User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ব্যোমকেশ পড়া শুরু হয়েছিল অনেক বছর আগে, কাকতালীয়ভাবে। বিদেশে এই বই এভেইলেবল না হওয়ারই কথা। তারপরেও সেখান থেকেই ব্যোমকেশ পড়া শুরু। একটা ব্লগে কেউ একজন ব্যোমকেশের গল্পগুলোর পিডিএফ শেয়ার করেছিল। সেখান থেকে কয়েকটা ডাউনলোড করে রেখেছিলাম। একদিন কী মনে করে একটা পড়া শুরু করি। এতই ভালো লেগে যায় যে তখন প্রতিদিন নিয়ম করে সেই পিডিএফগুলো সব শেষ করি। এরপর দেশে এসে এই বই কিনি। বইটা সবার সংগ্রহে রাখার মত, সবার পড়ার মত। ভাষাটাও খুব চমৎকার।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_বুক_রিভিউ ‘সত্যান্বেষী’— ‘ডিটেকটিভ’ শব্দটা তার পছন্দ নয়, ‘গোয়েন্দা’ শব্দটা আরো খারাপ। বলছি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্র ‘ব্যোমকেশ’ সম্পর্কে। ‘ব্যোমকেশ বক্সী’— শখের বসে গোয়েন্দাগিরি করা তীক্ষ্ণদৃষ্টি ও উপস্থিত বুদ্ধিসম্পন্ন এক বাঙালি যুবক। সত্যের অন্বেষণ করাই তার চরিত্র, তার খেয়াল। তাই সে নিজের খেতাব দিয়েছে ‘সত্যান্বেষী’। সত্যান্বেষী শব্দটা বেশ চমৎকার। তবে শব্দটি বেশি ভালো লাগার অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে ‘সত্যবতী’। সত্যান্বেষীর সত্যবতী; মেয়েটি কৃষ্ণাঙ্গী– কিন্তু রবিঠাকুরের ভাষায়, কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ।’ ‘অর্থমনর্থম্’ রহস্য তদন্তে সত্যবতীর সাথে পরিচয়। এ রহস্যের সত্যান্বেষণ শেষে ব্যোমকেশ বক্সী ‘সত্য’ অন্বেষণে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। এদিকে ব্যোমকেশের পরম বন্ধু, যার জবানিতে ব্যোমকেশ বক্সী নামের সাথে পাঠক সমাজের পরিচয়; বয়সে ব্যোমকেশের তিন মাসের বড়ো হওয়ায় সেই অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যায় সত্যবতীর ভাশুর। সিঁড়িতে পায়ের শব্দ শুনে আগত ব্যক্তির শারীরিক গঠন বর্ণনা, চেহারা দেখে চরিত্র সম্পর্কে আভাস দেওয়া কিংবা ছোট ছোট অনুমানকে ভিত্তি করে জটিল রহস্যের জাল গোটানো— এ সব মিলিয়েই সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ। অজিতের সাথে ব্যোমকেশের পরিচয়টা বেশ নাটকীয়। সাহিত্য চর্চার অভ্যাস বরাবরই ছিল অজিতের। ব্যোমকেশের সাথে পরিচয়ের পর অজিতের কলমেই পাঠকের কাছে প্রানবন্ত হয়ে ওঠে ব্যোমকেশ। তবে ব্যোমকেশ কাহিনীর প্রথমদিকের গল্পগুলো অজিতের জবানিতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে অজিত বইয়ের ব্যবসায় মনোযোগ দেওয়াতে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কথকের আসন গ্রহণ করেন। ধারণা করা হয়, অজিতের সাহিত্যচর্চার ফল ব্যোমকেশকে খুশি করতে পারেনি। এখানে পাঠকসমাজের মন খানিকটা ক্ষুণ্ণ হবারই কথা। মানুষ অভ্যাসের দাস। এতদিনের অভ্যাস ‘অজিত’-কে যখন অকস্মাৎ সরিয়ে ফেলা হয় তখন পাঠকসমাজে ব্যতিক্রমী প্রভাব পরাই স্বাভাবিক। অজিতকে বক্তার গদি থেকে নামানোতে কিছু পাঠক চটেছেনও বটে! কিন্তু ‘পাঠক ত্রমে নতুন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে যাবে’ এই ভরসা রাখলেন শরদিন্দুবাবু। তবে বলে রাখা ভালো, ব্যোমকেশের সাথে অজিতের বন্ধুত্ব মোটেই ক্ষুন্ন হয়নি। ব্যোমকেশের চাকর পুঁটিরাম তার সমস্ত কাজ করে দিতো। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ একটা রহস্য তদন্তে পুঁটিরাম মারাত্মক ভূমিকা রাখে। সময়ের সাথে সাথে যুবক ব্যোমকেশ বৃদ্ধ হয়। পাঠকের চাহিদার দিকে দৃষ্টি রেখে শরদিন্দুবাবু ৩১টি গল্প লেখেন ব্যোমকেশকে নিয়ে। তারপর ‘বিশুপাল বধ’ গল্পটি অসমাপ্ত রেখে হঠাৎ ছুটি দেন ব্যোমকেশ বক্সীকে। কেবল পাঠকসমাজের মায়ার একটা বিরাট অংশ জুড়ে থাকে ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী’!
Was this review helpful to you?
or
Amazing Book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ প্রতিটি গল্প।
Was this review helpful to you?
or
ব্যোমকেশ বক্সী কতটা বুদ্ধিমান সেটা বোঝা যাবে সহকারী অজিত কতটা বোকা তার উপর। অজিত এখানে লেখকের হাতে বন্দী – ইচ্ছাকৃত বোকা, তাই কোন কিছুই সে বোঝে না। তার এই বোকাত্ব ব্যোমকেশকে অত্যাধিক বুদ্ধিমান করেছে। পথের কাঁটা নিয়ে মিনি রিভিউ: http://bit.ly/2RoMqYZ
Was this review helpful to you?
or
ব্যোমকেশ বক্সী শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশ চরিত্র নিয়ে ৩৩টি কাহিনী রচনা করেছেন। সেই ৩৩টি কাহিনী নিয়েই ব্যোমকেশ সমগ্র বইটি । দামটা একটু বেশি কিন্তু গল্পগুলো অসাধারণ । সংগ্রহে রাখার জন্য কিনতে পারেন ।
Was this review helpful to you?
or
দুর্ধর্ষ এক গোয়েন্দা ব্যোমকেশ।তার প্রত্যেক কাহিনী।সুতীক্ষ্ণ তার বুদ্ধি।কাহিনীর বর্ণনাও ভালোভাবে দেওয়া হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
যারা গোয়েন্দা কাহিনী পছন্দ করেন তাদের জন্য নিঃসন্দেহে দারুণ একটা বই এটা। বাঙ্গালীর শার্লক হোমস হচ্ছে ব্যোমকেশ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_নভেম্বর গল্পের নামঃ সত্যান্বেষী সিরিজের নামঃ ব্যোমকেশ বইয়ের নামঃ ব্যোমকেশ সমগ্র প্রচ্ছদঃ সুব্রত চৌধুরী গল্পের প্রকাশকালঃ ১৯৩৩ সমগ্রের প্রকাশকালঃ ১৯৯৫ প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) গল্পের পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৮ সমগ্রের মূল্যঃ ১১৪০ টাকা (অরিজিনাল প্রিন্ট রকমারি মূল্য) লেখক পরিচয়ঃ শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ইংরেজি Sharadindu Bandyopadhyay, (মার্চ ৩০, ১৮৯৯ - সেপ্টেম্বর ২২, ১৯৭০) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক । তাঁর জন্ম উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর শহরে। তাঁর রচিত প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয় তাঁর ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশুনো করছিলেন। পড়াশুনোর সাথেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতে থাকেন। তার সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আত্মপ্রকাশ করে ১৯৩২ সালে। শরদিন্দু ১৯৩৮ সালে বম্বের বম্বে টকিজ এ চিত্রনাট্যকাররূপে কাজ শুরু করেন। ১৯৫২এ সিনেমার কাজ ছেড়ে স্থায়ীভাবে পুনেতে বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তী ১৮ বছর তিনি সাহিত্য চর্চায় অতিবাহিত করেন। ১৯৭০ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। সার-সংক্ষেপঃ সস্য বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা ছেলে অজিত। বাবার টাকা পয়সা আছে। চাকরি বাকরি খোজার ইচ্ছা নেই। লেখালেখি করবে। তৎকালীন সময়ে কলকাতায় মেস ভাড়া লাগতো ২৫ টাকা। অজিতের যেহেতু টাকার সমস্যা ছিল না তাই সে দেখে শুনে একটা মেসে উঠলো। মেসের পরিবেশ ভালো। অজিত একা একটা ঘর নিয়ে থাকে। তবে সন্ধ্যেবেলায় পাড়াটা বড্ড থমথমে হয়ে যায়। কিছুটা ঝামেলাপূর্ণ এলাকা। মাঝে মাঝে লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তায়। কিন্তু মেস আর মেসের ঘরটার উপর এমন মায়া জন্মে গিয়েছিল যে চাইলেও বাসাটা ছাড়তে পারছিল না অজিত। এরপরে একদিনের ঘটনা। অজিত নিচের তলায় তাঁর বাড়িওয়ালার ডাক্তারির চেম্বারে বসে গল্প করছিল। এমন সময় উপস্থিত হলো একজন মানুষ। দেখতে কিছুটা অজিতের বয়সীই। মেসে সিট খুজছে। নাম অতুলচন্দ্র। লোকটাকে দেখে মায়া হলো অজিতের। বলল তাঁর সাথে রুম শেয়ারে কোন সমস্যা হবে কিনা। অতুল তো বেজায় খুশি। উঠে পড়লো সে অজিতের ঘরে। এই ঘটনার সপ্তাহখানের পর মেসের একজন মেস মেম্বার খুন হলেন! কিভাবে? কে করলো খুন? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়তে হবে পুরো গল্পটি। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ ব্যোমকেশের গল্প এই প্রথম পড়লাম। পরিচয় হলো নতুন গোয়েন্দার সাথে। সরি... গোয়েন্দা না... সত্যান্বেষী! গল্পের প্লট আহামরি না। খুব সাধারণ গোয়েন্দা গল্পের প্লট। তবে গল্পটির প্রকাশকাল হিসেব করলে, সেই সময়ের তুলনায় বেশ মর্ডানই বলা যেতে পারে। তবে গল্পটির সবচেয়ে চমৎকার দিক হচ্ছে এর লেখনী। লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা "ঝিন্দের বন্দী" আগে পড়েছি। কিন্তু ব্যোমকেশ তার থেকেও ম্যাচুরড লেখা বলে মনে হয়েছে আমার। অন্তত লেখনশৈলীর দিক দিয়ে পাঠক ধরে রাখার পূর্ণ ক্ষমতা লেখকের আছে। গল্পটির আরো একটা ইন্টারেস্টিং দিক হচ্ছে, গল্পটি লেখা সাধু ভাষায়। ইনফ্যাক্ট, ব্যোমকেশের প্রতিটি গল্পই সাধুভাষায় লেখা। আমরা যারা তথাকথিত চলিত বাংলিশ ভাষায় গোয়েন্দা গল্প পড়তে অভ্যস্ত, সেদিক থেকে এটি নতুনই বটে। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাধু ভাষায় লেখা হওয়া সত্ত্বেও গল্পটির টানটান উত্তেজনা সামান্যতম কমেনি। আমি বইটির লোকাল প্রিন্ট পড়েছি। তাই প্রিন্ট, কোয়ালিটি আর কাগজের মানের কথা নাই বললাম। তবে অরিজিনাল বইটির কোয়ালিটি অসাধারণ পর্যায়ের। সবশেষে এটাই বলবো, যারা ব্যোমকেশ এখনো পড়েননি, পড়ে দেখুন। নতুন কিছুর স্বাদ পাবেন। আর হ্যা, গল্পের প্রথম পৃষ্ঠা পড়ে হয়ত অনেকের মনে হবে ব্যোমকেশ "শার্লক হোমস"এর নকল। কিন্তু না। পড়া কন্টিনিউ করুন। নিজেই বুঝতে পারবেন, দুজনের ভেতর আকাশ জমিন পার্থক্য! :) ধন্যবাদ! :) হ্যাপি রিডিং! :) রেটিংঃ ৩/৫
Was this review helpful to you?
or
অসংখ্য ধন্যবাদ। মাত্র ৩ দিনেই বইটা হাতে দেওয়া জন্য। সব বাংলাভাষীদের এই ব্যোমকেশ বক্সীটা সংগ্রহে রাখা উচিত।
Was this review helpful to you?
or
এক সত্যান্বেষী ‘আমি ডিটেকটিভ বা পুলিশের লােক নই। আমি সত্যান্বেষী। সত্য খোজাই আমার কাজ।' ব্যোমকেশ বক্সীর এই কথাটি আমাদের সবার কাছে অনেক পরিচিত। ব্যোমকেশ নামটিও আমাদের অনেকেরই চেনা। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের বাঙালি গােয়েন্দা ব্যোমকেশ বক্সী। সত্য খুঁজে বের করাই তার পেশা। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি করা এই চরিত্রটি নিতান্ত ভদ্রলােক। ব্যোমকেশকে নিয়ে অনেক চলচ্চিত্র এবং নাটক তৈরি হয়েছে। কিন্তু ব্যোমকেশের মূল গল্পগুলােই আমাদের অনেকেরই পড়া নেই। তাই পড়তে পারাে ব্যোমকেশ সমগ্র। এই বইটিতে ৩৩টি গল্প রয়েছে। এই বইটি পড়ার মাধ্যমে তুমি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের বাংলাকে অনুভব করতে পারবে এবং বাঙালি ছেলের বুদ্ধিমতার পরিচয় পাবে। তাই আজ থেকেই পড়তে শুরু করতে পারাে ব্যোমকেশ সমগ্র।
Was this review helpful to you?
or
well received and satisfied about quality.
Was this review helpful to you?
or
সত্যান্বেষী গল্পের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে `ব্যোমকেশ বক্সীর` প্রবেশ উনিশ শতকের প্রথম দিকে। ধারালো নাক, লম্বা চেহারা,মাঝারি গড়নের এই মানুষটি তার অসামান্য ক্ষমতা, অনবদ্য বিশ্লেষণী দক্ষতার মাধ্যমে সব রহস্যের সমাধান করেন। শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় এই চরিত্র কে কেন্দ্র করেই বাংলা সাহিত্যের গোয়েন্দা গল্পের জগৎ কে দিয়েছিলেন পূর্ণতা। শুধু বুদ্ধি দিয়ে জটিল সব সমাধান করেন এই সত্যান্বেষী। তবু কি রোমান্ঞকর একেকটি ব্যোমকেশ কাহিনি
Was this review helpful to you?
or
আসলে বাঙালীর মধ্যেও যে শার্লক হোমস্ আছে বোমকেশ বক্সী তার প্রমাণ।এযেন এক অনবদ্য সৃষ্টি।বাংলা ভাষায় ভালো গোয়েন্দা কাহিনীর নজির খুবই অল্প।বোমকেশ তার মধ্যে অন্যতম।শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় তার সৃষ্টিকে এক অন্যমাত্রার নিয়ে গিয়েছেন।বোমকেশ হল বাংলার শার্লক হোমস্।
Was this review helpful to you?
or
কেউ যদি আমাকে বলে যে শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা কাহিনী হতে তুমি কাকে রাখবে? অবশ্য আমি ব্যোমকেশকে রাখবো।
Was this review helpful to you?
or
বইটা একদিন কিনব,ইনশাল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
A good one for collections!
Was this review helpful to you?
or
২ বছর আগেও ব্যোমকেশ নিয়ে কেউ মাতামাতি করলে "বইটি একটি অভাররেটেড" এই টাইপ চিন্তা নিয়ে বসে ছিলাম। কিন্তু করোনা লকডাউনের ঠিক আগে বাড়ি ফিরার পথে, ট্রেন স্টেশন থেকে বইটি আমি কিনেই ফেলি। পরে ফেলাই যাক না কেমন! এবং ১ মাসের মাথায় পুরো বইটি শেষ করে ফেলি! আমাকে ভুল প্রমাণিত করে এই উক্তিটি আবার প্রমাণ করে এই বইটি- Don't judge a book by it’s cover! এক কথায় অসাধারণ! গল্প, গল্পের প্রতিটি চরিত্র থেকে প্লট সব মিলিয়ে দারুণ এক প্যাকেজ।
Was this review helpful to you?
or
*বই-ব্যোমকেশ সমগ্র *গল্প-পথের কাঁটা *লেখক- শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। *ধরন- গোয়েন্দা গল্প *মূল্য-১০৮০ ব্যোমকেশ বক্সীকে চেনেন তো ? উনি কিন্ত কোন গোয়েন্দা বা ডিটেকটিভ নন। উনি একজন সত্যান্বেষী। হ্যা এই নামেই সবাইকে নিজের পরিচয় দিতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এর এক চিরঞ্জীব সৃষ্টি হচ্ছে ব্যোমকেশ বক্সী। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা কাহিনী শুরুর দিককার একটা চরিত্র হচ্ছে ব্যোমকেশ বক্সী। সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ যার কাজ হচ্ছে যে কোন রহস্যর সত্য অন্বেষণ করা। তার সকল কাজে সঙ্গী হচ্ছেন তার বন্ধু একজন তরুন লেখক তারই বয়সী। যিনি গল্পছলে রহস্য উদঘাটনের কাহিনী গুলো প্রকাশ করেন। তাদের পরিচয় হয় কোলকাতার একটা মেসে এবং শেষ পর্যন্ত একসাথেই ছিলেন তারা। এছাড়াও গোয়েন্দা গল্পে যেটা অপ্রতুল, বিয়ে বাচ্চা সংসার। সেটা এই চরিত্রে পাওয়া যায়। ব্যোমকেশ এর বউ সত্যবতী ও ছেলে খোকাকে কিছু গল্পে দেখা গেছে। “”পথের কাঁটা”” এই গল্পে পত্রিকায় টানা কয়েকদিন একটা বিজ্ঞাপন দেখতে পায় ব্যোমকেশ বক্সী। বিজ্ঞাপনটা এমন- “ যদি কেহ পথের কাঁটা দূর করতে চান, শনিবার সন্ধ্যা সড়ে পাঁচটার সময় হোয়াইটওয়ে লেডঃল’র দোকানের দক্ষিন-পশ্চিম কোনে ল্যাম্পপোস্টে হাত রাখিয়া দাঁড়াইয়া থাকিবেন “ এরকম একটা বিজ্ঞাপন দেখে স্বাভাবিক ভাবেই আগ্রহ সৃষ্টি হয় যে কারো । পত্রিকায় আর একটি ব্যাপার নিয়ে খুব লেখালেখি হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর হত্যার পদ্ধতি যা গ্রামোফোন মিস্ট্রি নামে পরিচিত। জনসম্মুখে মানুষ মুখ থুবড়ে পরে যাচ্ছে রাস্তায়। না কোন আঘাত না কোন রক্তক্ষরণ। কাউকে আঘাত করতে দেখাও যাচ্ছেনা। শুধু পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট এ তাদের হার্টের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে একটা “গ্রামোফোনের পিন“ । কোলকাতায় দিনে দুপুরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকলো। কোলকাতার বনেদী পরিবারের লোকগুলোর মধ্যে দেখা দিলো চরম আতঙ্ক। পুলিশ গোয়েন্দা কেউ এই রহস্যর কিনারা করতে পারছিলোনা যখন। তখন ডাক পরলো সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীর। কি এই গ্রামোফোন মিস্ট্রি? কিভাবে রাস্তায় চলমান পথিকের বুকের মধ্যে গ্রামোফোনের পিন ঢুকে যায়? কোন অস্ত্র কোন রক্তক্ষরন ছাড়া। সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী কি পারবে এই গ্রামোফোন মিস্ট্রির সত্য অন্বেষণ করতে? নাকি এই রহস্য রহস্যই থেকে যাবে? জানতে হলে পড়তে হবে উত্তেজনায় ভরপুর এ বইটি। অনেকসময় গোয়েন্দা গল্পগুলো বেশ দীর্ঘ হয়ে যায়। যার কারনে মাঝে গল্পের টান ও কিছুটা কমে যায়। কিন্ত ব্যোমকেশ বক্সীর প্রতিটা গল্প ছোট করে খুব সুন্দর ভাষায় রচনা করা হয়েছে যার কারনে গল্পের আকর্ষন কোথাও কমেনি। পুরো গল্প জুড়েই টান টান রহস্য থাকে এবং হঠাৎ করেই যেনো রহস্যর সমাধান হয়ে যায়। আমার পড়া প্রথম গোয়েন্দা চরিত্র হচ্ছে ফেলুদা। ব্যোমকেশ বক্সীর সাথে পরিচয় অনেক দেরীতে। আসলে ক্যাটাগরি যেহেতু এক তাই বই পড়লেই তুলনা দিতে মন চায়। কিন্ত এখানে আসলেই তুলনা দিলে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যাবেনা। ব্যোমকেশ-ফেলুদা দুইজন মহান লেখকের রচিত দুই অনবদ্য চরিত্র। দুজনই এখনো সমান জনপ্রিয়। ব্যোমকেশ এর গল্প গুলো ছোটকরে লেখা হয়েছে এবং অনেকগল্পই কোলকাতার মধ্যেই রচিত। অপরদিকে ফেলুদা বইটাতে গোয়েন্দার পাশাপাশি এডভেঞ্চার এর স্বাদ রয়েছে। প্রায় প্রতিটা গল্পেই কোলকাতার বাইরের পরিবেশ এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হছে। এবং গল্পগুলোও একটু বড় বড়। আসলে ব্যোমকেশ বক্সী এতই পরিচিত ওনাকে নিয়ে লেখার মত নতুন কিছু নেই। সর্বোপরি চমৎকার একটা চরিত্র হচ্ছে ব্যোমকেশ বক্সী। যারা এখনো বইটি পড়েননি তাদের প্রতি বই গুলো পড়ার আহ্বান রইলো। রেটিং-৫/৫
Was this review helpful to you?
or
গোয়েন্দা ভালবাসেন?গোয়েন্দা উপন্যাসে ডুবে থাকেন?পশ্চিমা গোয়েন্দা কাহিনীতে অভ্যস্ত? এবার একটু দেশীয় কাহিনীতে আসুন মশাই।একটিবার পড়ে দেখুন এই ব্যোমকেশ।মনে হয়না ঠকবেন বলে।তবে সাবধান,সাধু ভাষায় লিখিত।যদিও কথোপকথনগুলো চলিত রীতিতেই লিখা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
সত্যজিত রায়ের ফেলুদা বা শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের আগে বাঙালীও যে দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা হতে পারে,তা অনেকেই চিন্তা করতে পারত না । তবে ব্যোমকেশ স্বভাবতই স্বতন্ত্র । সে নিজেকে গোয়েন্দা ভাবতে পছন্দ করে না । কারণ তার কাজ খালি চোখে দেখা সত্য নিয়ে নয় । যৌক্তিক অনুমানও যে সত্যের সন্ধান দিতে পারে,তা ব্যোমকেশ বক্সীর মাধ্যমে দেখিয়েছেন শরদিন্দু । তাই সে নিজেকে পরিচয় দেয় সত্যান্বেষী হিসেবে । বাপের অন্নধ্বংস করা চালচুলাহীন সে নয় । সে সত্যান্বেষণ করে অর্থোপার্জন করার জন্য,এবং এক্ষেত্রে সে অকপট । এজন্যই ব্যোমকেশ বক্সী বাংলা রহস্যপ্রেমীদের অন্তরে জেগে থাকবেন বহুদিন ।
Was this review helpful to you?
or
ধুতি পাঞ্জাবি পরেও যে দুধর্ষ গোয়েন্দা হওয়া যায় সেটা শরদিন্দুবাবু প্রমান করে ছেড়েছেন। ব্যোমকেশ বক্সী কিশোরদের জন্য সৃস্ট চরিত্র নয়, বড়দের জন্যই। কিছুটা শার্লক হোমসএর মিল আছে বিশ্লেষণী ক্ষমতার ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা একেবারই মানানসই বাঙালি পরিবেশের জন্য। শার্লক দাম্ভিক ছিলেন কিন্তু ব্যোমকেশ ক্ষুরধার বুদ্ধিমান কিন্তু বিনয়ী আর দশজন বাঙালির মতই। পথের কাটা, দুর্গ রহস্য, সীমান্ত হীরা, চিড়িয়াখানা, রক্তের দাগ, সজারু কাটা, অগ্নিবাণ, বহ্নি পতঙ্গ, লোহার বিস্কুট ইত্যাদি গল্প বার বার পড়েও যেন আঁস মেটে না। খুবই ইউনিক আর অথেন্টিক গল্পের প্লট। না পড়লে মিস করবেন। ব্যোমকেশের ৩৫টি গল্প আছে এই বইতে