User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ক্লাস টেনে পড়েছিলাম। অসম্ভব সুন্দর একটি বই
Was this review helpful to you?
or
সমাজ ও রাজনীতির বিভিন্ন ভন্ডামির চিত্র এই বইয়ের গল্পগুলোতে খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। ভাবতে অবাক লাগে লেখক প্রায় ৮০ বছর আগে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি নিয়ে যেই গল্পগুলো বলে গেছেন সেগুলো তো কমেইনি বরং আমাদের এই (সোনার!) বাংলাদেশে তা আজ আরো বেশি ভয়ংকর।
Was this review helpful to you?
or
সেরা
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো হাস্যরসাত্নক একটি বই। বইটিতে আমাদের বাঙালি সমাজ ব্যাবস্থার নানারকম দিক সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।বইটি সবার পাঠ করা উচিত।
Was this review helpful to you?
or
১৩৩২ থেকে ১৩৫৪ বংগাব্দ – এই সময়ের মধ্যে গল্পগুলো লেখা হলেও বেশিরভাগ গল্পেরর রচনাকাল ১৩৫০ থেকে ১৩৫৪ সাল। সব গল্পের পটভূমি একই – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাংলা ১৩৫০ সালের দুর্ভিক্ষ। সবগুলো গল্পই ব্যাঙ্গাত্মক – দুর্ভিক্ষ নিয়ে সমাজের ভদ্রসমাজ বলে পরিচিতদের নিচু মানসিকতা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি বেশ স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে গল্পগুলোয়। ব্যাঙ্গের পাশাপাশি রসও আছে, ফলে পড়াটা উপভোগ্য। মোট নয়টি গল্প আছে বইয়ে, যথাক্রমে ফুড কনফারেন্স, সায়েন্টিফিক বিযিনেস, রিলিফ ওয়ার্ক এবং জনসেবা য়ুনিভার্সিটি। এর মধ্যে রিলিফ ওয়ার্ক গল্পটা কোন এক সময় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল, সে সময় পড়া হয়েছিল। তবে এবার বাকি সব গল্পের সাথে পড়ার সময় বুঝতে পারলাম, সে সময় গল্পের মূল স্বাদটাই ধরতে পারিনি। বিস্তারিত রিভিউ পড়তে পারেন এখানে: http://bit.ly/2NTDgBG
Was this review helpful to you?
or
A really humor book because the writter greatly told about the old food items in a different way.I really like the perspective of the writter as how he described the food item as la laboratory product.i really enjoyed the book's perspective..
Was this review helpful to you?
or
আবুল মনঅসুর আহমেদ লিখিত "ফুড কনফারেন্স" বইটি একটি হাস্যরসাত্মক বই। এই বইটির মধ্য দিয়ে আবুল মনসুর আহমেদ বাংলা তথা বাঙালি সমাজের একটি নিখুঁত চিত্র ফুঁটিয়ে তুলেছেন। তিনি পেশায় একদিক দিয়ে যেমন ছিলেন আইনজীবী তেমন আরেকদিক দিয়ে ছিলেন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাও ছিল তার ঝুলিতে। আর এইসব অভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ তিনি তার এই বইটিতে ঘটিয়েছেন। বইটিতে আমরা হাস্যরসাত্মক দিকটির দেখা পেলেও এই হাসি তামাসার পিছনে তিনি এঁকেছেন সমাজের এক রুঢ় চিত্র। লেখক প্রতিটি গল্পেই ব্যঙ্গাত্মক ভাবে সমাজের লুকানো দিকটিকে নির্মম ভাবে তুলে ধরেছেন এই বইটির মধ্য দিয়ে। বইটি ৯টি গল্প নিয়ে লেখা যার প্রত্যেকটিরই আছে আলাদা কাল, আলদা পাত্র; তবে বিষয় সবগুলিরই এক, সমাজের অন্ধকার দিক। এই বইয়ের নাম গল্প অর্থাৎ ফুড কনফারেন্সে নামক গল্পটি ঠাই পেয়েছে সরকারি বইয়ের পাতাতেও। এক কথায় বলতে গেলে হাসির মধ্য দিয়ে সমাজের ভেতরের লুকানো দিকের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
ekti legendary boii
Was this review helpful to you?
or
A book that should be a collection for every library.
Was this review helpful to you?
or
ফুড কনফারেন্স আবুল মনসুর আহমদ পৃষ্ঠা সংখ্যা:১১৪ মূল্য: ৬০ টাকা প্রচ্ছদ: সরদার জয়নুল আবেদীন আবুল মনসুর আহমদ বাংলা ব্যাঙ্গাত্নক সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। পেশায় একাধারে আইনজীবী, সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক অঙ্গণের নগ্ন স্বার্থপরতা দেখেছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন খুব কাছ থেকে যা তার লেখায় পরবর্তীতে এসেছে নিদারুণ ব্যাঙ্গের রূপে। বাঙালির চরিত্র চিত্রণে সৈয়দ মুজতবা আলীর সমসাময়ীক হয়েও ব্যঙ্গরসাত্নক গল্প রচনায় তিনি অনন্য সাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তাঁর অমর সৃষ্টি ‘ফুড কনফারেন্স’’ তেমনি এক নকশা। ফুড কনফারেন্স পড়ে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী অন্নদা শংকর রায় লিখেছিলেন, ‘আয়না’ লিখিয়া আবুল মনসুর প্রাতঃস্মরণীয় হইয়াছিলেন আর ‘ফুড কনফারেন্স’ লিখিয়া তিনি অমর হইলেন। ‘ফুড কনফারেন্স’ নয়টি গল্পের সংকলন। প্রতিটি গল্পই স্বতন্ত্র স্থান-কাল-পাত্র নিয়ে নির্মিত হলেও সামগ্রিকভাবে বাঙালি হিন্দু-মুসলমানদের জাতীয় চরিত্রের বাস্তব দিক নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। রঙ্গ ও ব্যঙ্গের আশ্রয় নিয়ে লেখক বাঙালি চরিত্রের প্রধান দিকগুলো দেখিয়ে পাঠককে প্রচুর আনন্দ দিয়েছেন বটে ,কিন্তু শুধু হাসিই যে মুল উদ্দেশ্য নয়, হাসির পেছনে লেখকের মনের কষ্টের নদী যে উচ্ছ্বসিত ধারায় বয়েছে, সচেতন পাঠকের তা এড়িয়ে যাওয়ার যো নেই। লেখক প্রতিটা গল্পেই ব্যাঙ্গ, রঙ্গ, হিউমার এর সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়ে বাংলার জাতীয় জীবনে এই নৈতিক অধঃপতনের বয়ান দিয়েছেন । সংকলিত গল্পগুলোর নাম ‘ফুড কনফারেন্স, সায়েন্টিফিক বিজিনেস, এ আই সি সি, লঙ্গরখানা, রিলিফ ওয়ার্ক, গ্রো মোর ফুড, মিছিল, জমিদারী উচ্ছেদ, জনসেবা ইয়ুনিভার্সিটি । গল্পগুলো পড়ার কিছুক্ষণ পরেই হাসি থামানো কঠিন হয়ে পড়ে । “ফুড কনফারেন্স” গল্পে দুর্ভিক্ষ সামলাতে ব্যর্থ নেতাদের শেরে-বাংলা, মহিষে-বাংলা, কুত্তায়ে বাংলা, বিল্লিয়ে বাংলা, চুঁহায়ে বাংলা, বেজিয়ে বাংলা, শিয়ালে বাংলা থেকে শুরু করে পোকায়ে, মাকড়ে, চিঁউটিয়ে বাংলা ইত্যাদি নানা নাম দিয়ে প্রাণির চরিত্রের সাথে বাঙালির চিরত্রের সাদৃশ্য প্রকাশ করে ছেড়েছেন । চরিত্রগুলোর মুখে নানা সংলাপের মাধ্যমে তিনি ব্যাঙ্গ রসের টর্নডো ছুটিয়ে দিয়েছিলেন । খাদ্য সংকট কেন দেখা দিল সে নিয়ে পাঁচটি সূত্র দিয়ে সব দোষ চাষীদের উপর চাপিয়ে দেন নেতারা । আর যুক্তিগুলোর কথা নাইবা বললাম! “ফুড কনফারেন্স” এর শেষে সব “জানোয়ারে-বাংলা” রাই বেঁচে থাকে, “মানুষে বাংলা”রা সব মরে যায় । রূপকের আশ্রয়ে এতো স্পষ্ট সত্য কথা বাংলা সাহিত্যে আমি অন্তত দেখিনি। “সায়েন্টিফিক বিজিনেস” নামক গল্পে চাপরাশীগিরি আর কেরানীগিরি করে অভ্যস্ত বাঙ্গালি জাতিকে ব্যবসা, তেজারতি ইত্যাদি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় । আবুল মনসুর আহমদের কল্পনায় বাঙ্গালিতা তেজারতি শিখলে কি পরিমাণ অনর্থ করতে পারে তার বিস্তারিত বয়ান দিয়েছেন । বাঙ্গালি সবকিছুতেই তেজারতি করতে থাকায় রোগে ভুগে দুনিয়া থেকে সাফ হয়ে পরকালেও তেজারতি করে দুই নাম্বারি আরম্ভ করে । এই গল্পের শেষ হয় এভাবে-“……বাঙ্গালি জাত যেখানে যেখানে বাস করেছে, সেখানে হাইজিনিক মেযার হিসেবে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দাও ।” বাংলাদেশের দুর্নীতি দমত কমিশনের জন্য এটি একটি শিক্ষণীয় গল্প হতে পারে যার মাধ্যমে দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো কমিশনের কাছে স্পষ্ট হবে। “এ আই সি সি” এর পূর্ণরূপ “অল ইন্ডিয়া কন্ডোলেন্স কমিটি” । এই লেখাটি যেই সময়ে লিখেছিলেন আবুর মনসুর আহমদ, সেই সময়ে সম্ভবত ভারতবর্ষে বিভিন্ন “শোক প্রকাশ সমিতি” গঠনের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল । তাই নিয়ে ব্যাঙ্গ করেই হয়ত এই লেখাটি লেখা হয়েছিল । যথারীতি হাস্যরসে পরিপূর্ণ একটি লেখা । “লঙ্গরখানা” গল্পটি আমার মতে বাংলা স্যাটায়ার হিসেবে ক্লাসিকের পর্যায়ে পড়ে । দুই বন্ধু আকবর ও শমশের কিভাবে অধ্যাপনা ও উকিলগিরি ছেড়ে ধান্ধাবাজী করতে করতে নেতার পারমিশন বাগিয়ে লঙ্গরখানার কারবার খুলে বসে তাই নিয়ে এই স্যাটায়ার । এই লঙ্গরখানা ভুখা-নাঙ্গাদের খাওয়ানোর চেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে চাল-ডাল পাচারের কাজেই বেশি ব্যবহার হতে লাগল । কাজেই দিনে দিনে বাড়ে লঙ্গরখানার সংখ্যা, দিনে দিনে বাড়ে অভুক্তের পরিমাণ । মৃত মানুষের, মজুদদারদের, সেবক(!)দের পরিমাণ বাড়তেই থাকে । এভাবেই কাহিনী পরিণতির দিকে এগিয়ে যায় । “রিলিফ ওয়ার্ক” এর হামিদ এক ব্যতিক্রম চরিত্র। বিপন্ন মানুষের সেবা করার জন্য ত্রাণ কার্যের দলে যোগদান করে । কিন্তু সেখানে গিয়ে হামিদ দেখতে পায় দুর্বল ভুখা-নাঙ্গারা বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে, আর মাত্রাতিরিক্ত খাতির আর ত্রাণ পাচ্ছে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা । হামিদের চোখে এই অনাচার বর্ণনা করেছেন লেখক । “গ্রো মোর ফুড” তখনকার কৃষিব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাকে ইঙ্গিত করে আর “মিছিল” সাম্প্রতিক রাজনীতির পটপরিবর্তন নিয়ে লিখেছিলেন লেখক । এধরণের লেখা লিখতে সত্যিই সাহসের দরকার আছে । একেবারে হুল বিঁধানো মার্কা লেখা । “জমিদারি উচ্ছেদ” এই বইয়ের অন্যতম সার্থক একটা গল্প । এই গল্পে সাধারণ একজন ব্যক্তি(মুনশীজি) জমিদারি উচ্ছেদের অঙ্গীকার করে নির্বাচন করেন । লোকজন রেডিমেড খানবাহাদুরকে ভোট না দিয়ে মুনশীজিকে জেতাবার পর তার ভোল পালটে যায় । তিনি নিজেই নতুন জমিদার সেজে বসেন । আর নানা কুযুক্তি দিয়ে বোকা বানাতে থাকেন গ্রামের সরল সাধারণ মানুষদের । “জনসেবা ইয়ুনিভার্সিটি” গল্পটাও ভাল । একজন শিক্ষিত যুবক নানা-ছলাকলা করে জনসেবা করার কথা বলে লাটসায়েব হয়ে শেষ পর্যন্ত জনসেবা করতে সমর্থ হল তার একটি ব্যাঙ্গাত্নক কাহিনী । ‘ফুড কনফারেন্স’ অনেক আগের কাহিনী ও চিত্র। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা বাঙালিরা নতুন ভুখন্ড ও জাতীয় পরিচয় পেয়েছি। কিন্তু সে চিত্র আজও তেমনি জীবন্ত ও বাস্তব। খাদ্য ঘাড়তি, দুর্নীতি, অপরাজনীতি এখনো চলছে। তাই অমর এই গ্রন্থটি এখনো প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন।