User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বৈজ্ঞানীক কল্প-কাহিনীর কথা বললেই যে নামগুলো সবার আগে আসে এইচ. জি. ওয়েলস তাদের মধ্যে একজন। বিশ্বসাহিত্যে জুল ভার্নের সাথে সাথে তার নামটিও সমান ভাবে উচ্চারিত হয়। ওয়েলস এর লেখা অসামান্য সায়েন্স ফিকশন ইনভিসিবল ম্যান প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯৭ সালে এবং বইটি সাড়া ফেলে দেয় গোটা বিশ্বের পাঠকদের মাঝে। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় বইটি। বইটির জনপ্রিয়তার কারনে তাকে পাঠকরা ফাদার অব সায়েন্স ফিকশন ডাকতে শুরু করে। লেখক বইটি এত চমৎকার করে লিখেছেন যে পড়ার পর থেকেই ইনভিজিবল হওয়ার ইচ্ছা মাথায় আসত। কারন এইচ. জি. ওয়েলস অদৃশ্য হওয়ার জন্য বইটিতে অনেক বৈজ্ঞানীক যুক্তি ও তত্ত দাড় করিয়েছেন। যদিও জানি এটি একটি কল্প-বিজ্ঞান। গ্রিফিন একজন বিজ্ঞানী, দীর্ঘ দিন কাজ করছে মানুষের শরীর কিভাবে অদৃশ্য করা যায় সে বিষয়ে মানে অপটিক্স নিয়ে গবেষণা করছে। হঠাৎ একদিন সে আবিষ্কার করে ফেলে অদৃশ্য হওয়ার রহস্য। অদৃশ্য হওয়ার প্রথম পরিক্ষাটি সে করে নিজের উপর। সত্যি সত্যি অদৃশ্য হয়ে যায় সে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তাঁর পক্ষে এরপর আর স্বাভাবিক রূপ ফিরে পাওয়া সম্ভব হয় না। পুরনো যুগের লেখক হলেও এইচ জি ওয়েলস তাঁর বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা এবং সৃজনশীলতা দিয়ে তাঁর কালকে অতিক্রম করেছেন- একারণেই তাঁর ‘দ্য টাইম মেশিন’ এবং ‘ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’ এখনো আমাদের আন্দোলিত করে। কিন্তু ‘দ্য ইনভিজিবল ম্যান’ উপন্যাসে লেখক ঠিক নিজের সময়কালকে অতিক্রম করতে পারেননি। তারপর শুরু হয় নানা রকমের ঘটনা। অনুবাদক অনীশ দাশ অপু সত্যি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
Was this review helpful to you?
or
আপনি যে জিনিসটিকে আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করছেন, কী হবে- যদি সেই জিনিসটাই আপনার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়? ঠিক এ প্রশ্নটি নিয়ে কাজ করেছেন এইচ জি ওয়েলস তাঁর ‘দ্য ইনভিজিবল ম্যান’ নামক সায়েন্স ফিকশনে। ওয়েলসের কাজের মধ্যে ‘ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’ এবং ‘দ্য টাইম মেশিন’এর পর এটিই সবচেয়ে বেশি পরিচিত মানুষের মাঝে। ‘দ্য ইনভিজিবল ম্যান’ প্রথম প্রকাশ পায় ১৮৯৭ সালে। এর প্রধান চরিত্র ‘গ্রিফিন’ নামের একজন বিজ্ঞানী যিনি অপটিক্স নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং নিজের কাজের মধ্যেই একদিন তিনি আবিষ্কার করলেন যে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশকে আলোক-প্রতিসারণ-যোগ্য করে তোলা সম্ভব। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি নিজেকে অদৃশ্য মানবে রূপান্তর করেন। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তাঁর পক্ষে এরপর আর স্বাভাবিক রূপ ফিরে পাওয়া সম্ভব হয় না। গ্রিফিনের মতোই আমাদের অনেকেরই অদৃশ্য হবার বাসনা থাকে। এর কিছু ধনাত্মক দিক যেমন আছে তেমনই আছে ঋণাত্মক প্রভাব। এইচ জি ওয়েলস প্রধানত ঋণাত্মক দিকের ওপরই জোর দিয়েছেন। ‘দ্য ইনভিজিবল ম্যান’ ওয়েলসের অন্যান্য জনপ্রিয় বইয়ের তুলনায় বেশ কিছু জায়গায় পিছিয়ে আছে। আধুনিক পাঠকদের কাছে অন্য সব বইয়ের তুলনায় এই বইটি কিছুটা বিরক্তিকর মনে হতে পারে। এর কারণও আছে। বইটিকে মোটা দাগে দু’টো অংশে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথম অংশটুকু ওয়েলসের মানের সমকক্ষ নয়। এ অংশে ইপিং নামের এক গাঁয়ে অদ্ভুতুড়ে চরিত্রের আগমন ঘটে যাকে সবাই বেশ সন্দেহের চোখে দেখে তার পোশাক-আশাক আর আচরণের কারণে। এখানে লেখক রহস্য বজায় রাখতে পারেননি, কারণ পাঠক শুরুতেই বুঝে ফেলে যে এই’ গ্রিফিন’ নামক চরিত্রই আমাদের অদৃশ্য মানব। এরপর আসা যাক উপন্যাস বলার স্টাইলে। ওয়েলস তাঁর প্রথম দুইটি উপন্যাস লিখেছিলেন প্রথম পুরুষে। এই উপন্যাসে এসে গল্প বলার জন্য তিনি বেছে নিলেন তৃতীয় পুরুষ যা কিছু কিছু জায়গায় দৈনিক পত্রিকার রিপোর্টের মতো মনে হয়েছে। আর বইটিতে হাস্যরস আমদানি করার যে চেষ্টা লেখক চালিয়েছেন তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয় নি। কিন্তু মন্থর এবং কিছুটা বিরক্তিকর শুরুর পর, বইয়ের দ্বিতীয় অংশে এসে যেন গল্পটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এ অংশে গ্রিফিন এবং গ্রামবাসীর মধ্যে যেন চলে রশি টানাটানির খেলা, গল্প একেক সময় ঝুঁকে পড়ে একেক দিকে। সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার এই অংশের কয়েকটি অধ্যায়ে স্বয়ং অদৃশ্য মানবের মুখ থেকে আমরা তার গল্প শুনতে পাই যা ছোটখাটো উপন্যাসিকা হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায়। ওয়েলস এই অংশে দারুণ মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন এবং গল্পের প্রধান চরিত্রকে নিজের মুখেই নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে দিয়েছেন। প্রথমদিকে গ্রিফিনের কাজেকর্মে তার প্রতি পাঠক বিরক্তি অনুভব করলেও এই পর্যায়ে এসে কিছুটা সহমর্মিতা অনুভব করবে। মূলত গ্রিফিন- এই উপন্যাসের ট্র্যাজিক চরিত্র। উপন্যাসে শেকসপিয়ারিয়ান ট্রাজেডির ছোঁয়া আমরা পাবো। পুরনো যুগের লেখক হলেও এইচ জি ওয়েলস তাঁর বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা এবং সৃজনশীলতা দিয়ে তাঁর কালকে অতিক্রম করেছেন- একারণেই তাঁর ‘দ্য টাইম মেশিন’ এবং ‘ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’ এখনো আমাদের আন্দোলিত করে। কিন্তু ‘দ্য ইনভিজিবল ম্যান’ উপন্যাসে লেখক ঠিক নিজের সময়কালকে অতিক্রম করতে পারেননি। একারণে আধুনিক পাঠকদের কাছে উপন্যাসটি বেশ পুরনো ধাঁচের মনে হতে পারে। কিন্তু একটি ক্ষেত্রে এটি এগিয়ে আছে; সেটি হলো এর এন্টি-হিরো চরিত্র। আধুনিক উপন্যাসগুলোর পাগলাটে এন্টি-হিরো চরিত্রগুলো আসার আগেই ওয়েলস তাঁর উপন্যাসে তেমন চরিত্রের বিচরণ দেখিয়েছেন। ব্যাপারটা অবশ্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য। আর বইয়ের অনুবাদক অনীশ দাশ অপু প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছেন। তাঁর অনুবাদ সাবলীল এবং সুখপাঠ্য। সাজেদুল ওয়াহিদ