User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Humans have a lot of expectations,some are legitimate and some are either too high or unrealistic.Still is having high expectations a good thing or bad thing?Is it required for breaking our limitations?Charles Dickens book Great expectations explores the concept of expectation surrounding the life story of a boy.Definitely give it a read if you too have great expectations....
Was this review helpful to you?
or
গ্রেট এক্সপেক্টেশন্স প্রখ্যাত সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের লেখা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাস। একটি ছেলে কীভাবে জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে বড় হয়, তার স্বচ্ছ-সাবলীল প্রকাশ ঘটেছে এই উপন্যাসে। এছাড়া তখনকার সামাজিক শ্রেণি-জীবনে বড় হবার অদম্য ইচ্ছা-ধনী গরীবের তফাত এবং ভালবাসার দহনজ্বালা এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র পিপ্, যাকে একটি সুযোগ দেয়া হয় যাতে সে ভদ্রলোক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। পিপ্ তার বোন এবং বোনের জামাই জো-এর সাথে বাস করে। সে যে এলাকায় বাস করত, সেই এলাকার জেল হতে একদিন এক কয়েদী পালাল। ঘটনাক্রমে পিপের সাথে ঐ লোকটার দেখা হল। মগ্উইচ নামক ঐ লোকটি ভয় দেখিয়ে পিপের কাছ থেকে খাবার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি আনাত। এভাবে একদিন কয়েদীটি ধরা পড়ল। পিপ বড় হচ্ছিল। একদিন সে তার আঙ্কেলের সাথে এক ধনী মহিলার বাড়ি যায়। এই মহিলার নাম মিস্ হ্যাভারশাম। তিনি বুড়ো হলেও তরুণীদের পোশাক পড়েন। সেই বাড়িতে আরো থাকত হ্যাভিশামের দত্তক নেয়া মেয়ে (এস্টেলা), যার শীতল ব্যবহারে পিপ অখুশী হলেও সে মেয়েটিকে ভালবেসে ফেলে। পিপ এরপর প্রায়ই ঐ বাড়িতে যেত। মিস্ হ্যাভারশামই তাকে যেতে বলত। পিপ ভদ্রলোক হওয়ার চেষ্টা করতে লাগল, যাতে সে ঐ এস্টেলাকে বিয়ে করার উপযুক্ততা অর্জন করতে পারে। এদিকে একবার জোকে নিয়ে পিপ্ মিস হ্যাভিশামের বাড়ি যায়। এই সুযোগে তাদের বাড়িতে কেউ আক্রমণ করে এবং এর ফলশ্রুতিতে জোয়ের স্ত্রী, পিপের বোন চিরকালের জন্য বোবা হয়ে যায়। জো ছিল একজন কামার এবং এই কাজে পিপ্ তাকে সাহায্য করত। একদিন এক রহস্যময় অর্থদাতার কাছ থেকে পিপ প্রচুর টাকা পেল, যাতে সে লন্ডনের গিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। লন্ডনে গিয়ে পড়াশোনা শিখে পিপ্ একজন ধনী এবং ভদ্রলোকে পরিণত হল। সে ভাবত তার এই অর্থদাতা মিস্ হ্যাভিশাম। কিন্তু পরে একদিন সে জানতে পারল, এই অর্থদাতা আর কেউ নয়, সেই জেলখাটা কয়েদী। এদিকে এস্টেলাকে বিয়ের যে স্বপ্ন পিপ্ বুনেছিল, তা চুরমার হয়ে যায়। সে জানতে পারল, মিস্ হ্যাভিশাম আসলে এস্টেলাকে দত্তক নিয়েছিল পুরুষদের হৃদয় ভেঙে দেবার জন্য। সে যেমন এক পুরুষের কাছ থেকে ধোঁকা খেয়েছিল, সে চায়, সকল পুরুষই তেমন ধোঁকা খাক, কষ্ট পাক। পিপ্ এজন্য তার তরষ্কার করে এবং এর ফলে গভীর দুঃখবশত মিস্ হ্যাভিশাম আগুনে ঝঁপ দেন। কিন্তু পিপ্ তাকে বাঁচিয়ে তুললেও অনুশোচনায় এবং বয়সের কারণে তিনি মারা যান। এদিকে যে ব্যক্তি পিপের বোনকে আক্রমণ করেছিল, সে ব্যক্তি এবার পিপ্কেও আক্রমণ করে। পিপ তা বন্ধুদের সহায়তায় পালাতে সক্ষম হয়। এদিকে মগ্উইচ, সেই অর্থদাতা কয়েদী, তার প্রতিপক্ষকে খুন করে। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে পুনরায় জেলে ভরে দেয়। সেই কয়েদীর অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে অগ্রসর হয়। এদিকে পিপ একসময় জানতে পারে যে এস্টেলা আসলে মগ্উইচের মেয়ে। মগ্উইচের জীবন সংক্রান্তিতে পিপ্ তাকে জানায় যে তার মেয়ে জীবিত আছে এবং ভাল আছে। মগ্উইচ পিপের কোলে শান্তিতে মারা যায়। এর কিছু পরেই পিপ্কে গ্রেপ্তার করা হয় অধিক ঋণের কারণে। পিপ্ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। গ্রাম থেকে তাকে দেখতে জো আসে এবং নিরন্তর সেবা করে পিপকে সুস্থ করে তোলে। পিপ তার নিজের ভুল বুঝতে পারে যে অর্থ ও এস্টেলার লোভে সে জোকে ক্রমান্বয়ে উপেক্ষা করেছে। সে জোয়ের কাছে ক্ষমা চায়। জো তাকে ক্ষমা করে দেয়। এগারো বছর পর পিপের সাথে আবারো এস্টেলার দেখা হয়। এসটেলা তখন স্বামীহারা বিধবা এক অসহায় নারী। পিপের কাছে সে ক্ষমা চায় এবং পিপ তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এই উপন্যাসের পিপ প্রকৃতপক্ষে বর্তমান যুগেরও আরো হাজারো পিপের প্রতিচ্ছবি, যারা জীবনে বড় হবার আশায় নিজের সবচেয়ে কাছের লোককে অবজ্ঞা করে, কিন্তু পরে যখন ভুল বুঝতে পারে, তখন আর পথ খোঁজার উপায় থাকে না।