User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বেশি ভালো না। জাফর ইকবালের কাছ থেকে এরকম বই আসা করা জায় না।
Was this review helpful to you?
or
'মড়া' গল্পটি বেশ ভালো। যমুনার তীরে অজপাড়াগাঁয়ে চাকরি নেয়া এক এনজিওর ভদ্রলোক ঘটনাক্রমে জড়িয়ে যান গ্রামের প্রতাপশালী চেয়ারম্যান ও সমাজ পরিত্যক্ত এক অদ্ভুত মানুষের দ্বন্দ্বে। সেটা নিয়ে কাহিনী। গল্পটিতে গ্রামের সচরাচর কুসংস্কারের কথা আছে। প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেয়ার পিছনে এরা অলৌকিক কারণ চাপিয়ে দেয়। সহজ সরল মানুষ কিভাবে নিরীহতার খোলস ফেলে মুহুর্তেই হিংস্র উন্মত্ত হয়ে উঠে তার উদাহরণ আছে। আছে গ্রামের মাতবর চেয়ারম্যানদের পাওয়ার প্র্যাকটিসের গল্প, সেসব জায়গায় তারা যা বলে তাই ই আইন। আর আছে সমাজ পরিত্যক্ত/একঘরেদের প্রতি সমাজের নিষ্ঠুর আচরণ। যেই সমাজ এক বাইরে থেকে আসা শিক্ষিতের প্রতি সদয় সেই সমাজই আবার তাদের নিজেদেরই একজনের বিরুদ্ধে মুহুর্তে হামলে পড়ে, কেবল আলাদা হওয়ার দোষে। 'ও' বইটির বাকি চারটি গল্পও সুন্দর। টাইটুলার গল্প 'ও' ঈদের বন্ধে মাদ্রাসায় একাকী থাকা দুই কিশোরের রক্তচোষার মুখোমুখি হবার কাহিনী, লেখকের ভাষায় যার নাম 'ও'। 'আলমারি' লেখকের নতুন কেনা আলমারিকে কেন্দ্র করে হওয়া প্যারানরমাল অভিজ্ঞতার বিবরণ। 'মা-মণি' মা হারা এক ছোট্ট মেয়ের পরলোক থেকে আসা মৃতা মায়ের সাথে সাক্ষাতের গল্প। 'মরিয়মের গ্রাম' সুন্দরবনের কাছে দুর্গম এক গ্রামে যুগ যুগ ধরে টিকে থাকা একটি কাল্টের কাহিনী। কিছুদিন আগে পড়া 'নিশিকন্যা'র চেয়ে 'ও' এর গল্পগুলো ভয়ের দিক দিয়ে অবশ্যই এগিয়ে থাকবে। রেটিং ৪.৫/৫।
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
noice books
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
quite good
Was this review helpful to you?
or
অনেক আগে এই বইটি পরেছিলাম।ভালো একটি বই। জাফর ইকবালের সেরা বইগুলোর একটি। সবগুলো গল্পই ভৌতিক ও অতিপ্রাকৃত। গায়ে কাটা দেয়ার মত।
Was this review helpful to you?
or
onek valo 1 ta boi, zafar iqbal sirer best boi gular maddhe 1 ta ও
Was this review helpful to you?
or
৫ টি গল্পের সমন্বয়ে প্রকাশিত এই বইটির নামকরণ করা হয়েছে প্রথম গল্পের নামানুসারে। আমি এখানে প্রতিটি গল্পের মূলকথা পাঠকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ওঃ মাদ্রাসার দুই কিশোর ছাত্র মতিন ও গহরের এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়েই এই গল্প ‘ও’। এক নির্জন দুপুরে, যখন পুরো মাদ্রাসাতে মতিন ও গহর ছাড়া আর কেউ নেই, তখন মাদ্রাসার বড় হুজুর করিমুল্লার কাছে জ্বীনে পাওয়া এক রোগীকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসে দুই অপরিচিত লোক। কিন্তু বড় হুজুর ওই সময় তার শশুরবাড়িতে অবস্থান করায় ভয়ঙ্কর এই রোগীকে মাদ্রাসায় রেখেই পালিয়ে যায় তার সঙ্গীরা। আর সেই রাতে ব্যাখ্যাতীত এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে যায় দুই কিশোর ছাত্র। আলমারিঃ এই গল্পে দেখা যায়, লেখক তার বই রাখার জন্য একটা স্টীলের আলমারি কিনে আনেন। আর তার পর থেকে প্রতি রাতেই পড়ার ঘর থেকে ভেসে আসে দুমদুম শব্দ। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে লেখক বুঝতে পারেন যে এটা আসছে নতুন কেনা আলমারির ভেতর থেকে। তারপর এক ঝড়-বৃষ্টির রাতে বিদ্যুৎ চমকের আলোয় তার চোখে ধরা পড়ে সেই শব্দের রহস্য। মা-মণিঃ শায়লার মৃত্যুর পর তার পাঁচ বছরের শিশুকন্যা টুম্পাকে নিজের সন্তানের মত আপন করে নেয় নিঃসন্তান দম্পতি নার্গিস ও জাহিদ। কিন্তু টুম্পাকে নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে, সে প্রায়ই তার মৃত মায়ের সাথে টেলিফোনে কথা বলে। মাকে নিয়ে টুম্পার এই কল্পনাবিলাস আস্তে আস্তে রূপ নিচ্ছে এক ভয়াবহ পরিণামে। মরিয়মের গ্রামঃ সুন্দরবনের আশেপাশেই একটা গ্রাম, নাম খুকসা বাড়ি। নদী আর জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রামের বাসিন্দারা অন্য গ্রামের কারো সাথে কথা বলেনা, তারা তাদের মত করেই থাকে। ভিন গ্রামের কাউকে দেখলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। গ্রামের মাতবর এক অপদেবতা, যে গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে দানো নামে পরিচিত। এই দানোর সৌজন্যে গ্রামবাসীরা মেতে উঠে এক নৃশংস খেলায়, যার শিকার মরিয়ম নামের এক অসহায় মেয়ে। মড়াঃ এই গল্পের নায়ক ‘মড়া’ নামে খ্যাত এক নিঃসঙ্গ লোক, যার একমাত্র সঙ্গী তার প্রিয় কুকুর বাঘা। গ্রামের লোকের কাছে এই ‘মড়া’ একটি আতঙ্কের নাম। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ‘মড়া’ আদতে মানুষরূপী পিশাচ। কারন সে মৃত্যুর পরেও আবার বেঁচে উঠে, তার কু-দৃষ্টিতে ছারখার হয়ে যায় মানুষের জীবন। তাই গ্রামবাসীরা মিলে এক ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা করে এই ছোটখাট লোকটির জন্য। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ গল্পগুলি আমার ভাল লেগেছে, তবে অতিপ্রাকৃত গল্প হিসেবে যতটা ভয় পাওয়ার কথা ছিল, ততটা পাইনি। এই বইয়ের ‘আলমারি’ গল্পটা আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
Was this review helpful to you?
or
I liked it
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেকটা ভুতুড়ে কাহিনী দ্বারা নির্মিত। অনেকটা ভয়ও পেয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
সায়েন্স ফিকশন,কিশোর উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে জাফর ইকবাল স্যারের দক্ষতা এবং জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত । বিভিন্ন ভৌতিক গল্পের ক্ষেত্রেও তাঁর লেখার হাত অনন্য । "ও" কে জাফর ইকবাল স্যারের একটি গল্পগ্রন্থ বলা যায় । ভৌতিক গল্পগ্রন্থ । কয়েকটি ছোট ছোট ভূতের গল্প দিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে । একটি গল্প পড়ার পর আরেকটি গল্প পড়লে বোঝা যায় একটির চেয়ে আরেকটি বেশি ভৌতিক,একটির চেয়ে আরেকটি বেশি ভয়ের । বইটি পড়লে যেন ভৌতিক রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার মত একটা অবস্থা হয় । ভূতের গল্পের কাহিনী আগে থেকে বলে দিলে তার মজা বা উত্তেজনাটা হারিয়ে যায় । তা আর ভূতের গল্প থাকেনা । অজানা কাহিনীর ভৌতিকতা সবসময় যেন গায়ে কাঁটা দেয় । তাই গল্পগুলোর কাহিনী গোপন রাখলাম । কেউ বইটি পড়লে তখনই বুঝতে পারবেন,ভৌতিক রহস্য আর ভৌতিকতার রোমাঞ্চ কিভাবে ভূতের গল্পের পাঠকের উত্তেজনা বাড়ায় । আর জাফর ইকবাল স্যার সায়েন্স ফিকশন কিংবা ছোট গল্পের মতই সেই ভৌতিক রোমাঞ্চে রোমাঞ্চিত করার কাজটা কত নিখুঁতভাবে করে গেছেন । তাই বইটি সবাইকে পড়ে দেখার অনুরোধ রইল ! আমন্ত্রণ রইল কিছু ভৌতিকতার মুখোমুখি হতে !
Was this review helpful to you?
or
বাজে একটা বই
Was this review helpful to you?
or
পাঠকনন্দিত লেখক ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার মূলত সাইন্স ফিকশন লিখে বেশি পরিচিত, সবাই জানে যে বিজ্ঞান নিয়েই তার কাজ কারবার। কিন্তু তার লেখা এমন ছোটগল্পের সংখ্যাও কিন্তু নেহাতই কম নয় যেখানে চিরাচরিত বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আদিভৌতিক ও সাধারণ চিন্তাভাবনায় ব্যাখাতীত ঘটনার উল্লেখ ঘটে নাই। 'ও' নামক গল্পগ্রন্থে ঠিক তেমনই ৫টা গল্পের সন্নিবেশন ঘটেছে। কিন্তু স্থূল অর্থে এই বইটিকে ভূতের বই বলা একদমই ভুল হবে কেননা সরাসরি ভূত প্রেতের কথা লেখক একটিবারের জন্যেও কোন গল্পে আনেন নি। বরং তিনি তার এই গল্পগুলোর মাধ্যমে মানুষের জীবনের সেই সব ঘটনাকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন, যার ব্যাখ্যা আমরা খুঁজে পাই না বলে সেগুলোকে প্যারানরমাল বা অস্বাভাবিক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করে থাকি। এইসব গল্পের আরেকটি যে বিশেষত্ব তা হল, হুমায়ুন আহমেদের অনেক আদিভৌতিক গল্পে আমরা দেখেছে যে অস্বাভাবিক ঘটনাগুলোর পেছনে কোন অতি স্বাভাবিক কারণ প্রভাব ফেলেছে কিনা সে ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে; কিন্তু মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার এই গল্পগুলোতে সেই ধরণের কোন ব্যবচ্ছেদের চেষ্টা চালান নাই। ঘটনাগুলোকে সাদা চোখে যেমন দেখায়, ঠিক সেভাবেই নিজের ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। ব্যাখ্যাতীত ব্যাপার স্যাপারের ব্যাখ্যা খুঁজে বের করার দায় নিজের দিকে টেনে নেন নাই, পাঠকের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। বইয়ের প্রথম গল্প 'ও' যেখানে লেখক তার এক দুঃসম্পর্কের মামা, গহর মামার জবানিতে গল্পটি শুনিয়েছেন। গহর মামার যুবক বয়সের গল্প যখন তিনি পড়তেন একটি মাদরাসায়। কবিরাজি চিকিৎসার জন্যে এক বিচিত্র স্বভাবের ব্যক্তিকে তার বাড়ির লোকেরা মাদরাসায় রেখে যায়। লোকটি গহর মামা ও তার বন্ধু মতিনকে 'ও'র কথা বলে যে প্রায়ই লোকটার কাছে এসে লোকটাকে কোন একটা শাস্তি দেয়। 'ও' নাকি আবার বিভিন্ন প্রাণী এমনকি মানুষেরও রক্ত খায়। তো, সেদিন রাতে লোকটার উপর 'ও' ভর করে। তারপর গহর মামা ও তার বন্ধু মতিনের কি হয় শেষ পর্যন্ত, সেই নিয়েই কাহিনী। ফিনিশিংটা গহর মামা নিজে করেন নাই। ব্যাপারটা চেপে যেতে চেয়েছেন। লেখক তার নিজের ভাষায় যথাসম্ভব ভয়ংকর একটি সম্ভাব্য সমাপ্তির কথা তার মামাকে শুনিয়েছেন। মামা কিন্তু বলেন নাই লেখকের অনুমান ঠিক কিনা। এই জিনিসটাকে আমি বলব জাফর স্যারের একটা মাস্টার স্ট্রোক। গল্পের আমেজ বজায় রেখে তিনি নিজের মত করে গল্পের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন কিন্তু অবিশ্বাসীরা যাতে সহজেই গল্পটাকে অবিশ্বাস করে উড়িয়ে দিতে না পারে, সেজন্য আসল সত্যিটাকে চেপেও গেছেন। ফলে সবারই গল্প শেষে জানার আগ্রহ থাকবে, আসলেই শেষ অব্দি কি হয়েছিল। দ্বিতীয় গল্প 'আলমারি'। লেখক দোকান থেকে নতুন একটা আলমারি কিনে আনলেন। আলমারি কিনতে গিয়েই দোকানে এক মহিলার দেখা পান, যে অভিযোগ নিয়ে এসেছিল যে তার কিশোর বয়সী ছেলে ঐ দোকানে কাজ করত কিন্তু কয়েকদিন ধরে বাড়ি ফেরে নাই। যাইহোক, লেখক বাসায় আলমারি কিনে আনার পর থেকেই লক্ষ্য করতে লাগলেন, আলমারির ভেতর থেকে কেমন একটা শব্দ বের হচ্ছে। এক রাতে দেখা পেলেন বারো তের বছরের এক ছেলের, কিছুক্ষণ থেকেই যে অদৃশ্য হয়ে গেল। কিন্তু ছেলেটার অস্তিত্বের আলামত হিসেবে লেখক আলমারির ভেতরে খুঁজে পেলেন রক্তের চিহ্ন। তাহলে কি এবার লেখক খুঁজে বের করতে পারবেন ছেলেটির পরিণতির কাহিনী? সবমিলিয়ে এটিও বেশ সহজ সরল ভাষায় লেখা আকর্ষণীয় একটি কাহিনী। তবে নতুনত্ব বেশি নেই। প্যারানরমাল একটা ঘটনার ইঙ্গিত হয়ত আছে তবে এরকম ইঙ্গিত হামেশাই দেখা যায় এধরণের গল্পে। পরের গল্প 'মা মণি' বেশ ইমোশনাল একটা গল্প। টুম্পার মা শায়লা মারা গেলে নার্গিস তাকে নিজের কাছে এনে রাখল। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই সে টুম্পার মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখতে পেল। টুম্পা দাবি করতে লাগল, তার মা নাকি অন্য কোন এক জগত থেকে তার সাথে যোগাযোগ করছে। নার্গিস ক্রমেই তার প্রমাণও পেতে লাগল। একদিন শায়লা সরাসরি এসে হাজির হল টুম্পার কাছে, তাকেও নিয়ে যাবে মৃত্যুর পরের জগতে - নিজের কাছে। কি করবে নার্গিস? সে কি টুম্পাকে বাঁচাতে পারবে? হয়ে উঠতে পারবে টুম্পার 'মা মণি'? এটাও চিরাচরিত ছকে আবদ্ধ একটা কমন কাহিনী। তবে জাফর ইকবাল স্যারের জাদুকরী লেখায় পুরনো মশলায় মাখা নতুন মুড়ির স্বাদ মন্দ লাগবে না! 'মরিয়মের গ্রাম' গল্পে বলা হয়েছে সুন্দরবনের এক আজব গ্রামে কথা, যে গ্রামের মানুষ বাইরের কারুর সাথে মেশে না আর পূজা করে এক অপদেবতার। তাদের স্বচক্ষে দেখতে এক সাথি নিয়ে সেই গ্রামে হাজির হলেন লেখক। দেখতে পেলেন কিছু আশ্চর্য ঘটনা। সেই ঘটনারই এক পর্যায়ে দেবতাকে তুষ্ট করতে বলি দেয়া হচ্ছিল মরিয়মকে। শেষ মুহুর্তে নাটকীয়ভাবে লেখক বাঁচালেন সেই মেয়েটিকে। এটাকে ঠিক আদি ভৌতিক কাহিনীর কাতারে ফেলা যায় না। তবে গ্রামের অশিক্ষিত জনগণ আর তাদের বিভিন্ন ভয়ংকর কুসংস্কার ও তার পরিণতির কথা বেশ পরিষ্কারভাবেই ফিটে উঠেছে এই গল্পে। 'মড়া' এই বইয়ের শেষ ও আমার সবচেয়ে পছন্দের গল্প। এই গল্প লেখক শুনিয়েছেন এক সদ্য পরিচিত ব্যক্তি আবিদ হাসানের জবানিতে। এনজিও'র কাজে এক চরাঞ্চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই দেখা পান মড়ার, যে নাকি এই পিশাচ। তার কুদৃষ্টি কারো ওপর পড়লে নাকি তাদের ওপর অমঙ্গলের ছায়া নেমে আসে। এমন কয়েকটি ঘটনার উল্লেখও পাওয়া যাবে বইতে। মড়ার কুদৃষ্টি পড়েছিল গ্রামের চেয়ারম্যান কাজেম আলীর পরিবারের ওপরও। কাজেম আলী প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। ওদিকে আবিদ হাসানের সাথে বেশ আন্তরিকতার একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে মড়ার। কিন্তু আবিদ হাসান পারেন না মড়াকে কাজেন আলীর রোষের হাত থেকে বাঁচাতে। গ্রামবাসী চোখ তুলে নেয় মড়ার। তারপর কাজেম আলী চড়াও হয় মড়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আবিদ হাসানের ওপর। তখন মড়া ঠিকই আবিদ হাসানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে। প্রাণ হারাতে হয় মড়া ও তার পোষা কুকুর বাঘা - দুজনকেই। কিন্তু মড়া তো পিশাচ তথা জিন্দালাশ। তাই সে মরে না। খুব সম্ভব তার আত্মা স্থানান্তরিত হয় এক দেহ থেকে অন্য দেহে। এভাবেই সে ফিরে এসে প্রতিশোধ নেয় কাজেম আলীর ওপর। এই-ই হল মড়ার কাহিনী। একেবারেই অবিশ্বাস্য। লেখক এবং আবিদ হাসান দুজনেই তা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তারপরও তো দুনিয়ায় কত ব্যাখ্যাতীত ঘটনাই থাকে। এটাও সেরকমই ঘটনা কিনা, সে বিষয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন তারা। গল্পটি পড়ার পর পাঠকের মনেও একই মনোভাবের সৃষ্টি হবে। পরিশেষে একটা কথাই বলব, এই সংকলনের সব গল্পই যে খুব ভাল তা না। তবে অন্তত দুটো গল্প আমার ব্যক্তিগতভাবে দারুণ লেগেছে। পাঠকেরও মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা এই টাইপের গল্পগুলো অবশ্যই ভাল লাগবে, এই আশা করছি।
Was this review helpful to you?
or
তখন আমি আমার জীবনের সবচেয়ে অবাক ব্যাপারটা ঘটতে দেখলাম, চিত হয়ে শুয়ে থাকা মানুষটার পুরো শরীর হথাত করে ছিটকে ওপরে উঠে গেল। মনে হল তার সারা শরীরের ভিতরে যেন কিছু কিলবিল করছে... এ রকম প্রতিটা গল্পই রোমাঞ্চকর।
Was this review helpful to you?
or
ALMOST EVERY STORY OF THIS BOOK ARE SO FEARED & INTERESTING. THANKS TO ZAFOR SIR TO GIVE US A NICE BOOK.
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের বইয়ের কোনো রিভিউ দেয়া লাগে না,এক বাক্যে অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
'ও' নামটা অদ্ভুত তাই না। শুধু নাম না 'ও' বইয়ের প্রত্যেকটা গল্পই রোমাঞ্চকর। লেখক জাফর ইকবালে খুব সুন্দর ভাবে সহজ ভাষার একটি বই উপহার দিয়েছেন আমাদের। বইটি শুরু হয় 'ও' নামক গল্প দিয়ে। শুরুতে গহর মামা এক অদ্ভুতগল্প বলেন। যা রীতিমতো হাত পা ঠান্ডা করতে যথেষ্ট। গল্প টা পড়ার পর আশেপাশে জানলা থাকলে একবার হলেও জানালার বাইরে চোখ চলে যায়। তারপর 'আলমারি ' লেখক তার বাসায় একটা আলমারি কিনে আনেন। সেই আলমারি দিয়ে অদ্ভুত আওয়াজ বের হয়। প্রথমে লেখক মনের ভুল মনে করলেও পরে বের হয়ে আসে রহস্য। 'মা-মণি' গল্প টা একজন মায়ের মৃত্যুর পরো সন্তানের ভালবাসায় ফিরে আসার গল্প। কিন্তু তিনি কেন ফিরে এলেন? শুধুকি ভালবাসায়? মরিয়মের গ্রাম এক অদ্ভুতগল্প। এই গল্পে লেখকএক গ্রামের খবর পেয়ে যান যেখানে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। শেষ গল্পের নাম 'মড়া। মড়া গল্পটি এক অদ্ভুত মানুষকে নিয়ে লেখা। আসলে মানুষটা জীবিত নাকি মৃত এই দ্বিধায় ফেলে দেয়। মরিয়মের গ্রাম আর আলমারি গল্প টা ভাল তবে বাকি দুটো গল্প অসাধারণ। রাতে বইটা পড়লে ভয় একটু বেশি লাগতে পারে। ৬০ পৃষ্ঠার ১৫৪ টাকার 'ও' বইটি কিনে ভয় এর রাজ্যে হারিয়ে যেতে পারেন আপনিও।