User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেক মজার
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
লেখকের জীবন এবং গড়ে ওঠা সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যপাঠ্য বই।
Was this review helpful to you?
or
onek valo boi
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ বলপয়েন্ট লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ধরণঃ আত্মজীবনী মূল্যঃ ১৯১ টাকা ................................. হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক বই “বলপয়েন্ট” আর দশটা আত্মজীবনীর মত নয়। এখানে লেখক গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কিছুটা হাস্যরসের মাধ্যমে তার জীবনের মজার ঘটনাগুলোই তুলে ধরেছেন।কখনো বর্ষার স্মৃতি আবার কখনো জোছনা ভরা রাতের স্মৃতি। লেখকের জীবনের বিভিন্ন স্বরণীয় ঘটনাগুলোকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
বলপয়েন্ট লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ মূল্যঃ ১৯১৳ প্রকাশকালঃ ২০০৯ প্রকাশনী ঃ অন্যপ্রকাশ ধরণঃ আত্মজীবনী /স্মৃতিচারণ আত্মজীবনী কিংবা স্মৃতিচারণের সারাংশ করা আসলে যায় না। যেটা করা যায় সেটা হল টুকরো টুকরো অংশ বলা আর নিজের কিছু অনুভূতি। হুমায়ূন আহমেদ কে পরিচয় করিয়ে দেবার মত কিছু নাই। তার আত্মজীবনীমূলক বই বেশ কয়েকটা আছে। বলপয়েন্ট তার মধ্যে একটা। এখানে আছে তার প্রথম গল্প লেখার গল্প। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা মুখস্ত করা আর আবৃতি করা নিয়ে মজার গল্প শেয়ার করেছেন। অনেক মনীষীদের জীবনের বলা কথা, কত সুন্দর অনুভূতির প্রকাশ। ত্রিশ বছর পর বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। সেই গোরস্তানে তার বাবা কে দাফন করা হয়, যেই গোরস্তানে ঊনিশ বছর বয়সে অজানা কারনে গিয়ে বসে থেকেছেন। অদ্ভুত কোন টানে। গোরস্তানের পাশ দিয়ে গাড়ি যাবার সময় হঠাৎ হুমায়ূন আহমদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। হঠাৎ বলে ওঠেন তার মনে হচ্ছে খুব কাছেই তার বাবার কবর। সত্যি সত্যি সেটায় ছিল। কি অদ্ভুত!!! এটার আসলে কি ব্যাখ্যা আদৌ আছে ? “শঙ্খনীল কারাগার” লেখকের প্রথম লেখা, সেই লেখা পড়েছিলেন তার বাবা। কেমিস্ট্রি বই পড়তে গিয়েই এই বই লেখা, যদিও কেমিস্ট্রির সাথে দূর দূর কোন সম্পর্ক নাই। আহমেদ ছফা বেশ কিছুদিন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সাথে ছিলেন , তাদের বাবর রোড এর বাসায়। শেয়ার করেছেন প্রথম প্রকাশিত বই “নন্দিত নরকে” প্রকাশের গল্প। তিনটাকা দাম ছিল। আমি ভাবছি, এখন এরকম তিন-চার-পাঁচ টাকা হলে কত ভাল হত। কাইয়ুম চৌধুরী কে দিয়ে বই এর কভার করাতে গিয়ে, বই এর প্রকাশক ভয়াল দর্শন কুকুরের কামড় খেয়েছিলেন। বইটা পড়ি, আর মন খারাপ হয়ে যায় । একটা জলজ্যান্ত মানুষ কিভাবে স্মৃতি হয়ে যায়। কিছু সুন্দর কথা আছে বইটাতে, যেমন “ ক্রিয়েটিভিটি শেখানোর কলাকৌশল এখন ও মানুষের আয়ত্তে আসেনি” । যথার্থ কথা। বরাবরের মতই, আছে তার জোসনাপ্রীতি , বর্ষাপ্রীতির গল্প।। হুমায়ূন আহমেদের ছায়াসঙ্গী নামে একটা গল্প আছে, একটা ছেলে মারা গিয়ে আবার ফিরে আসে। এই গল্পটা বোধহয় কোন নাটকের অংশেও আছে। এই গল্প প্রথম যখন পড়েছিলাম , ভালো লাগে নি, কিন্তু এখন আর খারাপ লাগে না। একটা মানুষের জীবন কত ঘটনা বহুল। কত অদ্ভুত, অলৌকিক কিছু ঘটে ,যার ব্যাখ্যা সম্ভর না। শুধু নিজের জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ কে তুলে ধরেছেন, বিক্ষিপ্তভাবেই, তবুও জীবনী। সব কথাগুলো সত্য। তার সব কথা, গল্প, উপন্যাসে হাসির পাশাপাশি একটা দুঃখের ছোঁয়া আছে। “লেখালেখি এক নিঃসঙ্গ যাত্রা। বলপয়েন্টে সেই নিঃসঙ্গ যাত্রার কথা বলার চেষ্টা করেছি। যে বহস্যময় ভুবনে লেখা তৈরি হয়, তা ব্যাখ্যা করার ইচ্ছা ছিল। করতে পারি নি। বড়ই কঠিন কর্ম। কিছু ভুলভ্রান্তি মনে হয় থেকে গেল। থাকুক। ভ্রান্তিবিলাসের আনন্দ তুচ্ছ করার মতো না।“ এই বইটার প্রচ্ছদ আমার খুব প্রিয়।
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর। সুন্দর।
Was this review helpful to you?
or
ফাউন্টেনপেন আগেই পড়া হয়ে গেছিলো। বলপয়েন্ট আর কাঠপেন্সিল বাকি ছিলো। আজ বলপয়েন্ট পড়ে শেষ করলাম। প্রিয় লেখকের আত্মজীবনী ভালো লাগবে না তা কি হয়। এত সুন্দর আর খোলাখুলি ভাবে উনি উনার জীবন কে বলেন ভালো লাগতে বাধ্য। এবার অপেক্ষা কাঠপেন্সিল পড়ার।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ বলপয়েন্ট লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ। ------------------------------------- বলপয়েন্ট সম্পর্কে লিখতে গেলে আগেই বলে নেই এটি কোনো সাহিত্য, গল্প, উপন্যাস নয়। এটি একটি আত্মজীবনীমূলক বই। অন্য দশটা আত্মজীবনীমূলক বইয়ের মতো এটি লিখা নয়, স্যার হুমায়ূন আহমেদ খুব সুন্দর ভাবে তার জিবনের ঘটনাগুলোকে নিজের মনের ভাষায় ব্যক্ত করেছেন যা কিনা অসাধারন লেগেছে। হুমায়ূন ভক্তদের জন্য যা অবশ্যপাঠ্য! তিনি তার জিবনে ঘটে যাওয়া নানা মজার ঘটনা এই বইতে উল্লেখ করেছেন, এর মাধ্যমে লেখকের জীবনের অনেক ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়। যা কিনা হুমায়ূন ভক্তদের অনেক ভালো লাগবে। তাই আশা করবো, সকল হুমায়ূন ভক্তরা এই বইটি নিঃসন্দেহে পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক বই “বলপয়েন্ট” আর দশটা আত্মজীবনীর মত নয়। এখানে লেখক গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কিছুটা হাস্যরসের মাধ্যমে তার জীবনের মজার ঘটনাগুলোই তুলে ধরেছেন। আত্নজীবনীমূলক বইয়ের নাম বলপয়েন্ট, ব্যাপারটা একটু উদ্ভট না? খেয়াল করে দেখবেন লেখকের সব আত্মজীবনীমূলক বইয়েরই এইরকম উদ্ভট উদ্ভট নাম। এই বইটি প্রথমে উনি কিস্তি হিসেবে পত্রিকার জন্য লিখতেন। লেখার সময় বলপয়েন্ট কলম দিয়ে লেখা বলেই হয়তো বইয়ের নাম বলপয়েন্ট। প্রথম জীবনে হুমায়ূন আহমেদের একটা রোগ ছিল। না না, কঠিন কোনও রোগ নয়। তার ভাষায় মহান কাব্যরোগ। কবিতার প্রতি তার বিশেষ অনুরাগ ছিল। দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় প্রথম কবিতা জমা দেন তার ছোটবোনের নামে। কবিতাটি ছাপাও হয় মমতাজ আহমেদ শিখুর নামে। লেখকের ধারণা ছিল তার ঐ কবিতাটি দশম শ্রেণীর একজন বালিকার লেখা হলেই মানানসই হবে। পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েকটি কবিতা ছাপা হয় মমতাজ আহমেদ শিখু নামেই। প্রথম ছাপানো কবিতাটির দুই লাইন আপনারা সবাই চিনেন। দিতে পারো একশো ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্কুল ম্যাগাজিনের জন্য লেখক অনেকগুলো গল্প, কবিতা জমা দেন। কিন্তু কোনোটাই সিলেক্ট হয়না। যিনি সিলেক্ট করেন তার মতে সবগুলোই মোটামুটি অখাদ্য। তিনিই লেখককে পরামর্শ দেন ইংরেজীতে একটা কিছু লিখে আনতে, এই বিভাগে কোনও লেখা জমা পরেনি। যা লিখে এনে দিবে তাই ছাপাবে। সেখানে ছাপা হলো লেখকের প্রথম কবিতা। ইংরেজী কবিতা। Let the earth move Let the sun shine Let them to prove All are in line. চিন্তা করতে পারছেন সেই বয়সেই কত গভীর একটা কবিতা লিখেছেন লেখক? তাও আবার ইংরেজী কবিতা। লেখকের এই কাব্যচর্চা হয়তো থেমে যেত না যদি না হুমায়ূন কবির স্যার তাকে কিছু কথা শোনাতেন। বাংলা একাডেমি থেকে তখন সংকলণ বই বের হবে, বিখ্যাত এবং অখ্যাত লেখক-কবিদের লেখা নিয়ে। সেখানে জমা দেয়ার জন্য তিনটা কবিতা নিয়ে যান হুমায়ূন কবিরকে দেখানোর জন্য। তিনি কবিতাগুলো না পড়েই তাকে ফিরিয়ে দেন। তারপর থেকে লেখকের কাব্যচর্চা থেমে যায়। তবে পুরোপুরি থামেনি কিন্তু। এরপরেও তিনি লিখেছেন। গানও লিখেছেন। সবাই গ্রহণও করেছে সাদরে। তারমত একজন লেখকের ভিতরে লুকিয়ে ছিল একটা অসাধারণ কবিস্বত্বা। সবসময়ই তিনি কবিদের সম্মাণ দিয়ে এসেছেন। একজন গদ্যকার কবির পদধুলির চেয়েও নিচে থাকেন, এই কথাটা লেখক মানতেন। পুরো বইয়ে লেখক সম্পর্কে এমন আরও অনেক অজানা তথ্যই জানতে পারবেন। এই বই পড়ার আগে আমি তার কাব্যরোগের কথা জানতাম না। এর আগে আমি বেশ কয়েকটি আত্মজীবনীমূলক বই পড়েছি। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের বলপয়েন্টের মত এমন বই পড়িনি আমি। পুরোটা বই পড়ার সময় একটুর জন্যও বিরক্ত হইনি কোথাও। পড়েছি আর ভেবছি, এরকমও হয়? এর আগে ফাউন্টেন পেন নামে তার আরেকটি বই পড়েছিলাম। সেটাও অসাধারণ। সাধারণভাবে লেখা অসাধারণ একটা বই। একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক যে নিজের সম্পর্কে এইরকম কৌতুক করতে পারেন তা আমার ধারণায় ছিল না। হুমায়ূন আহমেদ বলেই হয়তো এভাবে লেখা সম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
আমরা সবসময় সফল মানুষদের শুরুর দিকের গল্প শুনতে চাই। এর কারণ কি? এর কারণ হল প্রায় সব বিখ্যাত সফল মানুষরাই নিজ কর্মক্ষেত্রের শুরুতে দুর্গম পথ পাড়ি দেন। পরবর্তীতে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছান। ফলে ঐ কষ্ট, পরিশ্রমের গল্প শুনলে আমাদের উৎসাহ জাগে। আমরা পাই অনুপ্রেরণা। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ। লেখালেখির জগতে কিংবদন্তী বলা হয় তাকে। সেই হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখির শুরুর দিকের গল্পই ঠাই পেয়েছে ‘বলপয়েন্ট’ বইটিতে। এটি একটি আত্মজৈবনিক মুলক লেখা। তার প্রথম লেখা উপন্যাস, প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, লেখালেখির শুরুর গল্প সব কিছুই জানা যাবে এই বই থেকে। হুমায়ূন আহমেদ প্রথম সময়ে কবিতা লিখে তার ছোট বোনের নামে পত্রিকা পাঠাতেন সেই গল্প কি জানেন? এরকম আরো অজানা গল্প জানা যাবে এই বই থেকে। ভূমিকা থেকে লেখকের ভাষায় বলা যায়, ‘লেখালেখি এক নিঃসঙ্গ যাত্রা। বলপয়েন্টে সেই নিঃসঙ্গ যাত্রার কথা বলার চেষ্টা করেছি।’ শুধু লেখালেখির গল্প বললেই ভুল হবে। নিজের জীবনের অনেক কথাই এসেছে বইটিতে। হুমায়ূন আহমেদের বাবা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। সংসার চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। একটা চাকরি তখন ভীষণ দরকার তার। তখনও তিনি অপেক্ষা করে আছেন রেজাল্টের। প্রায় প্রতিদিন রেজাল্টের খবর জানতে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে যান। লেখকের ভাষায় শুনি সেদিনের গল্প। ‘কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে গেছি, বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করছি। চেয়ারম্যান স্যারের পিয়ন এসে বলল, স্যার আপনাকে ডাকে। আমার কলজে শুকিয়ে গেল। খোন্দকার মোকাররম হোসেন কোন ছাত্রকে ডাকবেন আর তার কলিজা শুকিয়ে শুঁটকি হয়ে যাবে না, তা হয় না। স্যার ভুল করেন নি তো? আমাকে কি তিনি নামে চিনেন? চেনার তো কথা না। ভয়ে ভয়ে স্যারের রুমে ঢুকলাম। স্যার কি যেন লিখছে। আমি নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ করে আছি। নিঃশ্বাসের শব্দে স্যারের লেখায় যেন বিঘ্ন না ঘটে।’ এরকমই ঝরঝরে ভাষায় আছে হুমায়ূন আহমেদের অনেক গল্প। নাটক লেখার কাহিনী, সায়েন্স ফিকশন নিয়ে কৌতূহল হওয়ার ঘটনা। হুমায়ূন ভক্তদের একটা কথা মনে করিয়ে দেয়ার দরকার নেই যে, সেটা যেই গল্পই হোক না কেন, ‘হুমায়ূন হিউমার’ মিশে থাকে সব ক্ষেত্রেই। নিজের আত্মজীবনীর সাথেও সেটি খুঁজে পাওয়া যাবে। এছাড়া লেখকের কিছু ছোট গল্প বিভিন্ন কাহিনীর প্রেক্ষিতে জুড়ে দেয়া হয়েছে। যেগুলি পাঠক পাচ্ছে বোনাস হিসেবে। আছে বিভিন্ন বিখ্যাত লেখকের উদ্ধৃতি। যেগুলি লেখকের পছন্দ। বইটি বের করেছে অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছে মাসুম রহমান। মুল্য রাখা হয়েছে ২২৫ টাকা। বলে নেয়া ভাল লেখালেখিতে যাদের আগ্রহ আছে, বইটি তাদের অবশ্যই পড়া উচিৎ। ইতিমধ্যেই বইটি বেশ পাঠক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের ক্ষেত্রে যেটি অতি স্বাভাবিক ব্যাপার।