আমাদের দেশে মাদরাসাগুলোতে আরবীভাষার ব্যাকরণ শেখানোর জন্য সর্বপ্রথম যে কিতাবটি পড়ানো হয়, ফার্সীভাষায় রচিত সেই কিতাবটির নাম হলো تحومیر )নাহবেমীর)। বিষয়বস্তুর বিন্যাস, বর্ণনাভঙ্গির চমৎকারিত্ব এবং সংক্ষিপ্ততার কারণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এটি যে অসাধারণ একটি কিতাব, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর আরবী ব্যাকরণের দ্বিতীয় যে কিতাবটি পড়ানো হয়, আরবীভাষায় রচিত সেই কিতাবের নাম হলো, هداية النحو ) হেদায়াতুন্নাহু)। প্রায় আটশ' বছর পূর্বে রচিত এই কিতাবটিতে আরবী ব্যাকরণের বিষয়বস্তুকে যে পদ্ধতিতে বিন্যস্ত ও বর্ণনা করা হয়েছে, তার সঙ্গে নাহবেমীর কিতাবের বিন্যাস ও বর্ণনাভঙ্গির যথেষ্ট পার্থক্য ও ব্যবধান রয়েছে। উভয় কিতাবের বিষয়বস্তু অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও বর্ণনাভঙ্গির পার্থক্য এবং উপস্থাপনার ভিন্নতার কারণে প্রিয় ছাত্ররা দ্বিতীয় কিতাবটিকে প্রথম কিতাবের পরিপুরক মনে করতে পারে না। সর্বপরি আরবীভাষার 'প্রয়োজনীয়' ব্যবহারিক জ্ঞান না থাকার কারণে অধিকাংশ ছাত্র দ্বিতীয় কিতাবটি থেকেও কাঙ্ক্ষিত ফায়দা অর্জন করতে সক্ষম হয় না।
আমরা মনে করি, আরবীভাষার ব্যাকরণিক জ্ঞান অর্জন করার পূর্বে উক্ত ভাষার 'প্রয়োজনীয়' ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক। আরবীভাষার 'প্রয়োজনীয়' ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে
الطريقة
الجديدة لدروس اللغة العربية
বা 'সহজে আরবী শিখি নামক একটি কিতাব রচনা করা হয়েছে। আর الطريقة الجديدة للدروس النحوية সহজে নাহু শিখি কিতাবটি রচনা করা হয়েছে।
'সহজে নাহু শিখি' কিতাবটিতে আরবী ব্যাকরণের বিষয়বস্তুকে বাংলাভাষায় এমনভাবে বিন্যস্ত ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে, 'হেদায়াতুন্নাহু' ও 'কাফিয়া' কিতাবের সঙ্গে তার একটি অর্থবহ ও কার্যকর যোগসূত্র সৃষ্টি হয়েছে। 'সহজে নাহু শিখি' কিতাবটি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে আমাদের কোমলমতি ছাত্ররা যেভাবে বাংলাভাষায় অত্যন্ত সহজে ও আনন্দের সঙ্গে আরবী ব্যাকরণের প্রাথমিক বিষয়বস্তু আত্মস্থ করতে সক্ষম হবে, তেমনিভাবে 'হেদায়াতুন্নাহু' ও 'কাফিয়া'র মতো কিতাবের বিষয়বস্তু তাদের কাছে অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল মনে হবে, ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং বিদগ্ধ উলামায়ে কেরামের নিকট আবেদন হলো, তাঁরা যেন 'সহজে আরবী শিখি' ও 'সহজে নাহু শিখি' কিতাব দু'টি সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করে আমাদের প্রিয় ছাত্রদের আরবীভাষা শেখার পথ সুগম করে দেন। মহান আল্লাহ আমাদের সকলের নেক নিয়তের উত্তম বিনিময় দান করুন। আমীন!