User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
.
Was this review helpful to you?
or
u
Was this review helpful to you?
or
পাঠ প্রতিক্রিয়া- "যোগাযোগ" - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পারিবারিক জটিলতা নাকি জমিদার শ্রেণীর উত্থান-পতন, কোনটা রবীন্দ্রনাথের 'যোগাযোগ' উপন্যাসের মূল উপজীব্য, এই বিতর্কটি একশো বছরের। তবে উপন্যাসে সম্মিলন ঘটেছিল উভয়টির। উপন্যাসের মূল চরিত্রটি হল এর নায়িকা কুমুদিনী। তার ভাই বিপ্রদাসের অত্যন্ত আদরের বোন। বিপ্রদাস বোনকে ভালোবেসে কখনো বিয়েও করেন নি। বিপ্রদাসের জমিদারি পড়তির দিকে। দেনায় পড়তে লাগল সে। কুমুর বিয়ের প্রস্তাব আসল রাজাবাহাদুর উপাধি পাওয়া মধুসূদন এর সাথে। যদিও মধুসূদন একটু বয়সী, তবু সামাজিক প্রতিপত্তিতে সে তখন চূড়ায় অবস্থান করছে। বিয়ে হয় কুমু ও মধুসূদন এর। এদিকে বিপ্রদাসের অবস্থা সম্পর্কে মধুসূদন সবটাই অবগত, এমনকি বিপ্রদাস কর্য করে মধুসূদন এর কাছে। এটা নিয়ে গর্ববোধও করে মধুসূদন। কুমু আর মধুসূদন এর মনস্তাত্ত্বিক সংঘাত শুরু হতে থাকে তার ভাইকে ঘিরেই। তার ভাই মধুসূদন এর কাছে দেনাগ্রস্থ, এই বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি কুমু। দুজনের মানসিক জটিলতা যখন চলছে, এর মাঝে যেন ঘি ঢেলে দেয় শ্যামাসুন্দরী। মধুসূদন এর মৃত ভাইয়ের স্ত্রী। যে সবসময় মধুসূদনকে চেয়ে আসছিল। যদিও মধুসূদন তাকে ওই দৃষ্টিতে কখনো গ্রাহ্য করেনা, তবু কুমুর সাথে সংঘাতে সে মধুসূদনকে ভাত বেড়ে খাওয়ানো আর বাতাস করার আধিক্যেতার সুযোগটি ছাড়ে না। এদিলে শ্যামাসুন্দরী কুমুর কাছেও বড় বোনসুলভ আচরণ করে না। কখনো কুমু বুঝতেও পারে না, শ্যামার লক্ষ্য ও দূরদৃষ্টি। একদিকে মধুসূদন এর বিপুল প্রতিপত্তি, অন্যদিকে তার অহমিকা - উপন্যাসটিকে দিয়েছে অদ্ভুত মাত্রা! আর পড়তি জমিদারির অধিকারী বিপ্রদাসের প্রতি কুমুর মায়ার বাঁধন তো ছাড়বার নয়। তার প্রতি ভালোবাসা, বাড়ি যাবার আকুল টান মধুসূদনের জন্য পীড়াদায়ক হয়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রীর মনস্তাত্ত্বিক লড়াই কি সুযোগসন্ধানী শ্যামার হাত ধরে রূপ নিবে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পে? এদিকে কুমুর ভাই বিপ্রদাসের জমিদারির উত্থান কি ঘটবে আবারও? উত্তর খুঁজতে হবে একশো বছরের আলোচিত এই উপন্যাসে।
Was this review helpful to you?
or
Oshadharon legechea.. ? Shotty bolte mon chuye gelo
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসে কুমু চরিত্রটাকে আমার বেশ লেগেছে। সময় প্রেক্ষাপটে কুমু পরিবর্তিত হয়েছে। অনেক মানসিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গিয়েও সে বারবার ফিরেছে এসেছে সংসারধর্মে। মাতৃময়ী মা যেমন সন্তানের কল্যাণার্থে তার তার অনেক ইচ্ছাকে ত্যাগ করে। তেমনি কুমুকেও ফিরতে হয়েছে তার সন্তানের কল্যান কামনায় জমিদারি সামলাতে। তবে তার ধীর স্থির চরিত্র সত্তেও তাকে যে কত জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা বোধকরি বলবার মতো নয়। অনুভব করার মতো। সেই অনুভব থেকেই বলছি ; রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি করা নারী চরিত্রের মাঝে কুমু অনন্য।
Was this review helpful to you?
or
কুমুদিনী চাটুজ্যে বংশের মেয়ে । যখন তার জ্ঞান হয়েছে নিজ বংশের দুর্গতিই সে দেখেছে । তাই সে সবসময় নিজেকে সংকুচিত করে রাখে । নিজেকে অপরাধী ভাবার জন্যেই সে তার ভাইদের হ্রদয়ের ভালোবাসা উপুড় করে হৃদয়ে নিংড়ে ভালোবাসা ঢেলে দেয় । ভাই বিপ্রদাসের সাথে কুমুদিনীর স্নেহপ্রীতিমধুর আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক । এ উপন্যাসে কুমুদিনীর পিতা-মাতার করুণ পরিণতি পাঠক হৃদয়কে ব্যথিত করেছে । তাই কুমুদিনী ঠিক করেছে সে তার মায়ের মতো ভুল করবে না । নিজেকে স্বামীর হাতে অর্ঘ্যরূপে তুলে দেবে বলে নিজেকে বিবাহের জন্য প্রস্তুত করেছে । কিন্তু তার স্বামী মধুসূদনের মন যে বড় শক্ত তাতে যে এক মুহূর্তের জন্যও রং লাগে নি । সে যে নিজ বংশের হারানো গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবার জন্যই কুমুদিনীকে বিয়ে করেছে । কুমুদিনীর দুর্বলতা যে তার দাদা বিপ্রদাস সেটা বুঝেই মধুসূদন কুমুদিনীকে মানসিক ভাবে আক্রমণ করে । চরম সহিঞ্চুতায় কুমুদিনী বার বার সে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে । যখন মধুসূদন বুঝতে পারে তার প্রভুত্ব সবার উপর খাটলেও কুমুদনীর উপরে খাটবে না তখন সে প্রভুত্বের আসন থেকে নেমে কুমুদিনীর কাছে মাথা নোয়ায় । এতে কুমুদিনী আরও দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে । যখন মধুসূদন উৎপীড়ক ছিল তখন সহজেই কুমুদিনী প্রত্যাখান করতে পারত কিন্তু এখন কি অজুহাতে তাকে প্রত্যাখান করবে । যখন সে নিজেকে সমর্পণ করতে চেয়েছিল তখন সে অবজ্ঞা পেয়েছে আজ সে যে প্রস্তুত হয়ে আসে নি । আজ তার ডালা শূণ্য । তাকে দেবার কিছুই নেই । কুমুদিনীর মন যখন এমনই ভাবে অশান্ত হয়ে পড়ে তখন সে বার বার একান্ত বিশাসে ভগবানের শরণাপন্ন হয় কিন্তু এই স্নিগ্ধ লাবণ্যময়ী ,ধ্যানবিমুগ্ধ নারীকে বার বার সন্মুখীন হতে হয়েছে মধুসূদনের নীচ ইতর আর প্রভুত্বকামী মনের সামনে । এদিকে মধুসূদনও নিজের নতুন পরিচয়ে অবাক হচ্ছে । যার মায়ের মৃত্যুতে ও তার কাজের ব্যাঘাত ঘটে নি আজ তার কাজের প্রতি অবহেলা দেখে বিস্মিত হতে হচ্ছে । কাজে মনোযোগী হবেই বা কীভাবে সে যে কিছুতেই কুমুদিনীর দেহমনের উপরে নিজেরপ্রভুত্ব খাটাতে পারছে না । গল্পের শেষ স্তরে মধুসূদন যখন বিধবা শ্যামার স্থূল দেহ লালসায় নিমজ্জিত করে ফেলে কেননা এখানে যে তার প্রভুত্ব প্রকাশের কোন বাধা নেই কুমুদিনী যখন তার স্বামীর ঘরে ফিরে না আসার মন বেধে নেয় তখনি কুমুদিনীর অন্তঃসত্ত্বার কারণে তাকে ফিরে আসতে হয় । কিন্তু সে যে গৃহে আসল সে গৃহে তার অবস্থান কি হবে ? ভাবী বংশধরের জননীরূপে নাকি শ্যামার পাশে মধুসূদনের অন্যতম ভোগ্যবস্তু রূপে ।