User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর বই।।।
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
প্রচুর বানান ভুল, পড়তে গিয়ে বিরক্ত হয়েছি, বানান ভুলের কারণে
Was this review helpful to you?
or
সহজ ভাষায় লিখে পাঠকের কাছে চলে আসার সুনাম শহিদুল জহিরের আছে। একজন লেখক তার সমস্ত গুণ ও মেধা দিয়ে যত্ন করে একটি বই লেখেন। যেন একটি সন্তানকে 'মা' তার গভীরে লালন করছেন। একদিন গর্ভ যাতনা শেষে সে পৃথিবীর মুখ দেখে। আমার কী সাধ্য আছে, কারো সন্তানকে সুন্দর বা অসুন্দরের গণ্ডিতে ফেলে বিচার করবার!
Was this review helpful to you?
or
বাংলা আধুনিক সাহিত্যে সবচেয়ে বেশী বয়সে আগমন করে যিনি অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ছোট গল্পের দূর্লভ আসনে যিনি ক্লাসিক এবং পপুলার দুটোর-ই জায়গা করে নয়েছেন তিনি হলেন শহীদুল জহির। সমকালীন সাহিত্যবোদ্ধাদের কাছে তিনি জাদুবাস্তবতার গল্পকার হিসেবে উপাধি কুড়িয়ে নিয়েছেন অনায়াসে। ১৯৮৫ সালে মুক্তধারা থেকে প্রকাশিত শহীদুল জহিরের প্রথম গল্পগ্রন্থ "পারাপার"। সমাজের নিচু তলার মানুষের জীবনের দৈনন্দিন টানাপোড়েন, অভাব-অভিযোগ আর যত্নের ভালোবাসা তার গল্পের প্রধান রসদ। "পারাপার" বইটিতে যুক্ত হয়েছে সে রকমই পাঁচটি গল্প। বাবুপুরা বস্তিতে জীবন কাটানো হাফিজুদ্দির হাতে করে ফুল নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে প্রথম গল্প- 'ভালবাসা'। কোন কোন দিন না খেয়ে থাকা হাফিজুদ্দি, তার স্ত্রী আবেদা ও মেয়ে তওরার শীর্ণ সংসারে একটি ফুল কিভাবে নাটকীয় ভঙ্গীতে ভালবাসা সৃষ্টি করে, তা এই গল্পে লেখক নিপুণ ভাবে তুলে ধরেছেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বস্তিবাসী বৃদ্ধ তোরাব শেখের এই বয়সে কাজ করতে না পারার দীনতা, একই কারণে সবার সাথে অহেতুক উচ্চবাচ্য, বহু কষ্টে একটি কাজ যোগাড় এবং অতঃপর তার মেয়ের বিয়ে নিয়ে তার ছেলে জমিরের সাথে তার ঝগড়ার রেশ ধরে তোরাব শেখের আকস্মিক অন্তর্ধান নিয়ে আবেগময় গল্প- "তোরাব শেখ"। চট্রগ্রামে চাকুরীর পরীক্ষা দিয়ে ঈসা খান ষ্টিমারে করে ফিরে আসা ওলি এবং দুজন কিশোরের গল্প- "পারাপার"। সাহেব ধরণের বয়স্ক এক লোকের দুটো বেডিং নিয়ে দুজন কিশোর কুলির দাম হাকাহাকি, ওলির মধ্যস্থতা এবং তার মধ্যস্থতার কারণে সাহেব লোকটির উদ্ভূত সন্দেহ নিয়ে গল্প জাল ফেলে। তারপর, ষ্টীমার থেকে নামার সময় অতর্কিতে বেডিং ফেলে দেয়াকে কেন্দ্র করে জটিলতা এবং তার চমৎকার পরিণতি নিয়ে শেষ হয়েছে গল্প। স্বামীর বাড়ী থেকে আম্বিয়ার বাবার বাড়ি আসার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে "মাটি এবং মানুষের রঙ" গল্পটি। আম্বিয়া খাতুনের সাথে আসিয়া বেগমের কথোপকথন, ঘটনায় হারুর মায়ের প্রবেশ এবং উদ্ভূত একটি মন্তব্যের পরিণতির মাধ্যমে শেষ হওয়া গল্পটিতে আমরা খুঁজে পাবো চেনা কিছু কষ্টের ঘ্রাণ। আনন্দ পাল লেনে একজন বাইরের লোকের আগমন নিয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিলতা নিয়ে শেষ গল্প- "ঘেয়ো রোদের প্রার্থনা নিয়ে"। বহিরাগত লোকটির নাম কখনো নবাব কিংবা কখনো আলফাজুদ্দিন হয়ে উঠে লেনের অধিবাসীদের কাছে। ক্রমে তার সেখানকার মন্দিরে আবাস গড়ে তোলা তাদের মধ্যে সংশয় তৈরী করে। ঠাকুরবাড়ির রোয়াকের উপর বসে নবাবের জরিনার কথা মনে পড়ে যায়, তার মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। এরপরই দৃশ্যপটে প্রবেশ করে স্থানীয় একটি মেয়ে। শুরু হয় পুরো লেনে নতুন জটিলতা। প্রেম আর আবেগের অনির্ণেয় বর্ণনায় গল্পকার এই গল্পটি লিখেছেন। "পারাপার" কিছু মানুষের স্বপ্ন দেখার গল্প, স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প, দ্রোহের গল্প কিংবা আপোষের গল্প।