Our User Product Reviews

রকমারি কে ধন্যবাদ, আস্থার জায়গা আমার?

?

lovely

তোমাকে উপন্যাসটি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি খুব চমৎকার।

?

রকমারি সার্ভিসটা অনেক ভালো অনেক তাড়াতাড়ি হাতে পেয়ে গেলাম ?

lovely

খুব সুন্দর একটি বই।

#বুক_রিভিউ বই-তোমাকে লেখক-হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী- অনন্যা পৃষ্ঠা সংখ্যা-৭২ প্রচ্ছদ মূল্য-১৭৫ টাকা রিভিউ এ- রাফেয়া বসরী রুপা "তোমাকে" জীবনের মিশ্র অনুভূতির এক উপন্যাস । হুমায়ুন আহমেদের "তোমাকে" বইটি রিভিউয়ের আগে বলতে চাই এই বইয়ের প্রচ্ছদ এবং নাম কোনটির মিল নেই বইয়ের গল্পের সাথে। লেখক একটা সময় এসে বইয়ের নাম পাল্টাতে চেয়েছিলেন কিন্তু পাল্টাননি । এর কারণ হিসেবে বলেছেন-"এখন নাম পাল্টালে পাঠক বিভ্রান্ত হতে পারে। এমনিতেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি নানাভাবে পাঠক-পাঠিকাদের বিভ্রান্ত করি । অভিযোগের পাল্লা আর বাড়াতে চাই না ।" (১৫.০৫.১৯৯২) কাহিনী সংক্ষেপ- নীলু এবং বিলু যমজ দুই বোন । ১১ মিনিটের ছোট বড় । নীলু জম্মের সময় খুব কাঁদছিল ,তাই তার নাম কান্না । এবং বিলুর জন্মের সময় ইলেকট্রিসিটি চলে যাওয়ায় চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল, তাই তার নাম রাখা হয় রাত্রী । তাদের বাবা এমন নাম রেখেছিলেন । অবশ্য এমন কাব্যিক নাম টিকলো না । একজন হলো নীলু এবং নামের সাথে মিল রেখে আরেকজন হলো বিলু । তার চার বছর পর তাদের আরেক বোন সেতারার জন্ম হয় । এবার আর মিল রেখে নাম রাখা হলো না । ধারনা, মিল রেখে নাম রাখলে শুধু মেয়েই হতে থাকবে । নীলু-বিলু দেখতে প্রায় একই রকম । যত বড় হচ্ছিল তাদের চিনতে সবাই তত ভুল করতো এমনকি তাদের মা-বাবাও ।নীলুর নাম কান্না রাখা হলেও নামের সাথে তার মিল নেই । সব সময় হাসতো ।কাঁদতে জানতো না । নীলুদের বাড়িতে আকবরের মা কাজ করে। সবাইকে ভুতের গল্প শোনাতে চায় ।নীলুর মাকে শোনাতে চাইলে এক ধমকে চুপ করিয়ে দেন । এইসব আজেবাজে গল্প সহ্য হয়না নীলুর মায়ের । তাদের দোতালার ভাড়াটে নজমুল ইসলামকেও সহ্য করতে পারে না তাদের মা । নিলুর ধারনা মোটা মানুষ সহজে রাগ করতে পারে না যেমন তাদের বাবা । আর রোগা মানুষের রাগ বেশি ,এমনিতেই চিড়বিড় করে । যেমন তাদের মা । নীলুর বাবার একটা প্রেস আছে ।সেখানকার ম্যানেজার প্রণব বসু । শুধু প্রণব বসুর সাথে রাগেন না নীলুর মা । প্রণব বসু চমৎকার গান গাইতে এবং রসিকতা করতে পারতেন । সবাই তাকে পছন্দ করলেও নিলু পছন্দ করতো না । পরিবার ফেলে নীলুর মা প্রণব বসুর সাথে পালিয়ে যান । এরপর ধীরে ধীরে নীলুদের সংসারে নানা পরিবর্তন আসে । নীলু পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।নীলুর বাবা আস্তে আস্তে তার মায়ের স্মৃতি সরিয়ে রাখেন। মেয়েদের মন পরিবর্তনের জন্য গানের শিক্ষক রেখে দেন । রান্নার জন্য রমজান নামের একজনকে রাখেন । নীলুর মা চলে যাওয়ার পর তিন মেয়েকে চিঠি পাঠান। চিঠি হাতে নিলেও কেউ খুলে দেখে না । শুধু বিলু পড়ে । চিঠির এক অংশে লেখা ছিল- "মানুষের মন খুব বিচিত্র জিনিস । একবার কোন কিছুতে মন বসে গেলে তা ফেরানো যায় না । আমি বহু চেষ্টা করেছি । মানুষ হয়ে জন্মানোর মতো কষ্টের কিছু নেই ।" মাকে নিয়ে নানান জায়গায় নানান কথা এবং প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো নীলু বিলুকে । বিলুর ধারনা- মেয়েদের মতো হৃদয়হীন পুরুষরা হতে পারে না ।কারণ ,আজ পর্যন্ত কোন ছেলে তাদের মা প্রসঙ্গে তাদের কিছু জিজ্ঞেস করে নি । এই সব জানার প্রতি শুধু মহিলাদের আগ্রহ লক্ষ্য করেছে । নজমুল ইসলাম নীলুর বাবার পরিবর্তন দেখে (যেমন রাত করে মদ খেয়ে বাড়ি ফেরা) তাই একটা বিয়ের প্রস্তাব আনেন এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার সাথে । সেতারা বাদে নীলু বিলুর পছন্দ হয়েছিল মহিলাটিকে কিন্তু তাদের বাবা বিয়ে করতে নারাজ । নীলু ভাবে সব সংসারে মা জাতীয় কাউকে দরকার। নীলুর অনেক পরিবর্তন ঘটে । বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা বাড়ে । একা এক রুমে থাকতে চায় । রকিব নামের এক অংকের লেকচারালের সাথে পরিচয় হয় । শেষ অব্দি বোঝা যায় রকিব সাহেব এবং নীলু দুজন দুজনার প্রতি এক সূক্ষ্ম অনুভূতি কাজ করে । চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ থাকে দুজনার। বিলু ভালো রেজাল্ট করে ঢাকার এক কলেজে ভর্তি হয় । নীলু বাড়ির পাশের কলেজে পড়াশোনা করে । চিঠিতে দুইবোনের অনেক কথা হয় । বোনদের মধ্যে যে দূরুত্ব ছিলো সত্যিকারের দূরে যাবার পরে তারা আবার কাছাকাছি হয়ে যায় চিঠির মাধ্যমে। সেতারার গানের নাম ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। নীলু আস্তে আস্তে খুব সাংসারিক হয়ে যায় । তার মধ্যে মা মা একটা ভাব চলে আসে ।এদিকে বিলু বাবার অসুস্থতার কথা শুনে বাড়ি আসে । একদিন তিন বোন মিলে নদীর ধারে বেড়াতে যায় ।সেখানে তাদের মায়ের সব স্মৃতি মনে পরে । বাড়ি ফেরার পথে তাদের গেটের কাছে একজন জানতে চায় তাদের বাবা কেমন আছেন ।নীলু বলে "আমি জানি বাবা মারা যাবেন খুব শিগগিরই । মৃত্যু টের পাওয়া যায় । তার পদশব্দ ক্ষীণ কিন্তু অতন্ত্য তীক্ষ্ণ । বাবা মারা যাওয়ার পরপরই আমরা একা হয়ে যাব। কেউ কি তখন এগিয়ে আসবে আমাদের কাছে?একমুখ দাড়িগোঁফ নিয়ে রকিব ভাই হাসিমুখে বলবেন_____কে বিলু আর কে নীলু?গাড় ভালোবাসার সুবিশাল বাহু প্রসারিত করবে আমার দিকে ।হয়তো করবেন,হয়তো করবেন না। এখানে কিছুই নিশ্চিত করে বলা যায় না।" এরপর ঘরে ঢুকতেই দেখে তাদের মা লাল রঙের সোফাতে বসে আছেন।তাদের বাবাকে দেখতে এসেছেন । নীলুর বাবা এখনো নীলুর মাকে ভুলতে পারেননি ,অচেতন অবস্থাতেও রেণু বলে ডাকেন । বিলু তার মাকে বাবার ঘরে রেখে নিজের ঘরে চলে আসে ।এবং দেখে নীলুর বিছানার উপর নীল রঙের একটা খাম পরে আছে । মনে মনে ভাবে নিশ্চয়ই রকিব ভাইয়ের চিঠি । চিঠিটা স্পর্শ করতেই নিচ থেকে তীব্র এবং তীক্ষ্ণ কান্নার শব্দ ভেসে এলো । তার মা কাঁদছেন। ২৯/০৯/২০২৩ শুক্রবার

অসাধারণ একটি বই?? বইটি আমার খুবই ভালো লাগলো

সুন্দর উপন্যাস

অসম্ভব সুন্দর একটি বই!

সত্যিই সত্যিই অসাধারণ তার লেখা! হুমায়ুন আহমেদ স্যার❤️

Awesome

বইটা এতই অসাধারণ যে বইটি পড়ার সময় বারবার মনে হয়েছে “আহা! এই বইয়ের লেখক কেমন করে আমাদের ছেড়ে চলে যেতে পারেন!”

this was such a nice book

Nice Book

ভালো লাগলো

শুধু বলবো-- ভালো

খুব সুন্দর উপন্যাস?

Alhamdulillah.

মনের মত একটি বই

wow

সাধারণ মোড়কে অসাধারণ এক গল্প। এরই নাম হুমায়ুন আহমেদ।

খুব ছোট একটি উপন্যাস নীলু বিলু সেতারা এবং তার পরিবারকে নিয়ে। খুব আহামরী কোন উপন্যাস না কিন্তু লেখকের জাদুবলে বইটি এক নি:শ্বাসে পড়ে শেষ করলাম। এই উপন্যাসটি আমাকে বার বার লেখকের আজ রবিবার নাটকের দুই বোনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।

great

ভালো লেগেছে

?

Ami to Faici oi na

Nice

The story was nice and simple.

এক কথায় অসাধারণ বই।

খুব ভালো একটি বই।

good

হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে বলার কিছু নাই,তার লেখা অসাধারণ

Good enough

nc

goood

Good book.

Just woww

such a great app for booklovers?loved it?

অনেক সুন্দর একটি বই,অনেক ভালো লেগেছে বইটি পড়ে।

??

Very nice book.

not bad

This is Nice book

ধন্যবাদ রকমারি কে একটি বই এর সাথে আরেকটি বই ফ্রি দেওয়ার জন্য।। তোমাকে এইটা ও অনেক ভালো লাগলো আর চার পয়সার পুঁটি মাছের বাস্তবতা এটাও বেশ ভালো লাগলো

ভালো হবে।

গতকাল ব‌ইটা হাতে পেলাম।। অসাধারণ ব‌ই।

হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে কিছু বলার থাকেনা। প্রতিটা বই প্রিয় হয়ে উঠে, তেমন এ বইটা ও ।

nice book

such a nice book

প্রতিটি বই পড়ে আমার খুব ভাল লেগেছে।

বইটা?

বইটি অসাধারণ। প্রেমের গল্প, পড়ে ভালো লাগলো অনেক। "তোমাকে' বইটি হুমায়ূন আহমেদের লেখা একটি ছোট উপন্যাস। মূলত তিন বোনের জীবন নিয়েই কাহিনী, সাথে আরও গল্প জড়িত। তবে খুব ভালো লাগলো পড়ে।

আমি বসে আছি চুপচাপ। আমার পাশেই ভালবাসার নীল চিঠি বই সত্যি অসাধারনন

I have enjoy it

Good

অনেক অনেক ধন্যবাদ রকমারি কে ।বই টি অনেক সুন্দর।

বেশি কিছু বলার নাই। শুধু এটাই বলতে পারি বইটা এক মুহূর্তের জন্য আমাকে কাদিয়েছে

বইটি পড়তে ভালো লাগবে। যারা তিন বোন, তাদের কেউ কেউ হয়তো নিজের জীবনের সাথে মিলিয়েও ফেলতে পারবেন। পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।

Sons of silence all around. I'm sitting quietly. Next to me is a blue letter from Verbasa. I raised my hand and touched the letter. Just then an intense and sharp cry from the bottom erupted. A wonderful family story is presented very beautifully. Although the beginning is very good, the last one is incomplete! It seems that the story has been finished with a lot more left to do

?

আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় বই ছিলো "তোমাকে"। এই মানুষটার যে কী চমৎকার ক্ষমতা! গল্পগুলো মনে এমনভাবে গেঁথে দেন যে তা কাল্পনিক হওয়ার কথা মন ভুলে যায়। খুব সহজ স্বাভাবিক রূপে শুরু হয় এই পরিবারটির বর্ণনা। তারপরই জানা যায় নীলু, বিলু এবং সেতারা- এই তিন বোনের জীবনে কীভাবে জটিলতা ঘর বাঁধে! কীভাবে ভালোবাসার রূপ একেক সম্পর্কে একেক রকম এবং কখনো কখনো অগাধ ভালোবাসা থাকলেও সবাই একসাথে থাকতে পারেনা, কীভাবে জীবনে নতুন মোড় আসায় তার প্রতিক্রিয়া একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়- এমন বেশকিছু ব্যাপারে আমাকে গভীরভাবে ভাবিয়েছিলো এই উপন্যাসটি।

আমার অনেক পছন্দের একটা বই। অসাধারন গল্প।

#রকমারি_বইপোকা_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই : তোমাকে লেখক : হুমায়ুন আহমেদ একটি সুন্দর গোছানো পরিবারকে নিয়ে "তোমাকে" নামক উপন্যাসের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। যেখানে পরিবারের বড় মেয়ে নীলু আর বিলু। তারা দুজন জমজ বোন। নীলু বিলুর চেয়ে ১১ মিনিটের বড়। বিলুর জন্মের সময় চারদিক অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল বলে তার বাবা নাম রাখেন রাত্রি। নীলু জন্মের পর খুব কাঁদছিল, তাই তার নাম কান্না। তাদের আরও এক ছোট্ট বোন রয়েছে। তার নাম সেতারা। তাদের বাবা বড় ব্যবসায়ী। ছোট মেয়ে সেতারার জন্মের কিছু বছর পরেই তাদের মা নিজের স্বার্থ চরির্থার্থ করার জন্যে অন্যের সাথে চলে যায়। বড় মেয়ে নীলু, বিলু বুঝতে পারে, এরপর তাদের মা আর কখনো তাদের কাছে ফিরে আসবে না। কিন্তু আদরের ওই নিষ্পাপ ছোট্ট সেতারা তো আর বুঝে না, তাই সে মায়ের অপেক্ষায় থাকে। সুন্দর ১টি গোছানো পরিবার নিমিষেই এলোমেলো হয়ে যায়। ছোট্ট মেয়েগুলোকে সব জায়গায় এবং কী স্কুল, বন্ধুবান্ধব, তাদের আত্নীয়স্বজন সব জায়গা থেকেই বাজে মন্তব্য শুনতে হয়, যার ফলে এই প্রাণচঞ্চল ছোট্ট মেয়েগুলো অনেকটা শান্ত হয়ে সব জায়গা থেকে নিজেদেরকে আলাদা করে রাখে। অন্যদিকে এই ছোট্ট মেয়েগুলোর বাবা আরও বেশি একাকীত্ব অনুভব করে, আর নিজের কষ্টগুলো কাউকে দেখাতেও পারে না, তার জীবন যেন ধংস্বস্তুপে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত সমাজের অনিয়ম, অপমান তাকে তার জীবনের প্রতি অনীহা তৈরি করে। পরিশেষে মেয়েগুলোর বাবা মৃত্যুর দিকে চলে যায়। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসেও মেয়েগুলোর বাবা তাদের মায়ের নাম আওড়াতে থাকে। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! যেদিন মেয়েগুলোর মা তাদের বাবার সাথে দেখা করতে আসে, তখন তাদের বাবাও আর তাদের মা'কে চিনতে পারে না! ▪️ উপন্যাস থেকে ভালোলাগা কিছু উক্তি: ▪️ মানুষ যখন হাসে তখন তার সঙ্গে সমস্ত পৃথিবী হাসে। কিন্তু সে যখন কাঁদে, তার সঙ্গে আর কেউ কাঁদে না। কাঁদতে হয় একা একা। ▪️ মৃত্যু টের পাওয়া যায়। তার পদশব্দ ক্ষীণ কিন্তু অত্যন্ত তীক্ষ্ণ। রিভিউ: জান্নাতুল জুঁই

It's nice gift for special one

এই বইটির মধ্যে কেমন যেন একটা মন খারাপ করা ভাব আছে। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি পৃষ্ঠাই সেই মন খারাপ ভাবকে সযত্নে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে, অন্তত আমার কাছে তাই মনে হল। এই উপন্যাসে মাঝে মধ্যে আনন্দদায়ক কিছু ঘটনা ঘটেছে, তবে সেই আনন্দময় ঘটনাগুলোও যেন আটকে ছিল বিষন্নতার প্রাচীরে। বিলুর জবানীতে কাহিনী বর্ণিত হলেও প্রাধান্য বেশি পেয়েছে নীলু চরিত্রটি....... মা ছাড়া মেয়ে কেমন বুঝা যায়........ কিন্তু রকমারি এটা রোমান্টিক কেটাগরিতে না দিলেও পারত........

বইটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে এবং এমজিএক্স কুরিয়ার এর মাধ্যমে আমি অতি দ্রুত বইটি হাতে পেয়েছি।

#বুক রিভিউ নাম: তোমাকে লেখক: হুমায়ূন আহমেদ উত্তর দীঘি নামক বাড়িতে মধ্যবিত্ত একটি পরিবারকে ঘিরে এই সামাজিক উপন্যাস। স্বামী-স্ত্রী আর তিন কন্যা নিলু বীলু আর সেতারা, আর রয়েছে ভাড়াটিয়া একাকী নজমুল চাচা। নীলু ও বিলু দুজনে জমজ আর সেতারা তাদের ছোট, দুজনে জমজ ফলে তাদের চেহারা একই কিন্তু চেহারা একই রকম হলেও দুজনের স্বভার-চরিত্র ছিল আলাদা। সুখী তাদের মা হটাৎ করেই অন্য পুরুষের হাত ধরে নতুন সংসারে চলে যান, তিন মেয়েকে ফেলে রেখে। নীলু পড়াশোনায় খুব বেশি ভালো না, সে একটু চঞ্চল প্রকৃতির আর বিল শান্তশিষ্ট চাপা স্বভাবের অনেক মেধাবী। তবে সবার থেকে ছোট সেতারা সেই একটু বেশি শান্ত আর গম্ভীর স্বভাবের এবং যথেষ্ঠ বেশিই মেধাবী জমজ দুই বোনের চেয়ে। সংগীত এর মাধ্যমে অল্প সময়েই সেই বেশি পরিচিতি লাভ করে। তিন বোন আর বাবার সংগ্রামী জীবন এভাবেই এগোতে থাকে উপন্যাস, স্ত্রী চলে যাওয়ায় ধীরে ধীরে উচ্ছন্নে যান মদ শুরু করেন। কলেজ জীবনে এসে বিলুকে আলাদা হতে হয় পরিবার থেকে, পড়াশোনার জন্য ঢাকায় ভর্তি হয় সে, আর ভাল ফলাফল না থাকার কারণে নিলু গ্রামেই থেকে যায়। রকিব নামের একজন পুরুষ আসে উপন্যাসে, তাকে ঘিরেও রয়েছে কিছু চিঠিসহ ও অন্যান্য বেশ কিছু ঘটনা। যদিও এটিকে রোমান্টিক উপন্যাস বলা হলেও, আমার কাছে মনে হয়েছে এটাকে রোমান্টিক উপন্যাস না বলে সামাজিক উপন্যাস বলাই শ্রেয় হবে। আর ”তোমাকে” নামক এই বইয়ের ভিতরের লেখা নামের সাথে কোনও ভাবে যায় না, লেখক নিজেও অবশ্য বলেছেন ইনার পেজে। ©Al Amin Sarker

হুমায়ূন আহমেদের অসম্ভব ভালো একটা লেখা এই বইটি। খুব সহজেই বইয়ের গভীরে প্রবেশ করতে পারবেন।

***বই রিভিউ*** ***বইয়ের নাম---তোমাকে** ***লেখক---হুমায়ুন আহমেদ** চারদিকে সুনসান নীরবতা। আমি বসে আছি চুপচাপ। আমার পাশেই ভালোবাসার একটি নীল চিঠি। আমি হাত বাড়িয়ে চিঠিটি স্পর্শ করলাম।ঠিক তখনই নিচ থেকে একটি তীব্র ও তীক্ষ্ণ কান্নার শব্দ ভেসে এলো.... ''তোমাকে''হুমায়ূন আহমেদ রচিত নিছক কোন প্রেমের উপন্যাস নয়; বরং মাতৃস্নেহ বঞ্চিত তিনটি নিঃসঙ্গ বোনের এক বিচিত্র জীবনালেখ্য !!! উপন্যাসটির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে নীলু-বিলু ;১২ বছর বয়সী দুই জমজ কিশোরী। আর আছে তাদের ছোট বোন সেতারা, বয়সের তুলনায় যে কিনা একটু বেশিই গম্ভীর। বাড়ির নাম "উত্তর দীঘি"। মা-বাবার আদরে ,দোতলার নজমুল চাচার অকৃত্রিম ভালোবাসায় , ম্যানেজার কাকুর চমৎকার গানের আসরে,আকবরের মায়ের ভূতুড়ে গল্পে চমৎকার কাটছিল তিন বোনের জীবন। কিন্তু একদিন হটাৎ করেই হলো ছন্দপতন। ক্রমেই বদলে যায় উত্তর দীঘি বাড়ির পরিবেশ... পাল্টে যায় বাড়ির সুখী মানুষগুলো...তাদের সহজ-স্বাভাবিক জীবনচিত্র। ধীরে ধীরে বড় হয় নীলু,, বড় হয় বিলু।বয়ঃসন্ধিতে এসে তারা আবিষ্কার করে..পৃথিবীতে তারা কতোটা একা!! তিন বোনের কেউ মুখ লুকিয়ে চোখের জল ফেলে...কেউবা কষ্ট গুলোকে পুষে রাখে অদ্ভুত নীরবতায়। আর সেতারা?সে চুপ চুপ চারপাশটা দেখে..হয়তো প্রতি মুহূর্তে আশা করে এই বুঝি সব আগের মতো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই আর আগের মতো হয় না.. বাড়ীর পরিস্থিতি দিন দিন আরো খারাপ হয়।তাদের বাবা রাতে মদ খেয়ে বাড়ী ফেরে,বিলু কেমন উশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। আচ্ছা,কেনো এমন হয়?কেনো বিপুল এই পৃথিবীতে সবার মাঝে থেকেও তিনটি ফুটফুটে বোন নিজেদের একলা মনে করে? কেউ কি আসবে..রাখবে তাদের মাথায় ভালোবাসা মাখা হাত...কেউ কি পরম মমতায় আপন করে নেবে তাদের? ***ব্যাক্তিগত মতামত*** অপূর্ব একটি উপন্যাস।যতবার পড়েছি,,,নীলু বিলু সেতারার কষ্টগুলো চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠেছে প্রতিবারই। বইটিতে প্রেম আছে,,,তবুও নেই!! ব্যাক্তিগত রেটিং--পাঁচ পয়েন্ট

bhbhkl

etoo valo lage nai

হুমায়ূন অাহমেদ স্যারের লেখা বইগুলোর মধ্যে অনন্য অসাধারণ একটি বই! ? শেষের সমাপ্তটা কষ্ট দিয়েছে খুব! ?

তোমাকে গল্পটা পছন্দ হলো না। ভারতের নাটকের মত হয়ে গেছে

হুমায়ুন আহমেদের প্রতিটি বই অনন্য এবং অনবদ্য, এই বইটিও ঠিক তেমনি তুলনাহীন।তিন বোনের ভালোবাসা আর তাদের জীবনের বিভিন্ন টানাপোড়েন নিয়ে এই উপন্যাস, এক কথায় ভালো লেগেছে।

তোমাকে উপন্যাসটা আমি 26 পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়ি তারপর একজনকে গিফট দিয়েছি কিন্তু আমার 26 পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়ে এতো ভালো লাগছে যে আমি আবার rokomari.com থেকে আমার জন্য একটা অর্ডার করবো

জময বোন হলে অনেকে খুশীতে আত্মহারা হয়ে উঠে আবার অনেকে দুঃখে জর্জরিত হয়ে উঠেন! অনেক সময় মা খুশি বাবা দুঃখিত আবার অনেক সময় ঠিক তার উল্টোটা! আসলে এতে তো কার‌ও হাত নেই। সব‌ই খোদার লীলা খেলা! লেখকরা সংসার গড়তে যেমন উস্তাদ ঠিক তেমনি সংসার ভাংতেও দু একবার ভাবেন না! এই গল্পে হুমায়ুন আহমেদ সংসার ভাঙলেন। তবে পাঠকের উৎসাহ হচ্ছে, ভাঙা সংসার লেখক কিভাবে জোড়া দেন! নীলু আর বিলু দুই জময বোন। একজনকে আলাদা করা খুবই কষ্টকর! কেউই নিশ্চিত ভাবে নাম ধরে ডাকতে পারে না! অনেক সময় নীলুকে ডাকে বিলু আর বিলুকে নীলু! তাদের বাবা এই "উত্তর দিঘি" নামক বাড়ি এবং একটি প্রেসের মালিক। কিছুদিন পরে আরেক বোন হলো তাদের। নাম 'সেতারা' বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকে তাদের প্রিয় নজমুল চাচা! কিছুদিন পর এক কাক ডাকা ভোরে একটি চিঠি পেলেন আর মা'কে হারাল তিন বোন! মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল বাবার! মদ খেয়ে অনেক রাতে বাসায় ফিরে বাবা। আর তাদের স্কুলেও এই মায়ের ঘৃনিত বিষয় নিয়ে সবাই কথা বলে। একদিন মিস ডেকে নিয়ে বিলুকে যা বলল তা শুনার জন্য প্রস্তুত নয় কোনো পাঠক! চলতে লাগলো তাদের খেই হারানো সংসার। ছোট্ট বোন সেতারা গান ধরেছে, চাহিতে যেমন আগের দিনে তেমনি মদির চোখে আসিও যদি গো সেদিন চোখে আসে জল লুকাতে সে জল করিও না ছল....!গান শুনে কেঁদে উঠে পুরো বাড়ি। কি হলো তারপর? তাদের তিন বোনের নিষ্পাপ চাহনির জন্য কি ফেরত আসল জননী মা? নাকি নতুন সংসারের মায়া জালে আবদ্ধ? নজমুল চাচা কি এই সুযোগে কোনো সর্বনাশ করল? নাকি মায়ের কষ্ট বুঝতে দিল না তিন বোনকে? চলুন! ব‌ইয়ের পাতায় খুঁজি সকল প্রশ্নের উত্তর। ব‌ইটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। কোনো একঘেয়েমি আসে নি। পাঠকের মনের মতো করেই গল্পটি সাজিয়েছেন লেখক। তবে মাঝে মধ্যে অজানা যুবক রাকিব এসে কিছুটা চিন্তিত করবে পাঠককে! আমন্ত্রণ করছি হুমায়ুন আহমেদ এর 'তোমাকে' পড়ার জন্য। অবশ্যই ভালো লাগবে দুই জময বোনের অসাধারণ গল্প।

রোমান্টিক উপন্যাস বললে সম্ভবত ভুল হবে।?

বইটা আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে দেখে অডার্ কোরলাম..সত্যি অসাধারণ একটা বই..আমার খুব বেশি ভালোলেগেছে...

চমৎকার একটা প্রেমের উপন্যাস

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা চারদিকে সুনসান নীরবতা। আমি বসে আছি চুপচাপ। আমার পাশেই ভারবাসার একটি নীল চিঠি। আমি হাত বাড়িয়ে চিঠিটি স্পর্শ করলাম। ঠিক তখনি নিচ থেকে একটি তীব্র ও তীক্ষ্ম কান্নার শব্দ ভেসে এল। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের চরিত্রগুলো আমাদের এত প্রিয় হবার কারণ বোধ হয় চরিত্রগুলো আমাদের খুব পরিচিত। গল্পের কাহিনিটাও আমাদের জীবন থেকেই নেওয়া। চরিত্রগুলো আমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে, গেঁথে যায় আমাদের অন্তঃস্থলে। হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর আরেকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পুরো বইটাকে লেখা দিয়ে কেমন একটা মায়ার চাদরে জড়িয়ে রাখেন, কেমন একটা মায়ময় ওম ওম ভাব! একই ধরণের বই অনেক লিখেছেন লেখক। আমি পড়েছি কয়েকটি। কিন্তু তবুও ভালো না বেসে পারা যায়না। এখানেই লেখকের মৌলিকতা, বিশেষত্ব। আমি আজ যে বইটির কথা লিখছি সেটি একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়ের আত্মকাহিনী। মেয়েটির নাম বিলু। তার আরও দুজন বোন আছে। নিলু আর সেতারা।তবে নিলু আর বিলু জমজ। বিলুর যখন বারো বছর বয়স তখন তার মা বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বিলুর মা তাদের ছেড়ে ম্যানেজারের সাথে চলে যায়। তখন সেতারার বয়স সাত বছর। তারপর তারা মা ছাড়াই বেড়ে উঠতে থাকে। সংসারে অনেক পরিবর্তন আসে। বিলুর বাবা রাতে মাতাল হয়ে বাড়িতে ফেরে। আর নিলু পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে উঠে। নিলু পাড়ি জমানো শুরু করে প্রেমের উত্তাল সাগরে।কিছুই থেমে থাকে না। জীবন এগিয়ে যায় তার নিজের গতিতে। অনেক কিছু পেরিয়ে গল্প শেষ দিকে এক নাটকীয় মোড় নেয়। গল্প শেষে পাঠক নীরবে গল্পের সাথে নিজের জীবনের দুঃখগুলোর মিল খুঁজে বেড়ায়। এই অদ্ভত সুন্দর উপন্যাসটির নাম ‘তোমাকে’।

'উত্তর দিঘি' এই বাড়িতে একটি মধ্যবিত্ত সুখি পরিবারের বসবাস। এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হইলো না কারণ পরিবারের গিন্নি অন্য পুরুষের হাত ধরে নতুন সংসার করলো। পুরো বইটিতেই বিলুর উপস্থাপনা প্রকাশ পায়। নীলু,বিলু ও সেতারা তিন বোন বাবার কাছেই বড় হয়ে উঠে। বাবা আর বিয়েই করেন নাই। নজমুল চাচা বিলুদের বাসায় ১৫ বছর ধরে ভাড়ায় থাকে, সে তাদেরকে নিজের মেয়ের মতোই আদর যত্ন করে। ম্যাথের লেকচারার রকিব হাসানের সাথে নীলুর সখ্যতা গড়ে উঠে কিন্তু নীলু আর বিলু জমজ হওয়ায় তিনি প্রতিবারই ভ্যাবাচেকায় পরেছেন। মা ছাড়া একটি পরিবার যে কতোটা অসহায়। মূলত এই দিকটাই ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক এই বইয়ে। "চারদিক সুনশান নীরবতা। আমি বসে আছি চুপচাপ। আমার পাশেই ভালোবাসার এক্টি নীল চিঠি। আমি হাত বাড়িয়ে চিঠিটি স্পর্শ করলাম। ঠিক তখনি নিচ থেকে একটি তীব্র ও তীক্ষ্ণ কান্নার শব্দ ভেসে এল।" বি.দ্র.: কাহিনির সাথে বইয়ের নামের কোনো মিল নাই।

আমি আজ যে বইটির কথা লিখছি সেটি একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়ের আত্মকাহিনী। মেয়েটির নাম বিলু। তার আরও দুজন বোন আছে। নিলু আর সেতারা।তবে নিলু আর বিলু জমজ। বিলুর যখন বারো বছর বয়স তখন তার মা বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বিলুর মা তাদের ছেড়ে ম্যানেজারের সাথে চলে যায়। তখন সেতারার বয়স সাত বছর। তারপর তারা মা ছাড়াই বেড়ে উঠতে থাকে। সংসারে অনেক পরিবর্তন আসে। বিলুর বাবা রাতে মাতাল হয়ে বাড়িতে ফেরে। আর নিলু পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে উঠে। নিলু পাড়ি জমানো শুরু করে প্রেমের উত্তাল সাগরে।কিছুই থেমে থাকে না। জীবন এগিয়ে যায় তার নিজের গতিতে। অনেক কিছু পেরিয়ে গল্প শেষ দিকে এক নাটকীয় মোড় নেয়। গল্প শেষে পাঠক নীরবে গল্পের সাথে নিজের জীবনের দুঃখগুলোর মিল খুঁজে বেড়ায়। এই অদ্ভত সুন্দর উপন্যাসটির নাম ‘তোমাকে’।

রিভিউ বই: তোমাকে লেখক: হুমায়ূন আহমেদ গল্পটি যমজ দুুই বোন নীলু আর বিলুর,গল্পটি তাদের ছোটো বোন সেতারার,গল্পটি তাদের বাবার, গল্পটি তাদের ভাড়াটিয়া এক নিঃসঙ্গ চাচার,গল্পটি একটি পরিবারের ! সুখি একটি পরিবার! যমজ দুইবোন দেখতে একদমই একই রকম, মাঝে মাঝে তো ওদের বাবা মাও ওদের আলাদা করতে পারেনা। ছোটোবোন সেতারা অবশ্য ওদের মতো হয়নি। নীলু আর বিলু দেখতে একই রকম হলে কি হবে,স্বভাব চরিত্র দুজনের একদমই আলাদা। নীলু খুবই ফাঁকিবাজ আর চঞ্চল কিন্তু বিলু খুবই শান্ত এবং পড়াশোনায় মনোযোগী। পরিবারের কেও না হয়েও ভাড়াটিয়া নাজমুল চাচা ছিলেন ওদের পরিবারেরই একজন।এছাড়াও আর একজন ছিলেন, তিনি হলেন ম্যানেজার কাকু ।বাবা মা আর তিনবোন মিলে অনেক সুখেই ছিলো তারা কিন্তু হঠাৎ করেই বিষাদ নেমে এলো তাদের সংসারে। সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেলো! এতো কিছুর মাঝেও সময় বয়ে যেতে লাগলো, বড় হতে থাকলো নীলু,বিলু আর সেতারা। নতুন নতুন পরিস্থিতি আসতে থাকলো তাদের জীবনে। হঠাৎ করেই একটি সুখি পরিবার কেনো এমন হয়ে গেলো! ব্যাক্তিগত মতামত : হুমায়ূন আহমেদের ছোটো এই বইটি আমার অসম্ভব প্রিয় । সময় পেলেই আমি এই বইটি পড়ি। বইটির প্রতিটা চরিত্রকে লেখক গুরুত্ব দিয়েছেন, প্রতিটি চরিত্রেরই একটি নিজস্ব গল্প আছে! লেখকের লেখা " নন্দিত নরকে " বইটির মতো মনে হয়েছে আমার এই বইটি। যতোবারই পড়েছি মন খারাপ হয়ে গেছে। আপনারাও পড়ে দেখতে পারেন,আশা করছি ভালো লাগবে।

হুমায়ূন আহমেদের আর দশটি সাধারণ উপন্যাসের মতোই 'তোমাকে' নামের ছোট্ট উপন্যাসটি। তবে কাহিনির বিন্যাস একটু আলাদা। তিনবোনের জীবন এবং তাদের ঘিরে একদল মানুষকে নিয়েই এক উপন্যাস। এই তিনবোনের নাম যথাক্রমে - নীলু, বিলু এবং সেতারা। সেতারা অন্যদু'জনের চে' ভিন্ন স্বভাবের। এমনকি নীলু আর বিলু তো জমজ। তবে দুইজন আবার চরিত্রে একেবারে বিপরীত। নীলুদের নিজস্ব বাড়ি। ভাড়াও দেয়। সেখানের ভাড়াটিয়াদের নিয়েও কিছু কাহিনি আছে। মোটকথা মোটামুটি মানের লেখা।

নীলু, বিলু আর সেতারা - তিন বোন; এর মধ্যে নীলু ও বিলু যমজ। যমজ বোন হওয়ার সুবাদে দুইজন দেখতে অবিকল একই রকম। চেহারার এই মিলের কারণে বাইরের মানুষজন তাদের দেখে প্রায়ই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু চেহারার মিল থাকলেও দুই জনের স্বভাব চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। নীলু পড়ালেখায় অমনযোগী উচ্ছ্বল প্রকৃতির মেয়ে। আর বিলু শান্ত, চাপা স্বভাবের প্রচন্ড মেধাবী ছাত্রী। তবে সবচেয়ে বেশি শান্ত সেতারা, বয়সের তুলনায় যেন একটু বেশিই গম্ভীর। শুধু সঙ্গীতের প্রতি আছে তার সীমাহীন আগ্রহ। নীলুদের দোতলার ভাড়াটিয়া নজমুল ইসলাম। বিপত্নীক এই ভদ্রলোকের একটি মাত্র মেয়ে, সেও থাকে দেশের বাইরে। নজমুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নীলুদের বাড়িতে থাকায় তিনিও এখন প্রায় এ পরিবারেরই সদস্য। তবে নীলুর মা রেনু এই লোকটিকে সহ্যই করতে পারেন না, তার দৃষ্টিতে নজমুল ইসলাম আপাদমস্তক একটি ভাঁড়। নীলু অবশ্য নজমুল চাচার ভাঁড়ামিতে বেশ মজা পায়, আর তার অপ্রিয় মানুষের তালিকায় ম্যানেজার কাকুর (প্রণব বসু) নাম সবচেয়ে উপরে। কোন এক অজানা কারনে এই লোকটাকে দুচোখে দেখতে পারেনা নীলু; সেই অজানা কারনের রহস্য অবশ্য উন্মোচিত হয়, যখন নীলু-বিলু বারো আর সেতারা সাত বছরে পা দিয়েছে। ময়মনসিংয়ের একটি প্রকান্ড বাড়িতে একসাথে থেকেও আলাদা আলাদাভাবে বেড়ে উঠতে থাকে তিনটি মেয়ে, তিন বোন। এর মধ্যে পদার্পণ ঘটে গম্ভীর চেহারার এক ভদ্রলোকের, যে কখনই নীলু আর বিলুকে আলাদা করতে পারেনা। তাকে ঘিরে রচিত হয় নীলু-বিলুর জীবনের নতুন গল্প। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এই বইটির মধ্যে কেমন যেন একটা মন খারাপ করা ভাব আছে। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি পৃষ্ঠাই সেই মন খারাপ ভাবকে সযত্নে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে, অন্তত আমার কাছে তাই মনে হল। এই উপন্যাসে মাঝে মধ্যে আনন্দদায়ক কিছু ঘটনা ঘটেছে, তবে সেই আনন্দময় ঘটনাগুলোও যেন আটকে ছিল বিষন্নতার প্রাচীরে। বিলুর জবানীতে কাহিনী বর্ণিত হলেও প্রাধান্য বেশি পেয়েছে নীলু চরিত্রটি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি সেতারার জন্য; এই ছোট্ট মেয়েটিকে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি নিঃসঙ্গ মনে হয়েছে।