User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মা বাবা ভাই বোন নিয়ে অসহনীয় দারিদ্র্য পরিবারের মেয়ে নীনা, যার জীবনের অনেক বড় অধ্যায় কাটে দারিদ্র্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে।মা বাবার অমতে বিয়ে করে নীনা, বিয়ে করে ভালোবাসার মানুষকে। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটাই এত তাড়াতাড়ি অসহ্য হয়ে উঠবে কে জানতো? আর অসহ্য হয়ে উঠবে নাই বা কেন যে স্বামী সঠিকভাবে স্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করতে পেরে, ভালো বাসস্থানে থাকতে দিতে না পেরে সারাক্ষণ রাজনৈতিক নেতার পায়ের কাছে লুতুপুতু করে তাকে তো অসহ্য হয়ে ওঠারই কথা। তাই ডিভোর্সের সিন্ধান্ত, কিন্তু এরপর কোথায় যাবে? বাবা মায়ের কাছে তো যাওয়া যাবেনা। গেলেও তারা মেনে নেবেনা তাহলে এখন কোথায় যাওয়া যায়? হুম, আপাততঃ একটা ঠিকানাই আছে কিন্তু ঠিকানার লোকটাকে এক অদ্ভুত কারনে ঘৃনা করে সে। যাকে ঘৃনা করে বিপদের দিনে তার সাহায্য নেওয়ার মত লজ্জাকর মনেহয় আর কিছু নেই তারপরও তার বাড়িতে যেতে বাধ্য হয়। আর তারপর সকালের অপেক্ষা, যখন লোকটা দেখা করবে, কি পরিস্থিতি দাড়াবে কে যানে, তিনি কি আগের বারের মত গালাগালি করে ছুড়ে ফেলে দেবেন? কিছুটা ভয় কিছুটা সঙ্কা মিলেয়ে অস্বস্থিকর এক অপেক্ষা ....... উড়ুক্কু শব্দটাকে আরো কিছু অর্থে বিশ্লেষণ করা যায় যেমন বিশ্রামহীন।মানে বুঝতে পারছেন তো এক বিশ্রামহীন জীবনের গল্প এটা। দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ছোটবেলা থেকে লড়াই, লড়াইয়ের সমাপ্তি হিসাবে বিয়ে। কিন্তু সত্যিকার লড়াইই তো এখান থেকেই শুরু। তার তাছাড়া আমরা জানি উড়ক্কু একটা মাছের নাম, একটা মাছের নামের সাথে উপন্যাসের নাম নির্বাচনের যে রহস্য সেটা বইটা পড়লেই জানা যাবে। বইটাতে একটা মানুষের জীবনের অসহ্য কর অধ্যায়ের যে বর্ননা করা হয়েছে আমার কাছে সেটা সত্যিই দারুন লেগেছে এবং বাস্তব লেগেছে। সত্যিই এমনটা হয়। আমার তো সত্যিই অসাধারণ লেগেছে, আর একটা কথা এই গল্প ইংরেজিতে অনুবাদ সহ লেখিকা বইটির জন্য ফিলিপস সাহিত্য পুরুষ্কার পেয়েছেন। আগেই বলেছি বইটা আমার অসাধারণ লেগেছে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনাদেরও ভালো না লেগে যায়না।
Was this review helpful to you?
or
উড়ুক্কু উপন্যাসের কুশলী অনুবাদের সঙ্গে পাঠকের বাড়তি পাওনা অনুবাদকের ভূমিকা। যেখানে অনুবাদক অতি সংক্ষেপে এ দেশের পুরুষশাসিত সমাজে নারীপ্রগতির যথার্থ চিত্র তুলে ধরেছেন। নারীবাদী আন্দোলনের পুরোধাদের কথা এসেছে নারীবাদী লেখিকাদের নামও উপমহাদেশীয় ও বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে আধুনিক বাংলাদেশি নারী লেখকদের রচনা অগ্রণী নারীবাদী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২) পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়। দশক পরিক্রমায় বেশ কিছু স্বতন্ত্র নামের ধারা যোগ হয়েছে। আমরা এমনকি বাংলা কাহিনিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও দেশভাগ-পরবর্তী সাহিত্য পর্যালোচনায় রাজিয়া খান, দিলারা হাশেম, রিজিয়া রহমান ও সেলিনা হোসেন উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা অগ্রজ। তাঁরা সাধারণভাবে ঊনবিংশ শতক থেকে চলমান সাহিত্যিক রীতিনীতি না ভেঙে সচেতনভাবেই ‘নারী’ ও ‘নারীবাদী’ প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। দ্রোহী ষাটের দশকে বিকশিত নব্য নারীবাদে উদ্বুদ্ধ এক নতুন প্রজন্ম সত্তরের দশকের শেষ দিক থেকে নিজেদের তুলে ধরতে শুরু করেছিল। অনুমান করছি, পাঠকের মনে তসলিমা নাসরীনের নামটাই জেগে ওঠার কথা, যদিও ঔপন্যাসিক হিসেবে তাঁর ভেতর মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। তাঁর কবিতা ঢের বেশি সফল, তবে প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট হিসেবেই তিনি সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন। লিঙ্গীয় সংঘাতে তাঁর অপ্রকাশ্য বিষয়ের অকপট প্রকাশ ছিল সামনের কাতারের সংবাদ; তাঁর নির্বাসন বাংলাদেশকে এক সপ্রাণ উপস্থিতি থেকে বঞ্চিত করেছে। কাহিনিকার হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর তুলনায় স্বল্প পরিচিত সতীর্থরা রয়েছেন, যাঁদের ভেতর শাহীন আখতার, অদিতি ফাল্গুনি, মনিরা কায়েসের পাশাপাশি নাসরীন জাহান অগ্রগণ্য। ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের এক প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নাসরীন জাহানের—আপাতদৃষ্টিতে সাহিত্যিক উচ্চাশা রয়েছে এমন কারও জন্য তেমন একটা সম্ভাবনাময় সূচনা নয়। সৌভাগ্যক্রমে তাঁর মা-বাবা সাহিত্যকে মূল্য দিতেন, উৎসাহের কোনো কমতি হয়নি তাঁর। তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথকে পয়গম্বর জ্ঞানে ভক্তি করতেন। জাদুবিদ্যার প্রতিও আকৃষ্ট ছিলেন তিনি, কুষ্ঠিবিচারের বিরাট ভান্ডার গড়ে তুলেছিলেন। নাসরীনের সাহিত্যে জীবন গড়ে তোলার ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, পরিবারের সবাই তাঁর মেধার স্ফুরণের অপেক্ষায় ছিল। তাঁর গোড়ার দিকের রচনা ছিল সহজ পদ্য, কিন্তু হাইস্কুলে ওঠার পর ষোলো বছরেরও কম বয়সে তাঁর একটি ছোটগল্প একটি নামকরা জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য পাতায় স্থান পায়। উনিশ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় পাড়ি জমান। বিয়ে করেন কবি আশরাফ আহমেদকে। তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর এই কবি করপোরেট স্বাচ্ছন্দ্যের কাছে কাব্য-ভাবনা বিসর্জন দেন, এখন দৃষ্টান্তমূলক সহযোগী স্বামী হয়ে আছেন তিনি। নাসরীনের রচনা অনেক—এখন পর্যন্ত ৫০টি গ্রন্থ লিখেছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশিত এবং এখন অবধি তাঁর সেরা উপন্যাস হিসেবে পরিচিত উড়ুক্কু (ইংরেজি নাম: দ্য উওম্যান হু ফ্লিউ) প্রকাশের মুহূর্তে তাঁর রচিত বহুল প্রশংসিত আধা ডজন ছোটগল্পের বই ছিল। বাংলাদেশে ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার লাভ করে এটি। সমালোচকেরা সঠিকভাবেই বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে একটি মাইলফলকসুলভ কাহিনির আগমন শনাক্ত করেছিলেন। উপন্যাসটি অসাধারণভাবে আশির দশকের দিকে তৃতীয় বিশ্বের ইট-কাঠের জঙ্গলে পরিণত হতে চলা, ঢাকা শহরে ভেঙে পড়া জীবনের চাপ মোকাবিলা করে চলা এক নিঃসঙ্গ লড়াকু নারীর কথা তুলে ধরেছে। এর জটিল বাক্য গঠন নিয়ে বেপরোয়া, চরম উত্তম পুরুষের বয়ান অনেক সময় চেতনাপ্রবাহের ধারায় পরিণত হয়েছে, বাংলাদেশি লেখালেখির বেলায় এর মতো আর কিছু নেই। নাসরীনের প্রিয় লেখকদের তালিকায় রয়েছেন এডগার এলান পো, ফ্রাৎন্স কাফকা, ফিয়দর দস্তয়েভস্কি ও গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস—সবই বাংলা অনুবাদে পড়া (বাংলাদেশি লেখকদের ভেতর তিনি কমই ইংরেজি পড়েন)। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীশ গুপ্ত তাঁর প্রিয়, এঁরা শত বছর আগে অবৈধ বিয়ের মতো সংস্কার নিয়ে লিখেছেন, কিন্তু ঠাকুরের প্রবল সমালোচনার মুখে লেখালেখি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই লেখকেরা নাসরীনকে প্রভাবিত নয়, অনুপ্রাণিত করেছেন। নাসরীনের লেখক কণ্ঠস্বর আবেগীয় উত্থান-পতন ও মানসিক বৈকল্য পর্যন্ত ভ্রান্তিহীনভাবে ভিন্ন। উড়ুক্কুর মতো উত্তম পুরুষের বয়ান সম্ভাব্য আত্মজৈবিনক উৎস নিয়ে প্রশ্ন জাগাতে বাধ্য। টেক্সট ও এর রচয়িতার বিশেষ কিছু সম্পর্ক স্পষ্ট। উপন্যাসের মূল নারী চরিত্রটি মফস্বলের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর; দুজনের বাবাই অধিবিদ্যায় আগ্রহী। সামান্য অনুসন্ধানেই অনুমান করি, আরও মিল খুঁজে বের করা সম্ভব; কিন্তু তবু উপন্যাসটি ছদ্ম আত্মজীবনী নয়। নীনার হোঁচট খাওয়া বিয়ের প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু হয়েছে কাহিনির, লেখকের দাম্পত্য জীবনের একেবারেই বিপরীত এটা। আরও বহু ঔপন্যাসিকের মতোই নাসরীন এমন একটি সত্তা সৃষ্টি করেছেন, যার ভেতর দিয়ে সমসাময়িক বাংলাদেশের বিষণ্ন রকম বাস্তব ও অস্বস্তিকর স্বাভাবিক রূপটি তুলে ধরতে পারেন। এটা সময়ের চিহ্ন যে তিনি নারীর যৌনতাকেই অনুসন্ধানের নতুন ক্ষেত্র হিসেবে শনাক্ত করেছেন। নারীর যৌনতা নিয়ে খুব কম লেখকই কাজ করেছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন: নারীরা, বিশেষ করে তাঁদের রচনায় এ বিষয়টি তুলে আনার ব্যাপারে খুবই দ্বিধান্বিত। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমাদের পুরুষ লেখকেরা নারীর যৌনতা সম্পর্কে সামান্যই ধারণা রাখেন। আপনি লক্ষ করেছেন, আমার রচনায় বেশির ভাগ নারীই যৌনতার সুখ সম্পর্কে অসচেতন। এ নিয়ে বহু নারীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাঁদের বেশির ভাগই, বিশেষ করে যাঁরা সমাজের নিচের সারিতে অবস্থান করেন, যৌনতাকে স্রেফ আরেকটা সাংসারিক কাজ বলেই মনে করেন, এতে কোনো আনন্দ পান না। আমি সমকামিতা ও বয়ঃসন্ধিকালের যৌনতা নিয়েও কাজ করেছি—এ নিয়ে আমি দ্বিধান্বিত নই। কারণ, যৌনতা বরাবরই আমাদের মননে উপস্থিত থাকে। একই সময়ে নাসরীন দৃঢ়ভাবে নিজেকে নারীবাদী কর্মীদের কাছ থেকে সরিয়ে রেখেছেন; যদিও সেটা তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতির অভাবে নয়, বরং সংশয় বোধের কারণে। বহু আধুনিক উপন্যাসের মতো উড়ুক্কু বিভিন্ন মুহূর্তের মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক বিষয়ের দিকে নজর দিয়ে একটি সহজ প্লটকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। বয়ান অতীত ও বর্তমানে, নীনার মফস্বলীয় দেশের বাড়ি আর মেট্রোপলিটন আবাসের মাঝে ঘুরে বেড়ায়। শানু ও কামাল নামে অন্য এক দম্পতির কাছ থেকে সাবলেট নেওয়া একটা কামরায় থাকে নীনা; প্রায়ই ওদের ভেতর ঝগড়া বেধে থাকে, নীনার স্বাধীনতাকে যেন মন্দ চোখে দেখে শানু। নীনার কাজের দিনগুলো নিঃসঙ্গ, তাই তালাকপ্রাপ্ত নারীর মোকাবিলা করা সূক্ষ্ম বা কিছুটা স্থূল হয়রানিতে বিভক্ত: কাজের জায়গা, জনাকীর্ণ বাসে হামলে পড়া হাত, নিজের স্যাঁতসেঁতে ছোট্ট ঘরে একাকী প্রহর। আয়ের সামান্য টাকা-পয়সা পরিবার আর প্রায়ই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া ছোট ভাই আরেফিনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়। এই উপন্যাসের একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম আবদুল আলি মজুমদার, নীনার শহরের এক মহাজন, ইসলামি মরমিবাদ আর তান্ত্রিক অধিবিদ্যার এক বিচিত্র মিশেলের চর্চা করে সে; যেন কোনো প্রাচ্যবাদীর কল্পনার জগৎ থেকে উঠে এসেছে, কিন্তু এখানে কল্পনাও বড্ড বেশি বাস্তব। এ থেকেই কোনো কোনো সমালোচক নাসরীনকে কেন জাদুবাস্তবতার ঘরানায় স্থান দেন, সেটা বোঝা যায়। নাসরীনের সুন্দরী ছোট বোনের ওপর মজুমদারের সম্মোহনী ক্ষমতা অস্বস্তিকর, কিন্তু মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য। সংসদ বাংলা-ইংরেজি অভিধানে ‘উড়ুক্কু’র সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ‘ওড়া: ক্যাপাব্ল অফ অর গিভেন টু ফ্লাইং; ভেরি রেস্টলেস অর ইমপেইশেন্ট’| জুতসইভাবে বেছে নেওয়া নাম। নীনা ও রেজাউলের বন্ধু সত্যজিৎ একপর্যায়ে বিদায় নিয়েছে বলে ওর তারিফ করে। নিজস্ব ব্যক্তিগত মুক্তি স্পষ্ট করে তোলার ক্ষেত্রে সত্যিই সে উড়ুক্কু। বাংলাদেশি ও বৈশ্বিক সাহিত্যিক পরিপ্রেক্ষিতে উড়ুক্কু নব্য-উত্তর নারীবাদী নারীর মুখ খোলার কৌতূহলোদ্দীপক নজির। এক আকর্ষণীয় তুলনামূলক পর্যালোচনায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোস্তাইন বিল্লাহ উড়ুক্কু ও অরুন্ধতী রায়ের দ্য গড অব স্মল থিংস (১৯৯৭)-এর ভেতর বেশ কিছু মিল তুলে ধরেছেন। ঘটনাক্রমে দুটি উপন্যাসই রচিত হয়েছে ষাটের দশকের গোড়াতে জন্মগ্রহণকারী বাঙালি বাবার মেয়ের হাতে। উপন্যাস দুটি স্টাইলের দিক থেকে ভিন্ন হলেও রায়ের উপন্যাসটি অনেক বেশি গোছানো, আর নাসরীনের উপন্যাসটি প্রায়শই অনেকটা উদ্ভ্রান্ত স্বগত সংলাপের মতো—বিল্লাহ উপন্যাসগুলোর মূল চরিত্র নীনা ও আম্মুর ভেতর গভীর মিল খুঁজে পেয়েছেন। দুজনেরই বাবা দুর্বল ও ব্যর্থ পুরুষ; দুজনেরই বিচ্ছেদ ঘটা অসুখী বিয়ে হয়েছিল; দুজনই চারিত্রিক স্খলনের অপবাদ পেয়েছে। এসব কাকতালীয় মিল এ এই বাস্তবতাকেই জোরদার করে যে দুটি উপন্যাসই উপমহাদেশে আধিপত্য বজায় রাখা প্রচলিত কঠোর পিতৃতান্ত্রিকতা ও আধুনিকতার চলমান বিরোধের প্রতি সাড়া দিয়েছে। আর সে কারণেই এগুলো আমাদের কালের অমূল্য অস্তিত্ববাদী দলিল।