User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একটু আগে পইড়া শেষ করলাম জুয়েল আইচ এর আত্মজীবনী মুলক বই “অন্তরালের আমি”। প্রথমেই বইলা রাখা ভাল এইটা জুয়েল আইচ এর জীবনের ধারাবাহিক বর্ণনা না। এইটা মূলত বিভিন্ন সময়ে উনার লেখা বিভিন্ন কলাম এর একটা সংকলন। কিন্তু কলাম লিখতে গিয়া উনি উনার ছোটবেলার কথা, বাঁশি শেখার কথা, জাদুকর হয়া উঠার কথা, জাদু দেখাইতে বিদেশ ভ্রমনের কথা লিখা গেসেন। তাই আমার মত কুয়ার ব্যাং যে কিনা খালি টিভি তে জুয়েল আইচ রে দেখসে, তার কাসে এইটা একটা আত্মজীবনী বই ই মনে হইসে। কারন বইটা পড়া শেষ করার পর তার জীবন আর জীবনের প্রতি তার এপ্রোচ সম্পরকে মোটামুটি একটা ধারনা পাওয়া গেসে। আল্লাহর কসম, বই টা পড়ার পর জুয়েল আইচ রে আমার আর জাদুকর মনে হইতাসে না। উনি তো যোদ্ধা, বিরাট যোদ্ধা। শুধু যে লিটারেলি উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেই জন্য না। “লাইফ হ্যাপ্যান্স” রে মাঝখানের আঙ্গুল দেখায়া, উনি যেইভাবে বিজয়ী হইসেন তাতে ক্যান যে উনারে এহনো “এট্টূ বেশি ই বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধি দেওয়া হয় নাই সেইটা একটা বিরাট রহস্য। বুক রিভিউ ক্যাম্নে লিখতে হয় আমি জানি না। তাই নিজের মত একটা ইশটাইল ই বাইছা লইসি। এইডা পড়তে পড়তে কেউ হতাশ হইলে আই এম ছরি। এট্টু পর পর স্পয়লার এলারট দিয়া বই এর লাইন বাই লাইন উঠায়া দিয়া রবিন্দ্র পরবর্তী সাহিত্যের সাথে একটি নিরিখখা ধর্মী তেল ঝরানিয়া আলুচনা করাডারে বুক রিভিউ কয়া কিনা আমি জানি না। তয় ওই রম তেল ও আমার নাই, জীবনে খুব বেশি বই ও পড়ি নাই, তাই বইডা পইড়া কিমুন উত্তেজনা লাগসে মনের ভিত্রে, তাই ই লিখার চেষ্টা করতাসি। আপ্নে যদি এই পর্যন্ত ধৈর্য ধইরা পইড়া থাকেন, তাইলে থ্যাঙ্কু। দয়া কইরা বানান লয়া উপদেশ দিতে আইসেন না। বানান লয়া উপদেশ দিতে আইলে একটা কথাই কমু “ব্যাচেলরস লাইক দ্যা দাবার গুটিয, কাপলস এঞ্জয় দ্যা গেম” যাউকগা, বুব রিভিউ থুক্কু বুক রিভিউ এ ফিরা আহি। “অন্তরালের আমি” আমি একদিন এ পড়ি নাই। প্রায় দুই সপ্তা লাগায় পড়সি। তাই পড়ার অভিজ্ঞতা ডা আমার কাসে আইপড এ গান হুনার মত মনে হইসে। ইউ নো, দ্যাট মোমেন্ট, যহন আপ্নে হয়ত গান হুন্তাসেন কিন্তু খুব মনোযোগ দিয়া না। হঠাত একটা এপিক সোলো আইল আর আপ্নে পুরা চমকায় উইঠা ওই ডা হুনতে থাক্লেন। সোলো শেষ হউনের পর ও সেইটা মনের ভিত্রে সাস্টেইন করতে থাকলো যতক্ষণ না আপ্নের হাতের খারায়া যাওয়া লুম্বাডি আবার হুইতা না পরে। জুয়েল আইচ এর বইডা পড়তে পড়তে আমার এরুমি লাগসে। পড়তাসি পড়তাসি হঠাত এরুম একটা লাইন অথবা এরুম একটা অভিজ্ঞতা পরলাম যে আস্তেএএ বইডা সরায় রাইখা কিছুক্ষণ অইডা লয়া ভাব্লাম। তারপর “বাহ জোস তো” ভাইবা আবার আগে বারলাম। ভাবসিলাম এই বই পইড়া আমার জাদুকর হইতে ইচ্ছা করব। কিন্তু মজা হইসে যে এই বই পইড়া আমার বাঁশি শিখতে ইচ্ছা করসে। আমি সবসময় বিশ্বাস কইরা আসছি মানুষ খালি একটা পরিচয় এ বাইচা থাকার জন্য পৃথিবী তে আসে নাই। “উনি খালি অফিসে যায় আর আহে, আর কিছু করে না” এই রম পরিচয় যারা দ্যায় তাগরে আমি লগে লগে বাতিলের লিস্ট এ ফালায় দেই। আমি খুবি চমকাইসি জহন বইডা পড়তে পড়তে দেখলাম জুয়েল আইচ ও একি কথা ভাবসেন। উনি খালি যাদু দেখায়াই সব ফাডায় লাইতে পারতেন, কিন্তু উনি বাঁশি শিখসেন, ছবি আকা শিখসেন, ভাস্কর্য শিখসেন, ডিজাইনিং শিখসেন। জীবনে যা কিছুই করসেন পুরাই “লাইক এ বস”। এরুম একটা লোক এর কথা এখন কার প্রজন্ম বেশির ভাগ ই জানে না। অনেকেই জানে উনি টিভি তে যাদু দেখায়। উনি যে সারা জীবন কি যাদু দেখায় আসছে তা এই “বই না পড়া প্রজন্ম” ভুইলা যাইতাসে। আমিও জানতাম না। এহন জানি, তাই ভাব লইতে পারতাসি। দুই দুই বার উনার জাদুকর জীবনের সব কিসু আগুনে পুইড়া গেসে আর মুক্তিযুদ্ধের সময় লুট হইসে। ছোট বেলায় মাইগ্রেনের ব্যাথায় পইড়া থাকতেন দিনের পর দিন। সবাই ভাবসিল এরে দিয়া কিস্যু হইব না। একবারে বরিশালের অজ পাড়া গা থেইকা একটা মানুষের উইঠা আসার, বিজয়ী হউনের কিছুটা হইলেও স্বাদ পাওয়া গেসে বইটা পইড়া। কিন্তু অনেক কম হয়া গেসে। ক্ষুধার্ত মন আরো জানতে চায়। জুয়েল আইচ স্যার এর উপর কিছু কাজ করুম বইলা ঠিক করসি। মানুষের অধিকার আসে উনার সম্পর্কে আরো জানার। উনার জীবন দেইখা যাতে আরো একজন নিজের জীবনের যুদ্ধ টারে আর অসম্ভব মনে না করে, এই আবদারটা আমি উনার কাসে একজন পাঠক আর একজন ভক্ত হিসাবে করতেই পারি।