User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
yup
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ- যখন পুলিশ ছিলাম লেখকঃ- ধীরাজ ভট্টাচার্য পর্যালোচনাঃ- প্রথমেই আসা যাক বইটির নামকরন নিয়ে লেখক ধীরাজ ভট্টাচার্য্যব যখন পুলিশে চাকরি করতেন তখনকার সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী নিয়ে বইটিতে অধিকাংশ আলোচনা হয়েছে ।তাই বইটির নাম দিয়েছেন যখন পুলিস ছিলাম। বইটিতে আমরা দেখতে পাই একরকম লেককের আত্বকথা ফুটে উঠেছে ।লেখক ধীরাজ ভট্টাচার্য মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন ।বাবা ছিলেন স্কুল মাস্টার। ছোটকাল থেকেই ডিটেকটিভ উপন্যাসের প্রতি ঝোক ছিলো তার । পড়ার বই বাদ দিযে এসব উপন্যাস তিনি রাগ জেগে পড়তেন।এজন্য তাকে মায়ের অনেক বকুনিও শুনতে হয়েছে।বাবা তাকে এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত যদিও করতেন না তবুও পূর্ণ সহযোগীতাও করতেন না। ম্যাট্রিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হযে দিনকাল কোনরকম চলছিল । পড়ে হঠাৎ তার ভাই অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় পরিবারে বিষন্নতার ছায়া নেমে এলো । কলেজের ছুটিতে বাড়িতে চলে আসার কদিন পর জোতিষ বন্দোপাধ্যায় এর বাংলা ছবি ”সতিলক্ষী” তে একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেলেন। সেখানে তার চরিত্র ছিলো দুশ্চরিত্র এক যুবক হিসাবে ।তাই প্রথমে পরিবার রাজি না হলেও পরে এর পরে আর অভিনয় করবেন না এই প্রতিজ্ঞায় রাজি হয়েছিলেন তার মা।পরে ছবি বের হলে লোকমুখে বিভিন্ন উপহাসের কথা শুনে বাবা তাকে এক পরিচিতের মাধ্যমে পুলিশের আইবি ব্রাঞ্চে ঢুকিয়ে দিলেন। সেখানে তিনি স্বদেশী নেতাদের আনাগোনা নিয়ে খোজ রাখতেন।এখানেও বিভিন্ন ঘটনার পালাক্রমে তাকে কখনো টেলিফোন রুম, কখনো বন্দরে ডিউটিতে বদলি করা হয়েছে। অবশেষে তার বাবার বন্ধু রতনলালের পরামর্শে তাকে রাজশাহীর সারদায় ট্রেনিং এ পাঠানো হয়। এসখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে ট্রান্সপার করে দেওযা হলো চট্রগ্রামে আর পরে সেখানে ওখানকার অফিসার মূলান্ড এর চক্ষুশূল হওয়ার কারণে একেবারে টেকনাফ ট্রান্সপার করে দেওয়া হয় ।সেখানে গিয়ে বিপাকে পড়েন লেখক ধীরাজ বাবু । সেখানে বাস করত মগ আর বার্মিজরা।তাদের ভাষাও ছিল দুর্বোধ্ব আর জনগণও ছিল অশিক্ষিত।সেখানে তাকে ভাষা বোঝানোর জন্য সাহায্য করত অন্যান্য কন্সটেবলরা।থানার সামনে একটি কুয়ো ছিল ।আর ঐ এলাকার সব মেয়েরা একত্রে দল বেধে কুয়ো থেকে পানি নিতে আসত।সেখানে মগদের জমিদার এর মেয়ে মাথিন থানার সামনের পাতাকুয়ো থেকে পানি নেওয়ার সময় তার প্রেমে পড়ে যায় ধীরাজবাবু । এর জন্য সাহায্য করে হরকি । অপরদিকে সতীশ এ ব্যাপারে মাথিনের বাবার কাছে মিথ্যা অভিযোগ করে।পরে হরকি এ ব্রাপরে মাতিনের বাবাকে বোঝালে রাজি হয় তবে কুয়াই পানি আনা বারণ করে দেয়।ধীরাজ বিয়ে করবে বলে মনস্থির করে ।ঐ সমাজে মেয়ে যৌতুক চাইবে আর তা পূরন করে দিয়ে শুটকি মাছ দিয়ে সবাই মিলে ভাত খেলেই বিয়ে হয়ে যায়।আর এজন্য কদিন পর চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ধর্মমন্দিরে গিয়ে পরস্পরের প্রেম নিবেদন করে বিয়ের প্রস্তাব করবে ধীরাজ মাথিনকে।কিন্তু সরকারী কাজে তাকে হঠাৎ যেতে হয় ষাট মাইল দূরে নীলা নামের এক জায়গায় । পাহাড়ি দূর্গম পথ,বুনোহাতি,বাঘ আর ভয়ন্কর সাপের ভয়।এর মধ্য দিযে তিনরাত পথ চলে তারা পৌছে নীলায় । সেখানে কাজ শেষ করার পর আবার টেকনাফে ফিরে এলে জমিদার বাবু তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়।এদিকে বাবাকে বিয়ের ব্যাপরে চিঠির প্রত্যুত্তর পেয়ে চিন্তি হয়ে পড়লো ধীরাজ। বাবার চিটি পেয়ে সমাজ,ধর্ম ও সম্মানের কথা ভেবে সে টেকনাফ থেকে রাতে গোপনে চলে এল কলকাতায় ।পরে লোকজনকে দারোগা বুঝাতে চাইছিল হঠাৎ ধীরাজের বাবা অসুস্থ হওয়ায় বাড়ি চলে গেছেন ধরিাজবাবু। কিন্তু যখন কিছুদিন পর না আসায় সত্যিটা প্রকাশ পেল তখন মাথিন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিল।কদিন পর অসুস্থ হয়ে মাথিন মারা গেল।আর এদিকে কলকাতায় কদিন বসে থাকার পর সিনেমায় নায়ক চরিত্রে অভিনয় করা শুরু করলো ।ঐ কুপটি এখন মাথিন ই আসাই বা মাথিনের কূপ নামে পরিচিত। এ নামে একটি নাটক ও চিত্রিত হয়েছে। আলোচিত বিষয়ঃ- পুরো বইটিতে যে ব্যাপারটি বিশেষভাবে ফুঠে এসেছে তা হলো উপজাতি নারীর সাথে বাঙ্গালী পুলিশ অফিসারের প্রেম কাহিনী।সমাজ,ধর্ম আর পরিবারের মুখ রাখতে গিযে ধীরাজ ভট্টাচার্যর কাপুরুষ চরিত্র। চট্রগ্রাম বা পাহাড়ী অঞ্চলে বদলি হওযা পুলিশদের কষ্টের জীবন।পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ নিজেদের গোষ্টীগত নিযমকানুনের প্রতি শ্রদ্বাশীল।পাহাড়ি জীবনের হালচাল।আর তৎকালীন পুলিশ বাহিনীর এর অন্তর্নিহিত কিছু কথা।
Was this review helpful to you?
or
কলিকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ধীরাজ। আর আট-দশটি সাধারণ পরিবারের সন্তানদের মতোই বেড়ে উঠেছিলেন। আইএসসি পাস করে পড়াশোনা আর হলো না শিক্ষক পিতার ছেলে ধীরাজের। হঠাৎ করে ধীরাজের বড় ভাই মারা গেলে পরিবারে নেমে আসে এক শঙ্কা। গোয়েন্দা আর রহস্য গল্প-উপন্যাসের পোকা ধীরাজের মাথায় অভিনয়ের ভূত চাপে। সে অভিনয়ও করে ফেলে। কিন্তু তার রক্ষণশীল পরিবার মানতে রাজি নয়। ধীরাজের বৃদ্ধপিতা তার পরিচিত জনদের বলেকয়ে একটি চাকরি জুটিয়ে দেন। ধীরাজ কাজ করবেন পুলিশের গোয়েন্দা হিসেবে। স্বদেশী নেতাদের ফলো করাই তার মূল কাজ। কিন্তু সাদাসিধে ধীরাজ একাজ করতে গিয়ে বড্ড গোল বাধান।স্পাইয়ের জীবন ধীরুর জন্য নয়, তা তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেলেন। একপর্যায়ে পুলিশের ট্রেনিং নিয়ে এএসআই হিসেবে যোগ দেন বঙ্গদেশের চট্টগ্রামে। ধীরাজ ভট্টাচার্জ যখন চট্টলায় পুলিশ কর্তার বেশে আসেন ঠিক তখনও চট্টলা এতো বৃহৎরূপ লাভ করেনি। লেখক তৎকালীন চট্টগ্রামের জনজীবন ও পরিবেশ সম্পর্কে বেশ মনোমুগ্ধকর বর্ণনা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম শহরে থাকাকালীন পুলিশের এসপি মুল্যান্ডের অহেতুক রোষানলে পড়েন লেখক। তাকে পোস্টিং দেয়া হয় মগ অধ্যুষিত টেকনাফ থানায়। তখন টেকনাফে যেতে দুদিনের মতো লেগে যেত,টেকনাফ যেন দুর্গম অঞ্চল বিশেষ। টেকনাফ থানায় যোগ দিয়ে জীবনের যেনো ভিন্নরূপ দেখলেন ধীরাজ। আইন কানুনের বালাই নেই! থানার পুলিশরা আইনকে 'ঠুটো জগন্নাথ ' বানিয়ে রেখে নিজেরাই আইন বানিয়ে শোষণ শাসন করছে নিরীহ মগদের। সেখানেই জীবনের প্রথমবারের কারো প্রেমে পড়লেন ধীরাজ। মেয়েটি রোজ তার বাসার সামনের কূপে জল নিতে আসে। টেকনাফের জমিদার কন্যা মাথিনও ভালোবাসে বাঙালি বাবুকে। মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া কারেগা কাজি? কাজির কিছু করার না থাকলেও রিয়েল লাইফ ভিলেনরা অনেক কিছুই করে এবং যার ফলশ্রুতিতে মাথিনকে রেখে ভাগ্যের ফেরে ফিরে আসতে হয় ধীরাজকে। ধীরাজ আর মাথিনের অমর প্রেমের স্মৃতিচিহ্ন 'মাথিনের কূপ ' এখনো রয়েছে টেকনাফে। অসাধারণ একটা বই। বেশ অকপটে জীবনের সব অধ্যয়ের পাতা যেন খুলে দিয়েছিলেন লেখক,অস্বীকার করেন নি নিজের দোষত্রুটিও।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ যখন পুলিস ছিলাম লেখকঃ ধীরাজ ভট্টাচার্য প্রকাশনীঃ নিউ এজ পাবলিশার্স ক্যাটাগরিঃ আত্ম সামাজিক উপন্যাস দামঃ ২৫০৳ লেখক ধীরাজ ভট্টাচার্যের পুলিশ জীবনের এই সব বর্ণনা নিয়ে আত্মসামাজিক এই উপন্যাস লিখেছেন। তার জীবনের অনেক উত্থান পতন, প্রেম কাহীনির দোলাচল এসব নিয়েই বইটি লেখা। যারা একটি ভালো বই খুজছেন পড়ার জন্য তারা এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি অনেক ভালো লাগবে৷
Was this review helpful to you?
or
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে দেশের সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত সীমান্ত এলাকা টেকনাফ থানায় কলকাতা থেকে বদলী হয়ে আসে ধীরাজ ভট্টাচার্য নামের এক সুদর্শন পুলিশ অফিসার। টেকনাফ থানা কম্পাউন্ডে ছিল বিশাল একটি পানির কূপ (এখনও আছে) যেখানে আশে পাশের রাখাইন মেয়েরা পানি নিতে আসতো। বিচিত্র তাদের ভাষা, রং বেরং তাদের পোশাক...... ধীরাজ (লেখক) হঠাত একদিন খেয়াল করলেন অপূর্ব সুন্দরী একটি যুবতী রোজ পানি নিতে আসে যে অন্যদের থেকে একটু আলাদা, খোঁজ খবর করে জানতে পারলেন মেয়েটি রাখাইন জমিদারের একমাত্র আদরের মেয়ে, পানি নিতে আসা তার একটি অহেতুক শখ... ভাললেগে গেলো মেয়েটিকে...! থানার বারান্দায় বসে খবরের কাগজ পড়ার ছলে রোজ দু'বেলা মেয়েটির সাথে চোখাচোখি হতে লাগলো... আস্তে আস্তে দুজনের ভালোলাগা রূপ নিল ভালবাসায় অথচ কেউ কারো ভাষাটাও ঠিক মত জানে না...! এভাবে বেশ কিছুদিন যাবার পর জমিদারের কানে গেলো সব কথা, মেয়ের কথা ভেবে রাখাইন জমিদার কোন আপত্তি করলেন না, ঠিক হল চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠানে ধীরাজ মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে তারপরেই বিয়ে... কিন্তু তার আগেই ঘটে গেলো অঘটন...!! কি ঘটেছিল লেখক ধীরাজ আর মেয়েটির ভাগ্যে...?? না, সবটা বলে দিলে বই পড়ার মজা থাকবে না, পাঠক নিজেই জেনে নিন... মেয়েটির নাম ছিল মাথিন... মাথিনের নাম অনুসারে সেই কুপটির নাম রাখা হয় মাথিনের কূপ যেখানে জল তুলতে এসেই লেখক ধীরাজের সাথে দেখা... ঐতিহাসিক "মাথিনের কূপ" পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ আর মাথিনের অমর প্রেম কাহিনী ও তার স্মৃতি বিজড়িত যা এখনও পর্যটকদের টেনে নিয়ে আসে টেকনাফে।