User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
হাসান আজিজুল হকের অসাধারন লেখনি। ১৯৩৮ সালের একটি বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে লেখা এই উপন্যাস। প্রতিটা লাইন পড়ার পর পরের লাইন পড়ার ইচ্ছে বাড়িয়ে দেয়। অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
সাল ১৯৩৫, বয়স ১৬, নাম সাবিত্রী, পরিচয় ধর্ষিতা। শুনতে কেমন লাগে ? আমার অবস্থাও ঠিক তেমনি হয়েছিলো পড়তে পড়তে। কথায় বলে সতী সাবিত্রী আর উপন্যাস বলছে সাবিত্রী আর সতী নাই, তবে কি সে অসতী? না ঠিক তাও নয়, তবে ? উপন্যাসের এক জায়গায় ধর্ষিতা সাবিত্রী ভাবছে " আমি কখনো হেঁসেলে ঢুকব না, আঁতুর ঘরে যাব না, ছেলেকে মাই খাওয়াব না"। যৌবনের প্রথম প্রহরে বিবাহিত কিন্তু কুমারী সাবিত্রী স্বামী দুকড়ির আসার অপেক্ষায় ছিলো, কিন্তু তার কৌমার্য হরণ হলো জোছনার রোমান্টিক আলোতে গ্রামেরই তেলা,বটা,সবুদের দ্বারা। তারপর শুধুই একটি ধর্ষিতা মেয়ের হাত বদল হওয়ার কাহিনীর বর্ণনা। লেখক গল্পে স্বয়ং উপস্থিত থেকে দিয়েছেন সে বর্ণনা। কিন্তু কেন আর কি দায় ঠেকেছিলো তার ? তিনি দায়বন্ধ ছিলেন মানবতার কাছে,, ইতিহাসের কাছে, সত্যকে তুলে ধরার, প্রজন্ম পর প্রজন্মের কাছে জানিয়ে যাওয়ার। একজন গণধর্ষিতা কিশোরি মেয়ের কাছে পৃথিবীটা কেমন ? এই পৃথিবীর রুপ, রস, গন্ধ কেমন হয় তার বর্ণনা আমরা পাই সাবিত্রীর মধ্যে দিয়ে, আরো দেখতে পাই কতটা নির্দয় হতে পারে পূরুষ মানুষগুলো একটি মেয়েকে একলা কাছে পেলে? যুগ সময় কতকিছুই তো বদলে গেলো কিন্তু আজও কি পূরুষের সেই দৃষ্টি বদলেছে ? এই প্রশ্ন আমি আজ নিজেকেই করতেই পারি। ধর্ষক দুর্গা এক জায়গায় বলছে "এই আপদটাকে নিয়ে যা খুশি করগে। সবুর কাছে এগিয়ে এল। ঝুঁকে পড়ে সাবিত্রীর মুখটা দেখতে চেষ্টা করল। ভীষণ ময়লা। আলোটা ময়লা, পিচ উঠে-যাওয়া রাস্তাটা ময়লা। ..সবুর দেখল সাবিত্রীর মুখে চোখে ছোপ ময়লা"। এক রাত একদিনের ধর্ষিতা তৃষ্ণার্ত সাবিত্রীর যে এক দিঘী জল চাই, সে জলে সে তলিয়ে গিয়ে ঘুমুতে চায় সারা জীবন। তারপর হাত বদলে সেই সাথে নতুন ধর্ষণের মধ্য দিয়ে সাবিত্রী পথ গ্রাম ছেড়ে কোলকাতা টু বর্ধমান টু বগুড়া এগিয়ে চলে। আচ্ছা পূরুষদের সম্পর্কে তখন তার ধারণাটা তখন কেমন ছিলো ? উপন্যাসের এক জায়গায় সে ভাবছে যদি তার স্বামী দুকড়ি এসে পড়ে ? পরক্ষণেই সে ঘৃনায় কুকড়ে উঠে " গা গুলিয়ে উঠল তার। পিথিমির মদ্দা কোনো শুয়র যেন তার কাছে না আসে !" জোৎস্নার আলোতে ধষিতা হয়ে আমৃত্যু সাবিত্রী কিভাবে দেখেছে জোৎস্নাকে "এবারে সে জেনে গিয়েছে শাদা জ্যোস্না আরও নিষ্ঠুর, আরও নির্লজ্জ। ন্যাংটো উদম সাবিত্রীর দিকে সে আগাগোড়া চেয়েছিল।" তাই বাকিটা জীবন জ্যোৎস্নাকে নয়, অমবস্যাকেই সাবিত্রী ভালবেসেছিলো। দিনের পর দিন আসে কিন্তু সাবিত্রীর কাছে দিন একটিই। কারন প্রতিদিনই সে ধর্ষিতা হচ্ছে, এর মধ্যে নতুন কিছু নেই যে সে দিনটিকে আলাদা করে দেখতে পাবে। হাত বদলের পালা শেষে সাবিত্রী অবশেষে বাড়ি ফিরে আসে, তার দাদার কাছে। আইন আদালত যার যার ভূমিকা পালন করেছে। এই উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে লেখক একটি সময়কে তুলে এনেছেন, আর ? অতি অবশ্যই সাবিত্ররি মধ্যে দিয়ে একটি কিশোরির মানুষ হয়েও মানুষ থেকে হারিয়ে যাওয়ার নির্মম অভিজ্ঞতা।
Was this review helpful to you?
or
Shamsuzaman Khan সাল ১৯৩৫, বয়স ১৬, নাম সাবিত্রী, পরিচয় ধর্ষিতা। শুনতে কেমন লাগে ? আমার অবস্থাও ঠিক তেমনি হয়েছিলো পড়তে পড়তে। কথায় বলে সতী সাবিত্রী আর উপন্যাস বলছে সাবিত্রী আর সতী নাই, তবে কি সে অসতী? না ঠিক তাও নয়, তবে ? উপন্যাসের এক জায়গায় ধর্ষিতা সাবিত্রী ভাবছে " আমি কখনো হেঁসেলে ঢুকব না, আঁতুর ঘরে যাব না, ছেলেকে মাই খাওয়াব না"। যৌবনের প্রথম প্রহরে বিবাহিত কিন্তু কুমারী সাবিত্রী স্বামী দুকড়ির আসার অপেক্ষায় ছিলো, কিন্তু তার কৌমার্য হরণ হলো জোছনার রোমান্টিক আলোতে গ্রামেরই তেলা,বটা,সবুদের দ্বারা। তারপর শুধুই একটি ধর্ষিতা মেয়ের হাত বদল হওয়ার কাহিনীর বর্ণনা। লেখক গল্পে স্বয়ং উপস্থিত থেকে দিয়েছেন সে বর্ণনা। কিন্তু কেন আর কি দায় ঠেকেছিলো তার ? তিনি দায়বন্ধ ছিলেন মানবতার কাছে,, ইতিহাসের কাছে, সত্যকে তুলে ধরার, প্রজন্ম পর প্রজন্মের কাছে জানিয়ে যাওয়ার। একজন গণধর্ষিতা কিশোরি মেয়ের কাছে পৃথিবীটা কেমন ? এই পৃথিবীর রুপ, রস, গন্ধ কেমন হয় তার বর্ণনা আমরা পাই সাবিত্রীর মধ্যে দিয়ে, আরো দেখতে পাই কতটা নির্দয় হতে পারে পূরুষ মানুষগুলো একটি মেয়েকে একলা কাছে পেলে? যুগ সময় কতকিছুই তো বদলে গেলো কিন্তু আজও কি পূরুষের সেই দৃষ্টি বদলেছে ? এই প্রশ্ন আমি আজ নিজেকেই করতেই পারি। ধর্ষক দুর্গা এক জায়গায় বলছে "এই আপদটাকে নিয়ে যা খুশি করগে। সবুর কাছে এগিয়ে এল। ঝুঁকে পড়ে সাবিত্রীর মুখটা দেখতে চেষ্টা করল। ভীষণ ময়লা। আলোটা ময়লা, পিচ উঠে-যাওয়া রাস্তাটা ময়লা। ..সবুর দেখল সাবিত্রীর মুখে চোখে ছোপ ময়লা"। এক রাত একদিনের ধর্ষিতা তৃষ্ণার্ত সাবিত্রীর যে এক দিঘী জল চাই, সে জলে সে তলিয়ে গিয়ে ঘুমুতে চায় সারা জীবন। তারপর হাত বদলে সেই সাথে নতুন ধর্ষণের মধ্য দিয়ে সাবিত্রী পথ গ্রাম ছেড়ে কোলকাতা টু বর্ধমান টু বগুড়া এগিয়ে চলে। আচ্ছা পূরুষদের সম্পর্কে তখন তার ধারণাটা তখন কেমন ছিলো ? উপন্যাসের এক জায়গায় সে ভাবছে যদি তার স্বামী দুকড়ি এসে পড়ে ? পরক্ষণেই সে ঘৃনায় কুকড়ে উঠে " গা গুলিয়ে উঠল তার। পিথিমির মদ্দা কোনো শুয়র যেন তার কাছে না আসে !" জোৎস্নার আলোতে ধষিতা হয়ে আমৃত্যু সাবিত্রী কিভাবে দেখেছে জোৎস্নাকে "এবারে সে জেনে গিয়েছে শাদা জ্যোস্না আরও নিষ্ঠুর, আরও নির্লজ্জ। ন্যাংটো উদম সাবিত্রীর দিকে সে আগাগোড়া চেয়েছিল।" তাই বাকিটা জীবন জ্যোৎস্নাকে নয়, অমবস্যাকেই সাবিত্রী ভালবেসেছিলো। দিনের পর দিন আসে কিন্তু সাবিত্রীর কাছে দিন একটিই। কারন প্রতিদিনই সে ধর্ষিতা হচ্ছে, এর মধ্যে নতুন কিছু নেই যে সে দিনটিকে আলাদা করে দেখতে পাবে। হাত বদলের পালা শেষে সাবিত্রী অবশেষে বাড়ি ফিরে আসে, তার দাদার কাছে। আইন আদালত যার যার ভূমিকা পালন করেছে। এই উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে লেখক একটি সময়কে তুলে এনেছেন, আর ? অতি অবশ্যই সাবিত্ররি মধ্যে দিয়ে একটি কিশোরির মানুষ হয়েও মানুষ থেকে হারিয়ে যাওয়ার নির্মম অভিজ্ঞতা।
Was this review helpful to you?
or
ছোটোগল্পের তিনি রাজপুত্র, উপন্যাসিকাও আছে তাঁর কয়েকটি, কিন্তু এ পর্যন্ত তাঁর উপন্যাস মাত্র দু-টি- ‘আগুন পাখি’ও ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’। দু-টিই হাসানীয় বৈশিষ্ট্যে অনন্য।‘সাবিত্রী উপাখ্যান’-এর ষোল বছরের কিশোরী সাবিত্রী যেন নিপীড়িত মা বোন কন্যার মূর্ত প্রতীক। লেখক তাকেই উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছেন তার কাছে ক্ষমা চেয়ে। ক্ষমা কেন? কারণ হয়ত এই যে এমন একটি কাহিনি তাঁকে নির্মাণ করতে হলো যাতে নারীর অসহনীয় অপমানের ছবি আঁকতে হয়েছে। সত্যানুসন্ধানী হাসান বাস্তবতাকে আড়াল করে পাঠকনন্দিত হতে চান নি। বরং নিজে একজন পুরুষ হয়েও নির্দ্বিধায় উদ্ঘাটন করেছেন পুরুষজাতির বর্বরতা ও নীচতার অতলতা। পুরুষ যে পশুরই এক রূপ এবং দেশ-কাল-পাত্র ভেদে খুব বেশি পার্থক্য তাদের মধ্যে নেই এবং কখনো কখনো মুখোশের অন্তরালেও সেই একই পশুবৃত্তিচর্চাতেই তারা নিবেদিত সে কথাই বললেন লেখক তাঁর সাবিত্রী কথকতায়। উপন্যাসটি আগাগোড়া পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ভাষার কাঠিন্য বা কাহিনির জটিলতা নয়, পুরুষের নির্লজ্জ নির্দয় রূপ দেখতে এবং নারীর অসহায়তাকে মেনে নিতে এই কষ্ট। ধর্ষক, প্রতারক ও উত্যক্তকারী পুরুষকে লেখক মনুষ্যশ্রেণিভুক্ত করে রাখেন নি তাঁর উপন্যাসে, তাদের লালাসিক্ত মুখ এত কুৎসিত যে তিনি তাদেরকে নিম্নশ্রেণির জন্তুর পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
সাবিত্রী উপাখ্যান মাত্র শেষ করলাম। ১৯৩৮ - এর একটি ঘটনা যেটা উপন্যাসের বিষয়বস্তু। এ ধরণের ঘটনা আমাদের সমাজে হয়তো অহরহ ঘটছে। কিন্তু সেইসময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনা কতটুকু আলোড়ন তুলেছিল লেখক সেটা বের করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উপাখ্যান টিতে সেটা যথাযথ আসেনি বলেই মনে হয়। প্রথম আমি এই উপন্যাসের অংশ পাই ঈদ সংখ্যা প্রথম আলোয়। এর দ্বিতীয় অংশ পাই কালি ও কলম বছর পূর্তি সংখ্যায়। তখনই এর শেষ জানার আগ্রহে বইটি প্রকাশের পর কিনে ফেলি। সম্ভবতঃ লেখক সে সময়ের রাজনীতির চাইতে ঘটমান ঘটনাটার উপর জোর দিতে চেয়েছেন। তাই দুই ধর্মের মানুষের সংঘাতের চিত্র তেমন আসেনি। উপাখ্যানটি অবশ্যই সুখপাঠ্য।