-ভাষী পাঠকের হৃদয়ে বিস্তার করিয়েছে অনুবাদক অনীশ দাস অপু। বইটি নির্দ্বিধায় পড়তে পারেন যারা রহস্যকে ভালোবাসেন। আর যারা ভালোবাসেন না তারাও পড়তে পারেন। হয়তোবা আপনিও রহস্য প্রেমী হয়ে যাবেন। অন্তত একবার পড়ুন আর উপলব্ধি করুন রহস্য কতটা গভীর আর বিস্তৃত হতে পারে। . ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৮৫/৫ _________নিষাদ নিনিত
Was this review helpful to you?
or
নিউইয়র্কের বিখ্যাত সাইকোঅ্যানালিস্ট জাড স্টিভেন্স। বিভিন্ন স্বভাবের অদ্ভূত সব রোগীর আগমন তার কাছে। সমকামী হ্যানসন, জাডের একজন পুরোনো রোগী। হঠাৎ একদিন পিঠে ছুরি খেয়ে মারা গেল হ্যানসন। জাডের সেক্রেটারী ক্যারোলের সারা শরীরে এ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিল কে যেন, সীমাহীন নির্যাতনের মধ্যে মৃত্যু ঘটলো তার। দুজনের সাথেই যোগাযোগ ছিল জাডের। দুটো খুনের জন্যই সন্দেহ করা হলো জাডকে। লেফটনেন্ট ম্যকগ্রিভি আর ডিটেকটিভ এ্যান্জেলি এই কেসের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু ম্যাকগ্রিভি তো আসল খুনী বাদ দিয়ে জাডের পিছনেই লেগে আছেন, কোন পুরোনো শত্রুতার জের ধরে নয়তো? এ্যান্জোলি যথাসম্ভব সাহায্য করতে চাইছে জাডকে, কিন্তু পারবে কি? জাডকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হলো। প্রতিবারেই ভাগ্য জোরে বেঁচে গেল জাড, কিন্তু কতদিন? প্রাইভেট ডিটেকটিভ মুডির সাহায্য নিলেন জাড কিন্তু তাকেও হত্যা করা হলো নির্মমভাবে। এ্যান ব্লেক? ওর কি হবে। ডক্টরের কারনে ওর কোন বিপদ ঘনিয়ে আসছে না তো? নাকি সেই জড়িত এই সব নির্মম হত্যাকান্ডের সঙ্গে? আর সেক্স এ্যডিক্ট টেরি ব্লেক? পূর্বে হত্যার রকর্ড আছে তার। সেটা লুকালো কেন জাডের কাছে? নিরীহ জাডের ক্ষতি করতে চায় কে আর কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে জাডকে। বাঁচাতে হবে নিজেকে আর তার প্রেয়সীকে। নিতে হবে এসব নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ।
Was this review helpful to you?
or
দ্য নেকেড ফেস সিডনি শেল্ডন রচিত প্রথম উপন্যাস (1970) যেটি আমেরিকার "Mystery writers of America" থেকে প্রথম আমেরিকান লেখক হিসেবে এডগার অ্যালান পো পুরষ্কারে সেরা জন্য মনোনীত হয়েছিল। রিভিউ শুরু করার আগে বলে নেই, হয়তো আপনার মনে হতে পারে অনেক আগের বই পড়ে বুঝতে পারবনা কিনবা কঠিন ভাষায় হবে। এসব ভুল ধারণা আগেই মুছে ফেলুন।বইয়ের ভাষা বুঝতে আশা করি সমস্যা হবেনা আর একবার পড়া শুরু করলে শেষ না হওয়া পযন্ত আপনার মন ভরবে না। বইয়ের প্রতিটি অংশ ছিল উত্তেজনায় ভরপুর। দেরি না করে পরে ফেলুন আর উপভোগ করুন বইয়ের টানটান উত্তেজনার মুহূর্ত গুলোকে।